খ্রীষ্ট মন্ডলির ইতিহাস

মন্ডলি কি : ইংরেজি চার্চ শব্দটি প্রথম বাংলাভাষায় মন্ডলি হিসাবে অভিহিত করেন .উইলিয়াম কেরি. বিভিন্ন পাত্র ভেদে চার্চ শব্দটি র্গীজা ,মন্ধির হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে ,“আমি তোমাকে বলছি ,তুমি পিতর ,আর এই পাথরের উপরেই আমি আমার মন্ডলি গড়ে তুলব  দোজখের কোন শক্তি তার উপর জয়লাভ করতে পারবে না ”( মথি ১৬;১৮)আর খ্রীষ্টান শব্দটি প্রথম আন্ত্রিয়খিয়াতে শিষ্যদের অভিহিত করা হয়েছে ( প্রেরিত ১১:২৬) [যাদের মধ্যে খ্রীষ্টের প্রতিচ্ছবি দেখা যায় তাকে খ্রীষ্টান বলা হয় ],যদিও বা আাজ আমরা জাতি হিসাবে খ্রীষ্টান কথাটি ব্যবহার করি। খ্রীষ্টের আজ্ঞা পালনের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি খ্রীষ্টান হতে পারে  যখন খ্রীষ্টানেরা কোন একটি নিদিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে ধর্মীয় উপাসনা করে সেটাকে আমরা মন্ডলি বলে অভিহিত করি  চার্চ শব্দটি সম্ভবত  শতাব্দী থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে 

মন্ডলি সৃষ্টির ইতিহাস : খ্রীষ্ট মন্ডলি শুরু হয়েছিল যীশুর পূর্ণরুত্থানের ঠিক ৫০ দিন পর  যীশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি তাঁর মন্ডলি প্রতিষ্টিত করবেন ।পঞ্চশপ্তমির দিনে পবিত্র আত্না অবতরণ হলে (প্রেরিত ২ঃ১-পরম মন্ডলি সত্যিকার রুপে প্রতিষ্ঠিত হয় ,সাধু পিতরের এক বক্তিতায় প্রায় তিন হাজার লোক যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করে  পঞ্চশপ্তমির দিনে যীশুর মা মরিয়ম সহ ১২০ জন প্রেরিতের উপর পবিত্র আত্না অবতারণ হয়েছিল ( প্রেরিত :১৫)

History-of-the-Church-of-Christ


মন্ডলির গুরুত্ব : তোমরা সমুদয় পৃথিবীতে যাও ,পিতা পুত্র পবিত্র আত্না নামে তাদের বাপ্তিস্ম দাও ,আমি যে শিক্ষা তোমাদের দিয়েছি তা পালনে হুকুম দাও যীশুর এই মহান আদেশ পালনে তার শিষ্য/প্রেরিতগণে শুধু প্রচেষ্টা চালিয়ে যাননি , তারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিলেন ,যীশুর প্রিয় শিষ্য থোমা ভারত বর্ষে এসেছিলেন বরং তাই নয় আজও তার অনুসারিরা এই আদেশ পালনে বাধ্য রয়েছে বলে খ্রীষ্ট মন্ডলি অনেক বেশি বৃদ্ধি ঘটেছে  খ্রীষ্ট বিশ্বসীদের জীবনে মন্ডলির অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ  মন্ডলিতে তারা শুধু উপাসনা করে না ,তাছাড়া ভবিষ্যৎ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেষণা দেয়,মন্ডলি হচ্ছে ধার্মিকদের রাজ্য ঈশ্বরের বসবাসের স্থান ( হিজরত ৬ঃ৭ ,১৯ঃ৫ ,ইয়ারমিয়া ৩০ঃ২২ ,গালাতীয় ৬ঃ১৬ ,১ম পিতর ২ঃ৯ প্রকাশিত কালাম ২১ঃ৩ )
মন্ডলি হচ্ছে একটি বৃক্ষ ,আর খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হচ্ছে তার শাখা প্রশাখা,মন্ডলি হচ্ছে একটি দেহ খ্রীষ্ট ভক্তরা হচ্ছে তার অঙ্গ-প্রতঙ্গ ,খ্রীষ্ট হচ্ছে তার মস্তক বৃক্ষ ছাড়া যেমন শাখা-প্রশাখা অস্তিত্বহীন তেমনি মস্তক ছাড়া দেহ ভিত্তিহীন 
মন্ডলি হচ্ছে ঈশ্বরের রাজ্য লুক ১৭:২১,,২১:৩১যোহন : , ১ম করিস্থিয় : ,সেখানে ঈশ্বরের পরিবারের লোকেরা রোমীয় :১৪-১৭ইফিশয়ি :১৯,১ম তিমথীয় :১৫,ঈশ^রের প্রসংসা আরোধনা গুণকৃর্তন করে কেননা জায়গাটা পবিত্র স্থান ইশাইয়া ৫৪:-,৬২:,মার্ক :১৮-২০ ,ইফিষীয় :২৭প্রকাশিত কালাম ১৯:,২১:
তাই খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জীবনে মন্ডলির গুরুত্ব অনেক বেশি 

