করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি
ভূমিকা : আমাদের বাইবেল কলেজের প্রিন্সিপাল Dr. Smith দুপুরের প্রার্থনা সভার( Chapel) পর হাতে একটি ছোট ডেটলের সিনিটাইজার দেখিয়ে বললেন ভয়ংকর করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য just use common sense বা কান্ডজ্ঞান ব্যবহার করতে বললেন । Hands Wash ও মুখে হাত না দেওয়া ও নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রেখে হতে পারে অত্যন্ত কার্যকরী পন্হা নিজেকে রক্ষা করার। বর্তমানে মিডিয়ার কল্যাণে মানুষের কাছে যথেষ্ট information আছে যা ব্যবহারে অনেক উপকার হবে। এত information বা medical treatment এর অগ্রগতি হলেও আমাদের মধ্যে থেকে অনেকেই মারা যাবে । কারণ এই virus থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত কার্যকারী কোন প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয় নাই। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই ভাইরাস মরণ ব্যধি । আপনারা অবগত আছেন এ পর্যন্ত বিশ্বে কয়েক হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে ।সেইজন্য যতটুকু সামর্থ্য আছে সেভাবেই সাবধানে থাকেন , নিজের ও পরের যত্ন নিন ।
🔮🌏🛑 পবিত্র বাইবেলে মহামারী : প্রভু যীশুর আগমনের পূর্বে অনেক মহামারী , দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধসহ অনেক চিহ্নের কথা বলা হয়েছে । যা অবশ্যই হবে যার কোন স্হায়ী সমাধান মানুষ পাবে না। প্রভু যীশু এ সম্পর্কে বলেছিলেন ,
"বৃহৎ বৃহৎ ভূমিকম্প এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও #মহামারী হইবে, আর আকাশে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর লক্ষণ ও মহৎ মহৎ চিহ্ন হইবে;"
(লূক 21:11 ROVU)। সেইজন্য আমরা যা দেখছি তা অস্বাভাবিক কিছু না। ঈশ্বর এমনও রোগের কথা বলেছেন যার কোন স্হায়ী চিকিৎসাও থাকবে না।
(লূক 21:11 ROVU)। সেইজন্য আমরা যা দেখছি তা অস্বাভাবিক কিছু না। ঈশ্বর এমনও রোগের কথা বলেছেন যার কোন স্হায়ী চিকিৎসাও থাকবে না।
প্রেরিত যোহন দর্শনে জগতের পাপের শাস্তি স্বরূপ বিভিন্ন মহামারীর অস্তিত্ব দেখেছেন যা মানুষের পাপের ফল ।
"এই সকলের পরে আমি স্বর্গ হইতে আর এক দূতকে নামিয়া আসিতে দেখিলাম; তিনি মহাক্ষমতাপন্ন এবং তাঁহার প্রতাপে পৃথিবী দীপ্তিময় হইল। তিনি প্রবল রবে ডাকিয়া কহিলেন, ‘পড়িল, পড়িল মহতী বাবিল; সে ভূতগণের আবাস, সমস্ত অশুচি আত্মার কারাগার, ও সমস্ত অশুচি ও ঘৃণার্হ পক্ষীর কারাগার হইয়া পড়িয়াছে। কেননা সমুদয় জাতি তাহার বেশ্যা ক্রিয়ার রোষ-মদিরা পান করিয়াছে, এবং পৃথিবীর রাজগণ তাহার সহিত ব্যভিচার করিয়াছে, এবং পৃথিবীর বণিকেরা তাহার বিলাসিতার প্রভাবে ধনবান হইয়াছে।’ পরে আমি স্বর্গ হইতে এইরূপ আর এক বাণী শুনিলাম, ‘হে আমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস, যেন উহার পাপ সকলের সহভাগী না হও, এবং উহার আঘাত সকল যেন প্রাপ্ত না হও। কেননা উহার পাপ আকাশ পর্যন্ত সংলগ্ন হইয়াছে এবং ঈশ্বর উহার অপরাধ সকল স্মরণ করিয়াছেন। সে যেরূপ ব্যবহার করিত, তোমরাও তাহার প্রতি সেইরূপ ব্যবহার কর; আর তাহার ক্রিয়ানুসারে দ্বিগুণ, দ্বিগুণ প্রতিফল তাহাকে দেও; সে যে পাত্রে পেয় প্রস্তুত করিত, সেই পাত্রে তাহার জন্য দ্বিগুণ পরিমাণে পেয় প্রস্তুত কর। সে যত আত্মগৌরব ও বিলাস করিত, তাহাকে তত যন্ত্রণা ও শোক দেও। কেননা সে মনে মনে বলিতেছে, আমি রাণীর মত সিংহাসনে বসিয়া আছি, বিধবা নহি, কোন মতে শোক দেখিব না। এই জন্য একই দিনে তাহার আঘাত সকল- মৃত্যু, শোক ও দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইবে; এবং তাহাকে আগুনে পোড়াইয়া দেওয়া যাইবে; কারণ তাহার বিচারকর্তা প্রভু ঈশ্বর শক্তিমান। আর পৃথিবীর যে সকল রাজা তাহার সঙ্গে ব্যভিচার ও বিলাস করিত, তাহারা তাহার দাহের ধূম দেখিয়া তাহার জন্য রোদন ও বক্ষে করাঘাত করিবে; তাহার যন্ত্রণার ভয়ে দূরে দাঁড়াইয়া তাহারা বলিবে, হায়! হায়! সেই মহানগরীর, বাবিলের সেই পরাক্রান্ত নগরীর সন্তাপ, কারণ এক ঘণ্টার মধ্যেই তোমার বিচার উপস্থিত!"
(প্রকাশিত বাক্য 18:1-10 ROVU)
🔮🌏🛑অনুতাপের আহবান : এখন পরিস্থিতি এমন হতে পারে ঈশ্বর মানুষকে মনপরিবর্তন ও অনুতাপের আহবান জানাচ্ছেন যেন পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারে, ঈশ্বরের নিকটবর্তী যেন হয় । প্রভুর আশীর্বাদের অনেক প্রতিজ্ঞা আছে : যেমন :
"ঈশ্বরের নিকটবর্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হইবেন। হে পাপিগণ, হস্ত শুচি কর; হে দ্বিমনা লোক সকল, হৃদয় বিশুদ্ধ কর।"
(যাকোব 4:8 ROVU)
"আমার প্রজারা, যাহাদের উপরে আমার নাম কীর্তিত হইয়াছে, তাহারা যদি নম্র হইয়া প্রার্থনা করে ও আমার মুখের অন্বেষণ করে, এবং তাহাদের কুপথ হইতে ফিরে, তবে আমি স্বর্গ হইতে তাহা শুনিব, তাহাদের পাপ ক্ষমা করিব ও তাহাদের দেশ আরোগ্য করিব।"
(২ বংশাবলি 7:14 ROVU)
আমরা পৃথিবীর অনেক ইতিহাস দেখেছি যে সমস্ত জাতি ও দেশ অনুতাপে ফিরে এসেছে ঈশ্বরের দয়া পেয়েছে। যেমনঃ নীনবী নগরী ( ভাববাদী যোয়েল )।
অনেক সময় আমরা অনেক প্রশ্নের উত্তর পাইনা যা ঈশ্বর তাঁর কর্তৃত্ব ও সার্বভৌমত্বের অধীন । তবুও আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে সবার মংগল কামনা করি।
🌏🔮🛑এখন আমরা দেখব আত্মিকভাবে নিজেকে তৈরী করার প্রয়োজনীয়া :
শারীরিক সতর্কতার সাথে সাথে আমাদের আত্মিক ভাবে সতর্ক হওয়া দরকার। আমি চাই না কেউ এই ভাইরাসে মারা যাক । কিন্তু আমার ইচ্ছা তো পূরণ হবে। সমস্ত মিডিয়া জুড়ে ভয়াবস ভাইরাসের তান্ডব প্রকাশ করছে । পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশে ও দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে । অনেক স্হানে বাঁচার উপায় অনেক ক্ষীণ হয়ে আসছে । সেই জন্য মৃত্যু যখন হাতছানি দিচ্ছে তখন আমাদের কি ভাবে আত্মিক ভাবে সতর্ক হওয়া দরকার !
