প্রভু যীশুর ঈশ্বরত্ত্বের প্রমাণ
✝ভূমিকা: অনেকে বলে প্রভু যীশু কখনও বলেনি যে " আমি ঈশ্বর " সত্যি কি তাই ? পবিত্র নতুন নিয়ম আমাদের অনেক অনেক প্রমাণ দেয় , ঈশ্বরের যে সব ক্ষমতা, পরাক্রম, শক্তি ও গুণাবলি থাকা প্রয়োজন তার সবগুনই প্রভু যীশুর আছে ।
প্রেরিত পৌল বলেছেন,
"কেননা তাঁহাতেই ( খ্রীষ্টেত্বে) ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা দৈহিকরূপে বাস করে;"
[কলসীয় ২:৯]
তাই প্রভু যীশু ঈশ্বর- যিনি পুত্র ঈশ্বর (ত্রিত্ব ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তি)। তিনি মানব দেহ ধারণের জন্য তিনি ঈশ্বর-মানবও বটে যা ধর্ম তাত্ত্বিক ভাষায় Hypostasis Union বলা হয় । কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্ব বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব।
[কলসীয় ২:৯]
তাই প্রভু যীশু ঈশ্বর- যিনি পুত্র ঈশ্বর (ত্রিত্ব ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তি)। তিনি মানব দেহ ধারণের জন্য তিনি ঈশ্বর-মানবও বটে যা ধর্ম তাত্ত্বিক ভাষায় Hypostasis Union বলা হয় । কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্ব বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব।
✝যীশু নিজেকে পুত্র ঈশ্বর হিসেবে দেখেছেন :
যখন প্রেরিত থোমা বলেছিলেন , “থোমা উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, প্রভু আমার, ঈশ্বর আমার!” (যোহন ২০ : ২৮) । এখানে প্রভু যীশুকে ঈশ্বর বলে শিষ্য থোমা আখ্যায়িত করেছেন যা যীশু অস্বীকার করেননি ।।
✝পিতা ও পুত্র সমান বা সমকক্ষ (যোহন ১০:৩০) ।
✝ যীশু বিশ্রাম বারের কর্তা যেমন পিতা ঈশ্বর (যোহন ৫ : ১৮) ।
✝খ্রীষ্টের পাপ ক্ষমা করার অধিকার আছে যেমন ঈশ্বরের আছে (মার্ক ২ : ৫) পদ ।
✝ খ্রীষ্ট অনন্তকালীন বাক্য হিসেবে ঈশ্বর যিনি পিতা ঈশ্বরের সাথে সর্ব সময় আছেন (যোহন ১: ১) ।
✝ খ্রীষ্ট পবিত্র দোষহীন যেমন পিতা ঈশ্বর (যোহন ৮:৪৬) ।
✝ যীশু বিশ্রাম বারের কর্তা যেমন পিতা ঈশ্বর (যোহন ৫ : ১৮) ।
✝খ্রীষ্টের পাপ ক্ষমা করার অধিকার আছে যেমন ঈশ্বরের আছে (মার্ক ২ : ৫) পদ ।
✝ খ্রীষ্ট অনন্তকালীন বাক্য হিসেবে ঈশ্বর যিনি পিতা ঈশ্বরের সাথে সর্ব সময় আছেন (যোহন ১: ১) ।
✝ খ্রীষ্ট পবিত্র দোষহীন যেমন পিতা ঈশ্বর (যোহন ৮:৪৬) ।
এখন আমরা খ্রীষ্টের গুণাবলি গুলো পুরাতন নিয়মের ঈশ্বর যে দাবিগুলো করেছেন তা তুলনা করব : কারণ,
✝"ঈশ্বরের সব গুণ সেই পুত্রের মধ্যেই রয়েছে; পুত্রই ঈশ্বরের পূর্ণ ছবি। পুত্র তাঁর শক্তিশালী বাক্যের দ্বারা সব কিছু ধরে রেখে পরিচালনা করেন। মানুষের পাপ দূর করবার পরে পুত্র স্বর্গে মহান ঈশ্বরের ডান পাশে বসলেন।"
[ইব্রীয় ১:৩]
[ইব্রীয় ১:৩]
পুরাতন নিয়মে ঈশ্বরের যে দাবী প্রভু যীশু তা দাবী করেছেন:
✝প্রথমত : কে প্রথম এবং শেষ?
