ঈশ্বরের ভালবাসাই ইস্টারের মূলমন্ত্র

ভূমিকা: ইস্টার স্মরণ করিয়ে দেয় প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মানুষের মরণই শেষ ঠিকানা নয় তা’ প্রভু যীশুর দৈহিক পুনরুত্থান প্রমাণ করে। ঈশ্বর তাঁর সমস্ত ভালবাসা দেখিয়েছেন তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টকে এ জগতে প্রেরণ করে। খ্রীষ্ট যীশু পাপীকে ভালবেসে ক্রুশে তাঁর মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যেন পাপী মানুষ পিতা ঈশ্বরের সাথে সম্মিলিত হতে পারেন। ঈশ্বরের ভালবাসা সম্পর্কে যীশু বলেন, “কারণ ঈশ্বর জগতকে এমন প্রেম করিলেন, যেন, যেহ কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে; সে বিনষ্ট না হয়; কিন্তু অনন্ত জীবন পায়”(যোহন ৩:১৬ পদ)
প্রভু যীশুর মৃত্যুর কারণ: পবিত্র বাইবেল বলে, “শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন ...... (১করিন্থীয় ১৫:৩ পদ)
পাপ বাইবেলে চরমভাবে দেখা যায়, কেননা পাপের প্রভাব শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা’ নয় ইহা ঈশ্বরকেও আঘাত ও দুঃখিত করে।
তাহলে পাপ কি? বাইবেল বলে “ব্যবস্থা লঙ্ঘনই পাপ” (১ যোহন ৩:৪ পদ)
পাপ জগতে কিভাবে প্রবেশ করেছে? বাইবেল আমাদের জ্ঞাত করে, আদি পিতা আদম ঈশ্বরের আজ্ঞা অমান্য করার মধ্য দিয়ে জগতে পাপের উৎপত্তি হয়েছে। তাদের এই পাপ শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না কিন্তু তাদের পাপ ও পাপ-স্বভাব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্থানান্তরিত হয়েছিল। রাজা দায়ূদ বলেছিলেন, “দেখ, অপরাধে আমার জন্ম হইয়াছে, পাপে আমার মাতা আমাকে গর্ভে ধারণ করিয়াছিলেন” (গীত ৫১:৫ পদ)। পাপ যে কত ভয়ঙ্কর তা’ জগতের তথা ধর্মীয় পুস্তকের ইতিহাস পড়লেই জানা সম্ভব। তাছাড়া কোন মানুষেরই পক্ষে ঈশ্বর প্রদত্ত নিয়ম বা আদেশ পালন করার ক্ষমতা নেই। সকলেই পাপের কাছে ধরাশায়ী। বাইবেল বলে, “কেননা পাপ না করে এমন কোন মনুষ্য নেই” (১ রাজাবলি ৭:৪৬)। পাপের এই প্রভাব সমস্ত মানুষের মধ্যে বিস্তৃত। “কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব বিহীন হইয়াছে” (রোমীয় ৩:২৩ পদ)। পবিত্র বাইবেল আরও বলে, “ধার্মিক কেহ নাই, একজনও নাই” (রোমীয় ৩:১০ পদ)। তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি পাপের দিক থেকে প্রতিটি মানুষের অবস্থান একই।
পাপের ফলাফল:
প্রথমতঃ পাপের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ বা চ্যূৎ হয়। (যিশাইয় ৫৯:২)
দ্বিতীয়তঃ পাপ ঈশ্বরের সাথে শত্রুতা তৈরী করে। (রোমীয় ৫:১০)
তৃতীয়তঃ পাপ অনন্ত মৃত্যু বা অনন্ত নরক নিয়ে এসেছে। কেননা পবিত্র বাইবেল বলে, “কেননা পাপের বেতন মৃত্যু”। (রোমীয় ৬:২৩ পদ)
চতুর্থতঃ পাপের কারণে ঈশ্বরের ক্রোধ পাপীর উপরে অবস্থান করে। (রোমীয় ৫:২৯)
পঞ্চমতঃ ঈশ্বরের উপস্থিতি ও সহভাগিতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া (আদিপুস্তক ৩:২৪ পদ)
উপরোক্ত ফলাফল ছাড়াও পাপ আমাদের হৃদয়কে কঠিন করে (রোমীয় ১:২১); কামনা-বাসনাতে জীবন আত্ম সমপর্ণ করে (রোমীয় ১:২৪ পদ); সত্য বুঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে (১ করিন্থীয় ২:১৪ এবং ২করিন্থীয় ৪:৪ পদ), পাপের দাসত্বে লিপ্ত হওয়া ( যোহন ৮:৩৪ পদ)
