যীশু খ্রীষ্ট কে ? তিনি কি আরাধনা পাওয়ার যোগ্য?

ভুমিকা : সর্বজন স্বীকৃত সত্য হচ্ছে ঈশ্বরই সমস্ত প্রশংসা, ধন্যবাদ, মহিমা এবং আমাদের প্রার্থনা পাবার যোগ্য । আর অন্য কোন কিছুর উপাসনা করা ঈশ্বর নিন্দা ও পৌত্তলিকতার সামীল । আমরা আজকের আলোচনার সংক্ষেপে দেখব যে যীশু খ্রীষ্ট, প্রভু, ঈশ্বর পুত্র পিতার সাথে সমস্ত মানুষের আরাধনা, প্রশংসা, মহিমা পাবার যোগ্য ।
প্রথমত: খ্রীষ্ট কে?
----------------------------------------
খ্রীষ্ট অথবা মসীহ হচ্ছে যীশুর উপাধি । তিনি ত্রিত্ব ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তি । তিনি ঈশ্বরের পুত্র অর্থাৎ তিনি ঈশ্বরের অনন্ত কালীন বাক্য । সেই অনন্তকালীন বাক্যই হচ্ছেন ঈশ্বর। বাক্যের মধ্যে দিয়ে সমস্ত কিছু সৃষ্টি হয়েছে । তাই তিনি সৃষ্টি নন তিনি সৃষ্টিকর্তা ( যোহন ১: ১ -৩) । ( নহিমীয় ৯: ৬, কলসীয ১: ১৬; ইব্রীয় ১: ২; ৩) খ্রীষ্টভক্তদের সৃষ্টিকতার আরধনায় কোন বাধা নেই , পাপও নেই।
খ্রীষ্ট শব্দের অর্থ :-- "খ্রীষ্ট" গ্রীক শব্দের Χριστός বা খ্রীষ্টস থেকে আগত। হিব্রু শব্দ יש বা মসীহ থেকে যার অর্থ "অভিষিক্ত জন" । তিনি বিশেষ করে : ভাববাদী , যাজক ও রাজা হিসেবে কাজ করার জন্য অভিষিক্ত।
যীশু নামের অর্থ :-- যীশু নামের অর্থ ত্রাণকর্তা ( মথি ১:২১) ।
নামই তাঁর কাজের পরিচয় দেয় । তিনি মানুষের পাপ থেকে মুক্তি দানের জন্যই আগমন করেন।
যীশু এবং খ্রীষ্ট যথাক্রমে নাম ও উপাধি একই সাথে উপস্থাপিত । "যীশু " নামটি খ্রীষ্টের ব্যক্তিগত নাম ।
"খীষ্ট "উপাধি যেমন প্রেরিত ৫: ৪২- যীশুই যে খ্রীষ্ট, এই খীষ্টই সুসমাচার প্রচার করিতেন । ক্ষান্ত হইতেন না । এই নামের যীশু সবচেয়ে বেশি পরিচিত ।
যীশু আরেকটি উপাধির মধ্যে অন্যতম যীশু " ঈশ্বরের পুত্র " যা ঈশ্বর স্বর্গীয় স্বভাবের ( Divinity) অর্থ বহন করে ।
খ্রীষ্ট নামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ননা :--
===============================
খ্রীষ্ট বা মসীহ নামটি ইসরাইলের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শব্দ । অভিষেক তাকেই করানো হতো যিনি বিশেষ কাজের জন্য পৃথিকৃত হতেন।
যেমন :-- 🕎যাজক হিসাবে
যাত্রা পুস্তক ২৮: ৩৯; হারুন ও তাঁর সন্তানদের ক্ষেত্রে ।
🔆রাজা হিসাবে : শৌলের ক্ষেত্রে ১ শমূয়েল ৯: ১৫--১৬ ; ১০ : ১
দায়ূদের ক্ষেত্রে : ১ শমূয়েশ ১৬ : ৩
অভিষেক প্রাপ্ত ব্যক্তি ঈশ্বর ও তাঁর প্রজাদের কাছে মনোনীত ও পৃথিকৃত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হতেন।