যিশাইয় ৪৪: ৬ "সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের রাজা, তাহার মুক্তিদাতা, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমিই আদি, আমিই অন্ত, আমি ভিন্ন আর কোন ঈশ্বর নাই।"
যীশুও একই দাবী করেন,
"তাঁহাকে দেখিবামাত্র আমি মৃতবৎ হইয়া তাঁহার চরণে পড়িলাম। তখন তিনি আমার গাত্রে দক্ষিণ হস্ত দিয়া কহিলেন, ভয় করিও না, আমি প্রথম ও শেষ ও জীবন্ত;
আমি মরিয়াছিলাম, আর দেখ, আমি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত; আর মৃত্যুর ও পাতালের চাবি আমার হস্তে আছে।"
(প্রকাশিত বাক্য ১:১৭- ১৮)
আমি মরিয়াছিলাম, আর দেখ, আমি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত; আর মৃত্যুর ও পাতালের চাবি আমার হস্তে আছে।"
(প্রকাশিত বাক্য ১:১৭- ১৮)
✝দ্বিতীয়ত : যীশুই শেষ বিচারক :
পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর বলেন,
"জাতিগণ জাগিয়া উঠুক, যিহোশাফট-তলভূমিতে আইসুক, কেননা সেই স্থানে আমি চারিদিকের সমস্ত জাতির বিচার করিতে বসিব।"
(যোয়েল ৩:১২)
"জাতিগণ জাগিয়া উঠুক, যিহোশাফট-তলভূমিতে আইসুক, কেননা সেই স্থানে আমি চারিদিকের সমস্ত জাতির বিচার করিতে বসিব।"
(যোয়েল ৩:১২)
এ সম্পর্কে প্রভু যীশু কি বলেন ?
"আর যখন মনুষ্যপুত্র সমুদয় দূত সঙ্গে করিয়া আপন প্রতাপে আসিবেন, তখন তিনি নিজ প্রতাপের সিংহাসনে বসিবেন।আর সমুদয় জাতি তাঁহার সম্মুখে একত্রীকৃত হইবে; পরে তিনি তাহাদের একজন হইতে অন্য জনকে পৃথক করিবেন, যেমন পালরক্ষক ছাগ হইতে মেষ পৃথক করে;"
(মথি ২৫ :৩১-৩২)
(মথি ২৫ :৩১-৩২)
তিনি যে বিচার করবেন তার প্রমাণ পবিত্র শাস্ত্র প্রমাণ দেয় তাঁর ব্যক্তিগত পুনরুত্থান,
"কেননা তিনি একটি দিন স্থির করিয়াছেন, যে দিনে আপনার নিরূপিত ব্যক্তি দ্বারা ন্যায়ে জগৎ সংসারের বিচার করিবেন; এই বিষয়ে সকলের বিশ্বাস যোগ্য প্রমাণ দিয়াছেন, ফলতঃ মৃতগণের মধ্য হইতে তাঁহাকে উঠাইয়াছেন।"
(প্রেরিত ১৭:৩১)
(প্রেরিত ১৭:৩১)
✝ তৃতীয়ত : প্রকৃত সত্য কে ?
পুরাতন নিয়ম সাক্ষ্য দেয়, ঈশ্বরই সত্যের ঈশ্বর ।
পুরাতন নিয়ম সাক্ষ্য দেয়, ঈশ্বরই সত্যের ঈশ্বর ।
"আমি তোমার হস্তে আমার আত্মা সমর্পণ করি; সদাপ্রভু, সত্যের ঈশ্বর, তুমি আমাকে মুক্ত করিয়াছ।
(গীত ৩১:৫)
(গীত ৩১:৫)
নতুন নিয়ম সাক্ষ্য দেয় খ্রীষ্টই সেই সত্য যাকে ছাড়া স্বর্গে যাওয়া সম্ভব নয় ।
"যীশু তাহাকে বলিলেন, আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না।"
(যোহন ১৪:৬ )
(যোহন ১৪:৬ )
✝চতুর্থত: কে মৃতদের পুনরুত্থান ও নতুন জীবন দান করেন ?
