প্রভু যীশুর নাম সর্বশ্রেষ্ঠ নাম কেন ?
ভূমিকা: খ্রীষ্ট সংগীতের অনেক গান আছে যা যীশু নাম নিয়ে লেখা যা সত্যিই মহা আশীর্বাদযুক্ত। যারা এ সমস্ত গান বিশ্বাস দিয়ে , হৃদয় দিয়ে ,মন দিয়ে ও পবিত্র আত্মাতে গায় তারা সত্যিই আশীর্বাদ পায়।
এখন আমরা কিছু গানের অংশবিশেষ দেখি :
যেমন: শ্রদ্ধেয় প্রিয়নাথ বৈরাগী লিখেছেন ,
"যীশু নাম , মহানাম, মধুমাখা নাম
মনের আনন্দে গাও অবিরাম"( ১২৭)
মনের আনন্দে গাও অবিরাম"( ১২৭)
শ্রদ্বেয় গগণ চন্দ্র দত্ত লিখেছেন ,
"আইলে আসন্ন কাল , যীশু নামই মহাবল
যে নামে মৃত্যু-নদী পার করে "( ১১৭)
যে নামে মৃত্যু-নদী পার করে "( ১১৭)
ইংরেজ গীতিকার চালর্স ওয়েসলী লিখেছেন ,
"আ: যীশু নাম কি মনোহর দূর করে ভয়;
তা পাপীর কর্ণে সুমধুর , হয় জীবন শান্তিময়"।( ১২৯)
তা পাপীর কর্ণে সুমধুর , হয় জীবন শান্তিময়"।( ১২৯)
শ্রদ্ধেয় মধুসূধন সরকার লিখেছেন ,
"যীশু নাম তো বড় ভাল
ভাল লাগে রে , ভাল লাগে রে , ভাল লাগে রে।
এ নাম স্বর্গে ছিল ভবে এ'ল রে।----"
(১২৪)
ভাল লাগে রে , ভাল লাগে রে , ভাল লাগে রে।
এ নাম স্বর্গে ছিল ভবে এ'ল রে।----"
(১২৪)
অজ্ঞাত লেখক লেখেছেন ,
"যে বিশ্বাস করিবে প্রভু যীশুর নামে
জীবিত রবে সর্বদাই,
তিনি পথ ,তিনি সত্য,তিনি অনন্তজীবন" ( ৪১০)
"যে বিশ্বাস করিবে প্রভু যীশুর নামে
জীবিত রবে সর্বদাই,
তিনি পথ ,তিনি সত্য,তিনি অনন্তজীবন" ( ৪১০)
এরকম অনেক গান আছে যা যীশু নামের মহত্ত্ব নিয়ে লেখা যার মধ্য দিয়ে প্রভু যীশুর নামকে মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত করা হয়েছে।
আমি বিশ্বাস করি তাঁরা ঈশ্বরের অনুপ্রেরণায় গানগুলো লিখেছিলেন যা পবিত্র শাস্ত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন প্রভু যীশুর নাম সর্বশ্রেষ্ঠ? ( ফিলিপীয় ২:৯)
কারণ ক্রুশে প্রায়শ্চিত্ত্ব বলিদানের কারণে
তাঁর পবিত্র জীবনের কারণে
তাঁর বাধ্যতার জীবনের কারণে
তাঁর পুনরুত্থানের কারণে
নতুন নিয়মের প্রতিষ্ঠাতার কারণে
পাপীর প্রতি তাঁর শর্তহীন ভালবাসার কারণে
তাঁর শ্রেষ্ঠ প্রার্থনার কারণে
তাঁর শিক্ষার ও তাঁর জীবনে প্রয়োগের কারণে
তাঁর সর্বোচ্চ সম্মানের কারণে
তাঁর পবিত্র জন্মের কারণে
তিনি ঈশ্বর ও মনুষ্যপুত্রের কারণে
তিনি রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু
তিনি মুক্তিদাতা হওয়ার কারণে
তিনি ইম্মানুয়েল - আমাদের সহিত ঈশ্বর হওয়ার কারণে
তিনি ত্রিত্ব ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তির কারণে সহ অনেক কারণ।।
তাঁর পবিত্র জীবনের কারণে
তাঁর বাধ্যতার জীবনের কারণে
তাঁর পুনরুত্থানের কারণে
নতুন নিয়মের প্রতিষ্ঠাতার কারণে
পাপীর প্রতি তাঁর শর্তহীন ভালবাসার কারণে
তাঁর শ্রেষ্ঠ প্রার্থনার কারণে
