মেষপালকদের কাছে বড়দিনের বিশ্ববাণী

ভূমিকা : ঈশ্বর পুত্র প্রভু যীশুর জন্মদিন বলেই বড়দিন।
তাই সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা । শুভ বড়দিন।।
এই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ
হলো স্বয়ং ঈশ্বরের বাণী শ্রবণ করা ও সেই বাণী অনুযায়ী জীবন যাপন করার সচেষ্ট হওয়া ।
আজকে আমরা প্রভু যীশুর জন্মের ঠিক পরে স্বর্গদূতের মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ অমূল্য বাণী যা আজ থেকে দুই হাজার বছরের অধিক সময় পূর্বে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছ থেকে তৎকালীন সুবিধাবঞ্চিত ও নিষ্পেষিত লোকসাধারণ মেষপালকদের কাছে প্রচারিত হয়েছিল ।

ঈশ্বর যখন সামান্য মেষপালকদের কাছে মহানন্দের সংবাদ প্রেরণ করার জন্য বিশেষ দায়িত্ব নিয়েছেন তখন এর মধ্য দিয়ে সমাজের দৃষ্টিতে নিষ্পেষিত মানুষের প্রতি তাঁর সর্বোচ্চ ভালবাসা প্রকাশিত হয়েছে ।
মেষপালকেরা যখন প্রভু যীশুর জন্মের অঞ্চলে মাঠে চৌকি দিতে ছিল তখন একজন স্বর্গদূতের আগমনে প্রভুর প্রতাপে ও আলোতে তাদের চারিদিকে আলোকিত হয় । ফলশ্রুতিতে মেষপালকেরা অত্যন্ত ভীত হোন । কিন্তু স্বর্গদূত তাদের অভয় দিয়ে একজন আশ্চর্য শিশু সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুসংবাদ দান করেন।
কে এই আশ্চর্য শিশু?
কে এই শিশু যার জন্মে বিশ্বের Calender প্রতিষ্ঠিত? কে এই শিশু যে শিশু বিশ্বের সমস্ত শিশু থেকে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ? কে এই শিশু সমস্ত বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য বিস্তার করেছে ? কে এই শিশু যিনি মানুষের অনন্তজীবন নির্ধারণ করেন ? কে এই শিশু?
এক সাধারণ রাতে ঈশ্বরের একজন স্বর্গদূত মেষপালকদের কাছে সেই আশ্চর্য শিশু যীশু সম্পর্কে আশ্চর্য সত্য জানিয়েছেন আসুন তা আমরা পাঠ করে জেনে নেই পবিত্র বাইবেলের লূক লিখিত সুসমাচারের ২:১১-১৪ পদ থেকে
"তখন দূত তাহাদিগকে কহিলেন, ভয় করিও না, কেননা দেখ, আমি তোমাদিগকে মহানন্দের সুসমাচার জানাইতেছি; সেই আনন্দ সমুদয় লোকেরই হইবে;
#কারণ অদ্য দায়ূদের নগরে তোমাদের জন্য ত্রাণকর্তা জন্মিয়াছেন; তিনি খ্রীষ্ট প্রভু।আর তোমাদের জন্য ইহাই চিহ্ন, তোমরা দেখিতে পাইবে, একটি শিশু কাপড়ে জড়ান ও যাবপাত্রে শোওয়ান রহিয়াছে।পরে হঠাৎ স্বর্গীয় বাহিনীর এক বৃহৎ দল ঐ দূতের সঙ্গী হইয়া ঈশ্বরের স্তব গান করিতে করিতে কহিতে লাগিলেন,
ঊর্ধ্বলোকে ঈশ্বরের মহিমা, পৃথিবীতে [তাঁহার] প্রীতিপাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি।"
স্বর্গদূত মেষপালকদের #তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য সেই শিশু সম্পর্কে জানিয়েছেন যা প্রতিটি মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
