ঈশ্বর কেন মানুষ হলেন ?
ভূমিকা:- ঈশ্বর মানুষ হয়েছেন শুনলেই অনেকের মাথা খারাপ হয় । কিন্তু এটাই সত্য যে ঈশ্বর( অনন্তকালীন বাক্য ) মানুষ হয়ে ধরাতলে জন্ম নিলেন। পিতা ঈশ্বর এই জগতকে ভালবেসে তাঁর একজাত পুত্রকে দান করলেন যেন মানুষ বিশ্বাস করে মুক্তিলাভ ও অনন্ত জীবনের অধিকারী হয়। বাইবেলে যে সত্য ঈশ্বরের বর্ণনা করা হয় তিনি অসীম হয়েও সসীম হলেন, মানুষের সাথে বসবাস করলেন। যার জন্য প্রভু যীশুর আরেক নাম ইম্মানুয়েল, যার অর্থ আমাদের সহিত ঈশ্বর (মথি ১:২৩)। খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে পুত্র ঈশ্বর মাংসে মূর্ত্তিমান হয়েছেন যেন পাপী মানুষ উদ্ধারের পথ জানতে পায় ও বিশ্বাস করে অনন্ত জীবনের পথে যাত্রা করে। এই ক্ষুদ্র রচনায় প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাংসে আর্বিভাবের তাৎপর্য তুলে ধরা হবে।
পিতা ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে এই পৃথিবীতে প্রেরণের পূর্বে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। পবিত্র বাইবেল বলে,
🎀“কিন্তু কাল সম্পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন” (গালাতীয় ৪:৪)।
ঈশ্বর পুত্রকে গ্রহণ করার জন্যে রাজনৈতিক, দার্শনিক, ধর্মীয় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সুসম্পন্ন হয়েছিল।
🎀“কিন্তু কাল সম্পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন” (গালাতীয় ৪:৪)।
ঈশ্বর পুত্রকে গ্রহণ করার জন্যে রাজনৈতিক, দার্শনিক, ধর্মীয় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সুসম্পন্ন হয়েছিল।
➡️ রাজনৈতিকভাবে যীশুর জন্মস্থান বৈৎলেহেম তথা প্যালেষ্টাইন তখন রোমানদের অধীনে ছিল। সেই সময়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কথা সাধু লূক এভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন “তিবিরিয় কৈসরের রাজত্বের পঞ্চদশ বৎসরে যখন পন্তীয় পিলাত যিহুদীয়ার অধ্যক্ষ, হেরোদ গালীলের রাজা, তাঁহার ভ্রাতা ফিলীপ যিতুরিয়া ও ত্রাখোনীতিয়া প্রদেশের রাজা এবং লুষানিয় অবিলীনীর রাজা, (লূক ৩:১)।
➡️ধর্মীয়ভাবে প্যালেষ্টাইনে যিহদীরা বসবাস করতে ছিল। সেই সময়ে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় দলের আর্বিভাব হয় যথা:- ফরীশি, সদ্দূকী, শাস্ত্রীক, দেশভক্ত ইত্যাদি। সেই সময় হানন ও কায়াফা যিহুদীদের মহাযাজক ছিলেন (লূক ৩:২)।
➡️ দার্শনিকভাবে গ্রীক দর্শনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সক্রেটিস, এরিষ্টটল, প্লেটোর মতো দার্শনিকদের শিক্ষা প্রচলিত ছিল।
➡️ দার্শনিকভাবে গ্রীক দর্শনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সক্রেটিস, এরিষ্টটল, প্লেটোর মতো দার্শনিকদের শিক্ষা প্রচলিত ছিল।
➡️ভাষাগতভাবে গ্রীক ভাষা সর্বস্তরে প্রভাব বিস্তার করেছিল। বর্তমান সময়ে ইংরেজী ভাষার মতোই বিবেচিত হতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার স্থলপথ ও জলপথে যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়। রোমান সরকার অনেক নতুন রাস্তাঘাট, দূরপাল্লার ঘোড়ার গাড়ীসহ বিবিধভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করে। সর্বোপরি ঈশ্বর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচারের জন্যে ঈশ্বর প্রভু সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
