প্রভু যীশু কি শুধু ইস্রায়েলের জন্য না কি সমস্ত জগতের জন্য?
"তোমরা পরজাতিগণের পথে যাইও না, এবং শমরীয়দের কোন নগরে প্রবেশ করিও না; বরং ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষগণের কাছে যাও।"
মথি ১০:৬
"তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষ ছাড়া আর কাহারও নিকটে আমি প্রেরিত হই নাই।"
মথি ১৫:২৪
🔴ভূমিকা : অনেকেই আছেন যারা মথি লিখিত সুসমাচারের উপরোক্ত পদগুলি উল্লেখ করে নিজেরাই আত্ম সন্তুষ্টির জন্য উপসংহার টানে যে যীশু শুধু ইস্রায়েল জাতির জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন । কিন্তু তারা যে পুস্তক থেকে পদ উল্লাসে মেতে ফেটে উল্লেখ করেন তারা যদি ঐ পুস্তক সম্পূর্ণ পড়ত তা হলে হয়ত এমন অসাধু ও প্রতারণামূলক পন্থায় পথ চলত না । তাই আজকে এই ক্ষুদ্র আলোচনায় দেখব প্রভু যীশু শুধু ইস্রায়েল জাতির জন্য নয় বরং সমস্ত বিশ্বের জন্য , এই শেষ কালের জন্য ঈশ্বর কতৃক মনোনীত ও মুদ্রাংকিত পরিত্রাণ ও অনন্ত জীবনের খ্রীষ্ট প্রভু যীশুই একমাত্র পথ।
🔶️পটভূমিকা : প্রভু যীশু তাঁর বারজন শিষ্যকে প্রচার কাজে পাঠানোর সময় নির্দেশনা দিয়েছেন,
"তোমরা পরজাতিগণের পথে যাইও না, এবং শমরীয়দের কোন নগরে প্রবেশ করিও না; বরং ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষগণের কাছে যাও।"
দ্বিতীয় পদের পটভূমিকা:
"তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষ ছাড়া আর কাহারও নিকটে আমি প্রেরিত হই নাই।"
মথি ১৫:২৪
যীশু একজন সুরফৈনীকী (অর্থাৎ ভূমধ্যসাগর তীর ঘেষে এলাকা সোর-সীদোন ) অঞ্চলের এক পরজাতীয় মহিলার ভূতগ্রস্ত মেয়েকে সুস্থ করেছিলেন । ( মথি ১৫ : ২২-২৫ তুলনীয় মার্ক ৭:২৪-৩৭)। ভূতগ্রস্ত মেয়ের মা যীশুকে অনুরোধ করেছিলেন যেন তিনি তার মেয়েকে সুস্থ করেন । মহিলার সাথে যীশুর
কথোপকথনের সময় ভূতগ্রস্ত মেয়ের মাকে যীশু এই উক্তি করেন ।
⚛সামগ্রিক ব্যাখ্যা:
প্রভু যীশুকে এই জগতে পাঠানোর পূর্বে ঈশ্বর বিশ্বাসীদের আদিপিতা অব্রাহামকে মেসোপটেমিয়া( উর - বর্তমান ইরাক) থেকে প্রায় খ্রীষ্ট পূর্ব ২০০০ অব্দে মনোনীত করেন ও আহ্বান করেন যেন তাঁকে সমস্ত জাতির জন্য আশীর্বাদের উৎস করতে পারেন । ( আদি ১২:১-৩)।সেই জন্য ঈশ্বর অব্রাহাম , ইসহাক ও যাকব অর্থাৎ ইস্রায়েল জাতির সাথে নিয়ম করেন । এই নিয়ম অনন্তকালীন নিয়ম । ঈশ্বর ক্রমান্বয়ে সেই নিয়ম ভাববাদী মোশি, রাজা দায়ূদ ও অন্যান্য ভাববাদী, রাজা ও যাজকদের মধ্য দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেন ।
(গালাতীয় ৪:৪)।
ঈশ্বর তাঁর এই অনন্ত কালীন নিয়ম বাস্তবায়নের জন্য তাঁর নির্দিষ্ট সময়ে ভাববানী পূর্ণতা ও তাঁর অনন্তকালীন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই খ্রীষ্ট প্রভুকে এই জগতে পাঠান,
"
✔কিন্তু কাল সম্পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন; তিনি স্ত্রীজাত, ব্যবস্থার অধীনে জাত হইলেন,"(গালাতীয় ৪:৪)।
তাছাড়া, খ্রীষ্টের জন্ম ইস্রায়েল জাতির যিহূদা বংশে যা তাঁর বংশতালিকা সাক্ষ্য দেয় ( মথি ১ :১-১৭ তুলনীয় লূক ৩:২৩-৩৮)