আদি মন্ডলি : আদি মন্ডলি হচ্ছে একটি ক্ষুদ্র জনসমষ্টি বা যিশুর শিষ্যরা তাঁর আত্নীয় দ্বারা পরিচালিত হত ।পঞ্চসপ্তমীর দিন থেকে এর সংখ্য ক্রমগত বৃদ্ধি পেতে থাকে  -৩১৩ খ্রীপয়ন্ত খ্রীষ্ট মন্ডলি রাষ্ট্র দ্বারা অনেক বেশি নির্যাতীত হয়েছে  এরপর যখন রাজা কনস্টানটাই ৩১৩ খ্রীখ্রীষ্ট মন্ডলিকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তখন থেকে মন্ডলির প্রতি কিছুটা নিয়ার্তন কমে এসেছিল  আবার অনেকে এই সময়কে বলে খ্রীষ্ট মন্ডলির স্বর্ণ যুগ 
ভৃমধ্যসাগরের পৃর্ব তীরের সমস্ত অঞ্চলে খ্রীষ্ট ধর্মের আদি যুগে এই মন্ডলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মায়েদের অবদান অনেক বেশি   সময় খ্রীষ্ট ধর্ম  টি কেন্দ্র থেকে বিশেষভাবে পরিচালিত  প্রচারিত হয়েছে।১জেরুশালেম আন্তিয়খেয়া (সিরিয়া)আলেকজান্ত্রিয়া(মিশর)বাইজেন্টাইন(ইস্তাম্বুল) রোম ,এই ৫টি মন্ডলিকে খ্রীষ্ট ধর্মেও আদি মন্ডলি বলে বিবেচিত করা হয় ।অর্থোডক্সরাশিয়ামন্ডলির সৃষ্টি আন্তিয়খেয়া (সিরিয়াআলেকজান্ত্রিয়া(মিশরবাইজেন্টাইন(ইস্তাম্বুলএলাকায় আর ক্যাথলিক ( ক্যাথলিক শব্দটি অর্থ সর্বজনীন খ্রীষ্ট মন্ডলিকে বোঝানো হয়েছে)মন্ডলির ভিত্তি ভৃমি রোমে ,
১০৫৪ সাল পয়ন্ত প্রার্চ্যের অর্থোডক্স মন্ডলি  পাশ্চত্যের রোমান ক্যাথলিক মন্ডলি এক খ্রীষ্ট মন্ডলির দুটো শাখা হলেও একক পবিত্র 

আদি মন্ডলির মধ্যে মত পাথর্ক্য : আজ আমরা মন্ডলিতে যে শত পার্থক্য দেখতেছি তা যে কিছু দিন আগে শুরু হয়েছে তা নয় বরং আদি মন্ডলি বা প্রেরিতদেও মন্ডলিতে ছিল যা আজ  বিদ্যামন তাই সাধু পৌল বলেছেন“ ভাইয়েরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের হয়ে আমি তোমাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি যেন,তোমরা সকলে এক হও।তোমাদের মধ্যে কোন দলাদলি না থাকুক ।বরং তোমরা একমন  এক হও ।আমার ভাইয়েরা তোমাদের সমন্ধে ক্লোয়ীর বাড়ীর লোকদের কাছে এই খবর পেলাম যে,তোমাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাধ রয়েছে ।আমি এক কথা বলতে চাই যে ,তোমাদের মধ্যে কেউ বলে “ আমি পৌলের দলের লোক,কেউ বলে আপল্লোর দলের,কেউ বলে আমি পিতরের দলের;আবার কেউ বলে আমি আমি খ্রীষ্টের দলের  কিন্তু খ্রীষ্টকে কি ভাগ করা হয়েছেপৌলকে কি তোমাদের জন্য ক্রুশে দেওয়া হয়েছিলতোমরা কি পৌলের নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছ?আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে,ক্রীষ্প আর গাইয় ছাড়া তোমাদর আর কাউকে বাপ্তিস্ম দেই নাই,যাতে কেউ বলতে না পাওে যে ,তোমরা আমার নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছ। অবশ্য স্তিফানের পরিবারের লোকদের আমি বাপ্তিস্ম দিয়েছি তাছাড়া আর কাউকে আমি বাপ্তিস্ম দিয়েছি বলে আমার মনে পড়ে না।খ্রীষ্ট আমাকে বাপ্তিস্ম দিতে পাঠানি বরং সুসমাচারপ্রচার করার জন্য পাঠিয়েছেন ( ১ম করিন্থিয় :১০-১৭)