বন্দী বা নির্বাসন পরবর্তী যিহুদীদের মধ্যে মসীহ বা খ্রীষ্টের আগমনের আশায় ছিল যিনি ঈশ্বর কতৃক মনোনীত প্রতিনিধি যিনি ইসরাইলেরকে স্বাধীনতা দিবে , ধামিকতা আনবেন ও রক্ষা করবেন।
পুরাতন নিয়মে কিন্তু অভিষিক্ত ব্যক্তি বা মসীহ বা খ্রীষ্ট রাজার সাথে সম্পর্ক যুক্ত ছিল ( ১শমুযেল ১৪: ৬; ২শমুযেল ১: ১৪ তুলনীয়; গীত ২: ২ ) ।
খীষ্টের জন্মের ১৫০ বছর পূর্বে বিশেষ করে কামরান সমাজে( Qumran Community -) Dead Sea Scholl বা
গে।টানে। পুস্তকে অভিষিক্ত ব্যক্তি বা মসীহের কথা লিপিবদ্ধ করেছেন। সেখানে ইসরাইলের মসীহকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে : ইস্রায়েলের মসীহ হবেন রাজা এবং যাজক ।
তাই পুরাতন নিয়মে মসীহের আগমনের আশা ছিল যিনি স্বগীয় মনোনীত, রাজকীয় অভিষিক্ত ব্যক্তি যিনি ইসরাইল জাতিকে মুক্ত বা পবিত্র করবেন ( প্রেরিত ২: ৩০- ৩৬) ।
🔴নতুন নিয়মে খ্রীষ্ট :
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
খ্রীষ্ট শব্দটি নতুন নিয়মে ৫৩১ বার ব্যবহার করা হয়েছে ।
🌐🌎🔴খ্রীষ্টের কার্যাবলী : খ্রীষ্টের তিনটি বিশেষ কাজ রয়েছে ।
(১) ভাববাদী (২) যাজক (৩) রাজা
খ্রীষ্টের ভাববাদী কাজের ভাববাদী করেছেন ভাববাদী মোশি
( ২ বিবরণ ১৮: ১৫--১৮) ।
পূণতা দেখি : যোহন ৬: ১৪, ৭: ৪০ ; প্রেরিত ৩: ২২: ২৪; প্রেরিত ৭: ?
(১) ভাববাদী :- ভাববাদীর কাজ ঈশ্বর কে প্রকাশ করা । ঈশ্বরের পক্ষে কথা বলা । খীষ্ট তা খ্রীষ্ট হিসেবে পূরণ করেছেন ।
(২) যাজক :- ঈশ্বর যাজকদের কে নিয়োগ দিতেন যেন তারা বলিদান । প্রার্থনা ও অনুরোধ লোকদের পবিত্র করতেন । যেন প্রজাগন ঈশ্বরের সান্নিধ্যে প্রবেশ করতে পারেন । ইব্রীয পুস্তক খীষ্টের মহাযাজক কাযক্রম বিস্তারিত বর্ননা দিয়েছেন ।
(ইব্রীয় ৭: ২৭, ৯: ১২, ১০: ১--২; ১৩:১২ )
খ্রীষ্ট যাজক হিসাবে পুরাতন নিয়মে সমস্ত প্রত্যাশা পূরণ করে স্বগীয় মন্দিরে অবস্থান করেছেন এর অনুরোধ করেছেন তাঁর প্রজাদের জন্য (ইব্রীয ৯: ২৪ ) পদ । 
(৩)রাজা হিসেবে খীষ্ট :- ইসরাইলের রাজাদের ক্ষমতা ছিল ইসরাইলের উপর রাজত্ব করার । নতুন নিয়মে আমরা দেখি খ্রীষ্ট জম্ম নিয়েছেন যিহুদীদের রাজা হওয়ার জন্য ( মথি ২: ২) । কিন্তুু খ্রীষ্ট জাগতিক রাজা হওয়ার জন্য অগ্রাআহ করেছেন (যোহন ৬:১৫) । তিনি পিলাত কে বলেছিলেন (যোহন ১৮: ৩১) পদ ।
তা সত্ত্বেও প্রচারের মধ্যে দিয়ে খ্রীষ্টের রাজ্য প্রতিষ্ঠা পায় ( ৪: ১৭; ২৩; ১২: ২৮) পদ । তিনি তাঁর প্রজাদের প্রকৃত রাজা । খ্রীষ্টের পরেব অধীনে রয়েছেন ( ইব্রীয ১: ২০--২২; মথি ২৮ : ১৮; ১করি ১৫: ২৫ ) ।