মানব দেহ গ্রহণ কি? মাইকেল গ্রীন বলেন, “The Christian an doctrine of the incarnation expresses the conviction of Christian that this God has made himself known full, specially and personally, by taking our human nature into himself, by coming amongst us as a particular man, without in any way ceasing to be the eternal and infinite God.” ( ... ঈশ্বর তাঁর শাশ্বত অসীম ঈশ্বরত্ব ত্যাগ না করে বিশেষভাবে ও ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের মাঝে এসে ( জন্ম নিলেন ) মানবীয় স্বভাব গ্রহন করে নিজেকে সমপূর্ণভাবে প্রকাশ করেছেন )
শব্দগত দিক দিয়ে "Incarnation" শব্দটি ল্যাটিন শব্দ থেকে আগত। এই শব্দ ল্যাটিন in এবং caro শব্দ থেকে এসেছে। যার মূল ধাতু শব্দ carm । খ্রীষ্টিয় ধর্মতত্ত্ব অনুসারে ত্রিত্ব ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নামে বৈৎলেহমে জন্মেছিলেন। প্রভু যীশুর মানব দেহ গ্রহণের পূর্বে তিনি পিতা ঈশ্বরের সাথে ছিলেন ঈশ্বরের বাক্য হিসাবে। সেইজন্য তাঁর অস্তিত্ব শুধু দুই হাজার বছর নয় বরং অনন্তকাল থেকে তাঁর অস্তিত্ব বিদ্যমান। সাধু যোহন এই প্রসংগে বলেন, “আদিতে বাক্য ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বরের কাছে ছিলেন এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন। সেই বাক্য মাংসে মূর্ত্তিমান হইলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন (যোহন ১:১, ১৪)। পবিত্র এই মানব দেহ গ্রহণের জন্য ঈশ্বর কুমারী মেরীকে বেছে নিয়েছিলেন যেন আদি পাপের প্রভাব প্রভু যীশুর জীবনে স্পর্শ না করে। সাধু লূক এই সম্পর্কে বলেন, “দূত উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসিবেন এবং পরাৎপরের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করিবে; এই কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন, তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে (লূক ১:৩৫)। তাই সাধু পৌল পুত্র ঈশ্বরের দেহে আবির্ভাব সম্পর্কে নিশ্চিত করেন এই বলে “খ্রীষ্টিয় ধর্ম বিশ্বাসের গুপ্ত সত্য যে মহান তা অস্বীকার করা যায় না। সেই সত্য এই তিনি মানুষ হিসাবে প্রকাশিত হলেন, তিনি যে নির্দোষ পবিত্র আত্মা তা প্রমাণ করলেন, স্বর্গদূতেরা তাঁকে দেখেছিলেন, সমস্ত জাতির কাছে তাঁর বিষয় প্রচার করা হয়েছিল; জগতে তাঁর উপর লোকেরা বিশ্বাস করেছিল; স্বর্গে তাঁকে মহিমার সংগে তুলে নেওয়া হয়েছিল (১তীম ৩:১৬ পদ)।
🛑🌏🛑প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাংসে আগমণের কারণ:-
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
প্রথমতঃ-
_____________________________________
_____________________________________
সমস্ত মানুষের কাছে ঈশ্বরকে প্রকাশ করার জন্যে।
--------------------------------------------
