ভ্রান্ত নবী ও ভ্রান্ত শিক্ষক চেনার উপায়
খীষ্ট বিশ্বাসী সাবধান হোন !!!
ভূমিকা : প্রভু যীশু শেষ কালের চিহ্ন বলতে গিয়ে তাঁর শিষ্যদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন,
"কেননা ভাক্ত খ্রীষ্টেরা ও ভাক্ত ভাববাদীরা উঠিবে, এবং নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখাইবে, যেন, যদি হইতে পারে, তবে মনোনীতদিগকেও ভুলায়।" (মার্ক ১৩:২২)।
সাধু পৌল আমাদের বর্তমান সময় সম্পর্কে বলে গেছেন,
"কেননা এমন সময় আসিবে, যে সময় লোকেরা নিরাময় শিক্ষা সহ্য করিবে না, কিন্তু কানচুল্কানি-বিশিষ্ট হইয়া আপন আপন অভিলাষ অনুসারে আপনাদের জন্য রাশি রাশি গুরু ধরিবে,এবং সত্য হইতে কান ফিরাইয়া গল্পের দিকে বিপথে যাইবে। "
[২ তীমথীয় ৪:৩-৪]
[২ তীমথীয় ৪:৩-৪]
বহু পূর্ব থেকেই অনেক ভ্রান্ত নবী-শিক্ষক আছেন যারা যুগে যুগে সত্য পথকে বিভ্রান্ত করার জন্য তৎপর আছে ।
যেমন: আদম-হবাকে শয়তান প্ররোচিত করে পাপে পতিত করেছে যিনি ভ্রান্ত নবী ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের পিতা ( যোহন ৮:৪৪)।
তারপর ভ্রান্ত নবী বিলিয়ম যিনি ইস্রায়েল জাতিকে পাপে পতিত করেছিলেন
( ২ পিতর ২:১৫ তুলনীয় যিহূদা ১১)।
( ২ পিতর ২:১৫ তুলনীয় যিহূদা ১১)।
এরপর দেখি ভাববাদী এলিয়ের সময়ে বাল দেবের ভাববাদীরা যারা রাণী ঈশেবলের নেতৃত্বে ইস্রায়েল জাতিকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে মিথ্যা দেবতা বাল ও আশেরার পূজা ও সেবা করতে প্ররোচিত করেছে ।
( ১ রাজাবলি ১৬:৩১-৩৪)
( ১ রাজাবলি ১৬:৩১-৩৪)
মজার ব্যাপার হচ্ছে এ সমস্ত ভ্রান্ত নবী ও গুরুরা জগতের সমস্ত সমস্যার সমাধানের নিমন্ত্রণ বা offer দেয়, অনেকে নিজেকে খ্রীষ্ট বা মসীহ হিসাবেও দাবী করে। যত সময় যাবে ভ্রান্ত নবী ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে এতে কোন সন্দেহ নেই ।
সেজন্য পবিত্র বাইবেলে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের পবিত্র বাইবেলের মধ্য দিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে যেন তারা তাদের পথে , ধর্মমতে বা শিক্ষায় প্রতারিত না হয়।
ভবিষ্যত বাণী : "কিন্তু প্রজাবৃন্দের মধ্যে ভাক্ত ভাববাদিগণও উৎপন্ন হইয়াছিল; সেই প্রকারে তোমাদের মধ্যেও ভাক্ত গুরুরা উপস্থিত হইবে, তাহারা গোপনে বিনাশজনক দলভেদ উপস্থিত করিবে, যিনি তাহাদিগকে ক্রয় করিয়াছেন, সেই অধিপতিকেও অস্বীকার করিবে, এইরূপে শীঘ্র আপনাদের বিনাশ ঘটাইবে।"
[১ পিতর ২:১]
[১ পিতর ২:১]
এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ভ্রান্ত নবী বা ভাববাদী ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের কিছু চিহ্ন যা একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীকে সতর্ক হতে সাহায্য করবে ।
প্রথমত: সব আশ্চর্য বা চিহ্ন কাজে বিশ্বাস করতে নাই :
ভাববাদী মে।শী ইস্রায়েল জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন,