স্বর্গদূত বলেছিলেন:
#প্রথম সত্য : সেই শিশু ত্রাণকর্তা বা উদ্ধারকর্তা
#দ্বিতীয় সত্য: ত্রাণকর্তার উপাধি খ্রীষ্ট
#তৃতীয় সত্য: সেই ত্রাণকর্তা প্রভু
আসুন আমরা সংক্ষেপে ঈশ্বর পুত্র যীশু সম্পর্কে তিনটি সত্য সংক্ষেপে আলোচনা করি :
#প্রথমতঃ স্বর্গদূত প্রথমে ত্রাণকর্তার বা মুক্তিদাতার কথা বলেছেন ।
নির্দিষ্ট সমস্যা আছে বলেই ত্রাণকর্তার প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষই বিভিন্ন সমস্যা আছে : যেমনঃ পারিবারিক, শারীরিক অসুস্থতা, অর্থনৈতিক , দারিদ্র্যতা , ঋণের বা loan , পরাধীনতা, বদঅভ্যাসের দাসত্ব, মন্দস্বভাবের বা অভিশাষের দাসত্বের বা একই ধরনের সমস্যাসহ হাজারো সমস্যা যা থেকে মানুষ মুক্তি চায় । কিন্তু প্রাথমিকভাবে খ্রীষ্ট এ সকল সমস্যা থেকে ত্রাণ করার জন্য জন্ম নেননি। তিনি জন্ম নিয়েছেন সমস্ত সমস্যার মূল সমস্যা পাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য । আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে ,পাপের যে ফলাফল তা ভয়াবহ যা সবারই জীবনে আছে । এ সমস্যা থেকে কেউ মুক্ত নন । আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকেন না কেন হয় আমেরিকা , অস্ট্রেলিয়া বা এশিয়া বা অন্য স্হানে এ সমস্যা আছে। আপনি হয়ত নিজেকে অন্য পাপী মানুষের সাথে তুলনা করে আত্মধার্মিকতায় তৃপ্ত থাকতে পারেন । মনে করতে পারেন অন্য মানুষের মত মন্দ অভিলাষ দ্বারা আক্রান্ত না , হয়ত আপনার নিজেকে দমন করার শক্তি আছে, ভাল নৈতিক জীবন যাপন করেন তারপরও পবিত্র বাইবেল আমাদের জানায় মানুষের পাপের সমস্যা আছে। কারণ মানুষের ধার্মিকতার কাজের মধ্যে পাপ , মন্দতা ও স্বার্থপরতা জড়িত। এ জন্য নিশ্চিত আপনি ঈশ্বরের আইন ভেংগেছেন এবং এর জন্য আপনি নরকের দিকেই যাচ্ছেন । পাপের কারণে ঈশ্বরের সাথে বিচ্ছেদ ঘটায়। নরকের যোগ্য করে তুলে। প্রকৃতপক্ষে সবাই একই পথে হাটে । এর জন্য এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া জরুরী প্রয়োজন । খ্রীষ্টের আগমন মানুষকে নরক থেকে বাঁচার সুসমাচার জানায়, ঈশ্বরের সাথে পুনর্মিলনের , শান্তির ও মানুষের পরিবর্তনের কথা বলে।
তাই ইতিহাসের নির্দিষ্ট ক্ষণে ঈশ্বর তাঁর একমাত্র পুত্র প্রভু যীশুকে জগতে পাঠিয়েছেন যেন পাপী মানুষ বিশ্বের বড় সমস্যা পাপ থেকে মুক্তি পায়। সেই মুক্তি এসেছে একজন মুক্তিদাতা দ্বারা যার জন্মের সংবাদ একজন স্বর্গদূত জানিয়েছেন । মানুষের এই ভয়াবহ সমস্যার মুক্তির জন্য আরেকজন পরামর্শদাতার বা সংস্কারকের বা কোন কমিটির প্রয়োজন নাই কিন্তু একজন ত্রাণকর্তার বা মুক্তিদাতার প্রয়োজন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে মুক্তিদাতা হতে পারে ?
