আমরা কি স্বাধীন না দাসত্বের জীবন যাপন করছি? (Part-1)
■খ্রীষ্ট আমাদের স্বাধীন করেছেন যেন আমরা স্বাধীন থাকতে পারি। সেইজন্য তোমরা স্থির থাক, যেন কেউ আবার তোমাদের দাস বানাতে না পারে।
[গালাতীয় 5:1 SBCL]
■ভাইয়েরা, স্বাধীন হবার জন্যই তো ঈশ্বর তোমাদের ডেকেছেন। কিন্তু তোমাদের পাপ-স্বভাবের ইচ্ছাগুলো পূর্ণ করবার জন্য এই স্বাধীনতা ব্যবহার কোরো না। তার চেয়ে বরং ভালবাসার মনোভাব নিয়ে একে অন্যের সেবা কর,
[গালাতীয় 5:13 SBCL]
[গালাতীয় 5:13 SBCL]
■আর তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে।
[যোহন 8:32 ROVU]
[যোহন 8:32 ROVU]
বাইবেলের এই তিনটি পদ আমাদের স্বাধীনতা ও দাসত্বের সম্পর্কে চেতনা দেয়।
আমরা বর্তমানে যে যুগে বাস করছি, এই শব্দ দুটির গুরুত্ব আমরা আমাদের জীবনে খুব একটা দিইনা। কারণ আমরা বর্তমান স্বাধীন দেশে বাস করছি। দাসত্বের কথা আমরা হয়তো ইতিহাসের পাতায় দেখেছি।
আমরা বর্তমানে যে যুগে বাস করছি, এই শব্দ দুটির গুরুত্ব আমরা আমাদের জীবনে খুব একটা দিইনা। কারণ আমরা বর্তমান স্বাধীন দেশে বাস করছি। দাসত্বের কথা আমরা হয়তো ইতিহাসের পাতায় দেখেছি।
আমরা কি সত্যিই স্বাধীন না কি দাসত্বের মধ্যে জীবন যাপন করছি?!!!!
খুবই স্বাভাবিক ভাবে আমাদের উত্তর হবে, নিশ্চয় আমরা স্বাধীন আর দাসত্বের মধ্যে আমরা নেই।
আজ আমরা ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে দিয়ে নিজেদের বিশ্লেষণ করে দেখবো সত্যই আমরা স্বাধীন কি না!!!!!!!!
প্রথমে আমরা দেখবো দাসত্ব বলতে বাইবেল আমাদের কি বোঝাতে চেয়েছে। তবেই আমরা স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারবো। প্রেরিত পৌল গালাতীয় মন্ডলী কে লিখেছেন 5 অধ্যায়ের 1 পদে, খ্রীষ্ট আমাদের স্বাধীন করেছেন। 13 পদে আবার লিখেছেন, স্বাধীন হবার জন্যই ঈশ্বর তোমাদের ডেকেছেন। আবার প্রভু যীশু বলেছেন, "তোমরা সেই সত্য কে জানিবে, আর সেই সত্য তোমাদের স্বাধীন করবে"।
তাহলে আমরা কি দাসত্বের জোয়ালে আবদ্ধ ছিলাম? পৌল লিখেছেন খ্রীষ্ট তোমাদের স্বাধীন করেছেন। অর্থাৎ আমরা বন্দী ছিলাম এখন মুক্ত হয়েছি।
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তাঁর শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু ঝড়িয়েছেন কালভেরীর ক্রুশে বিশ্বের সমস্ত মানব জাতির জন্য। কারণ ঈশ্বরের বাক্য বলে যে ধার্মিক কেহ নাই। অর্থাৎ যে পাপের দণ্ড আমাদের জন্য ছিল তা প্রভু যীশু নিজের উপরে নিয়ে, সমগ্র মানব জাতিকে স্বাধীন করলেন পাপের বন্দীত্ব থেকে। যে পাপের দাসত্বের মধ্যে মানব জাতি বন্দী ছিলো, যেখান থেকে মুক্তির কোনো রাস্তাই ছিলোনা, যে পাপের দণ্ড মৃত্যু অবধারিত ছিলো মানব জাতির জন্য, সেই ভয়ঙ্কর পাপের দণ্ড থেকে, বন্দীত্ব থেকে মুক্ত করতে আজ থেকে 2019 বছর আগে যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন মানব রূপে জন্ম নিয়ে এক কুমারীর গর্ভে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁর মহান প্রেমের নিদর্শন দিলেন মানব জাতিকে। বাইবেল বলে যে,
★কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার এক জাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।
[যোহন 3:16 ROVU]
[যোহন 3:16 ROVU]