ভাববাদী মে।শী ইস্রায়েল জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন,
"তোমার মধ্যে কোন ভাববাদী কিম্বা স্বপ্নদর্শক উঠিয়া যদি তোমার জন্য কোন চিহ্ন কিম্বা অদ্ভুত লক্ষণ নিরূপণ করে;এবং সেই চিহ্ন কিম্বা অদ্ভুত লক্ষণ সফল হয়, যাহার সম্বন্ধে সে তোমার অজ্ঞাত অন্য দেবতাদের বিষয়ে তোমাদিগকে বলিয়াছিল, আইস, আমরা তাহাদের অনুগামী হই ও তাহাদের সেবা করি,
তবে তুমি সেই ভাববাদীর কিম্বা সেই স্বপ্নদর্শকের বাক্যে কর্ণপাত করিও না; কেননা তোমরা তোমাদের সমস্ত হৃদয়ের ও তোমাদের সমস্ত প্রাণের সহিত আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম কর কি না, তাহা জানিবার জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের পরীক্ষা করেন।"
( দ্বিতীয় বিবরণ ১৩:১-৭)
( দ্বিতীয় বিবরণ ১৩:১-৭)
মনে রাখা প্রয়োজন শয়তানের অনেক শক্তি রয়েছে যা তিনি অনেককে ভুল পথে নিয়ে যেতে পারেন । "
"সেই ব্যক্তির আগমন শয়তানের কার্যসাধন অনুসারে মিথ্যার সমস্ত পরাক্রম ও নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ সহকারে হইবে,---" (২ থিষলী ২:৯)
সত্য বিষয় হচ্ছে শয়তানের দলের
লোকেরা শয়তানের মিথ্যা কার্যক্রমে বিশ্বাস করে তার দলভুক্ত হবে ,
"এবং যাহারা বিনাশ পাইতেছে, তাহাদের সম্বন্ধে অধার্মিকতার সমস্ত প্রতারণা সহকারে হইবে; কারণ তাহারা পরিত্রাণ পাইবার নিমিত্ত সত্যের প্রেম গ্রহণ করে নাই।
আর সেই জন্য ঈশ্বর তাহাদের কাছে ভ্রান্তির কার্যসাধন পাঠান, যাহাতে তাহারা সেই মিথ্যায় বিশ্বাস করিবে; "
(২ থিষলী ২ :১০-১১)।
"সেই ব্যক্তির আগমন শয়তানের কার্যসাধন অনুসারে মিথ্যার সমস্ত পরাক্রম ও নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ সহকারে হইবে,---" (২ থিষলী ২:৯)
সত্য বিষয় হচ্ছে শয়তানের দলের
লোকেরা শয়তানের মিথ্যা কার্যক্রমে বিশ্বাস করে তার দলভুক্ত হবে ,
"এবং যাহারা বিনাশ পাইতেছে, তাহাদের সম্বন্ধে অধার্মিকতার সমস্ত প্রতারণা সহকারে হইবে; কারণ তাহারা পরিত্রাণ পাইবার নিমিত্ত সত্যের প্রেম গ্রহণ করে নাই।
আর সেই জন্য ঈশ্বর তাহাদের কাছে ভ্রান্তির কার্যসাধন পাঠান, যাহাতে তাহারা সেই মিথ্যায় বিশ্বাস করিবে; "
(২ থিষলী ২ :১০-১১)।
সেইজন্য খ্রীষ্টভক্তদের সমস্ত আশ্চর্য কাজ পবিত্র বাইবেলের আলোকে পরীক্ষা করতে হবে তা শয়তান থেকে না জীবন্ত ঈশ্বরের কাছ থেকে।
দ্বিতীয়ত : খ্রীষ্টের সুসমাচারের বিকৃতকারী :
খ্রীষ্টের সুমাচার হচ্ছে, কিভাবে একজন পাপী খ্রীষ্টের মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মধ্যে দিয়ে জীবন্ত ঈশ্বরের সাথে মিলিত হবে তার সুসংবাদে বিশ্বাস করে অনুসরণ করবে । পাপী মানুষ নিজেকে রক্ষা করার সমস্ত যোগ্যতা হারিয়েছে বিধায় তারা অন্ধ, পাপ ও শয়তানের কাছে বন্দি ও বিক্রিত।
প্রেরিত পৌল এ সম্পর্কে বলেছেন,
"কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে-" রোমীয় ৩:২৩