তার রাজ্যের পরাক্রম ও ক্ষমতার এবং মহিমা তাঁর দ্বিতীয় আগমনের প্রকাশ পাবে ( মথি ২৫: ৬৪: ২; প্রকাশিত বাক্য ১৯ : ১১ --১৫ পদ । যে দিন তিনি রাজাদের রাজা প্রভুদের প্রভু স্বীকৃত হবেন ( প্রকাশিত ১৯ : ১৬) এবং সমস্ত জানু তাঁর কাছে জানু পাতিত হবে ( ফিলিপীয ২: ১০) ।
🌎🔴🌎খীষ্টের নামের উপাধির সাথে অন্যান্য যীশুর উপাধি নামের সংশ্লিষ্টতা:
-========================
💢প্রথমত :- ঈশ্বরের মেষ শাবক ( যোহন ১: ২৯--৩৬ ) :
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
যীশুর শিষ্যরা তাই পরিস্কার ভাবে বুঝিযেছিলেন ( যোহন ১: ৪১) । তিনি উদ্ধার পর্বের মেষ।
💢দ্বিতীয়ত :-- ঈশ্বরের পুত্র (যোহন ১: ৩৪) পদ ।
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
খীষ্টের নামের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত । অনেক সময় সামর্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে (যোহন ২: ৩১) পদ । তা ছাড়া ঈশ্বরের পুত্র উপাধি খ্রীষ্টের ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত ( যোহন ১:১, ৩: ১৪, ৩: ১৬, ২০: ৩১) ।
💢তৃতীয়ত :- ঈশ্বরের পবিত্র ব্যক্তিঃ শিষ্যরা এই স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ( ৬: ৬৯) পদ এবং এমন কি মন্দ আত্মারাও (মার্ক ১: ২৪ ) ।
যীশু ছাড়া সবাই পাপী ( রোমীয় ৩:২৩)। খীষ্টের পবিত্রতা ছাড়া তাঁর বলিদান সুসম্পন্ন হতো না।
💢চতুর্থত: খীষ্টের সাথে "প্রভু" উপাধি :
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
লূক লিখিত সুসমাচারে খীষ্টের জন্মের সময় যীশু কে স্বগ দূতেরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন খ্রীষ্ট কে প্রভু হিসেবে ( লূক ২: ১) পদ । ' প্রভু' শব্দ টি যখন বাইবেলে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার হয়েছে । অনেক সময় যারা মালিক সম্মানিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়েছে । যেমন আমরা বতমান মহাশয় বা স্যার শব্দ টি ব্যবহার করি ( মথি ১৩: ২৭; ২১: ৩০, ২৭; ৬৩) পদ । অনেক সময় কৃতদাসরা তাদের মালিকদের " প্রভু " বলে সম্বোধন করে ( মথি ৬: ২১: ৪০) পদ । আবার প্রভু শব্দ টি দিয়ে ঈশ্বরের ইযাওযের ( Yahweh) পরিবতে গ্রীক 'কুরিযাস' বা প্রভু শব্দ টি ব্যবহার করা হয়েছে । যাদের পুরাতন নিয়মের গ্রীক অনুবাদের সাথে পরিচিত ছিল তারা কোরিয়স বা (lord ) বা প্রভু দ্বারা সৃষ্টিকতা কে যিনি স্বগ মত্তের সৃষ্টিকারী সবশক্তিমান ঈশ্বর কে বুঝাতো ।
তাই যীশু জন্মের সময় খীষ্ট কে প্রভু বলে পরিচয় করাতে মেষ পালকরা আশ্চর্য হয়েছিল ( লূক ২:১১)