মুক্তিদাতাকে ঈশ্বর হতে হবে। যেহেতু প্রভু যীশু মুক্তিদাতা তাই তিনি ঈশ্বর । ঈশ্বরের প্রকৃতি বা স্বভাব হচ্ছে মুক্তি দান করা। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ঈশ্বর মিসরে ফৌরণের দাসত্ব ও বন্দিত্ব থেকে তাঁর প্রজাদের ইস্রায়েল জাতিকে মুক্ত করে প্রতিশ্রুত দেশ কনান দেশে নিয়ে এসেছেন। প্রভু যীশু তদ্রূপ তাঁর প্রজাদের পাপ থেকে মুক্তি দিয়ে স্বর্গীয় পরম দেশ নতুন আকাশ ও পৃথিবীতে নিয়ে যান। তাই আজকে সেই মুক্তি দাতাকে প্রয়োজন যিনি তাঁর পবিত্র রক্তে ধৌত করে নতুন সৃষ্টি করে তাঁর উপযুক্ত প্রজা করেন।
দ্বিতীয় যে সত্যের কথা স্বর্গ দূত সেই শিশু সম্পর্কে বলেছেন তা হল খ্রীষ্ট।
খ্রীষ্ট শব্দের অর্থ মসীহ বা অভিষিক্ত জন। পুরাতন নিয়মে বিশেষ বিশেষ কাজ করার জন্য অভিষেকের প্রয়োজন ছিল । যেমন : রাজা , যাজক ও ভাববাদী পদে কাজ করার জন্য।
খ্রীষ্ট প্রধানত তিনটি কাজের জন্য পৃথকীকৃত ও অভিষিক্ত : আর তা হলো রাজা , যাজক ও ভাববাদী হিসাবে কাজ করার জন্য মনোনীত । আসুন এই তিনটি বিষয় সংক্ষেপে আলোচনা করি ।
প্রথমে প্রভু যীশু রাজা হিসাবে অভিষিক্ত । তিনি পিতা ঈশ্বরের নিযুক্ত অনন্তকালীন রাজা যিনি রাজা দায়ুদের মধ্য দিয়ে আগমন করেছেন। প্রভু যীশুর জন্মের পূর্বেই কুমারী মরিয়মের কাছে ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছিল যে প্রভু যীশু হবেন অনন্তকালীন রাজা - যে রাজ্যের ও রাজত্বের শেষ নেই। তিনি রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু। প্রভু যীশু তিনি যে রাজা তা দেশাধ্যক্ষ পীলাতের সাক্ষাতে বলেছিলেন এভাবে ,
"তখন পীলাত তাঁহাকে বলিলেন, তবে তুমি কি রাজা? যীশু উত্তর করিলেন, তুমিই বলিতেছ যে আমি রাজা। আমি এই জন্যই জন্মগ্রহণ করিয়াছি ও এই জন্য জগতে আসিয়াছি, যেন সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিই। যে কেহ সত্যের, সে আমার রব শুনে।" (যোহন ১৮:৩৭)।প্রকৃত পক্ষে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জীবনে রাজা হিসাবে রাজত্ব করেন । তাঁর রাজত্বে প্রজা হওয়া সবচেয়ে আশীর্বাদের বিষয় । তাঁর রাজত্বে প্রজা হওয়ার জন্য সুস্বাগতম জানাই।
দ্বিতীয়তঃ প্রভু যীশু শুধু রাজা হিসাবেই অভিষিক্ত না তিনি মহাযাজক হিসাবে অভিষিক্ত। ঈশ্বর ও মানুষের মাঝখানে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ঈশ্বর-মানব যীশু ।তিনিই শেষ মহাযাজক, তিনি গৌরবান্বিত মহাযাজক, তিনিই সেই মহাযাজক যিনি পাপী মানুষের পক্ষে পিতা ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করেন। তিনিই সেই মহাযাজক যিনি পবিত্র ঈশ্বরের কাছে পাপীকে নিয়ে যেতে পারেন, তিনিই সেই মহাযাজক যিনি তাঁর প্রজাদের ঈশ্বরের সান্নিধ্যে নিয়ে যায়। তিনিই সেই মহাযাজক যিনি তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মন্দিরের পর্দা উন্মুক্ত করেছেন যেন তাঁর প্রজারা ঈশ্বরের উপস্থিতিতে আসতে পারে ও তাঁর আরাধনা করতে পারে। যে বিচ্ছেদের দেওয়াল ছিল তা খ্রীষ্ট তাঁর পবিত্র রক্ত দ্বারা ভেংগে দিয়েছেন যেন পুনরায় পিতা ঈশ্বরের সাথে পুনর্মিলন করতে পারি। তিনি আপনার কষ্ট বুজেন ও পাপ জানেন সেই জন্য তিনি আমাদের মহাযাজক। কেননা প্রভুর বাক্য এ কথা বলে,
