খ্রীষ্টই সেই সঙ্কীর্ণ দ্বার
✝ভূমিকা : প্রভু যীশু তাঁর পর্বতে দত্ত উপদেশের প্রায় শেষের দিকে বলেছিলেন,
"সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে;কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়।"
[মথি ৭:১৩-১৪]।
"সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে;কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়।"
[মথি ৭:১৩-১৪]।
এখানে যীশু তৎকালীন ফরীশি , সূদ্দকী ও অধ্যাপকদের পথের সাথে তাঁর পথের বা সংকীর্ণ দ্বারের পার্থক্য আলোচনা করেছেন । তাদের নিজেদের সম্পর্কে ধারণা ছিল এরকম ,
"যাহারা আপনাদের উপরে বিশ্বাস রাখিত, মনে করিত যে, তাহারাই ধার্মিক, এবং অন্য সকলকে হেয় জ্ঞান করিত, ---(লূক ১৮:৯)।
"যাহারা আপনাদের উপরে বিশ্বাস রাখিত, মনে করিত যে, তাহারাই ধার্মিক, এবং অন্য সকলকে হেয় জ্ঞান করিত, ---(লূক ১৮:৯)।
কিন্তু তাদের মত অনেকেই আছেন যারা এখনও ধৌত হয় নাই।
"এক বংশ আছে, তাহারা আপনাদের দৃষ্টিতে শুচি, তবু আপনাদের মালিন্য হইতে ধৌত হয় নাই।"
[হিতোপদেশ ৩০:১২]
[হিতোপদেশ ৩০:১২]
প্রকৃতপক্ষে তারা নিজ ধার্মিকতায় স্থাপনে মনোনিবেশ করেছিলেন যা ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল না। আজকে এই প্রবন্ধে খ্রীষ্টের সংকীর্ণ দ্বার নিয়ে আলোচনা করব যেন পাপী মানুষ সে দ্বারে প্রবেশ করে অনন্ত আবাস খুঁজে পায়।
🔶️✝প্রভু যীশু এই পদ গুলোতে কি বলতে চেয়েছেন ?
যীশুর কথা একদম পরিষ্কার । তিনি দুইটি দরজার কথা বলেছেন যা স্বর্গ ও নরকের কথা বলে। এই পদ সম্পর্কে John Macarthur বলেন , "যীশু এখানে ধর্ম ও পৌত্তলিকথার মধ্যে পার্থক্য করে নাই ; ধার্মিকতা ও ঘোষিত অধার্মিকতার কথা বলে নাই । যীশু এখানে স্বর্গীয় ধার্মিকতা ও মানুষের ধার্মিকতা কথা , স্বর্গীয় ধর্ম ও মানুষের ধর্মের কথা, সত্যের ধর্ম ও মিথ্যার ধর্মের কথা বলেছেন । " ( ☆john MacArthur sermon on Matthew 7:13-14)
তিনি আরও বলেন যে ,পৃথিবীতে আপনি হয়ত দশহাজার ধর্ম ও ধর্মীয় মতবাদের নাম বলতে পারবেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ধর্ম দু'টো:
🔶️ক) স্বর্গীয় সম্পাদিত ধর্ম যা তিনি খ্রীষ্টে সম্পাদন করেছেন । এই ধর্ম অনুগ্রহের , বিশ্বাসের ,হৃদয়ের , যেখানে পরিত্রাণ করার জন্যে একজন ত্রাণকর্তা রয়েছে ।☆
🔶️ক) স্বর্গীয় সম্পাদিত ধর্ম যা তিনি খ্রীষ্টে সম্পাদন করেছেন । এই ধর্ম অনুগ্রহের , বিশ্বাসের ,হৃদয়ের , যেখানে পরিত্রাণ করার জন্যে একজন ত্রাণকর্তা রয়েছে ।☆
🔶️খ) মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত ধর্ম : তা নিজ কর্তৃক ধার্মিকতা অর্জনের ধর্ম, মাংসিক ধর্ম, বাহ্যিক দেখানোর ধর্ম। মানুষ কর্তৃক তৈরী ধর্ম যেখানে পরিত্রাণ কর্তার প্রয়োজন নেই । এখানে মনে করা হয় - মানুষের সেই সামর্থ্য আছে ধার্মিকতা অর্জনের । সেইজন্য তারা সেরকম ধর্মীয় পরিবেশের সৃষ্টি করে, কিছু ধর্মীয় রীতিনীতি, কিছু রুটিন মাফিক নিয়ম , ধর্মীয় কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করার দিবা রাত চেষ্টা করেন যা মানুষের অর্জিত ধর্ম যা বিভিন্ন শিরোনামে জগতে পরিচিত হলেও তার রয়েছে একটি উৎস : শয়তান থেকে আগত। তা পরিবেশনের জন্য বিভিন্ন packet ব্যবহার করা হয় কিন্তু উপাদান একই। ☆
এ ছাড়াও তিনি আরও মনে করেন, "True religion comes in one form, and that is the Word of God, and the work of Christ, and the gospel. False religion comes in endless forms." ( প্রকৃত ধর্ম প্রকাশিত হয় একটি পন্থায় যা ঈশরের বাক্য ও সুসমাচার দ্বারা । কিন্তু মিথ্যা ধর্ম প্রকাশিত হয় অসংখ্য পন্থায়।)☆
✝ মানুষের পক্ষে কি ঈশ্বরের ধার্মিকতা অর্জন করা সম্ভব?