" আর যখন তোমরা আপন আপন অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে, ---" ইফিষীয় ২:১
মৃত ব্যক্তি নিজের জীবন নিজে দিতে পারে না একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া । তাই খ্রীষ্ট তাঁর মহামূল্য জীবন ও রক্তের দ্বারা নতুন জীবন দানের ব্যবস্থা করেছেন , পাপী যেন পুনরায় পিতা ঈশ্বরের সাথে মিলিত হতে পারে সেই সম্মিলনের ব্যবস্থা করেছেন , ধার্মিক গণনা
করার ব্যবস্থা করেছেন ও মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন যেন একজন পাপী মন পরিবর্তন করে পবিত্র আত্মার মধ্য দিয়ে যেন ফলবান ও পবিত্র জীবন যাপনে একীভূত হয়।
করার ব্যবস্থা করেছেন ও মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন যেন একজন পাপী মন পরিবর্তন করে পবিত্র আত্মার মধ্য দিয়ে যেন ফলবান ও পবিত্র জীবন যাপনে একীভূত হয়।
কিন্তু ভ্রান্ত নবী ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের এই সুসমাচার অপছন্দ তাই অনেক সময় নিজেদের মধ্য থেকে অথবা বাইরে থেকে বিকৃত সুসমাচার প্রচার করে যা থেকে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সাবধান থাকতে বলা হয়েছে ।
সাধু পৌল তার সমসাময়িক ত্বকচেছদ বাদী ও ব্যবস্থা পালনের মাধ্যমে ধার্মিক হওয়ার ভ্রান্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বলেছিলেন,
" তাহা আর কোন সুসমাচার নয়; কেবল এমন কতকগুলি লোক আছে, যাহারা তোমাদিগকে অস্থির করে, এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার বিকৃত করিতে চায়।কিন্তু আমরা তোমাদের নিকটে যে সুসমাচার প্রচার করিয়াছি, তাহা ছাড়া অন্য সুসমাচার যদি কেহ প্রচার করে- আমরাই করি, কিম্বা স্বর্গ হইতে আগত কোন দূতই করুক- তবে সে শাপগ্রস্ত হউক।"
[গালাতীয় ১: ৭-৮]
[গালাতীয় ১: ৭-৮]
প্রেরিত পৌল প্রকৃত সুসমাচার সম্পর্কে বলেছেন,
" তথাপি বুঝিয়াছি, ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়। সেই জন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হইয়াছি, যেন ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হই; কারণ ব্যবস্থার কার্য হেতু কোন মনুষ্য ধার্মিক গণিত হইবে না। "
[গালাতীয় ২:১৬]
[গালাতীয় ২:১৬]
আমাদের মনে রাখতে হবে শয়তান সবসময়ই ঈশ্বরের বিপরীতে কাজ করে তাই শয়তান প্রকৃত সুসমাচারের বিপক্ষে ভ্রান্তির সুসমাচার দাড় করায় তার ভ্রান্ত নবী বা শিক্ষক দ্বারা ।
অধিকন্তু যেখানে সত্য থাকবে সেখানে মিথ্যাও প্রবেশ করতে চাবে কেননা বিচার দিনে গম ও শ্যামা ঘাসের পৃথক করা হবে [ মথি ১৩:৩৮]
অধিকন্তু যেখানে সত্য থাকবে সেখানে মিথ্যাও প্রবেশ করতে চাবে কেননা বিচার দিনে গম ও শ্যামা ঘাসের পৃথক করা হবে [ মথি ১৩:৩৮]
সেজন্য যারা এ সুসমাচার ছাড়া বিকৃত সুসমাচার প্রচারের জন্য তৎপর তাদের শিক্ষা থেকে সাবধান থাকতে হবে ।
তৃতীয়ত : ভ্রান্ত নবীরা ও ভ্রান্ত শিক্ষকরা ভিন্ন উৎস ব্যবহার করে :
তারা তাদের বাণী কোথা থেকে পায়?
তারা তাদের বাণী কোথা থেকে পায়?