মন্ডলিতে ভেদাভেদের কারণ : “আমি তোমাদের দিলে আল্লাহর দেওয়া এক গভীর জ্বালায় জ্বলছি ,কারণ আমি মাত্র একজন বরের সংগে অথাৎ মসীহের সংগে তোমাদেও বিয়ের সমন্ধ পাকা কওে রেখেখি,যেন সতী কনে হিসাবে তাঁর কাছেই তোমাদেও তুলে দিতে পারি ।কিন্তু ভয় হচ্ছে যে,সেই সাপ তার দুষ্ট বুদ্ধি খাটিয়ে যেমন বিবি হাওয়াকে ভুলিয়েছিলেন সেভাবে মসীহের প্রতি খাঁটি  আন্তরিক ভয় থেকে কেউ হয়তো তোমাদের ভৃলে দিয়ে যাবে ।যে মসীহের কথা আমরা তবলিক করছি,কেউ যেন তাঁকে ছাড়া অন্য কোন ঈসার কথা তোমাদের কাছে তবলিক করে,কিংবা যে পাক-রুহুকে তোমরা পেয়েছ তাঁকে ছাড়া আলাদা কোন রুহুকে তোমরা যখন পাও কিংবা যে সুসংবাদ তোমরা গ্রহণ করেছ,তা থেকে তোমরা কোন আলাদা সুসংবাদ পাও তখন তো দেখছি তোমরা খুশি হয়ে তা মেনে নাও  ( ২য় করিন্থিয় ১১-)
কেন মন্ডলিতে এত ভেদাভেদ : কোন কিছু গোপন বা বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা বাইবেলের কাজ নয়বরং সব গোপন সত্য প্রকাশ  খ্রীষ্ট মন্ডলিকে একত্রিত করে রাখা বাইবেলের কাজ  আজ প্রায় ২০০০ হাজার ভাষায় বাইবেল অনুদিত হয়েছে ,তার পরেরও বিশ^াস যোর্গ্যতায়  নির্ভরতায় বাইবেল অন্যন্যা ( বিস্তারিত জানতে বাইবেলের বাণী আল্লাহর প্রকৃত বাণী প্রবন্ধটি দেখুন)
বাইবেলের সঠিক অর্থ বুঝতে হলে ,খোলা মন নিয়ে বাইবেলের কাছে আসতে হবে ।পড়তে হবে ,বুঝতে হবে বাইবেলের নিগুড় অর্থ  কিছু কিছু ভন্ড ধার্মিক আছে যারা নিজেদের মত করে বাইবেলের পদ আবিস্কার করে মন গড়া ব্যাখ্য দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে ।নিজের ক্ষুদ্র পরিধিতে আবিস্কার করে  নিজকে ভাবে ঈশ^রকে চেয়ে মহান জ্ঞানী  নিজের এই মহা জ্ঞান দিয়ে্ন বোঝানোর চেষ্টা করে  কিন্তু ঈশ্বরকে যুগ যুগ ধরে তার বাক্য দিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আসছে  যখন মানুষ এই বাক্য থেকে দূরে সরে যায় তখন মানুষ ভ্রান্ত পথে পা বাড়ায়  ধরুন যদি কোন ডাক্টার /পাইলট অপারেশন কিংবা বিমান পরিচালনার সময় সঠিক নীতিমাল না পালন করেতাহলে কি হবে ?? বিমান চালানো /সঠিক ভাবে অপারেশন করতে পারবে /সফল হবে ???
প্রাচীন কালে মানুষ মানুষের প্রতি আস্থা ছিল , কেউ কিছু বললে/ভুল ধরিয়ে দিলে নিজেদের সংশোধন করে নিত  কিন্তু বর্তমান চিত্র পুরো ভিন্ন  ঈশ্বর পবিত্র তাই তার পক্ষে পাপ কিংবা অন্যায়ের সঙ্গে অপোষ করতে পারেন না  “ হারোণের ছেলে নাদব  অবীহূ তাদেও আগুনের পাত্রে কওে নিয়েতার উপর ধূপ দিল  তারা সদাপ্রভুর নিদের্শেও বাইরে ,অন্য আগুনে সদা প্রভুর উদ্দেশে ধূপ উৎসর্গ করল। এর দরুণ সদা প্রভুর কাছ থেকে আগুন বের হয়ে এসে,তাদেও পুড়িয়ে দিল,আর তারা সদা প্রভুর সামনে মারা গেল ।তখন মশী হারোণকে বললেন,“সদাপ্রভু বলেছেন,যারা আমার কাছে আসে তারা যেন আমাকে পবিত্র বলে মান্য করে। লোকদেও চেখে তারা যেন আমার সম্মান তুলে ধরে” (লেবীয় পুস্তক ১০ঃ১-)অনেকে হয়তবা বলেন যে লক্ষ্য যদি সঠিক হয় তবে ,তবে একটু ভিন্ন পথে পরিচালিত হয়ে লক্ষ্য পৌচ্ছিলেও কোন দোষের কিছু নেই ।সে পাপ নাকী ক্ষমা যোগ্য ।কিন্তু বাইবেল আমাদের এই শিক্ষা দেয় মিথ্যা তো মিথ্যা মিথ্যা কখনই সত্যও উপর প্রতিষ্টিত হতে পাওে না  মিথ্যার উপর যা প্রতিষ্টিত হয় তা বেশি দিন টিকতে পারে না  আমরা অন্যায়ের মধ্যে দিয়ে কখনই ঈশ^রকে গৌরবানিত করতে পারি না  ঈশ^রের বাক্য সত্য,নির্ভরযোগ্য তাই আমাদেও উপুর তার উপর নির্ভও করা 
মন্ডলিতে ভেদাভেদের ইতিহাস :
ক্যাথলিক  প্রাচ্যেও অর্থোডক্স মন্ডলি বিরোধীতাঃ মন্ডলির ইতিহাসে ১০৫৪ সালটি কলঙ্কিত দিন এই সালে একক মন্ডলি বিভাজিত হয়  প্রাচ্যের মন্ডলির কেন্দ্র ছিল কন্সট্যন্টিনোপন  তার প্রধান মাইকেল চেরুলারিউস আর অন্যদিকে প্রাশ্চাত্য মন্ডলির প্রধান ছিলেন পোপলিও ৯যারা কেন্দ্র রোমে  ঘটনার সুত্র ১০৫৪ সালের ১৬ জুলাই ,যখন পোপ লিও  এর প্রতিনিধি হিসাবে কার্ডিনাল হাম্বারট প্রাচ্যমন্ডলির এক উপাসনা চলাকালে প্রাচ্যমন্ডলির প্রধানকে পোপের দেয়া বহিস্কারাদেশ র্গীজার বেদীর উপওে রাখে  সঙ্গে সঙ্গে প্রাচ্যমন্ডলির পোপের প্রধিনিধিকে বহিস্কার করেন। উভয় পক্ষের পাল্টা-পাল্টি বহিস্কার করার ফলে তাদেও ভিতকার সর্ম্পকে একেবাওে ভেঙ্গে পড়ে  ১৯৬৫ সাল পয়ন্ত তা কায়কর ছিল  ১৯৬৪ সালে এক ঐতিহাসিক মিটিং তৎকালিন পোপ পল  পাট্রিয়াক(প্রধানআথেনাগোরাস জেরুশালেমে বসে তাদের এতদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করেন এবং উভয়পক্ষে বহিস্কার প্রতাহার করেন 
 রোমে সাধু পিতরের ক্যাথিড্রাল খুবেই ব্যয় বহুল হওয়ার কারণে ,অর্থিক সংকট থেকে উদ্ধারের জন্য পোপ টাকার বিনিময়ে কিছু বিশপকে ক্ষমতা প্রদান করেন  এসব বিশপ তাদের টাকা তুলে নেওয়ার জন্য  টাকার বিনিময়ে স্বর্গেও টিকিট বিক্রি করতে শুরু করে  কোন ব্যাক্তি অধ্যাতিক পরির্বতন না হলেও তিনি টাকা বিনিময়ে এই নির্শ্চয়তা নিতে পারত  এমনকি মৃত্যা ব্যাক্তির জন্যও এই টিকিট কেনা যেত ।সে সময় একটা কথা শোনা যেত  কোন ব্যাক্তি যদি যিশুর মায়ের সঙ্গে ব্যাভিচার কওর এসে স্বর্গেও টিকিট গ্রহণ করে তাহলে তার স্বর্গে যাওয়া কেউ রক্ষা করতে পারবে না 