তাঁর শিক্ষার ও তাঁর জীবনে প্রয়োগের কারণে
তাঁর সর্বোচ্চ সম্মানের কারণে
তাঁর পবিত্র জন্মের কারণে
তিনি ঈশ্বর ও মনুষ্যপুত্রের কারণে
তিনি রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু
তিনি মুক্তিদাতা হওয়ার কারণে
তিনি ইম্মানুয়েল - আমাদের সহিত ঈশ্বর হওয়ার কারণে
তিনি ত্রিত্ব ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তির কারণে সহ অনেক কারণ।।
এখন আমরা পবিত্র শাস্ত্রের আলোকে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম যীশু নামের মাহাত্ম্য দেখব :
প্রথমতঃ স্বর্গীয় নাম "যীশু" নামের সাথে কাজ জড়িত : স্বর্গদূত প্রভু যীশুর পালক পিতা যোষেফকে বলেছিলেন ,
"আর তিনি পুত্র প্রসব করিবেন, এবং তুমি তাঁহার নাম যীশু [ত্রাণকর্তা] রাখিবে; কারণ তিনিই আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে ত্রাণ করিবেন।"( মথি ১:২১)। অনেকের নামের সাথে কাজের মিল নেই কিন্তু "যীশু" নামের সাথে প্রভু যীশুর কাজ জড়িত। তিনি ক্রুশে জীবন উৎসর্গের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রজাদের পাপ দূর করার ব্যবস্থা করেছেন( ইব্রীয় ৯:১১-২৮)
দ্বিতীয়তঃ সর্ব যুগে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম:
প্ররিত পৌল এভাবে তাঁর পত্রে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামের ক্ষেত্রে :
"সমস্ত আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম ও প্রভুত্বের উপরে, এবং যত নাম কেবল ইহযুগে নয়, কিন্তু পরযুগেও উল্লেখ করা যায়, তৎসমুদয়ের উপরে পদান্বিত করিলেন।আর তিনি সমস্তই তাঁহার চরণের নিচে বশীভূত করিলেন, এবং তাঁহাকেই সকলের উপরে উচ্চ মস্তক করিয়া মণ্ডলীকে দান করিলেন;
সেই মণ্ডলী তাঁহার দেহ, তাঁহারই পূর্ণতাস্বরূপ, যিনি সর্ববিষয়ে সমস্তই পূরণ করেন।"
(ইফিষীয় ১:২১-২৩)
সেই মণ্ডলী তাঁহার দেহ, তাঁহারই পূর্ণতাস্বরূপ, যিনি সর্ববিষয়ে সমস্তই পূরণ করেন।"
(ইফিষীয় ১:২১-২৩)
তৃতীয়ত: যীশু নামে আশ্চর্যকাজ সংগঠিত হয়:
প্রেরিতগণ যীশু নামে সমস্ত আশ্চর্য কাজ করেছেন ।
লূক ১০:১৭ এভাবে জানায় ,
প্রেরিতগণ যীশু নামে সমস্ত আশ্চর্য কাজ করেছেন ।
লূক ১০:১৭ এভাবে জানায় ,
পরে সেই সত্তর জন আনন্দে ফিরিয়া আসিয়া কহিল, প্রভু, আপনার নামে ভূতগণও আমাদের বশীভূত হয়।
আরও দেখুন (প্রেরিত ৩ ,১৬ সহ সম্পূর্ণ প্রেরিত পুস্তক)
আরও দেখুন (প্রেরিত ৩ ,১৬ সহ সম্পূর্ণ প্রেরিত পুস্তক)
চতুর্থতঃ যীশু নামে পাপমোচনের সুসমাচার প্রচারিত হয়।
"তাঁহার পক্ষে ভাববাদীরা সকলে এই সাক্ষ্য দেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে তাঁহার নামের গুণে পাপমোচন প্রাপ্ত হয়।"
প্রেরিত ১০:৪৩
পঞ্চমতঃ যে প্রভু যীশুর নামে যে ডাকে সে পরিত্রাণ পায়।