প্রেরিত পিতর বলেছেন,
"কারণ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পরাক্রম ও আগমনের বিষয় যখন তোমাদিগকে জ্ঞাত করিয়াছিলাম, তখন আমরা কৌশল-কল্পিত গল্পের অনুগামী হই নাই, কিন্তু তাঁহার মহিমার চাক্ষুষ সাক্ষী হইয়াছিলাম।" [ ২পিতর ১:১৬]
পরে তিনি বলেছেন,"
"লোভের বশে তাহারা কল্পিত বাক্য দ্বারা তোমাদের হইতে অর্থলাভ করিবে; তাহাদের বিচারাজ্ঞা দীর্ঘকাল বিলম্ব করে নাই, এবং তাহাদের বিনাশ ঢুলিয়া পড়ে নাই।"
[২পিতর ২:৩]
"লোভের বশে তাহারা কল্পিত বাক্য দ্বারা তোমাদের হইতে অর্থলাভ করিবে; তাহাদের বিচারাজ্ঞা দীর্ঘকাল বিলম্ব করে নাই, এবং তাহাদের বিনাশ ঢুলিয়া পড়ে নাই।"
[২পিতর ২:৩]
এ সম্পর্কে Colin Smith সঠিক বলেছেন,
" The false teacher relies on his own creativity. He makes up his own message. " ♤ অর্থাৎ ভ্রান্ত শিক্ষকেরা নিজেদের কল্পিত গল্পের উপর বিশ্বাস করে । নিজের বাণী নিজে তৈরী করে ।
" The false teacher relies on his own creativity. He makes up his own message. " ♤ অর্থাৎ ভ্রান্ত শিক্ষকেরা নিজেদের কল্পিত গল্পের উপর বিশ্বাস করে । নিজের বাণী নিজে তৈরী করে ।
মূলকথা হচ্ছে ভ্রান্তির আত্মারা নিজেদের সুবিধামত কল্পনার আশ্রয়ে গল্প বানিয়ে তাদের বাণী দেয় যা পবিত্র বাইবেলের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ । তাই ঈশ্বরের বাক্যের মর্মার্থ জানা প্রয়োজন ।
চতুর্থত : ভ্রান্ত নবী ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের বিশ্বাসীদের ভিন্ন চরিত্র থাকে :
যীশু বলেছেন, "অতএব তোমরা উহাদের ফল দ্বারাই উহাদিগকে চিনিতে পারিবে।"
[মথি ৭:২০]
যীশু বলেছেন, "অতএব তোমরা উহাদের ফল দ্বারাই উহাদিগকে চিনিতে পারিবে।"
[মথি ৭:২০]
সতিকারের বিশ্বাসীগণ মংগলভাব,ঈশরীয় জ্ঞান , ইন্দ্রিয়দমন , ঈশ্বরীয় স্বভাব, দীর্ঘ সহিষ্ণুতা, ভ্রাতৃপ্রেম ও ভালবাসা খোঁজে
[ ২ পিতর ১:৫]
কিন্তু ভ্রান্ত বিশ্বাসীরা , মাংসিক অভিলাষে চলে
ও প্রভুত্ব অবজ্ঞা করে । তাছাড়া, তারা দুঃসাহসী ও স্বেচ্ছাচারী , তাদের দৃষ্টি ব্যভিচারে পূর্ণ ও কর্তৃত্ব অস্বীকার করে(২ পিতর ২:১০,১৪) ।
ভ্রান্তির আত্মাদের ব্যক্তিগত জীবন পর্যালোচনা করলেই পরিষ্কার পরিচয় পেতে সাহায্য করবে। সেইজন্য খ্রীষ্টভক্তদের বিভিন্ন Authentic Source থেকে ভ্রান্ত নবীদের ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের জীবনী ও কর্ম ইতিহাসের সাক্ষ্য দেখার জন্য মনোনিবেশ করতে হবে ।
[ ২ পিতর ১:৫]
কিন্তু ভ্রান্ত বিশ্বাসীরা , মাংসিক অভিলাষে চলে
ও প্রভুত্ব অবজ্ঞা করে । তাছাড়া, তারা দুঃসাহসী ও স্বেচ্ছাচারী , তাদের দৃষ্টি ব্যভিচারে পূর্ণ ও কর্তৃত্ব অস্বীকার করে(২ পিতর ২:১০,১৪) ।
ভ্রান্তির আত্মাদের ব্যক্তিগত জীবন পর্যালোচনা করলেই পরিষ্কার পরিচয় পেতে সাহায্য করবে। সেইজন্য খ্রীষ্টভক্তদের বিভিন্ন Authentic Source থেকে ভ্রান্ত নবীদের ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের জীবনী ও কর্ম ইতিহাসের সাক্ষ্য দেখার জন্য মনোনিবেশ করতে হবে ।
পঞ্চমতঃ ভ্রান্ত নবীদের ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের আবেদন ভিন্ন: কেন তাদের বাণী আপনি শুনবেন ?