যীশু একটি দৃষ্টান্ত দিয়েছিলেন একজন ফরীশি( যিহূদী একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়) ও পাপী করগ্রাহীর প্রার্থনা সম্পর্কে ।
ফরীশি তার প্রার্থনায় তার নিজস্ব আত্ম-ধার্মিকতা সম্পর্কে এভাবেই বলেছেন,
"হে ঈশ্বর, আমি তোমার ধন্যবাদ করি যে, আমি অন্য সকল লোকের- উপদ্রবী, অন্যায়ী ও ব্যভিচারীদের- মত কিম্বা ঐ করগ্রাহীর মত নহি;আমি সপ্তাহের মধ্যে দুই বার উপবাস করি, সমস্ত আয়ের দশমাংশ দান করি।"
"হে ঈশ্বর, আমি তোমার ধন্যবাদ করি যে, আমি অন্য সকল লোকের- উপদ্রবী, অন্যায়ী ও ব্যভিচারীদের- মত কিম্বা ঐ করগ্রাহীর মত নহি;আমি সপ্তাহের মধ্যে দুই বার উপবাস করি, সমস্ত আয়ের দশমাংশ দান করি।"
অন্য দিকে করগ্রাহী এভাবে প্রার্থনা করেছে ,
"কিন্তু করগ্রাহী দূরে দাঁড়াইয়া স্বর্গের দিকে চক্ষু তুলিতেও সাহস পাইল না, বরং সে বক্ষে করাঘাত করিতে করিতে কহিল, হে ঈশ্বর, আমার প্রতি, এই পাপীর প্রতি দয়া কর।"
যীশু পরে দু'জন সম্পর্কে বলেছেন,
"আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এই ব্যক্তি (করগ্রাহী) ধার্মিক গণিত হইয়া নিজ গৃহে নামিয়া গেল, ঐ ব্যক্তি নয়;( আত্মধার্মিক ফরীশি নয়)।"
সত্যিকার অর্থে প্রভু যীশু উপবাস , প্রার্থনা ও দানের বিরুদ্ধে নয় বরং তিনি ফরীশি ও করগ্রাহীর মনোভাবের ঘৃণ্য নীতির প্রকাশ ঘটিয়েছেন । ঈশ্বর তাঁর মনোনীত জাতি ইস্রায়েল জাতিকে ব্যবস্থা বা আইনকানুন দিয়েছিলেন যেন বুঝাতে পারেন মানুষ তা পালনে অক্ষম এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে দয়া দরকার । কিন্তু ফরীশিরা তা অন্বেষণ না করে তারা আরও বেশী বেশী আইন তৈরী করেছে যা সাধনে কোন ধার্মিকতা নেই বরং মানুষের উপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া ।
সাধু পৌল এ সম্পর্কে বলেছেন,
🔴"যেহেতু ব্যবস্থার কার্য দ্বারা কোন প্রাণী তাঁহার সাক্ষাতে ধার্মিক গণিত হইবে না, কেননা ব্যবস্থা দ্বারা পাপের জ্ঞান জন্মে।" (রোমীয় ৩:২০)
প্রেরিত পৌল এ সম্পর্কে আরও বলেন ,
♥️"তথাপি বুঝিয়াছি, ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়। সেই জন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হইয়াছি, যেন ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হই; কারণ ব্যবস্থার কার্য হেতু কোন মনুষ্য ধার্মিক গণিত হইবে না।"
(গালাতীয় ২:১৬)
(গালাতীয় ২:১৬)
🥁🥁🥁ব্যবস্থা কি খারাপ ?
