আমরা কি স্বাধীন না দাসত্বের জীবন যাপন করছি? (Part-2)

আজ আমরা সারা বিশ্বের দিকে এক নজর দিলেই দেখতে পাবো বিশ্বের প্রতিটি দেশ নিজেকে শক্তিশালী রুপে গড়ে তোলার জন্য, অত্যাধুনিক যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র কে আরোও বেশি করে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার চেষ্টায় ভীষণ ব্যস্ত। একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষণ চলেই যাচ্ছে। সমগ্র দেশ যেন মেতে উঠেছে বিভিন্ন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায়। যুদ্ধের প্রস্তুতি তো লেগেই আছে। দেশের বিরুদ্ধে দেশের প্রস্তুতি যদি এমন হয়। তাহলে একবার একটু গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখুন, এই পৃথিবীর অধিপতি যার ইশারায় আজ সমগ্র বিশ্ব মেতে উঠেছে এক মরণ খেলার, ধ্বংস লীলার প্রস্তুতির জন্য। সমগ্র মানব জাতিকে পাপের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা যার প্রধানতম কাজ। যার অন্তিম পরিণতি অনন্তকালীন অগ্নি হ্রদে বন্দীত্ব। যে আজ থেকে দুই হাজার বছর আগে এক যুদ্ধে কালভেরীর ক্রুশের কাছে পরাজিত হয়েছে। সে এই অন্তিম যুদ্ধে কতই না অত্যাধুনিক হাতিয়ার নিয়ে, অত্যাধুনিক পরিকল্পনা নিয়ে সমগ্র বিশ্ববাসীকে, বিশেষ করে যারা তার পাপের বন্দীত্ব থেকে যীশুর রক্তে সূচী হয়ে মুক্ত হয়েছে, স্বাধীন হয়েছে, তাদের সকল কে তার পাপের দাসত্বে বন্দী করে, সেই অনন্ত নরকে নিয়ে যাবার জন্য কতই না ব্যস্ত। যেন এই মানবজাতির যে মুক্তির পথ প্রভু যীশু তার মস্তক চুর্ণ করে, নিজ রক্ত ঝরিয়ে প্রস্তুত করে গেছেন, যেন একটি আত্মাও বিনষ্ট না হয়। সেই অনন্ত জীবনের কথা, স্বাধীনতার কথা, পরিত্রানের বার্তা যেন কোনো প্রকার এই মানবজাতি জানতে না পারে, বুঝতে না পারে, যেন সে সকল মানবজাতিকে ধ্বংস করতে পারে। তার জন্য এই পৃথিবীর অধিপতি কতই না ব্যস্ত তার অত্যাধুনিক হাতিয়ার নিয়ে।
আমরা যদি মন্ডলীর দিকে একটু গাভীর ভাবে দৃষ্টি রাখি, তাহলে বুঝতে পারবো শয়তান কিভাবে তার নিত্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে , অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বেশিরভাগ মণ্ডলীকে কি ভাবে ধরাশায়ী করে রেখেছে।
প্রভু যীশু একটি দৃষ্টান্ত দ্বারা বলেছিলেন:- "“যে লোকের দেহে বল আছে তাঁকে প্রথমে বেঁধে না রাখলে কেউ কি তার ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র লুট করতে পারে? বাঁধলে পরেই সে তা পারবে। (মথি 12:29 SBCL)
আজ শয়তান সে কাজ করে ফেলেছে। বলবান ব্যক্তি কে সে তার মায়াজালে অর্থাৎ হিংসা, দলাদলি, অর্থের লোভ, কামনা বাসনা, ব্যাভিচার, মত্ততা, লোভ, পদের লোভ লালসা ইত্যাদি ধরাশায়ী করে ফেলেছে। তাহলে ঘরে ঢুকে লুটপাট তো হবেই। আর তাই হচ্ছে বর্তমান মণ্ডলীতে।
শয়তানের অত্যাধুনিক পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আজ যুবক, যুবতি, পরিবার, ছোটো থেকে বড় পর্যন্ত্য সবাই ভয়ানক ভাবে আক্রান্ত।
i Phone, Tab, smart phone, internet, latest technology etc এইসব হচ্ছে শয়তানের বিভিন্ন ধরণের মারণাস্ত্র।