যোহন লিখিত সুসমাচারের ভূমিকায় যোহন বলেন, “ঈশ্বরকে কেহ কখনও দেখে নাই, একমাত্র পুত্র, যিনি পিতার ক্রোড়ে থাকেন তিনিই (তাঁহাকে) প্রকাশ করিয়াছেন। পুরাতন নিয়মের বড় ভাববাদী ও নেতা মোশী ঈশ্বরকে দেখতে চেয়েছিলেন, তখন ঈশ্বর বলেছিলেন, তুমি আমার মুখ দেখিতে পাইবে না, কেননা মনুষ্য আমাকে দেখিলে বাঁচিতে পারে না (যাত্রা ৩৩:২০)। মৃত্যুর পূর্বে যীশুর শেষ ভোজের সময়ে শিষ্যদের সান্ত¦না ও আশ্বস্ত করেছিলেন। যীশু শিষ্যদের জন্য বাসস্থান করতে স্বর্গের পথে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শিষ্য থোমা সেই পথ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, “প্রভু আপনি কোথায় যাইতেছেন, তাহা আমরা জানি না, পথ কিসে জানিব? (যোহন ১৪:৫)। যীশু উত্তর করেছিলেন তাঁর ঈশ্বরত্বের দাবীতে, “আমিই পথ, সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকট আইসে না; যদি তোমরা আমাকে জানিতে, তবে আমার পিতাকেও জানিতে; এখন অবধি তাঁহাকে জানিতেছ এবং দেখিয়াছ।” (যোহন ১৪:৬,৭)। সেই সময়ে যীশুর আরেকজন শিষ্য প্রশ্ন করলেন, “প্রভু পিতাকে (ঈশ্বরকে) আমাদের দেখাউন; তাহাই আমাদের যথেষ্ট” (যোহন ১৪:৮)। যীশু তাঁর উত্তরে বলেছিলেন, যে আমাকে দেখিয়াছে, সে পিতাকে দেখিয়াছে (যোহন ১৪:৯)। প্রভু যীশু তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে পিতা ঈশ্বরকে প্রকাশ করেছেন।
--------------------------------------------
যোহন লিখিত সুসমাচারের ভূমিকায় যোহন বলেন, “ঈশ্বরকে কেহ কখনও দেখে নাই, একমাত্র পুত্র, যিনি পিতার ক্রোড়ে থাকেন তিনিই (তাঁহাকে) প্রকাশ করিয়াছেন। পুরাতন নিয়মের বড় ভাববাদী ও নেতা মোশী ঈশ্বরকে দেখতে চেয়েছিলেন, তখন ঈশ্বর বলেছিলেন, তুমি আমার মুখ দেখিতে পাইবে না, কেননা মনুষ্য আমাকে দেখিলে বাঁচিতে পারে না (যাত্রা ৩৩:২০)। মৃত্যুর পূর্বে যীশুর শেষ ভোজের সময়ে শিষ্যদের সান্ত¦না ও আশ্বস্ত করেছিলেন। যীশু শিষ্যদের জন্য বাসস্থান করতে স্বর্গের পথে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শিষ্য থোমা সেই পথ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, “প্রভু আপনি কোথায় যাইতেছেন, তাহা আমরা জানি না, পথ কিসে জানিব? (যোহন ১৪:৫)। যীশু উত্তর করেছিলেন তাঁর ঈশ্বরত্বের দাবীতে, “আমিই পথ, সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকট আইসে না; যদি তোমরা আমাকে জানিতে, তবে আমার পিতাকেও জানিতে; এখন অবধি তাঁহাকে জানিতেছ এবং দেখিয়াছ।” (যোহন ১৪:৬,৭)। সেই সময়ে যীশুর আরেকজন শিষ্য প্রশ্ন করলেন, “প্রভু পিতাকে (ঈশ্বরকে) আমাদের দেখাউন; তাহাই আমাদের যথেষ্ট” (যোহন ১৪:৮)। যীশু তাঁর উত্তরে বলেছিলেন, যে আমাকে দেখিয়াছে, সে পিতাকে দেখিয়াছে (যোহন ১৪:৯)। প্রভু যীশু তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে পিতা ঈশ্বরকে প্রকাশ করেছেন।
দ্বিতীয়ত:-
______________________________________________
______________________________________________
প্রভু যীশুর আগমন ছিল আমাদের পরিত্রাণ করার জন্যে।
--------------------------------------------------------
প্রতিটি মানুষই কৃত দাসের মতো। সবাই পাপের কাছে বন্দী। বন্দীত্ব থেকে মুক্ত করার জন্যে মূল্য প্রয়োজন। প্রভু যীশু সেই মূল্য প্রদান করার জন্যে জন্ম নিয়েছিলেন। সাধু পৌল এই দাসত্বকে ব্যবস্থা বা রীতিনীতিকে বুঝিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিন্তু সময় পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন।” সেই পুত্র স্ত্রীলোকের (মেরী) গর্ভে জন্ম গ্রহণ করলেন এবং আইন-কানুনের অধীনে জীবন কাটালেন, যেন আইন-কানুনের অধীনে থাকা লোকদের মুক্ত করতে পারেন, আর ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন। (গালা ৪:৪,৫)। ঈশ্বর শুধু তাঁর পুত্রকেই পাঠাননি, তিনি