📣📣📣আদৌ না কারণ "-- ব্যবস্থা পবিত্র, এবং আজ্ঞা পবিত্র, নায্য ও উত্তম।" [রোমীয় ৭:১২]
🚸🚸🚸↗️↗️ব্যবস্থার কাজ মানুষের পাপ দেখিয়ে দেওয়া এবং স্কুল মাস্টারের বা পরিচালনাকারী মতোই যা খ্রীষ্টের দিকে পরিচালনা করে যেন ঈশ্বরের ধার্মিকতা অর্জন করতে পারে।
এ সম্পর্কে পৌল বলেছেন,
এ সম্পর্কে পৌল বলেছেন,
"তাহলে দেখা যায়, খ্রীষ্টের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য এই আইন-কানুনই আমাদের পরিচালনাকারী, যেন বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমাদের নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয়।"
[গালাতীয় ৩:২৪]
[গালাতীয় ৩:২৪]
"আইন-কানুন বরং বলে, “যে লোক আইন-কানুন মতে চলে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”
কিন্তু পাপী মানুষ আইনকানুন পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে যার কারণে সবাই শাপগ্রস্হ। কারণ পবিত্র বাক্য আমাদের শিক্ষা দেয়,
😩"কারণ যে কেহ সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে, কেবল একটি বিষয়ে উছোট খায়, সে সকলেরই দায়ী হইয়াছে।" (যাকোব ২:১০)
👉'বাস্তবিক যাহারা ব্যবস্থার ক্রিয়াবলম্বী, তাহারা সকলে শাপের অধীন, কারণ লেখা আছে, ‘‘যে কেহ ব্যবস্থাগ্রন্থে লিখিত সমস্ত কথা পালন করিবার জন্য তাহাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্ত”।'(গালাতীয় ৩:১০)।
কিন্তু খ্রীষ্ট তাঁর ক্রুশে জীবন দানের মধ্য দিয়ে শাপমুক্ত করে সেই সংকীর্ণ পথ আমাদের জন্য উন্মোচন করেছেন,
👉"খ্রীষ্টই মূল্য দিয়া আমাদিগকে ব্যবস্থার শাপ হইতে মুক্ত করিয়াছেন, কারণ তিনি আমাদের নিমিত্তে শাপস্বরূপ হইলেন; কেননা লেখা আছে, ‘‘যে ব্যক্তিকে গাছে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত” ; (গালাতীয় ৩:১৩)।
আবারও প্রশ্ন আসে ব্যবস্থা দ্বারা ধার্মিকতা অর্জন করা সম্ভব ? অবশ্যই না কারণ তাহলে খ্রীষ্টকে ক্রুশে প্রাণ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না ,
👉"কারণ ব্যবস্থা দ্বারা যদি ধার্মিকতা হয়, তাহা হইলে খ্রীষ্ট অকারণে মরিলেন।"
(গালাতীয় ২:২১)
(গালাতীয় ২:২১)
খ্রীষ্ট তাঁর সেই নতুন ও জীবন্ত পথ খুলে দিয়েছেন যেন আমরা বিশ্বাসে প্রবেশ করে সে সংকীর্ণ পথে বিশ্বাসে পা রাখি।
তাইত ইব্রীয় লেখক আমাদের শিক্ষা দেয়,
👉"খ্রীষ্ট আমাদের জন্য একটা নতুন ও জীবন্ত পথ খুলে দিয়েছেন, যেন আমরা পর্দার মধ্য দিয়ে, অর্থাৎ তাঁর দেহের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত হতে পারি।" (ইব্রীয় ১০:২০)
অন্যদিকে যীশু নিশ্চিত করেছেন সংকীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করার লোক সংখ্যা কম । যীশু যখন প্রচার করতে ছিলেন তখন এক ব্যক্তি দেখতে ছিল সুসমাচারে কম সংখ্যক লোক শুনেছিলেন ও গ্রহণ করতে ছিলেন। তিনি হয়ত হতাশও হয়েছিলেন তাই তিনি বলেছিলেন
👉😩"তখন এক ব্যক্তি তাঁহাকে বলিল, প্রভু, যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছে, তাহাদের সংখ্যা কি অল্প?
তখন যীশু প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন,
"তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ করিতে প্রাণপণ কর; কেননা আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, অনেকে প্রবেশ করিতে চেষ্টা করিবে, কিন্তু পারিবে না।"
(লূক ১৩:২৩-২৪)
(লূক ১৩:২৩-২৪)
যীশু এখানে সংকীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রবেশের জন্য প্রাণপণ করতে বলেছেন ।
🌋🌋🌋তা কিভাবে ?