"অতএব সর্ববিষয়ে আপন ভ্রাতৃগণের তুল্য হওয়া তাঁহার উচিত ছিল, যেন তিনি প্রজাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিবার নিমিত্ত ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কার্যে দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হন।"
(ইব্রীয় ২:১৭)
তাই আসুন সেই মহাযাজকের কাছে আশ্রয় নেই যিনি আপনার কষ্ট বুঝেন,পাপ জানেন ও ক্ষমা করতে প্রস্তুত ।
তৃতীয়তঃ তিনি সেই অভিষিক্ত মহা ভাববাদী । পবিত্র বাইবেলে ভাববাদীরা ঈশ্বরের মুখপাত্র । প্রভু যীশুর মত কেউ ঈশ্বরের মুখপাত্র ছিলেন না। তিনিই বিশ্বে মানব জাতির জন্য ঈশ্বরের শেষবাণী দিয়েছেন । এ প্রসংগে পবিত্র বাইবেলের ইব্রীয় ১:১ পদে বলে,
"ঈশ্বর পূর্বকালে বহুভাগে ও বহুরূপে ভাববাদিগণে পিতৃলোকদিগকে কথা বলিয়া, এই শেষ কালে পুত্রেই আমাদিগকে বলিয়াছেন।"
প্রভু যীশুই যত ভাববাদী আছে সব ভাববাদীদের ভাববাদী । প্রভু যীশুর মুখাশ্রিত বাক্যই ঈশ্বরের সত্য বাক্য । ভাববাদীদের প্রধান কাজ পাপী মানুষ যেন ঈশ্বরের দিকে ফিরে আসে। সেইজন্য ভাববাদীরা অনুতাপ ও বিশ্বাসের বাণী প্রচার করেন বিভিন্ন অলৌকিক কাজের মধ্য দিয়ে । খ্রীষ্ট ভাববাদী হিসাবে সমস্ত প্রমাণ দিয়েছেন । সাবধানবাণী হচ্ছে,প্রভুযীশুর বাণী যারা অগ্রাহ্য করবে তারা উচ্ছিন্ন হবে। প্রভুর বাক্য এ সম্পর্কে বলে,
"আর এইরূপ হইবে, যে কোন প্রাণী সেই ভাববাদীর কথা না শুনিবে, সে প্রজা লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।”( প্রেরিত ৩:২৩)।
প্রভু যীশুর বাণী ও তাঁর শিক্ষা আজ নতুন নিয়মে লিপিবদ্ধ আছে যা আপনি পড়ে, বিশ্বাস করে, তাঁর দিকে ফিরে এসে আগত ক্রোধ থেকে বাঁচতে পারেন।
সেই জন্য খ্রীষ্ট যীশু অভিষিক্ত রাজা, অভিষিক্ত মহাযাজক ও অভিষিক্ত মহাভাববাদী যা আমরা সংক্ষেপে আলোচনা করলাম।
তৃতীয়ত: এখন আমরা স্বর্গদূতের প্রকাশিত শেষ সত্য সেই ত্রাণকর্তা প্রভু হবেন। "প্রভু" শব্দটি স্বর্গদূত কোন মানবিক হুজুর বা মালিক বা কতৃপক্ষকে বুঝায়নি বরং খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্বকে বুঝিয়েছেন । "প্রভু" যীশুর স্বর্গীয় tittle বা উপাধি। যখন সেই শিশুকে প্রভু বলা হচ্ছে তখন যীশুকে ঈশ্বর বলা হচ্ছে । তাইত খ্রিষ্টধর্মের বিশ্বাসের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে যীশুই প্রভু। এই বিশ্বাস ছাড়া কেউ খ্রীষ্টান হতে পারে না । আজকে যারা খ্রীষ্ট যীশুকে স্বীকার তারা ধন্য। যারা এখনও স্বীকার তাদের একসময় স্বীকার করতে হবে যেন পিতা ঈশ্বর মহিমান্বিত হোন। কেননা প্রভুর বাক্য বলে,
এই কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে ( অর্থাৎ খ্রীষ্ট যীশুকে) অতিশয় উচ্চপদান্বিতও করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমুদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ;যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের ‘‘সমুদয় জানু পাতিত হয়,
এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।"
(ফিলিপীয় ২:৯-১১)।
আমরা এই সুসংবাদ কি ভাবে গ্রহণ করব ?