আজও বহু সংখ্যক মানুষ সে সত্য কে উপলব্ধি করতে পারলোনা কিংবা পারছেনা। বুঝতে চাইছে না। বরং খ্রীষ্টকে খ্রিষ্টানদের ভগবান বলে আলাদা করে দিলো। বিদেশীদের ঈশ্বর বলে চিহ্নিত করে দিলো। খ্রীষ্ট ধর্মের স্থাপন কর্তা বলে ঘোষণা করলো। ঈশ্বরকে মানুষ গ্রহণ করতে পারলোনা এবং এখনও পারছে না। নানান যুক্তি তর্কের মধ্যে মানুষ তার নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে ঈশ্বরকে বিচার করতে লাগলো। নিজের নিজের ঈশ্বর সৃষ্টি করতে লাগলো। হায় রে!!!!!!মানুষ!!!!!!!! যে ঈশ্বর এই বিশ্বব্রম্ভান্ডর সৃষ্টি কর্তা। সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে মানুষ তার নিজের বুদ্ধি দিয়ে বিচার করছে।
পাপ থেকে মুক্তি পাবার জন্য নিজের নিজের বুদ্ধি অনুসারে নানান পথ বানিয়েছে। তাদের কাছে যীশুর কথা বললে বলবে যে, ওই সব ঈশ্বরই এক। তার নানান রূপ। যত মত ততো পথ। ঐ সব পথই একই জায়গাতে উপস্থিত হয়। একটা মানলেই হলো। ভালো কর্ম করো, পুণ্য লাভ করো। ঈশ্বর কে খুশি করে রাখো।
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, আমিই পথ, সত্য ও জীবন, আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না। (যোহন 14:6)
প্রভু যীশু বলেন নি আমিও পথ, সত্য, ও জীবন। তিঁনি খুব জোরের সাথে বলেছেন আমিই।
পাপের দাসত্ব থেকে মুক্তির পথ যদি ভালো কাজ, পুণ্য লাভ ইত্যাদি হতো তাহলে যীশু খ্রীষ্ট কে মানব জাতির পাপের দণ্ড থেকে মুক্তি লাভের জন্য ক্রুশে নিজ প্রাণ বলিদান দেবার কোনো প্রয়োজনই ছিলোনা। এইসব কিছু দিয়াবলের চক্রান্ত যেন মানুষ সত্যকে না জানতে পারে।
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, আমিই পথ, সত্য ও জীবন, আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না। (যোহন 14:6)
প্রভু যীশু বলেন নি আমিও পথ, সত্য, ও জীবন। তিঁনি খুব জোরের সাথে বলেছেন আমিই।
পাপের দাসত্ব থেকে মুক্তির পথ যদি ভালো কাজ, পুণ্য লাভ ইত্যাদি হতো তাহলে যীশু খ্রীষ্ট কে মানব জাতির পাপের দণ্ড থেকে মুক্তি লাভের জন্য ক্রুশে নিজ প্রাণ বলিদান দেবার কোনো প্রয়োজনই ছিলোনা। এইসব কিছু দিয়াবলের চক্রান্ত যেন মানুষ সত্যকে না জানতে পারে।
সাধু পৌল তার পত্রের মাধ্যমে পবিত্র আত্মা দ্বারা গালাতীয় মন্ডলী র মাধ্যমে আজ সমগ্র বিশ্বাসী বর্গকে এক আহবান জানিয়েছেন, "অতএব তোমরা স্থির থাকো এবং দাসত্বের জোয়ালিতে আর বদ্ধ হয়না। স্বাধীন হবার জন্যই ঈশ্বর তোমাদের ডেকেছেন।
◆আমরা কি স্থির আছি?
◆যে পাপের দাসত্ব থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি, সেই দিকেই কি আবার আকর্ষিত হচ্ছি?
◆সত্য কে জানার পরেও আমরা কি অসত্যের মধ্যে আবদ্ধ আছি?
◆যে পাপের দাসত্ব থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি, সেই দিকেই কি আবার আকর্ষিত হচ্ছি?
◆সত্য কে জানার পরেও আমরা কি অসত্যের মধ্যে আবদ্ধ আছি?
খুব সাবধানে নিজেকে একবার দেখে নেবার সময় এখন। সময় প্রায় শেষ হতে চলেছে। এই পৃথিবীর অধিপতি দিয়াবল খুব সাবধানে তার mission সম্পূর্ণ করার কাজ করে চলেছে তার দলবল নিয়ে। সে কখনোই উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর জানার প্রচেষ্টা আপনাকে করতে দেবেনা। সে আপনার কানে এসে বলবে এইসব বেকার চিন্তা ভাবনার সময় এখন নয়। নিজ পরিবার সংসার সমন্ধে সচেতন হও। কি ভাবে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে হবে সে বিষয়ে সচেষ্ট হও। বর্তমান জগতের সঙ্গে তোমাকে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে। সময় খারাপ করোনা এই ধরণের অনেক কিছুই দিয়াবল আপনাকে মনে করিয়ে দেবে। শুধু তাই নয় আপনাকে তার মধ্যে ব্যস্তও করে দেবে।
ক্রমশঃ..................
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
ক্রমশঃ..................
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.

Comments
Post a Comment