সর্বোপরি, পাপ আমাদের সবাইকে অনন্ত নরকে বসবাসযোগী করেছে। মানুষ যাতে সৎ পথ সম্পর্কে জানতে পারে ও বুঝতে পারে তার জন্যে ঈশ্বর আদেশ, নিয়ম ও ব্যবস্থা দিয়েছেন। তারপরও মানুষ ঈশ্বরের ধর্মময় নিয়ম পালন করতে ব্যর্থ হয়। ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মানুষ পাপের জ্ঞান জানতে পারে কিন্তু নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। তাছাড়া ব্যবস্থা পালনের মাধ্যমে কেহই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক বলে গণিত হয় না (রোমীয় ৩:২০, গালাতীয় ৩:১১)তাহলে মানুষের এই অবস্থার জন্যে ঈশ্বর কি দয়া দেখাবেন না? ঈশ্বর কি তাঁর সৃষ্টির সেরা জীবকে নরকের আগুন থেকে রক্ষা করার পথ দেখাবেন না? উত্তর হবে অবশ্যই ঈশ্বর মানুষকে ভালবাসেন। তাই সকল মানুষকে নিয়ে তাঁর মহা পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ ঈশ্বরের বাক্য বলে, “কতক লোক যে বিনষ্ট হয়, এমন বাসনা তাঁহার নাই; বরং সকলে যেন মন পরিবর্তন পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে এই তাঁহার বাসনা” (২পিতর ৩:৯ পদ)। সেহেতু ঈশ্বর মানব জাতির পাপ সমস্যা সমাধানে তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের (আধ্যাত্মিক অর্থে) মধ্য দিয়ে জগতে পাপী মানুষের পরিত্রাণ ও তাঁর সাথে মিলিত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ দিয়েছেন। আর এই সুযোগ তৈরী হয়েছে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশীয় মৃত্যু ও পুনরুত্থানের দ্বারা।
প্রভু যীশুর মৃত্যুর কারণ: মানুষ একজনের পাপ আর একজন বহন করতে পারে না (যিহিস্কেল ১৮:২০ পদ)। কারণ সবাই পাপী। খ্রীষ্ট বলেছেন, “অন্ধ কি অন্ধদের পথ দেখাইতে পারে? উভয়ই কি গর্তে পড়িবে না?” (লূক ৬:৩৯)। তাছাড়া খ্রীষ্ট যীশু সমস্ত মানুষকে আত্মিকভাবে মৃত বলে সম্ভোধন করেছেন (মথি ৮:২২ পদ)। তাই পাপী মানুষকে আত্মিকভাবে মুক্তির জন্যে তিনি পৃথিবীতে তাঁর একমাত্র পুত্র যীশু খ্রীষ্টকে প্রেরণ করেছেন যেন পাপ থেকে তাদের উদ্ধার করতে পারেন।
পুরাতন নিয়মে বিশেষ করে তৌরাত পুস্তকে ঈশ্বর মোশির দ্বারা বলিদান প্রথার আদেশ দিয়েছেন। সেখানে দেখা যায় যে পশুর রক্তের মাধ্যমে ই¯্রায়েল জাতির পাপের ক্ষমা লাভের ব্যবস্থা রয়েছে। ঈশ্বর বলিদান বা প্রায়শ্চিত্তের তাৎপর্য সম্পর্কে বলেন, “কেননা রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে, এবং তোমাদের প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করনার্থে আমি তাহা বেদির উপরে তোমাদিগকে দিয়েছি; কারণ প্রাণের গুণে রক্তই প্রায়শ্চিত্ত সাধক” (লেবীয় ১৯:১১)। পবিত্র বাইবেল আরও বলে, “রক্ত সেচন ব্যতিরেকে পাপ মোচন হয় না” (ইব্রীয় ৯:২২)
প্রভু যীশু খ্রীষ্টই পাপের প্রায়শ্চিত্তের বলি:- প্রভু যীশুর অগ্রদূত যোহন অবগাহক যীশুকে তার কাছে আসতে দেখে বলেছিলেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান”(যোহন ১:২৯ পদ)। প্রভু যীশুর শিষ্য পিতর তাঁর প্রায়শ্চিত্ত সম্পর্কে বলেন, “কিন্তু নির্দোষ ও নিষ্কলংক মেষশাবক স্বরূপ খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দ্বারা মুক্ত হইয়াছ”(১পিতর ১:১৯)। তাছাড়া সাধু পৌল খ্রীষ্টের ক্রুশীয় মৃত্যু বা বলিদান সম্পর্কে বলেন, “খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সৌরভের নিমিত্ত উপহার ও বলিরূপে আপনাকে উৎসর্গ করিলেন”(ইফিষীয় ৫:২ পদ)। পবিত্র বাইবেলের ইব্রীয় পুস্তক আরও বলে “ঈশ্বর পুত্র মহাযাজক হিসাবে