লুত্থারে ধর্মীয় আন্দোলন: একদিন লুত্থার রোমীয়দের প্রতি প্রেতিত পৌলের পএ ;২৮ আয়াতে পাঠ করেন ”কেননা আমাদের মীমংসা এই যেব্যবস্থার কার্য ব্যাতিরেকে বিশ্বাস দ্বারাই মানুষকে ধার্মিক বলে গণিত করা হয় ” এখান থেকে তার মানসীক যন্ত্রনার একটি উত্তর খুজেঁ পান  কেননা মানুষের নিজের ক্ষমতায় বা যোগ্যতায় নয় বরং প্রভুর আর্শিবাদে মানুষকে ধার্মিক বলে গণ্য করা হয় ,এটি কাজের দ্বরা নয় বরং খোদার ভালোবাসার ফল  এর ফলে তিনি মান্ডলিতে যাজকদেও মধ্যস্ততা অস্বীকার করেন  ১৫১১ সনে তিনি সংঘের কাজে রোমে যান ।সেখানে গিয়ে তিনি সামাজিক দুর্নীতি  পাপাচার দেকে তিনি মর্মাহত হন এবং এগুলোর বিরুদ্ধ তিনি আন্দেলন করেন  ১৫১৭ সালে তিনি তার বিখ্যাত ৯৫ দীলল বি থিসিস লিখে উইটেনবার্গ র্গীজায় টাঙ্গিয়ে দেন 