প্রকৃত শিক্ষক পবিত্র বাইবেলের সত্যে আবেদন করবে যেমন প্রেরিত পিতর বলেছেন,
" আর ভাববাণীর বাক্য দৃঢ়তর হইয়া আমাদের নিকটে রহিয়াছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করিতেছ, তাহা ভালই করিতেছ; তাহা এমন প্রদীপের তুল্য, যাহা যে পর্যন্ত দিনের আরম্ভ না হয় এবং প্রভাতী তারা তোমাদের হৃদয়ে উদিত না হয়, সেই পর্যন্ত অন্ধকারময় স্থানে দীপ্তি দেয়।"[ ২ পিতর ১:১৯]
ঈশ্বর নিজেই কথা বলেছেন যা তাঁর প্রকৃত শিক্ষকরা সেই ভিত্তিতে আবেদন করে । কিন্তু যারা ভ্রান্তিতে আছে তারা এভাবে আবেদন করে
ভিন্ন ভাবে :
ভিন্ন ভাবে :
, " কারণ তাহারা অসার গর্বের কথা বলিয়া মাংসিক সুখাভিলাষে, লমপটতায়, সেই লোকদিগকে প্রলোভিত করে, যাহারা বিপথগামীদের নিকট হইতে সমপ্রতি পলায়ন করিতেছে।"
(২ পিতর ২:১৮)
(২ পিতর ২:১৮)
Colin Smith এর মতে , " সত্যিকারের শিক্ষক জিজ্ঞাসা করে , ঈশ্বর তাঁর বাক্যে কি বলেছেন?
অন্যদিকে , ভ্রান্ত শিক্ষকেরা জিজ্ঞাসা করে , " মানুষ কি শুনতে চায় ? তাদের মাংসিক অভিলাষে কি ভাবে তা প্রয়োগ করবে ? "
(Colin Smith -7 Traits of False Teachers)
অন্যদিকে , ভ্রান্ত শিক্ষকেরা জিজ্ঞাসা করে , " মানুষ কি শুনতে চায় ? তাদের মাংসিক অভিলাষে কি ভাবে তা প্রয়োগ করবে ? "
(Colin Smith -7 Traits of False Teachers)
সারসংক্ষেপে বলতে গেলে তাদের চিহ্ন ও শিক্ষা সম্পর্কে তা Warren Wiersbe এর কথাই বলব,
তিনি বলেছেন , Satan is the counterfeiter. . . . He has a false gospel (Galatians 1:6-9), preached by false ministers (2 Corinthians 11:13-12), producing false Christians (2 Corinthians 11:26). . . . Satan plants his counterfeits wherever God plants true believers (Matthew 13:38)."
তিনি বলেছেন , Satan is the counterfeiter. . . . He has a false gospel (Galatians 1:6-9), preached by false ministers (2 Corinthians 11:13-12), producing false Christians (2 Corinthians 11:26). . . . Satan plants his counterfeits wherever God plants true believers (Matthew 13:38)."
অর্থ হচ্ছে, " শয়তান হচ্ছে নকলকারী। তার একটি মিথ্যা গসপেল বা সুসমাচার আছে (গালা:১:৬-৯ ), তার মিথ্যা প্রচারকদের দ্বারা তা প্রচারিত হয় ( ২ করি : ১১ :১৩-১৪) , তা দ্বারা মিথ্যা খ্রিস্টান তৈরী হয় ( ২ করি : ১১:২৬ )। ঈশ্বর যেখানে সত্য গাছ রোপণ করে সেখানে শয়তান নকল বা মিথ্যা গাছ রোপণ করে । (মথি 13:38)। "
ভ্রান্ত নবী ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের পরিণাম:
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
প্রথমত : স্বর্গীয় আশীর্বাদ থেকে অনন্ত কালের জন্য বঞ্চিত:
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
প্রথমত : স্বর্গীয় আশীর্বাদ থেকে অনন্ত কালের জন্য বঞ্চিত:
প্রেরিত যোহন সমস্ত ভ্রান্ত নবী ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যারা সত্যের সাথে মিথ্যা যোগ করে তাদের শাস্তি সম্পর্কে