বিশ্বাসী স্বাধীন হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বেশিদিন স্থির থাকতে পারছেনা। আবার দাসত্বের জোয়ালি তে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না বলে পৌলের আকুল নিবেদন কেউ হয়তো শুনতেই পাচ্ছেনা। বুঝতেই পারছেনা। দুঃখের বিষয় আরও বেশি করে সুযোগ করে দিচ্ছে। যার ফলে আজ মণ্ডলীতে মাংসের কার্য সকলের প্রকাশ বেশী লক্ষ্য করা যায়। যার বিবরণ সাধুপৌল তার পত্রে গালাতীয় মন্ডলীর প্রতি 5 অধ্যায়ের 19 থেকে 21 পদে লিপিবদ্ধ করে গেছেন।
যদিও কথা টা শুনতে খারাপ লাগছে, কিন্তু এটাই বাস্তব সত্য।
বড়দিনের উৎসব উদযাপনের দিকে একটু লক্ষ্য রাখলে তা খুব ভালোভাবে দেখতে পাবেন। খুব কম সংখ্যক বিশ্বাসী খুঁজে পাবেন, যারা স্থির আছে তাদের স্বাধীনতা কে নিয়ে যা তারা খ্রীষ্টের মাধ্যমে পেয়েছে। সেই স্বাধীনতাকে তারা মাংসের পক্ষে অর্থাৎ পাপ স্বভাবের ইচ্ছা গুলোকে পূর্ণ করার জন্য সুযোগ করে দেয়নি।
প্রভু যীশু বলেছেন, "তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে"। বর্তমান CHRISTMAS CELEBRATION কি সেই সত্যকে প্রকাশ করতে পারছে ?
দুতেরা যে মহানন্দের সুসমাচার নিয়ে এসেছিল, "অদ্যই দায়ূদের নগরে তোমাদের জন্য ত্রাণকর্তা জন্মিয়াছেন; তিনি খ্রীষ্ট প্রভু।" এই মহানন্দের সুসমাচার কি আমরা জগতবাসীর কাছে তুলে ধরতে পারছি বা প্ৰকাশ করতে পারছি এই বড়দিন উদযাপনের মধ্যে দিয়ে ?
কারণ একটী বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটী পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃত্বভার থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে—‘আশ্চর্য্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ’।
(যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক। 9:6 BENGALI-BSI)
উক্ত বার্তা কি আমরা সর্বজাতির কাছে পৌঁছিয়ে দিতে পারছি আমাদের এই বড়দিন উদযাপনের মাধ্যমে?
আজ এই বড়দিনের উৎসব এক ধর্মীয় আনন্দের উৎসব, ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। এক যাকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। শয়তান খুব চালাকির সাথে বড়দিনের প্রকৃত অর্থ কে সম্পূর্ণ রূপে পরিবর্তন করে দিয়েছে। যে সত্য জানার দ্বারা মানবজাতি স্বাধীন হবে, মুক্ত হবে পাপের বন্দীত্ব থেকে। সেই সত্যকে আজ আমরা অসত্যের মধ্যে এমন ভাবে বদ্ধ করে দিয়েছি যে মানব জাতির কাছে সেই সত্যের প্রকাশ ঠিক মতো হতেই পারছেনা। বিশ্বাসী আজ সত্য জানার পরেও আবার পাপের দাসত্বের দিকে আকর্ষিত হচ্ছে।
পবিত্র আত্মা আজও আমাদের বার বার চেতনা দিয়ে বলছে, যেন কেউ আবার তোমাদের দাস বানাতে না পারে। পবিত্র আত্মা বলছে, স্বাধীন হবার জন্যই ঈশ্বর তোমাদের ডেকেছেন। তোমাদের পাপের স্বভাবের ইচ্ছাগুলো পূর্ণ করবার জন্য এই স্বাধীনতা ব্যবহার করোনা।
★আপনি কি স্বাধীন হয়েছেন?
★ আপনি কি স্থির আছেন?
★এই বড়দিনের উৎসবের মধ্যে দিয়ে কি আমরা সেই সত্যর সুসমাচারকে প্রকাশ করতে পারবো?
Are-we-living-a-free-or-slavery-life-

 আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.

Comments

Popular posts from this blog

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া

Popular Posts

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া