এখন আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে , খ্রীষ্টের মিসন মূলত দুই ভাগে বিভক্ত:
➡️প্রথমত : ইস্রায়েল জাতি: ⬇️
➡️দ্বিতীয়ত : পৃথিবীর সমস্ত জাতির জন্য ⬇️
➡️দ্বিতীয়ত : পৃথিবীর সমস্ত জাতির জন্য ⬇️
🔶️এখন সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক :
➡️প্রথমত , ঈশ্বর প্রথমে ইস্রায়েল জাতিকে আশীর্বাদের ব্যবস্থা করেছেন । এই জন্য ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে তৈরী করেছেন তাঁর মহান আদেশ , ব্যবস্থা, ধর্মীয় আইনকানুন ও ভবিষ্যত প্রত্যাশা দিয়ে যেন খ্রীষ্টের আগমনে পরজাতীয়রা আশীর্বাদ লাভ করেন । তাইত প্রেরিত পিতর বলেছিলেন ,
"তোমরা ভাববাদিগণের সন্তান, আর সেই নিয়মেরও সন্তান, যাহা ঈশ্বর তোমাদের পিতৃপুরুষদের সহিত স্থাপন করিয়াছিলেন, তিনি ত অব্রাহামকে বলিয়াছিলেন, ‘‘আর তোমার বংশে পৃথিবীস্থ সমস্ত পিতৃকুল আশীর্বাদ পাইবে।”
ঈশ্বর আপন দাসকে উৎপন্ন করিয়া প্রথমে তোমাদেরই নিকটে তাঁহাকে প্রেরণ করিলেন, যেন তিনি তোমাদের অধর্ম সকল হইতে তোমাদের প্রত্যেক জনকে ফিরাইয়া তদ্দ্বারা তোমাদিগকে আশীর্বাদ করেন।"
(প্রেরিত ৩:২৫-২৬)
শিষ্য পিতর পরিষ্কার করে বলেছেন ঈশ্বর যীশুকে প্রথমে ইস্রায়েল জাতির কাছে পাঠিয়েছেন । যীশু যখন কনানীয় মহিলার মেয়েকে সুস্থ করার পূর্বে সেই মহিলাকে বলেছিলেন প্রথমে সন্তানেরা(ইস্রায়েল জাতি) সন্তানেরা তৃপ্ত হোক । তিনি না করেননি পরজাতীয়রা তৃপ্ত হবে না( মার্ক ৭:২৭)।
➡️দ্বিতীয়ত : পৃথিবীর সমস্ত জাতির কাছে :
আমরা পূর্বে দেখেছি , ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী অব্রাহামের বংশের মধ্য দিয়ে সমস্ত জাতি আশীর্বাদ পাবে ।
খ্রীষ্টের জন্মের সময় শিমিয়ন নামে একজন ঈশ্বর ভক্ত দাস পবিত্র আত্মার আবেশে
বলেছিলেন ,
"কেননা আমার নয়নযুগল তোমার পরিত্রাণ দেখিতে পাইল,যাহা তুমি সকল জাতির সম্মুখে প্রস্তুত করিয়াছ,পরজাতিগণের প্রতি প্রকাশিত হইবার জ্যোতি, ও তোমার প্রজা ইস্রায়েলের গৌরব।"
( লূক ২:৩০-৩২)।
🌏🌎🌍কিভাবে পৃথিবীর সবাই এখন প্রভু যীশুর মিসনের সাথে জড়িত ?
মথি লিখিত সুসমাচারে যীশু বলেছেন,
"আর সর্ব জাতির নিকটে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।"
(মথি ২৪:১৪)
⭐কিভাবে তা হবে ?
খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচারের মধ্য দিয়ে ।
যীশু তাঁর শিষ্যদের আদেশ দিয়েছেন,
🔶️"অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;"
(মথি ২৮:১৯)
🔶️"আর তাঁহার নামে পাপমোচনার্থক মন পরিবর্তনের কথা সর্বজাতির কাছে প্রচারিত হইবে- যিরূশালেম হইতে আরম্ভ করা হইবে।"
(লূক ২৪:৪৭)
যীশু সুসমাচার কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য শিষ্যদের পবিত্র আত্মার শক্তি দিয়েছেন যা যীশুর আগমন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
🔶️"কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবে; আর তোমরা যিরূশালেমে, সমুদয় যিহূদিয়া ও শমরিয়া দেশে, এবং পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত আমার সাক্ষী হইবে।"
[প্রেরিত ১:৮ ]
🔴খ্রীষ্টের সুসমাচার কি ?