আমরা আন্দাজ করতে পারছি সামনে আমাদের অনেক প্রিয়জনদের হয়ত মৃত্যু দেখতে হবে যা আমাদের কারও তা প্রত্যাশা না । অনেক চোখের জল এর মধ্যেই দেখছি ।
এখন করোনা ভাইরাসকে জিজ্ঞেস করলে হয়ত বলবে ( কল্পকথা ) ,
"আমি অনেকে কাঁদাতে পারি ,
আমি অনেককে মারতে পারি
তোমাদের আত্মিয়তার বন্ধন ধংস করতে পারি
আমি ধ্বংস করতে পারি পারিবারিক বন্ধন
তোমাদের প্রিয়জনদের কেড়ে নিতে পারি ,
আমি তোমাদের মৃত্যু দূত সহ অনেক কিছুই "
আমি অনেককে মারতে পারি
তোমাদের আত্মিয়তার বন্ধন ধংস করতে পারি
আমি ধ্বংস করতে পারি পারিবারিক বন্ধন
তোমাদের প্রিয়জনদের কেড়ে নিতে পারি ,
আমি তোমাদের মৃত্যু দূত সহ অনেক কিছুই "
আমি বলি কোরনা ভাইরাসকে,
"তুমি আর কি করতে পার ?"
কোরনা ভাইরাস বলে , "তোমাদের মৃত্যু, যা তোমাদের শেষ ঠিকানা ।"
আমি বললাম , "তুমি অনেক কিছুই করতে পার , ঠিক আছে ।"
আমি প্রশ্ন করি আবার কোরনা ভাইরাসকে ,
"তুমি কি আমার ঈশ্বরের ভালবাসা বিচ্ছেদ করতে পার ? খ্রীষ্টের পরিত্রাণ থেকে কি ছিনিয়ে নিতে পার ? আমার আগত পুনরুত্থান থেকে কি বাদ দিতে পারবে ? কোরনা ভাইরাস উত্তরে বলে , "না ,এর উপরে আমার হাত নেই। এই সমস্ত যে সৃষ্টিকর্তার হাতে ।"
ঈশ্বরের বাক্য আমাদের জানাই , খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের কোন ভয় নেই । কোরনা ভাইরাস আমাদের জীবনে যে কোন পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে, যা আমরা কেউই চাইনা । তবুও হতে পারে অনেক কিছুই । প্রভু আমাদের সবাইকে রক্ষা করুক এই প্রার্থনা করি । তারপরেও কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ।
মনে রাখতে হবে সমস্ত বিষয়ের উপর প্রভুর নিয়ন্ত্রণ আছে। কোন বিষয় এমনকি মৃত্যু প্রভুর প্রেম থেকে আমাদের বিচ্ছেদ করতে পারবে না।
মনে রাখতে হবে সমস্ত বিষয়ের উপর প্রভুর নিয়ন্ত্রণ আছে। কোন বিষয় এমনকি মৃত্যু প্রভুর প্রেম থেকে আমাদের বিচ্ছেদ করতে পারবে না।
পবিত্র বাক্য আমাদের এই ভাবে সান্ত্বনা দেয়,
"এই সকল বিষয়ে আমরা কি বলিব? ঈশ্বর যখন আমাদের সপক্ষ, তখন আমাদের বিপক্ষ কে? যিনি নিজ পুত্রের প্রতি মমতা করিলেন না, কিন্তু আমাদের সকলের নিমিত্ত তাঁহাকে সমর্পণ করিলেন, তিনি কি তাঁহার সহিত সমস্তই আমাদিগকে অনুগ্রহপূর্বক দান করিবেন না? ঈশ্বরের মনোনীতদের বিপক্ষে কে অভিযোগ করিবে? ঈশ্বর ত তাহাদিগকে ধার্মিক করেন; কে দোষী করিবে? খ্রীষ্ট যীশু ত মরিলেন বরং উত্থাপিতও হইলেন; আর তিনিই ঈশ্বরের দক্ষিণে আছেন, আবার আমাদের পক্ষে অনুরোধ করিতেছেন।
🔮🌏🛑খ্রীষ্টের প্রেম হইতে কে আমাদিগকে পৃথক করিবে? কি ক্লেশ? কি সঙ্কট? কি তাড়না? কি দুর্ভিক্ষ? কি উলঙ্গতা? কি প্রাণ-সংশয়? কি খড়্গ? যেমন লেখা আছে, ‘‘তোমার জন্য আমরা সমস্ত দিন নিহত হইতেছি; আমরা বধ্য মেষের ন্যায় গণিত হইলাম।” কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই। কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল, কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।"
(রোমীয় 8:31-39 ROVU)
🔮🌏🛑আমাদের প্রত্যাশা শুধু এই জগত নয় :