তাঁর নিজের রক্ত সেচন করেছেন যেন অনন্তকালীন মুক্তি অর্জন করতে পারেন”। কিন্তু খ্রীষ্ট, আগত উত্তম উত্তম বিষয়ের মহাযাজকরূপে উপস্থিত হইয়া, যে মহত্তর ও সিদ্ধতর তাম্বু অহস্তকৃত, অর্থাৎ এই সৃষ্টির অসম্পর্কীয়, সেই তাম্বু দিয়া ছাগদের ও গোবৎসদের রক্তের গুণে নয়, কিন্তু নিজ রক্তের গুণে একবারে পবিত্রস্থানে প্রবেশ করিয়াছেন, ও অনন্তকালীয় মুক্তি উপার্জ্জন করিয়াছেন। কারণ ছাগদের ও বৃষদের রক্ত এবং অশুচিদের উপরে প্রোক্ষিত গাভী-ভস্ম যদি মাংসের শুচিতার জন্য পবিত্র করে, তবে, যিনি অনন্তজীবি আত্মা দ্বারা নির্দোষ বলিরূপে আপনাকেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করিয়াছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত তোমাদের সংবেদকে মৃত ক্রিয়াকলাপ হইতে কত অধিক নিশ্চয় শুচি না করিবে, যেন তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করিতে পার”। (ইব্রীয় ৯:১১-১৪)।
যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যুর ফলাফল:-
প্রভু যীশুর কৃত প্রায়শ্চিত্তের মধ্য দিয়ে চারটি আর্শিবাদ খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ লাভ করে:
প্রথমতঃ ধার্মিক গণিত হয়। পূর্বেই আমি বলেছি, ধর্ম-কর্ম দ্বারা কেহই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক হয় না (রোমীয় ৩:২০, গালাতীয় ৩:১১)। কিন্তু ঈশ্বর ব্যবস্থা অথবা নিয়ম-কানুন ছাড়া প্রভু যীশুর রক্তের মধ্য দিয়ে ধার্মিকতা দানের ব্যবস্থা করেছেন। পবিত্র বাইবেল বলে, “কিন্তু এখন ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই ঈশ্বর দেয় ধার্ম্মিকতা প্রকাশিত হইয়াছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ কর্তৃক তাহার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া হইতেছে। ঈশ্বর দেয় সেই ধার্ম্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা যাহারা বিশ্বাস করে, তাহাদের সকলের প্রতি বর্ত্তে -- কারণ প্রভেদ নাই; “কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে- উহারা বিনামূল্যে তাঁহারই অনুগ্রহে, খ্রীষ্ট যীশুতে প্রাপ্য মুক্তি দ্বারা, ধার্ম্মিক গণিত হয়। তাঁহাকেই ঈশ্বর তাঁহার রক্তে বিশ্বাস দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে প্রদর্শন করিয়াছেন; যেন তিনি আপন ধার্ম্মিকতা দেখান-- কেননা ঈশ্বরের সহিষ্ণুতায় পূর্বকালে কৃত পাপ সকলের প্রতি উপেক্ষা করা হইয়াছিল-- যেন এক্ষণে যথাকালে আপন ধার্ম্মিকতা দেখান, যেন তিনি নিজে ধার্ম্মিক থাকেন, এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্ম্মিক গণনা করেন(রোমীয় ৩:২১-২৬ পদ)। অর্থাৎ প্রভু যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যুর বিশ্বাসে পাপী ধার্মিক বলে ধরা হয়।
দ্বিতীয়তঃ ঈশ্বরের গজব বা ক্রোধ থেকে রক্ষা করে।
যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যু ঈশ্বরের রাগ বা ক্রোধকে দূর করে ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিতির গ্রহণযোগ্যতা দান করে। পাপের উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ সর্বসময় বিদ্যমান। (রোমীয় ১:১৮ পদ)। প্রভু যীশুর প্রায়শ্চিত্ত মৃত্যু আগামী বিচারের দন্ড ও ক্রোধ থেকে রক্ষা করে। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পাপী মানুষ ও ঈশ্বরের মাঝখানে তাঁর ধার্মিকতার বলিদানের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের ক্রোধ শান্ত করেছেন। সেই সম্পর্কে পবিত্র বাইবেল বলে, “সুতরাং সম্প্রতি তাঁহার রক্তে যখন ধার্ম্মিক গণিত হইয়াছি, তখন আমরা কত অধিক নিশ্চিত যে, তাহা দ্বারা ঈশ্বরের ক্রোধ হইতে পরিত্রাণ পাইব” (রোমীয় ৫:৯ পদ)। তাছাড়া যীশুর শিষ্য যোহন বলেন, “আর তিনিই (যীশু খ্রীষ্ট) পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত, কেবল আমাদের নয়, কিন্তু সমস্ত জগতেরও পাপার্থক”(১ যোহন ২:২ পদ)। এই আর্শিবাদ পিতা ঈশ্বরের মানব জাতির প্রতি তাঁর ভালবাসার প্রকাশ। “কিন্তু তিনিই আমাদিগকে প্রেম করিলেন; এবং আপন পুত্রকে আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত হইবার জন্য প্রেরণ করিলেন” (১ যোহন ৪:১০)
তৃতীয়তঃ প্রভু যীশুর মৃত্যু ঈশ্বরের সাথে সম্মিলনের ব্যবস্থা করে।
স্বভাবতই পাপ ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে, শত্রুতা সৃষ্টি করে। সেই জন্যে আমরা আমাদের পাপের কারণে ঈশ্বরের শত্রু। আদি পিতা পাপে পতিত হওয়ার পূর্বে ঈশ্বরের সাথে তাদের সহভাগিতা ও গমনাগমন ছিল, কিন্তু তাদের পাপের কারণে সহভাগিতা নষ্ট হয়। পবিত্র বাইবেলের রোমীয় ৫:১০ পদ এই কথা বলে, “কেননা যখন আমরা শত্রু ছিলাম, তখন যদি ঈশ্বরের সহিত তাঁহার পুত্রের মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত হইলাম, তবে সম্মিলিত হইয়া কত অধিক নিশ্চিয় যে, তাঁহার জীবনে পরিত্রাণ পাইব”। কেবল তাহা নয় কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা ঈশ্বরে শ্লাঘাও করিয়া থাকি, যাহার দ্বারা এখন আমরা সম্মিলন লাভ করিয়াছি। রোমীয় ৫:১০,১১ পদে সাধু পৌল বলেন, “কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, পূর্ব্বে দূরবর্ত্তী ছিলে যে তোমরা, তোমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা নিকটবর্ত্তী হইয়াছ” --এবং ক্রুশে শত্রুতাকে বধ-করণ পূর্ব্বক সেই ক্রুশ দ্বারা এক দেহে ঈশ্বরের সহিত উভয় পক্ষের মিলন করিয়া দেন”(ইফিষীয় ২:১৩,১৬)
চতুর্থতঃ প্রভু যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বারা আমাদের মুক্ত করা হয়েছে:
প্রভু যীশু তাঁর মিশন সম্পর্কে বলেন, “ মনুষ্যপুত্র (যীশু খ্রীষ্ট) পরিচর্য্যা পাইতে আইসেন নাই, কিন্তু, পরিচর্য্যা করিতে, এবং অনেকের পরিবর্ত্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন” (মথি ২০:২৮)। খ্রীষ্ট আমাদের ব্যবস্থার পাপ ও শয়তানের দাসত্ব থেকে তাঁর অমূল্য রক্ত দ্বারা মুক্ত করেছেন। সাধু পৌল তাঁর গালাতীয় পত্রে বলেন, “কিন্তু কাল সম্পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন, তিনি স্ত্রীজাত ব্যবস্থার অধীনে জাত হইলেন, যেন তিনি মূল্য দিয়া ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে মুক্ত করেন, যেন আমরা দত্তকপুত্রত্ব প্রাপ্ত হই” (গালাতীয় ৪:৪ পদ)। তাছাড়া প্রভুর বাক্য এ কথা বলে, “ইনি আমাদের নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন যেন মূল্য দিয়া আমাদিগকে সমস্ত অধর্ম হইতে মুক্ত করেন, এবং আপনার নিমিত্ত নিজস্ব প্রজাবর্গকে, সৎক্রিয়াতে উদ্যোগী প্রজাবর্গকে, শুচি করেন”(তীত ২:১৪ পদ)সর্বোপরি, ইহাতেই (প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতেই) আমরা মুক্তি, পাপের মোচন প্রাপ্ত হইয়াছি”। (কলসীয় ১:১৪ পদ)
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের মহিমা ঃ-