খ্রীষ্টের মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মধ্যে দিয়ে পাপী মানুষের জন্য ঈশ্বর অনন্ত ক্ষমা ও পরিত্রাণের যে পথ রচনা করেছেন তাই সুসমাচার । সুসমাচারে যারা বিশ্বাস করে , তারা আগত শেষ বিচার ও ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে রক্ষা পায়।
সাধু পৌল সুসমাচারের সার এভাবে বলেন ,
➡️"আর তাহারই দ্বারা, আমি তোমাদের কাছে যে কথাতে সুসমাচার প্রচার করিয়াছি, তাহা যদি ধরিয়া রাখ, তবে পরিত্রাণ পাইতেছ; নচেৎ তোমরা বৃথা বিশ্বাসী হইয়াছ।
➡️ফলতঃ প্রথম স্থলে আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা সমর্পণ করিয়াছি, এবং ইহা আপনিও পাইয়াছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের 🔴পাপের জন্য মরিলেন, ও
🔴কবর প্রাপ্ত হইলেন,
🔴আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন; "[ ১ করি: ১৫:২-৩]।
⚛সর্বজাতির কাছে সুসমাচার প্রচার শুরু:
প্রভু যেভাবে আদেশ দিয়েছেন সেভাবেই সমস্ত জাতির কাছে প্রায় দু'হাজার বছর আগে সুসমাচার প্রচার শুরু হয় । প্রেরিত পুস্তক আমাদের সাক্ষ্য দেয় প্রথমে পবিত্র আত্মার অভিষেকের মধ্য দিয়ে যিহূদীদের বা ইস্রায়েল জাতির কাছে যীশুর শিষ্যদের দ্বারা সুমাচার প্রচারিত হয় ( প্রেরিত ২ থেকে ৯ অধ্যায়)। পরে ঈশ্বর প্রেরিত পিতরের মধ্য দিয়ে অযিহূদীদের সুসমাচার প্রচার শুরু হয় । তার প্রথম ফল আমরা দেখতে পাই রোমান সেনাপতি কর্ণীলীয়ের মন পরিবর্তন । তিনি ও তাঁর গৃহের সবাই একই দিনে খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেন ।( প্রেরিত ১০-১১ অধ্যায়)।
খ্রীষ্টের সেই সুসমাচারের বাণী যীশুর শিষ্য ও অন্যান্য বিশ্বাসীরা সমস্ত মানুষের কাছে প্রচার ও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ । এমনি পর্যায়ক্রমে ঈশ্বর প্রেরিত পৌলকে আহ্বান করেন যিনি বিশেষ করে ইস্রায়েলীয় ও অযিহূদী অর্থাৎ পরজাতীয়দের মাঝে ব্যাপক ভাবে সুসমাচারের কাজ করেন ।
তিনি এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন স্হানে প্রভুর বাণী নিয়ে যান । তিনি নিজে তাঁর প্রাপ্ত দায়িত্ব সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছেন এভাবে ,
➡️"তিনি যীশু খ্রীষ্ট, আমাদের প্রভু, যাঁহার দ্বারা আমরা তাঁহার নামের পক্ষে সকল জাতির মধ্যে বিশ্বাসের আজ্ঞাবহতার উদ্দেশে অনুগ্রহ ও প্রেরিতত্ব প্রাপ্ত হইয়াছি;" (রোমীয় ১:৫)
তাছাড়া, অন্যান্য শিষ্যরা প্রভুর নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন স্হানে প্রচার করেন । এমনকি যীশুর শিষ্য থোমা ( সাধু টমাস) প্রভুর আদেশে ভারত বর্ষে আসেন এবং তার সাক্ষ্য এখনও মানুষ দক্ষিণ ভারতের কেরেলা রাজ্যে দেখতে পায়।
তার কারণ যীশু শুধু ইস্রায়েল জাতির জন্য নয় কিন্তু সমস্ত বিশ্বের জন্য এসেছেন তার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ এখানে দেওয়া হয়েছে ।
🔶️ঈশ্বরের সর্বোচ্চ ভালবাসা খ্রীষ্টের মধ্যে দিয়েই সম্পন্ন হবে ?
