আদি মণ্ডলীর বিশ্বাস সূত্র
নতুন নিয়ম লেখার পূর্বেও ঈশ্বর-নিশ্বসিত অনেক বিশ্বাস সূত্র লিখিত ও মুখে মুখে প্রচলিত ছিল যা নতুন নিয়মে বিভিন্ন লেখায় স্হান পেয়েছে ।* এই সমস্ত বিশ্বাস সূত্র গুলো মুখস্থ করা হত যেন বিভিন্ন প্রার্থনা সভায় উচ্চারিত হয় ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। নতুন নিয়মের creed গুলো অরামীয় ভাষায় লেখা হয়েছিল কারণ তার বাক্য শৈলী দেখেই বুঝা যায় । যেমন : “I-pass-on-as-I-received” অর্থাৎ আমি যে ভাবে পেয়েছি সে ভাবে দিতেছি *। এই সমস্ত বিশ্বাস সূত্র অনেক সময় কবিতার ছন্দে লেখা হত যেন সহজে মুখস্থ করা যায়।*
🔴বিশ্বাস সূত্র বা Creed কি ?
Creed শব্দটি Latin শব্দ credo থেকে এসেছে যার অর্থ " I Believe" বা আমি বিশ্বাস করি অথবা বহু বচনে "আমরা বিশ্বাস করি।"
শাস্ত্রীয় ভিত্তি: যিহূদী বিশ্বাস সূত্র শেমা( The Shema) এই বিভাগে পড়ে (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪-৯ ও ২৬:৫-৯)।
নতুন নিয়মে আমরা এই রকম বিশ্বাস সূত্র ছিল যা "শিক্ষা" ( ২ থিষলী: ২:১৫), "বাক্য "(গালাতীয় ৬:৬) ও "ঘোষণা " (রোমীয় ১৬:২৫) শব্দ দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে ।**
এই সমস্ত বিশ্বাস সূত্র গুলোর অন্যতম বিশ্বাস সূত্র ছিল :
যীশুই খ্রীষ্ট (যোহন ১:৪১)
যীশুই ঈশ্বরের পুত্র (যোহন ১:৪)
যীশুই প্রভু (রোমীয় ১০:৯)
যীশুই ঈশ্বর (যোহন ২০:২৮ ; রোমীয় ৯:৫; তীত ২:১৩)
যীশুই ঈশ্বরের পুত্র (যোহন ১:৪)
যীশুই প্রভু (রোমীয় ১০:৯)
যীশুই ঈশ্বর (যোহন ২০:২৮ ; রোমীয় ৯:৫; তীত ২:১৩)
পরে আমরা দেখতে পাই, বাপ্তিম্ম দানের বিশ্বাস সূত্র (মথি ২৮:১৯) ।
বিশ্বাস সূত্র বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে :
➡️বাপ্তিম্মের ক্ষেত্রে :
➡️খ্রীষ্টীয় নির্দেশনা:
➡️খ্রীষ্টীয় মতবাদ :
➡️মন্ডলীতে বিশ্বাস স্বীকারোক্তী ( Liturgical ):
➡️খ্রীষ্টীয় নির্দেশনা:
➡️খ্রীষ্টীয় মতবাদ :
➡️মন্ডলীতে বিশ্বাস স্বীকারোক্তী ( Liturgical ):
🔴মন্ডলীর ইতিহাসে প্রাথমিক ভাবে তিনটি বিশ্বাস সূত্রের উপস্থিতি পাওয়া যায় :
প্রৌরিতিক বিশ্বাস সূত্র
নাইসিয়ান বিশ্বাস সূত্র
এথানেসিয়ানের বিশ্বাস সূত্র
নাইসিয়ান বিশ্বাস সূত্র
এথানেসিয়ানের বিশ্বাস সূত্র
🔴নতুন নিয়মের আরও বিশ্বাস সূত্র: এই লেখায় পূর্বে আমরা কিছু দৃষ্টান্ত দিয়েছি এখন আরও কিছু দেখব।
এখানে নতুন নিয়মের কয়েকটি বিশ্বাস সূত্র সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে:
প্রেরিত পৌল নতুন নিয়ম লেখার পূর্ব থেকেই খ্রীষ্ট বিষয়ক শিক্ষা যা বিশ্বাস সূত্র আকারে ছিল সেখান থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন ।
প্রথমত: প্রভুর ভোজের শিক্ষা :
প্রেরিত পৌল ১ করিন্হীয় ১১: ২৩-২৯
তিনি বলেছেন,
তিনি বলেছেন,
"কারণ আমি প্রভু হইতে এই শিক্ষা পাইয়াছি এবং তোমাদিগকে সমর্পণও করিয়াছি যে, প্রভু যীশু যে রাত্রিতে সমর্পিত হন, সেই রাত্রিতে তিনি রুটি লইলেন,------" ২৩ পদ ।।
দ্বিতীয়তঃ খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান বিষয়ক সুসমাচারের শিক্ষা :
ফলতঃ প্রথম স্থলে আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা সমর্পণ করিয়াছি, এবং ইহা আপনিও পাইয়াছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন, ও কবর প্রাপ্ত হইলেন,
আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন;"( ১ করি:১৫:৩,৪)
আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন;"( ১ করি:১৫:৩,৪)
তৃতীয়ত: প্রভু যীশুর মাংসে আগমন সম্পর্কে:
"আর ভক্তির নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, ইহা সর্বসম্মত, যিনি মাংসে প্রকাশিত হইলেন, আত্মাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হইলেন, দূতগণের নিকট দর্শন দিলেন, জাতিগণের মধ্যে প্রচারিত হইলেন, জগতে বিশ্বাস দ্বারা গৃহীত হইলেন, সপ্রতাপে ঊর্ধ্বে নীত হইলেন।"
(১ তীম: ৩:১৬)
(১ তীম: ৩:১৬)
চতুর্থত : খ্রীষ্টের পুনরুত্থান সম্পর্কে:
"যীশু খ্রীষ্টকে স্মরণ কর; আমার সুসমাচার অনুসারে তিনি মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত, দায়ূদের বংশজাত;"
(২ তীমথিয় ২:৮)
পঞ্চমতঃ খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্ত্ব ও নম্রতা : " ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকিতে তিনি ঈশ্বরের সহিত সমান থাকা ধরিয়া লইবার বিষয় জ্ঞান করিলেন না,কিন্তু আপনাকে শূন্য করিলেন, দাসের রূপ ধারণ করিলেন, মনুষ্যদের সাদৃশ্যে জন্মিলেন;
এবং আকার প্রকারে মনুষ্যবৎ প্রত্যক্ষ হইয়া আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন।এই কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে অতিশয় উচ্চপদান্বিতও করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমুদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ;যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের ‘‘সমুদয় জানু পাতিত হয়,এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।"
এবং আকার প্রকারে মনুষ্যবৎ প্রত্যক্ষ হইয়া আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন।এই কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে অতিশয় উচ্চপদান্বিতও করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমুদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ;যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের ‘‘সমুদয় জানু পাতিত হয়,এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।"
(ফিলিপীয় ২:৬-১১)।
ইহা ছাড়াও প্রেরিত পুস্তকে সাধু পিতর ও পৌলের উপদেশেও বিশ্বাস সূত্র গুলো পাওয়া যায় ।
🔴বিশ্বাস সূত্রের গুরুত্ব: প্রকৃত বিশ্বাস সূত্র, খ্রীষ্টীয় মতবাদ গুলোর পবিত্রতা রক্ষা করে ও ভ্রান্ত শিক্ষা বিষয়ে সচেতন করে ও মান্ডলিক জীবনে বিশ্বাস অনুশীলন সঠিক ভাবে করতে সাহায্য করে। যে কোন বিশ্বাস সূত্র খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসীদের শাস্ত্রীয় বাক্যের আলোকে পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয় ।
🔴🌎🔴উপসংহার: এ সমস্ত বিশ্বাস সূত্র গুলো প্রায় খ্রিস্টীয় ত্রিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে লেখা হয় যা খ্রীষ্টের মৃত্যু ও পুনরুত্থানের পর পরই । সেজন্য সমালোচকরা যতই নতুন নিয়মের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলুক না কেন অনেক Crtical Scholars কিন্তু স্বীকার করে যে নতুন নিয়মের বিশ্বাস সূত্র গুলো চাক্ষুষ সাক্ষীর সাক্ষ্য । সেই জন্য খ্রীষ্টভক্তগণ প্ নতুন নিয়মের বিশ্বাস সূত্র গুলো বিশ্বাস করে ধন্য ও পূর্ণ হতে পারে। আমেন ।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Comments
Post a Comment