পুরাতন নিয়ম এ সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয় ,
"সদাপ্রভু মারেন ও বাঁচান, তিনি পাতালে নামান ও ঊর্ধ্বে তুলেন।"
(১ শমূয়েল ২:৬)
তদ্রূপ খ্রীষ্টও একই ক্ষমতার অধিকারী :
"সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এমন সময় আসিতেছে, বরং এখন উপস্থিত, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনিবে, এবং যাহারা শুনিবে, তাহারা জীবিত হইবে। কেননা পিতার যেমন আপনাতে জীবন আছে, তেমনি তিনি পুত্রকেও আপনাতে জীবন রাখিতে দিয়াছেন।"
[যোহন ৫:২৫-26]
শুধু তাই নয় তিনি নিজেই পুনরুত্থান ও জীবন ।
"যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন; যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরিলেও জীবিত থাকিবে;"
(যোহন ১১:২৫)
(যোহন ১১:২৫)
✝পঞ্চমত : ঈশ্বর সব জায়গায় আছেন :
পুরাতন নিয়ম আমাদের জানায় ,
পুরাতন নিয়ম আমাদের জানায় ,
"সদাপ্রভুর চক্ষু সর্বস্থানেই আছে, তাহা অধম ও উত্তমদের প্রতি দৃষ্টি রাখে।" (হিতোপদেশ ১৭:৩)
একই ভাবে খ্রীষ্টের উপস্থিতি দেখতে পাই,
"কেননা যেখানে দুই কি তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাহাদের মধ্যে আছি।"
(মথি ১৮:২০)
(মথি ১৮:২০)
প্রকৃতপক্ষে, পুরাতন নিয়মে ঈশ্বরের যেসব গুণাবলি থাকা প্রয়োজন তা প্রভু যীশুর মধ্যে উপস্থিত । তাই তিনি ঈশ্বর । বস্তুত: খ্রীষ্টের যে দাবী ঈশ্বর ছাড়া কোন নবী , সাধু পুরুষ বা অন্য কেউ দাবী করতে পারে নাই ।
✝এইভাবে খ্রীষ্টের ঈশরত্বের আরও প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে :
1.একমাত্র ঈশ্বরের বিরুদ্ধে নিন্দা ( Blasphemy) করা, যা খ্রীষ্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (মথি ১২:৩১-৩২)
2.ঈশ্বরের প্রতি যেমন সমর্পিত হতে তদ্রূপ খ্রীষ্টের ক্ষেত্রে (মথি ১৬:২৪)
3.পিতা ঈশ্বরের মত পুত্র ঈশ্বরও মহিমা ও গৌরব দেখেছেন (মথি ১৭:৫)
4.ঈশ্বরের মত তিনিও প্রভু হিসাবে দাবী করেছেন (মথি ২২:৪১-৪৫)
5.মসীহ ও স্বর্গীয় ব্যক্তি হিসাবে প্রভু যীশু দাবী করেছেন যিনি ঈশ্বরের মতই আরাধনা পাওয়ায় যোগ্য (দানিয়েল ৭:১৩-১৪ তুলনীয় মার্ক ১৪:৬১)
6.যীশু সব দেখেন ও সব জানেন যেমন ঈশ্বর সব দেখেন ও সব জানেন (যোহন ১:৪৭-৫১)
6.যীশু সব দেখেন ও সব জানেন যেমন ঈশ্বর সব দেখেন ও সব জানেন (যোহন ১:৪৭-৫১)
7.ঈশ্বর যেমন অনন্ত জীবন দাতা যীশুও তদ্রূপ অনন্ত জীবনদাতা (যোহন ৪:১৩-১৪)
এভাবে অনেক প্রমাণ দেওয়া সম্ভব কিন্তু এখানে কতিপয় শক্তিশালী ও বিশ্বাস যোগ্য প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যেন সম্মানিত পাঠকবর্গ পবিত্র আত্মার মধ্য দিয়ে পর্যালোচনা ও পবিত্র শাস্ত্রের সত্যের আলোতে চিন্তা করতে পারেন ও সত্যকে গ্রহণ করতে পারেন।
✝✝✝উপসংহার: একজন খ্রীষ্টভক্ত হিসাবে প্রভু যীশুর ঈশ্বরত্ব বিশ্বাস হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাসের স্তম্ভ । যীশুর ঈশ্বরত্ব বিশ্বাস ছাড়া খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়াও সম্ভব না। প্রকৃতপক্ষে , এ বিশ্বাস প্রভুর দেওয়া দান যেন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা খ্রীষ্টের রাজ্যের অনন্তকাল ধরে থাকতে পারে । এখন আমরা অনেক কিছুই অস্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কিন্তু তাঁর আগমনে আমরা সামনাসামনি স্পষ্ট দেখতে পারব । তবুও পবিত্র শাস্ত্রের মধ্য দিয়ে যতটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য দলিল তা আমাদের খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্ত্ব মানতে সাহায্য করে।
মংগলময় ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে আমাদের মাঝে প্রকাশ করুণ ।। আমেন ।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Comments
Post a Comment