ঈশ্বর তাঁর সর্বোচ্চ ভালবাসা জানিয়েছেন খ্রীষ্টের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ,
"কিন্তু ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁহার নিজের প্রেম প্রদর্শন করিতেছেন; কারণ আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখনও খ্রীষ্ট আমাদের নিমিত্ত প্রাণ দিলেন। "(রোমীয় ৫:৮)।
এ ভালবাসা কি শুধু ইস্রায়েল জাতির জন্য? অবশ্যই না ।কেননা যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যু বরণ শুধু ইস্রায়েল জাতির জন্য নয় কিন্তু সমস্ত জগতের জন্য ।
প্রভু যীশুর প্রিয় শিষ্য যোহন তাঁর পত্রে বলেন ,
➡️"আর তিনিই আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত, কেবল আমাদের নয়, কিন্তু সমস্ত জগতেরও পাপার্থক।"(১ যোহন ২:২)
কারণ পবিত্র ঈশ্বর তাঁর ভালবাসা খ্রীষ্টের মধ্যে দেখিয়েছেন সমস্ত জগতের জন্য,
♥️♥️♥️"কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার এক জাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।" (যোহন ৩:১৬)।
ঈশ্বর জগতের মানুষকে এক করার জন্য অর্থাৎ যিহূদী ও অযিহূদীদের মধ্যে যে পার্থক্যের দেওয়াল ছিল ও শত্রুতা ছিল তা খ্রীষ্টের রক্তের দ্বারা ভেঙে দিয়েছেন । কেননা প্রভুর বাক্য আমাদের নিশ্চয়তা দেয়,
🔶️🔶️🔶️"স্মরণ কর, তৎকালে তোমরা ছিলে খ্রীষ্ট বিহীন, ইস্রায়েলের প্রজাধিকারের বহিঃস্থ, এবং প্রতিজ্ঞাযুক্ত নিয়মগুলির অসমপর্কীয়; তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মধ্যে ঈশ্বরবিহীন ছিলে।
কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, পূর্বে দূরবর্তী ছিলে যে তোমরা, তোমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা নিকটবর্তী হইয়াছ।
কেননা তিনিই আমাদের সন্ধি; তিনি উভয়কে এক করিয়াছেন, এবং মধ্যবর্তী বিচ্ছেদের দেওয়াল ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছেন।"
(ইফিষীয় ২:১২-১৪)
প্রভু যীশুর মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর সমস্ত মানুষের জন্য পরিত্রাণের পাওয়ার উপায় করে দিয়েছেন যে সুসংবাদ সমস্ত মানুষের জন্য জানা জরুরী ।
প্রেরিত পৌল এ সম্পর্কে বলেছেন,
প্রেরিত পৌল এ সম্পর্কে বলেছেন,
♥️"তাঁহার ইচ্ছা এই, যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে।
কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন,
তিনি মনুষ্য, খ্রীষ্ট যীশু, তিনি সকলের নিমিত্ত মুক্তির মূল্যরূপে আপনাকে প্রদান করিয়াছেন; এই সাক্ষ্য যথাসময়ে দাতব্য; "
(১ তীমথিয় ২:৪-৬)
কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন,
তিনি মনুষ্য, খ্রীষ্ট যীশু, তিনি সকলের নিমিত্ত মুক্তির মূল্যরূপে আপনাকে প্রদান করিয়াছেন; এই সাক্ষ্য যথাসময়ে দাতব্য; "
(১ তীমথিয় ২:৪-৬)
খ্রীষ্ট প্রদত্ত এই আশীর্বাদ সমস্ত মানুষের জন্য যা তিনি তাঁর ক্রুশে রক্ত সেচনের মধ্য দিয়ে চিরজীবনের জন্য সম্পন্ন করেছেন , যারা এ বাণী বিশ্বাস ও গ্রহণ করে তারা অনন্ত জীবন লাভ করার অধিকার পায়।
যীশু তাঁর সমস্ত জগতের মিসন সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলেছেন,
"যীশু আবার লোকদের কাছে কথা কহিলেন, তিনি বলিলেন, আমি জগতের জ্যোতি; যে আমার পশ্চাৎ আইসে, সে কোন মতে অন্ধকারে চলিবে না," (যোহন ৮:১২)।