প্রেরিত পৌল তা তুলনা করেছেন একজন ক্রিয়াবিদের সাথে , "আর যে কেহ মল্লযুদ্ধ করে, সে সর্ববিষয়ে ইন্দ্রিয়দমন করে। তাহার ক্ষয়ণীয় মুকুট পাইবার জন্য তাহা করে, কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুট পাইবার জন্য করি।"
প্রেরিত পৌল আরও বলেন ,
"ইপাফ্রা তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছেন, তিনি ত তোমাদেরই একজন, খ্রীষ্ট যীশুর দাস; তিনি সতত প্রার্থনায় তোমাদের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছেন, যেন তোমরা ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে সিদ্ধ ও কৃতনিশ্চয় হইয়া দাঁড়াইয়া থাক।"
(কলসীয় ৪:১২)
"বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।"
(১ তীম: ৬:১২)
(১ তীম: ৬:১২)
যীশু আরও বলেছেন, "যদি কেহ আমার নিকটে আইসে, আর আপন পিতা,মাতা, স্ত্রী, সন্তানসন্ততি, ভ্রাতৃগণ, ও ভগিনীগণকে এমন কি নিজ প্রাণকেও অপ্রিয় জ্ঞান না করে, তবে সে আমার শিষ্য হইতে পারে না।"
(লূক ১৪:২৬)
(লূক ১৪:২৬)
তার মানে সংকীর্ণ দ্বারের আত্মিক জীবন যুদ্ধের জীবন , মন্দতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের জীবন, সতত প্রার্থনার জীবন ও শিষ্যত্বের মূল্য পরিশোধের জীবন ।
👉👉👉যীশু আদেশ দিয়েছেন সংকীর্ণ দ্বার দিয়ে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে ।
তবে কেন ?
তবে কেন ?
প্রথমত : প্রভু যীশুই একমাত্র পথ:
যীশু বলেছেন, অন্য কোনো পথ না । অন্য পথ গুলো স্বর্গের নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিন্তু আসলে নরকে নিয়ে যাবে । কেননা যীশু বলেন,
যীশু বলেছেন, অন্য কোনো পথ না । অন্য পথ গুলো স্বর্গের নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিন্তু আসলে নরকে নিয়ে যাবে । কেননা যীশু বলেন,
➡️"--আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না।"[যোহন ১৪:৬]
দ্বিতীয়ত : কেননা তিনিই একমাত্র পরিত্রাণ কর্তা: তাঁকে বিশ্বাসে ও গ্রহণে পাপী ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার গৌরব অর্জন করে ( যোহন ১:১২) । তাঁকে পরিত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে তিনিই " প্রভু " । (রোমীয় ১০:৯,১০)
🔴এই বিশ্বাস কিভাবে আসে ?
খ্রীষ্ট সম্পর্কে সত্য শ্রবণের মধ্য দিয়ে (রোমীয় ১০:১৭)
"অতএব বিশ্বাস শ্রবণ হইতে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্য দ্বারা হয়।"
তৃতীয়তঃ খ্রীষ্টই একমাত্র মধ্যস্থতাকারী:
পাপী মানুষের সাথে পবিত্র ঈশ্বরের সাথে সম্মিলন করার মত কারও যোগ্যতা নেই কারণ সবাই পাপ করেছে, ঈশ্বরের জীবন যাপনে ব্যর্থ হয়েছে । তাই এমন একজন প্রয়োজন ছিল যিনি হবেন পবিত্র । তাই যীশুই একমাত্র সেই মধ্যস্থতাকারী বা সম্মিলনকারী ।
" কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন,"
(১ তীম:২:৫)।
(১ তীম:২:৫)।
চতুর্থত : আর কোন নাম নেই যে নামে মানুষ পরিত্রাণ পেতে পারে :
আমরা হয়ত অনেক ব্যক্তির নাম বলতে পারব যারা পৃথিবীতে অমর হয়ে আছে । কিন্তু তাদের মধ্য দিয়ে পরিত্রাণ আসেনি কিন্তু যীশু নামে ।
" আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নিচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে।"
[প্রেরিত ৪:১২]
[প্রেরিত ৪:১২]
পঞ্চমত : তিনিই উত্তম মেষপালক:
খ্রীষ্ট প্রকৃত পরিত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাসীদের পালনকর্তা । শুধু তাই নয় তিনি তাদের জন্য জীবনও উৎসর্গ করেছেন । তাইত প্রভু যীশু বলেন ,
"আমিই উত্তম মেষপালক; উত্তম মেষপালক মেষদের জন্য আপন প্রাণ সমর্পণ করে।"
(যোহন ১০:১১)
মূলতঃ তিনিই সেই প্রকৃত ও সংকীর্ণ দ্বার যার মধ্য পরিত্রাণ রচিত হয়েছে যেখানে আশীর্বাদে পূর্ণ ।
এ সম্পর্কে প্রভু যীশু বলেন,
(যোহন ১০:১১)
মূলতঃ তিনিই সেই প্রকৃত ও সংকীর্ণ দ্বার যার মধ্য পরিত্রাণ রচিত হয়েছে যেখানে আশীর্বাদে পূর্ণ ।
এ সম্পর্কে প্রভু যীশু বলেন,
🔶️ "আমিই দ্বার, আমা দিয়া যদি কেহ প্রবেশ করে, সে পরিত্রাণ পাইবে, এবং ভিতরে আসিবে ও বাহিরে যাইবে ও চরাণী পাইবে।"
[যোহন ১০:৯]
[যোহন ১০:৯]
🌍🌐🌍উপসংহার: প্রভুর বাক্য আমাদের মনোনীত করতে বলেন আপনি সংকীর্ণ অর্থাৎ জীবনের পথে নাকি প্রশস্ত অর্থাৎ মৃত্যুর পথে যাবেন,
"সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, তোমাদের সম্মুখে আমি জীবনের পথ ও মৃত্যুর পথ রাখিতেছি।" [যিরমিয় ২১:৮]।
সেজন্য আজকে আপনার জন্য পরম সুযোগ সংকীর্ণ পথ মনোনয়ন করার যা প্রভু যীশু সেই পথ তাঁর রক্ত দিয়ে তৈরী করেছেন । সেইপথ সংকীর্ণ কিন্তু আপনাকে দিবে পাপ ক্ষমার নিশ্চয়তা, আত্মিক শান্তি, মন্দতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য পবিত্র আত্মা ও ঈশ্বরের জীবন্ত বাক্য । জীবনে ছন্দ পতন ও পতন আসতে পারে কিন্তু প্রভুই পড়ে গেলে উঠবার শক্তি ও সামর্থ্যসহ বিভিন্ন পবিত্র আত্মার দান দেন যেন সংকীর্ণ পথে চলতে পারি। তাই প্রভুর প্রদত্ত পথ আজই আসতে পারেন ও পরিত্রাণের নিশ্চিয়তা পেতে পারেন । প্রভুর বাক্য এই কথা বলে,
"সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, তোমাদের সম্মুখে আমি জীবনের পথ ও মৃত্যুর পথ রাখিতেছি।" [যিরমিয় ২১:৮]।
সেজন্য আজকে আপনার জন্য পরম সুযোগ সংকীর্ণ পথ মনোনয়ন করার যা প্রভু যীশু সেই পথ তাঁর রক্ত দিয়ে তৈরী করেছেন । সেইপথ সংকীর্ণ কিন্তু আপনাকে দিবে পাপ ক্ষমার নিশ্চয়তা, আত্মিক শান্তি, মন্দতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য পবিত্র আত্মা ও ঈশ্বরের জীবন্ত বাক্য । জীবনে ছন্দ পতন ও পতন আসতে পারে কিন্তু প্রভুই পড়ে গেলে উঠবার শক্তি ও সামর্থ্যসহ বিভিন্ন পবিত্র আত্মার দান দেন যেন সংকীর্ণ পথে চলতে পারি। তাই প্রভুর প্রদত্ত পথ আজই আসতে পারেন ও পরিত্রাণের নিশ্চিয়তা পেতে পারেন । প্রভুর বাক্য এই কথা বলে,
🔶️" কারণ তুমি যদি ‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, তবে পরিত্রাণ পাইবে।"
(রোমীয় ১০:৯)।
(রোমীয় ১০:৯)।
তাই আর দেরি নয়, যীশুকে "প্রভু" ও "ত্রাণকর্তা" হিসাবে গ্রহণের মধ্য দিয়ে সেই সংকীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রভুর রাজ্যে প্রবেশ করি যেন স্বর্গীয় আশীর্বাদ গ্রহণ করতে পারি ।।আমেন ।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.

Comments
Post a Comment