লুথারে সম্মৃখ সমস্যা : লুত্থার প্রথম চিটিতে বলেন ,অর্থহীন আইনকানুন সংস্কারের কথা দ্বিতীয় চিটিতে  টি সাক্রামেন্ট বাইবেল ভিত্তি নয় বরং  টি পালনে জোর দেন  কেননা বাইবেল ভিত্তি  দুই টি বাপ্তিস্ম  প্রভুর ভোজ  তৃতীয় চিটিতে তিনি মন্ডলির এক আইন সব জায়গায় পালনীয় অবশ্যিক নয়  এরেই ধারাবাহিকতায় ১৫২১ খ্রী  রোমান সম্্রাট পঞ্চম চার্লসের সামনে লত্থারকে ডাকা হয়  লুত্থার প্রস্তুত হতে লাগলেন াকেটা বড় ধরনের বির্তকে জন্য  কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি বুঝতে পারলেন  তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে  লত্থারের এই আন্দোলন জার্মানীদেও জাতীয়তা বোধ জাগিয়ে তোলে  দু ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়  এর মধ্যে কিছু কৃষক সামন্তরাজদেও বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁলেন ভূ সম্পিত্তির আশায় পরিস্তি অবনতি হলে লুত্থার কৃষকদের সামলাতে ব্যর্থ হলে তিনি সমন্তরাজদের আদেশ দেন বিদ্রেহীদেও ধওে জবাই করার জন্য এম, ১৫২৪-১৫২৫ এক ভয়াভয় যুদ্ধ হয় 