মথি ২২:৪৪ পদের আলোকে পিতা ঈশ্বরের সাথে নিজের প্রভুত্বের দাবি করে ছিলেন । নতুন নিয়মের পত্র গুলোতে যীশু কে প্রভু হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে ( ১করি ৮: ৬) পদ । ইব্রীয লেখক প্রভু যীশুর সৃষ্টির যীশুর সৃষ্টির কাজ সম্পকে বলেছেন (ইব্রীয ১: ১০ --১২ পদ) । প্রকাশিত বাক্যে খ্রীষ্ট যীশু কে বিজয়ী রাজা হিসেবে বলা হয়েছে যিনি " প্রভুদের প্রভু রাজাদের রাজা "
( প্রকাশিত বাক্য ১৯:১৬ পদ )।
পরিত্রাণ লাভ করা মানদন্ড হচ্ছে খ্রীষ্টের মৃত্যু , পুনরুত্থান সহ তাকে 'প্রভু' হিসেবে স্বীকার করা : " কারন তুমি যদি মুখে যীশু কে স্বীকার এবং হৃদয়ে বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর তাকে মৃত গনের মধ্যে হইতে উস্থাপন করিয়াছেন । তবে পরিত্রাণ পাইবে "( রোমীয ১০: ৯) ।
যীশু খ্রীষ্টের উচ্চ পদান্বিত নাম 'প্রভু' প্রতিটি মানুষকে যীশুখ্রীষ্টকে প্রভু হিসেবে স্বীকার করতে হবে যা পিতা ঈশ্বর কতৃক নিদেশিত ( ফিলিপীয ২: ১১) । সমস্ত কিছু খ্রীষ্টের পদতলে আনিত হবে । তিনি সমস্ত সৃষ্টির মালিক ( ইব্রীয ১:২; প্রকাশিত বাক্য ৫: ১--৭) । সেই জন্য খ্রীষ্টের 'প্রভু' নামের সাথে উপাধি বিশেষ করে খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্ব প্রকাশ করে । তাই এই আলোচনায প্রমানিত হয় যে খীষ্ট যীশু আমাদের প্রশংসা ও আরাধনার pabar যোগ্য । কারন আমারা দেখেছি তিনি সৃষ্টি নন, তিনিই সৃষ্টিকতা । তাঁর মধ্যে দিয়ে সমস্ত কিছু সৃষ্টি হয়েছে । তিনি আমাদের তার ক্রশীয় রক্ত ও পুনরুত্থান দ্বারা নতুন ভাবে দিয়ে সৃষ্টি করেছেন । তার প্রভুত্বের অধীনে আমরা রয়েছি । তাই তিনি পিতা ঈশ্বরের সাথে সমভাবে পূজিত । তাই যীশু বলেন , "
যেন সকলে যেমন পিতাকে সমাদর করে, তেমনি পুত্রকে সমাদর করে। পুত্রকে যে সমাদর করে না, সে পিতাকে সমাদর করে না, যিনি তাঁহাকে পাঠাইয়াছেন।( যোহন ৫:২৩)
💢৫মঃ খীষ্টের নামের সাথে " মনুষ্য পুত্র' উপাধির সাথে সম্পর্ক:
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
যীশু নিজে ব্যক্তিগত ভাবে বহুসময় "মনুষ্য পুত্র " উপাধি ব্যবহার করেছেন যা ভাববাদী দানিয়েল পুস্তকে বিস্তারিত বলা আছে সাত অধ্যায়ে।" মনুষ্য পুত্র " উপাধি শুধু খ্রীষ্টের মানবিক স্বভাব না কিন্তু তাঁর স্বর্গীয় স্বভাবের কথা বলে।
যীশু খ্রীষ্টের বিচারের সময় যীশু প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন,
"কিন্তু তিনি নীরব রহিলেন, কোন উত্তর দিলেন না। আবার মহাযাজক তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, পরমধন্যের পুত্র?