তাঁর পবিত্র আত্মাকেও পাঠিয়েছেন যেন আমরা মুক্ত হয়ে ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকতে পারি। (গালা ৪:৬,৭)। তাছাড়া প্রভু যীশুর জন্মের সময় স্বর্গদূত তাঁর পালক পিতা যোষেফকে বলেছিলেন, “দায়ূদের বংশধর যোষেফ; মরিয়মকে বিয়ে করতে ভয় করো না কারণ তার গর্ভে যা জন্মেছে তা পবিত্র আত্মার শক্তিতেই জন্মেছে। তার একটি ছেলে হবে। তুমি তাঁর নাম যীশু (ত্রাণকর্তা) রাখবে কারণ তিনি তাঁর লোকদের তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন।” (মথি ১:২১)। যীশুর নামই প্রকাশ করে যে, তিনি মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করার জন্যে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
--------------------------------------------------------
প্রতিটি মানুষই কৃত দাসের মতো। সবাই পাপের কাছে বন্দী। বন্দীত্ব থেকে মুক্ত করার জন্যে মূল্য প্রয়োজন। প্রভু যীশু সেই মূল্য প্রদান করার জন্যে জন্ম নিয়েছিলেন। সাধু পৌল এই দাসত্বকে ব্যবস্থা বা রীতিনীতিকে বুঝিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিন্তু সময় পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন।” সেই পুত্র স্ত্রীলোকের (মেরী) গর্ভে জন্ম গ্রহণ করলেন এবং আইন-কানুনের অধীনে জীবন কাটালেন, যেন আইন-কানুনের অধীনে থাকা লোকদের মুক্ত করতে পারেন, আর ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন। (গালা ৪:৪,৫)। ঈশ্বর শুধু তাঁর পুত্রকেই পাঠাননি, তিনি তাঁর পবিত্র আত্মাকেও পাঠিয়েছেন যেন আমরা মুক্ত হয়ে ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকতে পারি। (গালা ৪:৬,৭)। তাছাড়া প্রভু যীশুর জন্মের সময় স্বর্গদূত তাঁর পালক পিতা যোষেফকে বলেছিলেন, “দায়ূদের বংশধর যোষেফ; মরিয়মকে বিয়ে করতে ভয় করো না কারণ তার গর্ভে যা জন্মেছে তা পবিত্র আত্মার শক্তিতেই জন্মেছে। তার একটি ছেলে হবে। তুমি তাঁর নাম যীশু (ত্রাণকর্তা) রাখবে কারণ তিনি তাঁর লোকদের তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন।” (মথি ১:২১)। যীশুর নামই প্রকাশ করে যে, তিনি মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করার জন্যে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
তৃতীয়ত:-
-----------------------------
প্রভু যীশুর জন্ম মহাযাজকের দায়িত্ব পালন করার জন্যে।
_____________________________________________________
-----------------------------
প্রভু যীশুর জন্ম মহাযাজকের দায়িত্ব পালন করার জন্যে।
_____________________________________________________
ইস্রায়েল জাতির ইতিহাসে মহাযাজকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি ই¯্রায়েলের পক্ষে মধ্যস্থতা করতেন। ইব্রীয় পত্র প্রভু যীশুর মহাযাজকত্ব সম্পর্কে বলে, “কারণ তিনি ত দূতগণের সাহায্য করেন না, কিন্তু অব্রাহামের বংশের সাহায্য করিতেছেন। অতএব সর্ব বিষয়ে আপন ভাতৃগণের তুল্য হওয়া তাঁহার উচিত ছিল, যেন তিনি প্রজাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিবার নিমিত্ত ঈশ্বরের কার্য্যে দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হন। কেননা তিনি নিজে পরীক্ষিত হইয়া দুঃখভোগ করিয়াছেন বলিয়া পরীক্ষিতগণের সাহায্য করিতে পারেন। (ইব্রীয় ২:১৪-১৮)। প্রভু যীশুর মহাযাজকের পদের