খ্রীষ্টিয় ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তি হচ্ছে আমাদের পাপের জন্য খ্রীষ্ট যীশু ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, কবর প্রাপ্ত হন ও তৃতীয় দিবসে তিনি পুনরুত্থিত হন। তা’ সবকিছুই ঈশ্বরের বাক্য অর্থাৎ তৌরাত, জবুর ও নবীদের গ্রন্থ অনুসারে। (১ করিন্থীয় ১৫:৩-৪ পদ)। অনেকেই প্রভু যীশুর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের মহিমাপূর্ণ দেহকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেগুলোর বর্ণনা চারটি সুসমাচার ছাড়াও নতুন নিয়মের অন্যান্য পুস্তকে পাওয়া যায়। ইচ্ছুক পাঠকগণ পড়তে পারেন পবিত্র বাইবেলের বিভিন্ন অংশগুলো যেমন, মথি ২৮ অধ্যায়, মার্ক ১৬ অধ্যায়, লূক ২৪ অধ্যায়, যোহন ২০, ২১ অধ্যায়, প্রেরিত ৯:৪-৮ পদ, ১ করিন্থীয় ১৫:৫-৯ পদ
খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের গুরুত্ব:-
প্রথমত: প্রভু যীশুর পুনরুত্থান বিশ্বাসীদের পরিত্রাণ বা নাজাত নিশ্চিত করে। বাইবেল বলে, “কারণ তুমি যদি ‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন তবে পরিত্রাণ পাইবে”(রোমীয় ১০:৯ পদ)
দ্বিতীয়তঃ বিশ্বাসীদের পুনরুত্থান নিশ্চিত করে। প্রভু যীশুর পুনরুত্থানকে ‘অগ্রিমাংশ’ বলা হয়েছে (১করিন্থীয় ১৫:২৩)। পবিত্র শাস্ত্র আরও বলে, “কিন্তু বাস্তবিক খ্রীষ্ট মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত হইয়াছেন, তিনি নিদ্রাগতদের (মৃতদের) অগ্রিমাংশ কেননা মনুষ্য দ্বারা (অর্থাৎ আদমের অবাধ্যতা দ্বারা) যখন মৃত্যু আসিয়াছে, তখন আবার মনুষ্য দ্বারাই মৃতগণের পুনরুত্থান আসিয়াছে। কারণ আদমে যেমন সকলে মরে, তেমনি আবার খ্রীষ্টেই সকলে জীবন প্রাপ্ত হইবে”(১ করিন্থীয় ১৫:২০-২২ পদ)
তৃতীয়তঃ প্রভু যীশুর পুনরুত্থান অনন্তজীবনের নিশ্চয়তা দান করে। পবিত্র বাইবেল বলে, “কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন এবং উঠিয়াছেন, তখন জানি ঈশ্বর যীশু দ্বারা নিদ্রাগত (যারা মারা গেছে) লোকদিগকে সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন। কেননা আমরা প্রভুর বাক্য দ্বারা তোমাদিগকে ইহা বলিতেছি যে, আমরা যারা জীবিত আছি,যাহারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকিব, আমরা কোন ক্রমে সেই নিদ্রাগত লোকদের অগ্রগামী হইব না। কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরিবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে। পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাত করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব”(১থিষলনীকিয় ৪:১৪-১৭ পদ)। প্রভু যীশু বলেছিলেন, “আমিই পুনরুত্থান ও জীবন; যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরিলেও জীবিত থাকিবে”। (যোহন ১১:২৫ পদ)
চতুর্থতঃ প্রভু যীশুর পুনরুত্থান তাঁর শিক্ষা ও দাবীর সত্যায়িত করে। প্রভু যীশু দাবী করেছিলেন, তিনি ঈশ্বরের পুত্র, তা’ এই ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। তাই প্রভুর বাক্য এ কথা বলে, “যিনি পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্র বলিয়া নির্দিষ্ট”(রোমীয় ১:৪)