প্রথমতঃ মেষপালকেরা সেই সংবাদ শুনে বসে থাকেননি কিন্তু স্বর্গদূতের বাণী যাচাই করার জন্য তারা কিছু সময়ের জন্য সব কিছু ফেলে ত্রাণকর্তা খ্রীষ্টপ্রভুকে এক নজর দেখার জন্য প্রভু যীশুর জন্মস্হান বৈৎলেহেমে চলে গেলেন এবং স্বর্গদূতের বাণীর প্রদত্ত চিহ্ন অনুসারে সেই শিশুকে যাবপাত্রে শোওয়ান অবস্থায় দেখতে পেলেন। স্বর্গদূত যা বলেছে তাঁর সত্যতার প্রমাণ পেলেন । পবিত্র বাইবেল অনেক সাক্ষ্যীর সাক্ষ্যে পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় লিখিত । সেইদিন মেষপালকদের কাছে সত্য বাণী আমাদের কাছে লিখিত আকারে আছে যা আমাদের ত্রাণকর্তা প্রভু যীশুর মধ্য দিয়ে পরিত্রাণের কথা বা উদ্ধারের কথা বলে । তাই আজ এই বিশেষ সময়ে আমরা যেন ঈশ্বর পুত্র ত্রাণকর্তা খ্রীষ্ট প্রভুকে জেনে , বুঝে , বিশ্বাস করে গ্রহণ করি । তাঁকে আস্বাদন করে দেখি কেননা তিনি মংগলময়।
দ্বিতীয়তঃ ঈশ্বরের বাণীর সত্যতা জেনে মেষপালকেরা ঈশ্বরের প্রশংসা ও স্তবগান করেছিলেন । তারা ঈশ্বরের মহত্ত্বের প্রমাণ নিজ চোখে দেখেছিলেন । তারা যাবপাত্রে থাকা অবস্থায় শিশু যীশুর জন্য সমস্ত কিছুই ছেড়ে গেল ও ঈশ্বরের প্রশংসা ও ধন্যবাদ করেছিল । আজকে আমাদের কাছে শুধু যাবপাত্রের ঘটনা নয় কিন্তু আমাদের প্রভু যীশুর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের বিজয়ের সুসংবাদ আমাদের কাছে নানা সাক্ষীর দ্বারা প্রমাণিত সাক্ষ্য আছে যা আরও বেশি ঈশ্বরের প্রশংসা ও আরাধনা করতে সাহায্য করে।
উপসংহার :
শেষে বলব মেষপালকদের কাছে স্বর্গদূতের বাণী মানবজাতির জন্য একটি অসাধারণ বাণী যা পতিত মানুষকে ত্রাণকর্তার কথা বলে- যিনি খ্রীষ্টপ্রভু । তাঁর মধ্য দিয়েই যেমন সমস্ত বিষয়ের সৃষ্টি হয়েছে তদ্রূপ আমাদের পরিত্রাণ ও অনন্তজীবন রচিত হয়েছে । তাই আজকে মেষপালকদের মত স্বর্গীয় বাণীর সত্য জেনে ঈশ্বরের প্রশংসা ও ধন্যবাদে নতুন জীবন যেন সাজাই। আর তাতেই মেষপালকদের কাছে স্বর্গ দূতের বাণী মহিমান্বিত ও কার্যকারী হবে।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.

Comments

Popular posts from this blog

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া

Popular Posts

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া