কথা ইব্রীয় পত্র আরও বলে যে, ভাল, আমরা এক মহান মহাযাজককে পাইয়াছি, যিনি স্বর্গ সকল দিয়া গমন করিয়াছেন, তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র; অতএব আইস, আমরা ধর্ম প্রতিজ্ঞাকে দৃঢ়রূপে ধারণ করি। কেননা আমরা এমন মহাযাজককে পাই নাই, যিনি আমাদের দুর্বলতাঘটিত দুঃখে দুঃখিত হইতে পারেন না, কিন্তু সর্ব বিষয়ে আমাদের ন্যায় পরীক্ষিত হইয়াছেন বিনা পাপে। অতএব আইস, আমরা সাহস পূর্বক অনুগ্রহ সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই। যেন দয়া লাভ করি এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই। (ইব্রীয় ৪:১৪-১৫)। ই¯্রায়েলের যাজকত্বের পরিবর্তন হতো কারণ মৃত্যু তাহাদের চিরকাল থাকতে দেয় না। কিন্তু প্রভু নতুন নিয়মের মধ্যস্থতাকারী মহাযাজক হিসাবে সতত জীবিত আছেন। (ইব্রীয় ৭:২৩,২৪)। যারা প্রভু যীশুতে বিশ্বাসের মাধ্যমে উপস্থিত হয় তাদের তিনি সম্পূর্ণরপে পরিত্রাণ করিতে সক্ষম কেননা তিনি অনন্তকালের জন্য সিদ্দি প্রাপ্ত পুত্র। (ইব্রীয় ৭:২৮)।
চতুর্থত:-
-----------------------------------
-----------------------------------
প্রভু যীশুর প্রথম আগমন ছিল আমাদের স্থানে বলিদান হওয়ার জন্যে।
______________________________________________________________পুরাতন নিয়মে ঈশ্বরের প্রজাদের পাপের জন্য মেষ বলিদান করতে হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজের জীবন ক্রুশে উৎসর্গকরণের মাধ্যমে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন। শাস্ত্র এ কথা বলে, “কারণ আমাদের নিস্তারপর্বীয় মেষশাবক বলিকৃত হইয়াছেন, তিনি খ্রীষ্ট। (২ করি ৫:৮)। সাধু পৌল আরও বলেন, “যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপ স্বরূপ করিলেন , যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ধার্মিকতাস্বরূপ হই।” (২ করি ৫:২১)। প্রভু যীশু তাঁর রক্ত দিয়ে অনন্তকালীন মুক্তি অর্জন করিয়াছেন যেন আমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করিতে পারি। (ইব্রীয় ৯:১১-১৪)।
______________________________________________________________পুরাতন নিয়মে ঈশ্বরের প্রজাদের পাপের জন্য মেষ বলিদান করতে হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজের জীবন ক্রুশে উৎসর্গকরণের মাধ্যমে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন। শাস্ত্র এ কথা বলে, “কারণ আমাদের নিস্তারপর্বীয় মেষশাবক বলিকৃত হইয়াছেন, তিনি খ্রীষ্ট। (২ করি ৫:৮)। সাধু পৌল আরও বলেন, “যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপ স্বরূপ করিলেন , যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ধার্মিকতাস্বরূপ হই।” (২ করি ৫:২১)। প্রভু যীশু তাঁর রক্ত দিয়ে অনন্তকালীন মুক্তি অর্জন করিয়াছেন যেন আমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করিতে পারি। (ইব্রীয় ৯:১১-১৪)।
পঞ্চমত:-
------------------------------------------------------
প্রভু যীশু আর্বিভূত হয়েছিলেন শয়তানের কার্য্য ধ্বংস করার জন্যে।