চার্চ বিভক্ত : মার্টিন লুত্থার এমন অভিমত প্রকাশ করেন , যেন একটি মহাসভা আহৃবান করা হয়  কিন্তু অন্যদিকে  কথা বলেন যে , মহাসভা ভুল  করতে পারতেন  লুথার দৃষ্টি উত্তরোত্তর কড়া হয়ে দাঁড়ান  তিনি ১৫১৯ খ্রী  বলেন ’  বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই যে , পোপ হলেন খ্রীষ্ট শত্রু [ ] ১৫২০ খ্রীঃ জুন মাসে পোপেে অনুশাসনপত্র লুথারের ৪১ দফা ভ্রান্তমত বলে ঘোষণা কওে এবং নতি স্বীকার করার জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়  ১৯২০ খ্রীঃ ১০৯ ডিসেম¦ লুথার অনুষ্টানিক ভাবে পোপের অনুশান পত্রটি পুড়িয়ে ফেলেন  এর ফলে ১৫২১ সালে জানু মাসে তাকে মন্ডলি চ্যুত করেন

এ্যাংলিকান মন্ডলি সৃষ্টিঃ
রাজা অষ্টম জর্জ ক্যাথলিক মন্ডলি ৭টি সাক্রামেন্টকে প্রথমে সমর্থন করে পত্র লেখেন ,কিন্তু পরে রানী ক্যাথিরীনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ  অ্যানবোলেন নামে এক মহিলার সাথে বিয়েতে পোপের অসম্মতির কারণে রাজা অস্টম জর্জ ১৫৩৩ সালে ক্যাথলিক মন্ডলি থেকে বাহির হয়ে এসে চার্চ অব ইংল্যন্ড সৃষ্টি করে নিজেকে প্রধান হিসাবে ঘোষণা করেন এবং ক্যাথলিক সব আশ্রম বন্ধ করে দেন ,
প্রতিটি আন্দোলন সৃস্টিও ফলে সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন চার্চ ভেংগে চুরমাচার হয়েছে খ্রীষ্ট মন্ডলি ,
বিভিন্ন আন্দোলন সমূহঃ
ক্যালভিন আন্দোলন
ব্যাপ্টিশ আন্দোলন
মিশনারী আন্দোলন
লুথারেন আন্দোলন
ত্রিত্ববাদ নিয়ে বিরোধ
ডার্চ রিফমর্ড আন্দোলন
) অক্সফোর্ড আন্দোলন

বিভিন্ন চার্চ সৃষ্টির তারিখঃ
1,The church of Christ..33 AD
2.Roman catholic church -311 AD
3.orthodox church …1054 AD
4.Lutheran church ..1517 AD
5.prosbyterian church ---1560 AD
6.Baptish church ….1606 AD
7.Mormons church…1830 AD
8.jehovah withness church —1879 AD
9.Adventist church …1831 AD
10.pentecostals church ..1900 AD

কেন খ্রীষ্ট মন্ডলি এক হওয়া উচিত : খ্রীষ্টরে মন্ডলি সব এক হও  যে অনন্য মানুষটা খ্রীষ্ট র্ধমরে অন্তনর্হিতি সত্যকে এমেরিকার মানুষরে কাছে তুলে ধরছনে ,তিনি অমরেকিার বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট অব্রাহাম লিংকন,তিনি গৃহ যুদ্ধকালীন সময়  র্মাচ ১৮৬৫ সালে বলছেনে , আজ যে দুই পক্ষ এই ভ্রাতৃঘাতী গৃহযুদ্ধরে সাথে সম্প্ক্ত তারা দু -দলইে একই বাইবলে পড়ে ,একই ঈশ্বররে কাছে র্প্রাথনা করনে ,একই ঈশ্বররে কাছে শক্তি চান অন্যকে মরেে ফলেবার জন্য  আজ আমরা একুদশ শতাব্দীতে একই অবস্তা দেখি,এক র্চাচ অন্য র্চাচকে র্ঘূণা করে  এক খ্রীষ্টান অন্য খ্রীষ্টানকে র্ঘূণা করে  তাদরেকে ঈশ্বররে সন্তান হিসাবে অস্বীকার করে আমরা এটা লে যাই যে ,আমরা একই বৃক্ষরে শাখা-প্রশাখা ,আমাদরে কোন ক্ষমতা নেই যে , বৃক্ষরে কোন শাখাপ্রশাখাকে অস্বীকার করা ।আমাদরে পিতা ঈশ্বর একজন ,যীশু আমাদরে জন্য একবারে মরছেনে -পুনরুত্থতি হয়ছেনে ,আমাদের বাইবলে একটি ।তাই আমাদরে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হওয়া উচতি  আমাদরে মধ্যে র্চাচ ভেদাভেদ না হওয়া উচিত  পবিত্র বাইবেলে প্রেরিত  অধ্যায় ,১ম তীমথিয় ;১২ আয়াত আমাদরে এক হতে বলে  পোপ জন ১৩ ,১৯৬২ সালরে ১১ অক্টোবর হঠাৎ করে র্ধম সভার আয়োজন করে  যা পৃথবিীর সমস্ত খ্রীষ্টান অত্যান্ত অগ্রহরে সাথে গ্রহণ করনে ,তিনি উদ্বোধনী বক্তব্যে যোহন ১৭ অধ্যায় ১১ পদ পাঠ করনে যা,“ আমি আর এই জগতে থাকছি নাকি তারা এই জগতে থাকছআমি
তোমারই কাছে যাচ্ছ পবিত্র আত্না য়ে নাম তুমি আমায় দিয়েছে তোমার সেই নামরে শক্তিতে তুমি তাদরে রক্ষা কর। আমরা যেমন একতেমনি তারা যনে সকলে এক হতে পারে [যোহন;১৭;১১আমাদরে প্রভু খ্রীষ্টও আমাদরে এক থাকতে বলছেনে ,আদি মন্ডততিে এক ছিল ,যা আমরা প্রেরিত পুস্তকে দেখেছি  উক্ত র্ধম সভায় মহামান্য পোপ যে বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন
)ক্যাথলিক নিজেদের মধ্যে একতা
)অন্য খ্রীষ্টনেদের সঙ্গে একতা
)অখ্রীষ্টানদের সঙ্গে একতা 