আমরা যদি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হিসাবে এই জগতে সমস্ত প্রাপ্তির আশা করি তাহলে আমরা সবচেয়ে দুর্ভাগা । প্রভুর বাক্য তাই বলে ,
"শুধু এই জীবনে যদি খ্রীষ্টে প্রত্যাশা করিয়া থাকি, তবে আমরা সকল মনুষ্যের মধ্যে অধিক দুর্ভাগা।"
(১ করিন্থীয় 15:19 ROVU)
তাহলে আমাদের প্রত্যাশা কি ? আমাদের অনন্ত কালীন প্রত্যাশা হচ্ছে, অনন্ত পুনরুত্থানের সাক্ষী হওয়া যা প্রভু যীশু দিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন ।
🔮🌏🛑এ সম্পর্কে প্রভু যীশু বলেছেন,
"সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে ব্যক্তি আমার বাক্য শুনে, ও যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহাকে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন প্রাপ্ত হইয়াছে, এবং বিচারে আনীত হয় না, কিন্তু সে মৃত্যু হইতে জীবনে পার হইয়া গিয়াছে। সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এমন সময় আসিতেছে, বরং এখন উপস্থিত, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনিবে, এবং যাহারা শুনিবে, তাহারা জীবিত হইবে।"
(যোহন 5:24-25 ROVU)
এই সুসমাচার তৈরী হয়েছে প্রভু যীশুর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মধ্য যা বিশ্বব্রমান্ডের সবচেয়ে বড় সুসমাচার । প্রভুর বাক্য বলেন ,
"ফলতঃ প্রথম স্থলে আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা সমর্পণ করিয়াছি, এবং ইহা আপনিও পাইয়াছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন, ও কবর প্রাপ্ত হইলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন;"
(১ করিন্থীয় 15:3-4 ROVU)
🔮🌏🛑কখন আমরা এই আশীর্বাদ দেখতে পাব ?
প্রভু বাণী আমাদের পরিষ্কার করে বলে প্রভু যীশুর দ্বিতীয় আগমনেই তা সম্পন্ন হবে , যখন আমাদের মাটির দেহ স্বরূপান্তরিত হয়ে খ্রীষ্টের পুনরুত্থিত দেহের সমরূপ দেহ পাবে । কারণ আমাদের এই পচনদেহ নিয়ে নতুন আকাশ ও পৃথিবীতে অবস্থান করতে পারবো না। প্রভুর বাক্য আমাদের তার একটি পরিষ্কার বার্তা দান করে।
"আমি এই বলি, ভ্রাতৃগণ, রক্ত মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হইতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না। দেখ, আমি তোমাদিগকে এক নিগূঢ়তত্ত্ব বলি; আমরা সকলে নিদ্রাগত হইব না, কিন্তু সকলে রূপান্তরীকৃত হইব; এক মুহূর্তের মধ্যে, চক্ষুর পলকে, শেষ তূরীধ্বনিতে হইব; কেননা তূরী বাজিবে, তাহাতে মৃতেরা অক্ষয় হইয়া উত্থাপিত হইবে, এবং আমরা রূপান্তরীকৃত হইব। কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করিতে হইবে, এবং এই মর্ত্যকে অমরতা পরিধান করিতে হইবে। আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হইবে, এবং এই মর্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হইবে, তখন এই যে কথা লিখিত আছে, তাহা সফল হইবে, ‘‘মৃত্যু জয়ে কবলিত হইল।” ‘‘মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?” মৃত্যুর হুল পাপ, ও পাপের বল ব্যবস্থা। কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হউক, তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমাদিগকে জয় প্রদান করেন। অতএব, হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্যে সর্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।"