_______________________________________________________________
শয়তান আমাদের আদি পিতা-মাতাকে প্ররোচনার মধ্য দিয়ে জগতে পাপ নিয়ে আসে। (আদি ৩:১, প্রকা ২০:২)। কিন্তু ঈশ্বর সেখানেই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন শয়তানের কাজকে ধ্বংস করার জন্যে, “আর আমি তোমাতে ও নারীতে, এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব, সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে এবং তুমি তাহার পাদমূল চ’র্ণ করিবে।” (আদি ৩:১৫)। শয়তান মানবতার ও ঈশ্বরের শত্রু। শয়তান প্রথম থেকেই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রভু যীশু তাঁর প্রজাদের নিশ্চিত করেছেন শয়তানের অস্তিত্ব ও কার্যক্রমকে। (মথি ১৩:২৪-৩০, ৩৮-৩৯, মার্ক ৩:২৩-২৭)। বাইবেল বলে মৃত্যু মানুষের শেষ শত্রু (১ করি ১৫:২৬)। প্রতিটি মানুষই মৃত্যুকে ভয় পায়। মৃত্যু হচ্ছে শয়তানের কর্তৃত্ব বিশিষ্ট। তাই শয়তানকে শক্তিহীন করার জন্যে যীশুকে রক্তমাংসের ভাগী হতে হয়েছে যেন যারা মৃত্যু ভয়ে শয়তানের দাসত্বে আছে তাদের উদ্ধার করতে পারেন। (ইব্রীয় ২:১৪-১৫)। তাছাড়া যীশুর প্রিয় শিষ্য যোহন শয়তানের কার্য্য ও ধ্বংস সম্পর্কে বলেন, কেননা দিয়াবল আদি হইতে পাপ করিতেছেন ঈশ্বরের পুত্র এ জন্যই প্রকাশিত হইলেন যেন দিয়াবলের কার্য্য সকল লোপ করেন (১ যোহন ৩:৮)। তাই খ্রীষ্টের মাংসে আগমনের কারণে তিনি ক্রুশীয় রক্তের প্রায়শ্চিত্ত দ্বারা শয়তানের কার্য্যকে শক্তিহীন করেছেন।
------------------------------------------------------
প্রভু যীশু আর্বিভূত হয়েছিলেন শয়তানের কার্য্য ধ্বংস করার জন্যে।
_______________________________________________________________
শয়তান আমাদের আদি পিতা-মাতাকে প্ররোচনার মধ্য দিয়ে জগতে পাপ নিয়ে আসে। (আদি ৩:১, প্রকা ২০:২)। কিন্তু ঈশ্বর সেখানেই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন শয়তানের কাজকে ধ্বংস করার জন্যে, “আর আমি তোমাতে ও নারীতে, এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব, সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে এবং তুমি তাহার পাদমূল চ’র্ণ করিবে।” (আদি ৩:১৫)। শয়তান মানবতার ও ঈশ্বরের শত্রু। শয়তান প্রথম থেকেই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রভু যীশু তাঁর প্রজাদের নিশ্চিত করেছেন শয়তানের অস্তিত্ব ও কার্যক্রমকে। (মথি ১৩:২৪-৩০, ৩৮-৩৯, মার্ক ৩:২৩-২৭)। বাইবেল বলে মৃত্যু মানুষের শেষ শত্রু (১ করি ১৫:২৬)। প্রতিটি মানুষই মৃত্যুকে ভয় পায়। মৃত্যু হচ্ছে শয়তানের কর্তৃত্ব বিশিষ্ট। তাই শয়তানকে শক্তিহীন করার জন্যে যীশুকে রক্তমাংসের ভাগী হতে হয়েছে যেন যারা মৃত্যু ভয়ে শয়তানের দাসত্বে আছে তাদের উদ্ধার করতে পারেন। (ইব্রীয় ২:১৪-১৫)। তাছাড়া যীশুর প্রিয় শিষ্য যোহন শয়তানের কার্য্য ও ধ্বংস সম্পর্কে বলেন, কেননা দিয়াবল আদি হইতে পাপ করিতেছেন ঈশ্বরের পুত্র এ জন্যই প্রকাশিত হইলেন যেন দিয়াবলের কার্য্য সকল লোপ করেন (১ যোহন ৩:৮)। তাই খ্রীষ্টের মাংসে আগমনের কারণে তিনি ক্রুশীয় রক্তের প্রায়শ্চিত্ত দ্বারা শয়তানের কার্য্যকে শক্তিহীন করেছেন।
ষষ্ঠত:-
-------------------------------------------
তাঁর মানবীয় আদর্শ অনুসরণ করার জন্যে।
_____________________________________________________
-------------------------------------------
তাঁর মানবীয় আদর্শ অনুসরণ করার জন্যে।