[রোমীয় ১০:১৩ ]কারণ ‘‘যে কেহ প্রভুর নামে ডাকে, সে পরিত্রাণ পাইবে।”
উপরোক্ত পদটি প্রেরিত পৌল যোয়েল ভাববাদীর পুস্তক থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন যা খ্রীষ্টের নামের সাথে ঈশ্বরত্ত্ব জড়িত।
সেইজন্য প্রেরিত পিতর পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে
[প্রেরিত ৪:১২] বলেছেন ,
উপরোক্ত পদটি প্রেরিত পৌল যোয়েল ভাববাদীর পুস্তক থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন যা খ্রীষ্টের নামের সাথে ঈশ্বরত্ত্ব জড়িত।
সেইজন্য প্রেরিত পিতর পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে
[প্রেরিত ৪:১২] বলেছেন ,
"আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নিচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন #আর #কোন #নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে।"
৬ষ্ঠতঃ যীশু নামে প্রার্থনার উত্তর পাই :
এ সম্পর্কে যোহন ১৪:১৪ বলে ,
"যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু যাচ্ঞা কর, তবে আমি তাহা করিব।"
এ সম্পর্কে যোহন ১৪:১৪ বলে ,
"যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু যাচ্ঞা কর, তবে আমি তাহা করিব।"
কোন যীশু নামে ?
🌏🔶️🌎🔶️🌎🔶️🌎🔶️🌎🔶️🌎🔶️🌎🔶️
পৃথিবীতে অনেকে যীশু নামে ছিল এবং আছে । তবে সব যীশু নাসারথীয় যীশু না । আমরা সেই যীশুকেই বলছি যিনি ঈশ্বর মানুষ হয়েছেন এবং আমাদের জন্য পরিত্রাণের পদ উন্মোচন করেছেন । তাঁর ঈশ্বরত্ত্ব অন্য যীশু থেকে আলাদা করেছে( কলসীয় ২:৯) ।যখন যীশুর নামের কথা বলেছি তখন তাঁর ব্যক্তিত্বের কথা , কাজের কথা , জীবনের কথা , প্রায়শ্চিত্ত্বের কথা ও তাঁর চরিত্রের কথা বলেছি। তাঁর তুলনা তিনি । তাঁর এই প্রকৃতির কারণে তাঁকে আমরা আরাধনা করি, প্রশংসা করি ও ধন্যবাদ করি ।
যীশু নাম কোন ম্যাজিকের নাম না , যাদু করার নাম না কিন্তু ভয়াবহ নাম । যে নামে একদিন প্রতিটি মানুষ জানু পাতবে ও বলবে তিনিই "প্রভু"। তিনি সামান্য জগতের প্রভু না তিনি বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের "প্রভু"।[ ফিলিপীয় ২:১০,১১]
উপসংহার : উপরোক্ত যীশু নামের আশীর্বাদগুলো তাদের জন্যই যারা যীশুকে তাদের ব্যক্তিগত মুক্তিদাতা ও প্রভু হিসাবে স্বীকার করে। তা বিশ্বাসে আশীর্বাদ, অবিশ্বাসে অভিশাপ। ঈশ্বর যে বাণী পবিত্র শাস্ত্রে দিয়েছেন তা বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য। পবিত্র বাইবেল বলে , কারণ তুমি যদি ‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, তবে পরিত্রাণ পাইবে।" (রোমীয় ১০:৯)। তাই প্রতারিত না হয়ে প্রার্থনা পূর্বক চিন্তা করি, ধ্যান করি ও তাঁকে বিশ্বাসে গ্রহণ করি এবং তাঁর জীবন অনুসরণ করি। আমেন।।
Comments
Post a Comment