খ্রীষ্ট মন্ডলির অগাম ভবিষ্যত  আজ খ্রীষ্টান যুবক-যুবতীরা চার্চ বিমৃখ ,লোকেরা চার্চে আসতে চায় না ,চার্চ উন্নয়ন মূলক কোন কাজে অংশ গ্রহণ করে না ।চার্চের ভিতর  বাইরে দ্বন্ধ ।১৯১০ সালে বিশ্বব্যাপি খ্রীষ্টান ছিল ৩৫আজ সেটা দাড়িঁয়েছে ৩২ খ্রীষ্ট ধর্মেও মৃলকেন্দ্র পশ্চিমা থেকে দূরে সরে আসছে  ১৯১০ সলে ৬৬খ্রীষ্ট খ্রীষ্টানের বসবাস ইউরোপে ছিল কিন্তু সেটা এখন ২২ %  অতিমাত্রায় সেকুলারইজেশন , এর বিপরীত ছবি আফ্রিকাতে ,১৯১০ সালে ছিল সেখান থেকে দাড়িঁয়েছে ২৪ ১৯০০ সালে পৃথিবীর ৮০এংলিক্যান থাকতো ব্রিটেন আজ ৩৩ আফ্রিকার ৫৫খ্রীষ্টান আজ এংলিক্যান ।১৯০০ সালে আফ্রিকার ক্যাথলিক ছিল আজ তা ১৬ আফ্রিকার যে সব দেশে আজ সু শাসন  অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছে সেখানে খ্রীষ্টধর্মের প্রসার হচ্ছে  ১৯১০ সালে সারা পৃথিবীতে ক্যাথলিক ২৪থাকতো দক্ষিণ এমেরিকায় আজ সেটা ৩৯ ১৯১০ সালে এশিয়াতে .আজ সেটা দাড়িঁয়ে ১৩হয়েছে ।এশিয়ার সবচেয়ে বেশি খ্রীষ্টান হচ্ছে চীনে (  কোটি ) 
তাই এমন অবস্থায় বিশ্ব তথা আমাদের দেশেও খ্রীষ্টানদের এক হওয়া উচিত  এক হওয়া উচিত চার্চের সঙ্গে চার্চের  ঈসায়ী ভাইবোনদেরও সহিত 

তথ্যসুত্র )এই চিহ্ন তুমি জয়লাভ করিবে -হেমেন হালদার ,বিশপ কুষ্টিয়া ডায়োসিস্
উপমহাদেশে খ্রীষ্ট ধর্মেও ইতিহাস -জেমস তেজস রায়,শিক্ষক ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়
বাইবেল একটি খ্রীষ্ট মন্ডলি এত কেন.-লেখক,ডেনীস গিলেস,ভাষান্তর,অনিরুদ্ধ দাস দীপক
ইতিহাস - জেমস রয়

 আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.

Comments

Popular posts from this blog

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া

Popular Posts

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া