(১ করিন্থীয় 15:50-58 ROVU)
এই মহানন্দের অংশীদার তারাই হবেন যারা সুসাচারের বিশ্বাসের বাধ্যতার নিয়মে নিজেকে বাধিত করেছেন ।
প্রভুর বাক্য আমাদের পরিষ্কার করে বলে ,
"কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা চাহি না যে, যাহারা নিদ্রাগত হয়, তাহাদের বিষয়ে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাহাদের প্রত্যাশা নাই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখার্ত না হও। কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন, এবং
উঠিয়াছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশু দ্বারা নিদ্রাগত লোকদিগকেও সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন। কেননা আমরা প্রভুর বাক্য দ্বারা তোমাদিগকে ইহা বলিতেছি যে, আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকিব, আমরা কোন ক্রমে সেই নিদ্রাগত লোকদের অগ্রগামী হইব না। কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে। পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব। অতএব তোমরা এই সকল কথা বলিয়া একজন অন্য জনকে সান্ত্বনা দেও।"
(১ থিষলনীকীয় 4:13-18 ROVU)
উপরোক্ত বাক্যে আমরা দেখি প্রেরিত পৌল তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছেন যা আগত পুনরুত্থানের সাক্ষী হওয়ার শর্ত :
ক) প্রভু যীশুর মৃত্যু
খ) প্রভু যীশুর মৃত্যু ও
গ)প্রভুর বাক্য
ক) প্রভু যীশুর মৃত্যু
খ) প্রভু যীশুর মৃত্যু ও
গ)প্রভুর বাক্য
উপসংহারে বলব, আজকে একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী জগতে হয়ত দুঃখভোগ এমনকি মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারে, তবুও আমাদের এই নশ্বর জীবনের অবিনশ্বর আশা আছে যা আমি সংক্ষেপে আলোচনা করেছি । আজকে যদি মন পরিবর্তন, অনুতাপের ও বিশ্বাসের প্রয়োজন হয় তাহলে আসুন প্রভুর সাক্ষাতে তাই করি ও ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার আশীর্বাদের অংশী হই । অন্যদিকে, যারা এখনও এই সত্য জানেনি ও জেনেও এই সত্য বিশ্বাসের উপর নির্ভর করেননি তাদের কোন আশা নাই । তাদের এই সুসমাচার তাদের জন্য দুঃখের ও বিচারের সংবাদ। তাই আমার বিশ্বাসী পাঠকদের প্রভুর বাক্যে সান্ত্বনা দেব আপনি প্রভুর যীশু রক্তে আবৃত হয়ে প্রভুর ধন্যবাদ করতে করতে দিন যাপন করতে থাকেপ । যাই ঘটুক না কেন আমাদের জীবনে বলি- "ধন্য যীশু"। যারা এই বিশ্বাসের সত্যের জ্ঞানে বিশ্বাস এখনও আনতে পারেনি তাদের জন্য প্রার্থনা থাকবে তারা যেন এই সত্য জেনে ধন্য ও পূর্ণ হয়। আমেন।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
হালেলুইয়া হালেলুইয়া হালেলুইয়া ইম্মানুয়েল 💖 💖 💖 সুন্দর বাক্য, মধুর বাক্য, জীবন দায়ী বাক্য ।
ReplyDeleteআমি অভিভূত, যে কেহ এই প্রচার মুলোক লেখা পড়ে, সে অবশ্যই মন পরিবর্তন করতে বাদ্ধ। ধন্যবাদ জয় যীশু ইম্মানুয়েল 💖 💖 💖
ReplyDelete