পঞ্চমতঃ খ্রীষ্টের পুনরুত্থান শেষ বিচারের প্রমাণ দেয়। যেহেতু আমাদের জন্ম পাপে হয়েছে তাই ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ জীবন যাপন করতে অপারগ (গীত ৫১:৫ পদ)। সেইজন্য সকলেই ঈশ্বরের দন্ডাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে (রোমীয় ১:১৮, ইফিষীয় ৫:৫-৬, কলসীয় ৩:৫-৬, ২পিতর ২:৩)। ঈশ্বরের দন্ডাজ্ঞা ঘোষিত হয়েছে মানুষের দুষ্টতা ও অনুতাপ না করার জন্যে (মথি ১২:৪১-৪২, লূক ১১:৩১-৩২, যোহন ৫:২৯)। এই দন্ডাজ্ঞার শাস্তি হচ্ছে অনন্ত নরক (মথি ২৫:৪৬ পদ)। কিন্তু যারা প্রভু যীশুকে তাদের নাজাতদাতা বা মুক্তিদাতা হিসাবে বিশ্বাসে ও অনুতাপে গ্রহণ করে তাদের শেষ বিচারে দন্ডাজ্ঞা নেই। প্রভু যীশু বলেন, “কেননা ঈশ্বর জগতের বিচার করিতে পুত্রকে জগতে প্রেরণ করেন নাই, কিন্তু জগত যেন তাঁহার দ্বারা পরিত্রাণ পায়। যে তাঁহাতে বিশ্বাস করে, তাহার বিচার করা য়ায় না; যে বিশ্বাস না করে, তাঁহার বিচার হইয়া গিয়াছে, যেহেতুক সে ঈশ্বরের একজাত পুত্রের নামে বিশ্বাস করে নাই”(যোহন ৩:১৭-১৮ পদ)। তাই প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান পৃথিবীর সকল মানুষকে মন পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ দান করেন, “কেননা তিনি একটি দিন স্থির করিয়াছেন, যে দিনে আপনার নিরূপিত ব্যক্তি দ্বারা ন্যায়ে জগত সংসারের বিচার করিবেন; এই বিষয়ে সকলের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিয়াছেন, ফলতঃ মৃতগণের মধ্য হইতে তাঁহাকে (যীশু খ্রীষ্ট) উঠাইয়াছেন(প্রেরিত ১৭:৩১)
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু ও পুনরুত্থানের শিক্ষার প্রয়োগ:-
প্রথমতঃ পবিত্র জীবন যাপনে অনুপ্রাণিত করে। খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস বিশ্বাসীদের পাপে পতিত জীবন যাপন করার লাইসেন্স দেয় নাই। পবিত্র শাস্ত্র বলে, “তবে কি বলিব? অনুগ্রহের বাহুল্য যেন হয় এই নিমিত্ত কি পাপে থাকিব? তাহা দূরে থাকুক। আমরা ত পাপের সম্বন্ধে মরিয়াছি, আমরা কি প্রকারে আবার পাপে জীবন যাপন করিব? (রোমীয় ৬:১-২)। পবিত্র শাস্ত্র খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের আরও উৎসাহিত করে পাপে জীবন যাপন না করার জন্য।
"অতএব আইস, আমরা পুরাতন তাড়ী দিয়া নয়, হিংসা ও দুষ্টতার তাড়ী দিয়া নয়, কিন্তু সরলতা ও সত্যশীলতার তাড়ীশূন্য রুটি দিয়া পর্বটি পালন করি।"
(১করিন্থীয় 5:8)
খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের দেহ প্রভু ও প্রভুর দেহের নিমিত্ত। যেহেতু খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ খ্রীষ্টের দেহের অংঙ্গ-প্রতঙ্গ সেইজন্য তারা তাদের দেহ বেশ্যা বা যে কোন খারাপ কাজের অংগ হতে দিতে পারে না। এই প্রসংগে সাধু পৌল বলেন, “তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর”
২০ পদ “দয়া করে অধ্যায় উল্লেখ করুন”
দ্বিতীয়তঃ সৎকাজে অনুপ্রাণিত করে। খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস অনুসারে সৎকাজ দিয়ে স্বর্গে যেতে পারবে না অথবা সৎ বা অসৎ কাজের ওজন করা হবে না। কিন্তু ঈশ্বর খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসীদের সৎকাজগুলো পূর্ব থেকে নিরূপন করেছিলেন যা বর্তমান খ্রীষ্টিয় প্রজন্মকে সৎকাজে উৎসাহিত করে। “কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; এবং ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই, ঈশ্বরেরই দান; তাহা কর্ম্মের ফল নয়, যেন কেহ শ্লাঘা না করে। কারণ আমরা তাঁহারই রচনা, খ্রীষ্ট যীশুতে বিবিধ সৎক্রিয়ার নিমিত্ত সৃষ্ট; সেগুলি ঈশ্বর পূর্ব্বে প্রস্তুত করিয়াছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি”(ইফিষীয় ২:৮-১০)