যীশু কহিলেন, আমি সেই; আর তোমরা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রমের দক্ষিণ পার্শ্বে বসিয়া থাকিতে ও আকাশের মেঘসহ আসিতে দেখিবে।"
মার্ক১৪:৬১-৬২
যীশু এখানে খ্রীষ্ট,পরমধন্যের পুত্র ও মনুষ্য পুত্র উপাধি সম্পূরক হিসেবে দাবী করেছেন।
🌏🔴🌎খ্রীষ্টকে আরাধনার প্রমাণ:
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
>পূর্ব দেশের পণ্ডিতেরা যীশুর আরাধনা করেছিলেন ( মথি ২:১১)
> বিভিন্ন সময় যীশুর শিষ্যেরা ( মথি ১৪:৩৩; ১৫:২৫ ; ২৮:১৭ লূক ২৪:৫১,৫২ , যে।হন ৯:৩৮,২০:৩৮, ২০:২৮)
> পরিচারক ও প্রথম সাক্ষ্যমর স্টিফেন ( প্রেরিত ৭:৫৯ )
এভাবে অনেক উদাহরণ রয়েছে খ্রীষ্ট হচ্ছেন আমাদের আরাধনার কেন্দ্রবিন্দু।
🔴🌏🔴খ্রীষ্টকে প্রকৃত সমাদর বা উপাসনা না করলে কি হবে?
ㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡㅡ
রাজা ও ভাববাদী দাযূদ ঈশ্বর পুত্র সম্পর্কে ভাববাদী করেছিলেন ।
"পুত্রকে চুম্বন কর, পাছে তিনি ক্রুদ্ধ হন ও তোমরা পথে বিনষ্ট হও, কারণ ক্ষণমাত্রে তাঁহার ক্রোধ প্রজ্বলিত হইবে। ধন্য তাহারা সকলে, যাহারা তাঁহার শরণাপন্ন।"
(গীত ২:১২)
তাই খ্রীষ্ট হচ্ছে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের আরাধনার কেন্দ্র বিন্দু। তিনি আমাদের আরাধনা, প্রশংসা, গৌরব, ও মহিমা পাবার যোগ্য কেননা স্বগে তাই হবে কারণ শাস্র তাই বলে,
' তারপর স্বর্গে, পৃথিবীতে, পৃথিবীর গভীরে ও সমুদ্রে যত প্রাণী আছে, এমন কি, সেগুলোর মধ্যে আর যা কিছু আছে সকলকে আমি এই কথা বলতে শুনলাম: “সিংহাসনের উপরে যিনি বসে আছেন তাঁর এবং সেই মেষ-শিশুর প্রশংসা, সম্মান, গৌরব ও ক্ষমতা চিরকাল থাকুক।” সেই চারজন জীবন্ত প্রাণী বললেন, “আমেন।” তারপর সেই নেতারা উবুড় হয়ে প্রণাম করলেন।' ( প্রকাশিত বাক্য ৫: ১৩) পদ ।
আজ না হোক কাল তাঁর প্রশংসা ও আরাধনা করতে হবে তা না হলে তাঁর ক্রোধের আগুনে সবসময়ই জ্বলতে হবে।
আমেন ।।। 
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Who-is-Jesus-Christ-Is-he-worthy-of-worship

Comments

Popular posts from this blog

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া

Popular Posts

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া