🔴🌍⚛খ্রীষ্টের মিসনের ভবিষ্যত প্রত্যাশা :
আমরা খ্রীষ্টকৃত পরিত্রাণের ফল ভবিষ্যতে দেখতে পাব, যেখানে পৃথিবীর সমস্ত জাতি থেকে আগত মানুষের পবিত্র সমাহার হবে।
যীশুর শিষ্য যোহন দর্শনে এভাবে দেখেছেন যা ঈশ্বর দেখিয়েছেন ,
🔴"আর তাঁহারা এক নূতন গীত গান করেন, বলেন, ‘তুমি ঐ পুস্তক গ্রহণ করিবার ও তাহার মুদ্রা খুলিবার যোগ্য; কেননা তুমি হত হইয়াছ, এবং আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত লোকদিগকে ক্রয় করিয়াছ;"
(প্রকাশিত বাক্য ৫:৭)
🔈🔉📯 প্রভু যীশুই পৃথিবীতে শেষ বাণী নিয়ে এসেছেন:
আমরা এত ক্ষণ আলোচনা করেছি খ্রীষ্ট শুধু ইস্রায়েল জাতির জন্য না কিন্তু সমস্ত বিশ্বের জন্য । আমাদের আরও মনে রাখতে হবে , খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে শেষ বাণীর ব্যবস্থা করা হয়েছে । অর্থাৎ মানুষের পরিত্রাণ, ক্ষমা, আত্মিক ও জাগতিক জীবনাচরণ ও অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
প্রভুর বাক্য এই কথা বলে ,
প্রভুর বাক্য এই কথা বলে ,
"ঈশ্বর পূর্বকালে বহুভাগে ও বহুরূপে ভাববাদিগণে পিতৃলোকদিগকে কথা বলিয়া, এই শেষ কালে পুত্রেই আমাদিগকে বলিয়াছেন।"
(ইব্রীয় ১:১)
⛔সবার জন্য সাবধান বাণী হচ্ছে, খ্রীষ্টের সমাপ্ত কার্যের সাথে বিপরীত শিক্ষা ও অন্য বাণী যেন যোগ না হয়,
যাহারা এই গ্রন্থের ভাববাণীর বচন সকল শুনে, তাহাদের প্রত্যেক জনের কাছে আমি সাক্ষ্য দিয়া বলিতেছি, যদি কেহ ইহার সহিত আর কিছু যোগ করে, তবে ঈশ্বর সেই ব্যক্তিতে এই গ্রন্থে লিখিত আঘাত সকল যোগ করিবেন;আর যদি কেহ এই ভাববাণী-গ্রন্থের বচন হইতে কিছু হরণ করে, তবে ঈশ্বর এই গ্রন্থে লিখিত জীবন-বৃক্ষ হইতে ও পবিত্র নগর হইতে তাহার অংশ হরণ করিবেন।
(প্রকাশিত বাক্য ২২:১৮-১৯)
কেননা খ্রীষ্টতে সমস্ত ধার্মিকতা সিদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে,"কেননা ধার্মিকতার নিমিত্ত, প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে, খ্রীষ্টই ব্যবস্থার পরিণাম।"
(রোমীয় ১০:৪)
🌍🌎🔴উপসংহার: তাই উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দেখেছি প্রভু যীশুর পরিচর্যা কাজ বা তাঁর কাজের ব্যাপ্তি দুই অংশে বিভক্ত: হারান ইস্রায়েলীয়দের প্রতি ও সমস্ত বিশ্বের জন্য ।
প্রকৃত মেষপালক হিসাবে খ্রীষ্ট ইস্রায়েল জাতিকে প্রথমে পরিচর্যা দিয়েছেন যেন তা সমস্ত বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়ে। তা বাস্তবায়ন হয়েছে খ্রীষ্টের প্রেরিত শিষ্যদের দ্বারা যা অব্যাহত থাকবে খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের আগ পর্যন্ত যার প্রমাণ আমরা বর্তমানে চাক্ষুষ দেখছি। পৃথিবীর সমস্ত সময়ের সবচেয়ে বড় মিসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে খ্রীষ্টের ক্রুশীয় মৃত্যু ও পুনরুত্থান দ্বারা যা সমস্ত জাতির জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ । যারা বিশ্বাস ও গ্রহণ করে তাদের জন্য মহা আশীর্বাদ কিন্তু অবিশ্বাসে ঈশ্বরের ক্রোধ অব্যাহত থাকে। অতএব, আজ যদি আপনি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী না হয়ে থাকেন তাহলে আহ্বান থাকবে তাঁকে বিশ্বাস ও গ্রহণে ঈশ্বর প্রদত্ত চুড়ান্ত আশীর্বাদ গ্রহণ করার । আমেন ।।
Comments
Post a Comment