" যাহারা এই গ্রন্থের ভাববাণীর বচন সকল শুনে, তাহাদের প্রত্যেক জনের কাছে আমি সাক্ষ্য দিয়া বলিতেছি, যদি কেহ ইহার সহিত আর কিছু যোগ করে, তবে ঈশ্বর সেই ব্যক্তিতে এই গ্রন্থে লিখিত আঘাত সকল যোগ করিবেন;
আর যদি কেহ এই ভাববাণী-গ্রন্থের বচন হইতে কিছু হরণ করে, তবে ঈশ্বর এই গ্রন্থে লিখিত জীবন-বৃক্ষ হইতে ও পবিত্র নগর হইতে তাহার অংশ হরণ করিবেন।"
(প্রকাশিত বাক্য ২২:১৮-১৯)
দ্বিতীয়ত : তারা শাপগ্রস্ত
তাদের পরিণাম সম্পর্কে পৌল বলেছেন,
"আমরা পূর্বে যেরূপ বলিয়াছি, তদ্রূপ আমি এখন আবার বলিতেছি, তোমরা যাহা গ্রহণ করিয়াছ, তাহা ছাড়া আর কোন সুসমাচার যদি কেহ তোমাদের নিকটে প্রচার করে, তবে সে শাপগ্রস্ত হউক।"
[গালাতীয় ১:৯]।
[গালাতীয় ১:৯]।
তৃতীয়ত: যীশু নিজেই বিনাশরূপ দন্ড দিবেন :
"-- যাহারা ঈশ্বরকে জানে না ও যাহারা আমাদের প্রভু যীশুর সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় না, তাহাদিগকে সমুচিত দণ্ড দিবেন।
তাহারা প্রভুর মুখ হইতে ও তাঁহার শক্তির প্রতাপ হইতে অনন্তকালস্থায়ী বিনাশরূপ দণ্ড ভোগ করিবে, ---"[ ২ থিষলী :৮,৯]
তাহারা প্রভুর মুখ হইতে ও তাঁহার শক্তির প্রতাপ হইতে অনন্তকালস্থায়ী বিনাশরূপ দণ্ড ভোগ করিবে, ---"[ ২ থিষলী :৮,৯]
মোদ্দাকথা , অনন্তকাল ধরে তারা নরকে জ্বলবে (মথি ১৩:৪৯ -৫০)।
উপসংহার: উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে একজন খ্রীষ্টভক্ত হিসাবে ঐতিহাসিক ও বর্তমান সময়ের ভ্রান্ত নবীদের ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে যেন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা সতর্ক ও সজাগ থাকে ।
পূর্বে যেমন আমি প্রভু যীশুর বাণী স্মরণ করিয়ে দিয়েছি যে ভ্রান্ত নবীদের ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের ফল দ্বারাই তাদের চিহ্নিত করা যাবে ( মথি ৭:২০)। পবিত্র আত্মা এই সকল ভ্রান্তির আত্মাদের চেনার জন্য অনেক খ্রীষ্টভক্তদের দান দিয়ে থাকেন ( ১করি:১২:১০)।
মনে রাখা প্রয়োজন, ভ্রান্ত নবীরা ও ভ্রান্ত শিক্ষকেরা প্রকৃত নবীদের ও শিক্ষকদের বাইরের পোশাক পড়ে ধ্বংসের প্রশস্ত দরজা খুলে দিয়ে ফাঁদে ফেলে বন্দি করাই মূল লক্ষ্য ।
পূর্বে যেমন আমি প্রভু যীশুর বাণী স্মরণ করিয়ে দিয়েছি যে ভ্রান্ত নবীদের ও ভ্রান্ত শিক্ষকদের ফল দ্বারাই তাদের চিহ্নিত করা যাবে ( মথি ৭:২০)। পবিত্র আত্মা এই সকল ভ্রান্তির আত্মাদের চেনার জন্য অনেক খ্রীষ্টভক্তদের দান দিয়ে থাকেন ( ১করি:১২:১০)।
মনে রাখা প্রয়োজন, ভ্রান্ত নবীরা ও ভ্রান্ত শিক্ষকেরা প্রকৃত নবীদের ও শিক্ষকদের বাইরের পোশাক পড়ে ধ্বংসের প্রশস্ত দরজা খুলে দিয়ে ফাঁদে ফেলে বন্দি করাই মূল লক্ষ্য ।
তাই খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সাবধান থাকতে হবে যেমনটি প্রভু যীশু বলেছেন,"
"ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।"
(মথি ৭:১৫)
"ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।"
(মথি ৭:১৫)
ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর প্রদত্ত সত্য অনুসারে সমস্ত ভ্রান্তি থেকে মুক্ত রাখুন । আমেন ।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Comments
Post a Comment