_____________________________________________________
প্রতিটি মানুষের কোন না কোন ব্যক্তিকে মডেল বা আদর্শ হিসাবে অনুসরণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রকৃত খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসীদের আদর্শ হচ্ছে যীশুর মানবীয় জীবন। এই সম্পর্কে শিষ্য যোহন বলেন, যে বলে আমি তাঁহাতে থাকি, তাহার উচিৎ যে তিনি যেরূপে চলিতেন সেও তদ্রুপ চলে ( যোহন ২:৬)। নতুন নিয়মের প্রায় সব লেখকই প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পদাঙ্ক অনুসরণ করার আদেশ দিয়েছেন। সাধূ পিতর বলেন, “কারণ তোমরা ইহারই নিমিত্ত আহুত হইয়াছ, কেননা খ্রীষ্টও তোমাদের জন্যে দুঃখভোগ করিলেন, এই বিষয়ে তোমাদের জন্য এক আদর্শ রাখিয়া গিয়াছেন, যেন তোমরা তাহাদের পদচিহ্নের অনুগমন কর; তিনি পাপ করেন নাই, তাঁহার মুখে কোন ছলও পাওয়া যায় নাই, তিনি নিন্দিত হইলে প্রতিনিন্দা করিতেন না; দুঃখভোগ কালে তর্জ্জন করিতেন না, কিন্তু যিনি ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাঁহার উপর ভার রাখিতেন (১ পিতর ২:২১-২৩)। সাধু পৌল যীশুর মাংসে আগমনের প্রয়োজনের কথা বলেছিলেন যেন খ্রীষ্টের মনোভাবের অংশীদার হই। “খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তাহা তোমাদের মধ্যেও হউক। ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকিতে ঈশ্বরের সহিত সমান থাকা ধরিয়া লইবার বিষয় জ্ঞান করিলেন না, কিন্তু আপনাকে শূন্য করিলেন, দাসের রূপ ধারণ করিলেন, মনুষ্যদের সাদৃশ্যে জন্মিলেন, এবং আকারে প্রকারে মনুষ্যব্যৎ প্রত্যক্ষ হইয়া আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন। এই কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে উচ্চপদান্বিতও করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমূদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ; যেন যীশুর নামে স্বর্গমর্ত্য পাতাল নিবাসীদের সমূদয় জানু পাতিত হয়; এবং সমূদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এই রূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।” তাই যীশু জন্ম নিয়েছিলেন এই ধরায় যেন তাঁর পবিত্র জীবন আমরা অনুসরণ করি ও তাঁর প্রকৃত পবিত্র স্বভাব অনুসরণ করি।
উপসংহার: পিতা ঈশ্বর তাঁর সর্বোচ্চ ভালবাসা দেখিয়েছেন আমাদের প্রতি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করে। মানুষকে রক্ষা করার জন্যে, ঈশ্বর স্বরূপবিশিষ্ট হয়েও নিজেকে শূন্য করে জনাকীর্ণ পরিবেশে যাবপাত্রে জন্ম নিলেন যেন তাঁর দীনহীনতায় আমরা ধনবান হতে পারি (২ করি ৮:৯)। তাঁর দেহ ধারণের মমার্থ এই যেন তিনি ঈশ্বরকে মানুষের কাছে প্রকাশ করতে পারেন। তাছাড়া তিনি যেন তাঁর প্রজাদের জন্য মহাযাজকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সর্বোপরি তাঁর আগমন ছিল তাঁর জীবন উৎসর্গের মধ্য দিয়ে শয়তানের কার্য্য ধ্বংস করা। আজকে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আহ্বান, আপনি যদি নিজেকে একজন পাপী, অনাথ, বিধবা, নিরুৎসাহী, হতাশ মনে করেন তবে আপনার উত্তর রয়েছে প্রভু যীশুর কাছে। তিনি ইম্মানুয়েল হয়ে আমাদের সংগে সংগে আছেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আপনার দুঃখ, আপনার পথচলা জানেন। আপনি তাঁর চরণে জীবন উৎসর্গ করে ধন্য ও পুণ্য হতে পারেন। ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককে Incarnation এর তাৎপর্য বোঝার ক্ষমতা দান করুন। আমেন।
Comments
Post a Comment