তৃতীয়তঃ উপযুক্ত সামাজিক জীবন যাপনে উৎসাহিত করে। সাধু পৌল বলেন, “প্রেম নিষ্কপট হউক। যাহা মন্দ তাহা নিতান্তই ঘৃণা কর; যাহা ভাল তাহাতে আসক্ত হও। ভ্রাতৃপ্রেমে পরষ্পর ¯েœহশীল হও; সমাদরে একজন অন্যজনকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর। যতেœ শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর, প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্য্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক, পবিত্রগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি-সেবায় রত হও। যাহারা তাড়না করে, তাহাদিগকে আর্শীবাদ কর, আর্শীবাদ কর, শাপ দিও না। যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ কর;যাহারা রোদন করে, তাহাদের সহিত রোদন কর। তোমরা পরষ্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না। মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর। যদি সাধ্য হয়, তোমাদের যতদূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক। হে প্রিয়োরা, তোমরা আপনারা প্রতিশোধ লইও না; বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।” বরং “তোমার শত্রু যদি ক্ষুদিত হয়, তাহাকে ভোজন করাও; যদি সে পিপাসিত হয়, তাহাকে পান করাও; কেননা তাহা করিলে তুমি তাহার মস্তকে জ্বলন্ত অঙ্গারের রাশি করিয়া রাখিবে।” তুমি মন্দের দ্বারা পরাজিত হইও না, কিন্তু উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাজয় কর।” (রোমীয় ১২:৯-২১ পদ)
উপসংহার :- প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু ও পুনরুত্থান শুধু খ্রীষ্ট মন্ডলীর আবিষ্কার নয় কিন্তু ঐতিহাসিক সত্য ঘটনার উপর নির্ভরশীল। উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দেখেছি মানুষের পাপই প্রভু যীশুকে কালভেরীর ক্রুশে নিয়ে গিয়েছিল। ইহুদীরা যদিও রোমানদের দ্বারা যীশুকে ক্রুশে দিয়ে বধ করেছিল কিন্তু ঈশ্বর মৃত্যু যন্ত্রণা মুক্ত করিয়া তাঁহাকে উঠাইয়াছেন; কেননা তাঁহাকে ধরিয়া রাখিতে মৃত্যুর সাধ্য ছিল না (প্রেরিত ২:২৪)। এসবই ঘটেছে মহান ঈশ্বরের মন্ত্রণা ও পূর্ব জ্ঞান অনুসারে (প্রেরিত ২:২৩) যেন পাপী মানুষ খ্রীষ্টের রক্তে ধৌত হয়ে প্রভুর নাম কীর্ত্তন করেন। আজকে এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে যদি ঈশ্বর আপনার মনে সাড়া দেয়, প্রশ্ন তুলে, তাহলে সৃষ্টি কর্তার কাছে নিজেকে সমর্পণ করুন, এটা সত্যি যে, ঈশ্বর যদি না আকর্ষণ করেন কেউই যীশুর কাছে আসতে পারে না, যেমনটি যীশু বলেন, “পিতা যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি আকর্ষণ না করিলে কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না, আর আমি তাহাকে শেষ দিনে উঠাইব” (প্রভু যীশু খ্রীষ্টই পুনরুত্থিত জীবন দান করেন) (যোহন ৬:৪৪ পদ)। আমার প্রার্থনা থাকবে ঈশ্বর আপনাকে অনন্ত জীবন লাভের পরিকল্পনা জ্ঞাত করেন। 
আমেন ।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
God-s-love-is-the-essence-of-Easter

Comments

Popular posts from this blog

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া

Popular Posts

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া