প্রভু যীশুর স্বর্গারোহণের তাৎপর্য
পূর্ণ আশীর্বাদের জন্য দয়া করে ধৈর্য সহকারে পড়বেন ।।
"যিনি নামিয়াছিলেন, তিনিই সকল স্বর্গের ঊর্ধ্বে উঠিয়াছেন, যেন সকলই পূরণ করেন।"
✝ভূমিকা : প্রভু যীশুর স্বর্গারোহন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রভু যীশুর পুনরুত্থানের চল্লিশ দিন পর তিনি দৌহিকভাবে স্বর্গারোহণ করেন (প্রেরিত ১:৩,৯)। সুসমাচারের মূল বিশ্বাসের স্তম্ভ যীশুর মৃত্যু ও পুনরুত্থান যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি যীশুর স্বর্গারোহনও তদ্রূপ । সেই কারণে প্রতিটি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের এই সম্পর্কে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন ।
✝যীশুর স্বর্গারোহণের ভাববানী :
যীশুর জন্মের প্রায় এক হাজার পূর্বে রাজা দায়ূদ তাঁর ১১০ গীতে প্রভু যীশুর পিতা ঈশ্বরের দক্ষিণ পাশের অবস্থানের কথা ঘোষণা করেন যা স্বর্গারোহনের ভাববাণী। রাজা দায়ূদ পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় লিখেন,
," সদাপ্রভু আমার প্রভুকে বলেন, তুমি আমার দক্ষিণে বস, যাবৎ আমি তোমার শত্রুগণকে তোমার পাদপীঠ না করি।"
(গীত ১১০:১)।
," সদাপ্রভু আমার প্রভুকে বলেন, তুমি আমার দক্ষিণে বস, যাবৎ আমি তোমার শত্রুগণকে তোমার পাদপীঠ না করি।"
(গীত ১১০:১)।
যীশু ক্রুশে মৃত্যু বরণ করার পূর্বে শিষ্যদের বলেছিলেন,"--কেননা আমি পিতার নিকটে যাইতেছি;" (যোহন ১৪:১২)
মহাসভার সামনে যীশু তাঁর আগত স্বর্গারোহণের মহিমা ও কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন,
"---- এখন অবধি তোমরা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রমের দক্ষিণ পার্শ্বে বসিয়া থাকিতে এবং আকাশের মেঘরথে আসিতে দেখিবে।"
(মথি ২৬:৬৪)
"---- এখন অবধি তোমরা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রমের দক্ষিণ পার্শ্বে বসিয়া থাকিতে এবং আকাশের মেঘরথে আসিতে দেখিবে।"
(মথি ২৬:৬৪)
তাই খ্রীষ্টের স্বর্গারোহন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না বরং ঈশ্বরীয় প্রকাশিত ভাববাণী যার অনেক মাহাত্ম্য আছে।
✝প্রভু যীশুর স্বর্গারোহনের ঐতিহাসিক সত্যতা : খ্রীষ্টের প্রতিটি মূখ্য ঘটনার ভৌগলিক ও সত্য সাক্ষীর উপস্থিতিতে সংগঠিত । মানুষ অনেক কিছুই দাবী করতে পারে কিন্তু তা সত্য প্রমাণের জন্য সত্য সাক্ষ্য ও সাক্ষী প্রয়োজন। সেই কারণে খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণ ভৌগলিক ও প্রকৃত সাক্ষী ছাড়া ইতিহাসে স্হান পায়নি ।
সেইজন্য ঈশ্বর এই মহামহিম ঘটনা বাস্তবায়নের সময় খ্রীষ্টের শিষ্যদের, পূর্ব কথা অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থান থেকে তিনি খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণ করান যেমন ভাবে প্রভুর বাক্য আমাদের জানায়
"
♡কিভাবে ঘটল : প্রেরিত ১:৯-১১, "এই কথা বলিবার পর তিনি তাঁহাদের দৃষ্টিতে ঊর্ধ্বে নীত হইলেন, এবং একখানি মেঘ তাঁহাদের দৃষ্টিপথ হইতে তাঁহাকে গ্রহণ করিল।"
"
♡কিভাবে ঘটল : প্রেরিত ১:৯-১১, "এই কথা বলিবার পর তিনি তাঁহাদের দৃষ্টিতে ঊর্ধ্বে নীত হইলেন, এবং একখানি মেঘ তাঁহাদের দৃষ্টিপথ হইতে তাঁহাকে গ্রহণ করিল।"
♡নিদিষ্ট স্হান : লূক ২৪:৫০, ৫১, "পরে তিনি তাঁহাদিগকে বৈথনিয়ার সম্মুখ পর্যন্ত লইয়া গেলেন; এবং হাত তুলিয়া তাঁহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন।"
☆ স্বর্গারোহনের অবস্থা: লূক ২৪: ৫১, "পরে এইরূপ হইল, তিনি আশীর্বাদ করিতে করিতে তাঁহাদের হইতে পৃথক হইলেন, এবং ঊর্ধ্বে, স্বর্গে নীত হইতে লাগিলেন।"
✝প্রভু যীশুর স্বর্গারোহণের তাৎপর্য :
বেশ কয়েকটি কারণে খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
✝প্রথমত খ্রীষ্টের প্রভুত্ব : ত্রাণকর্তা যীশুর স্বর্গারোহণ প্রমাণ করে খ্রীষ্টের সমস্ত কিছুর উপর তাঁর প্রভুত্ব রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাঁর সমস্ত ক্ষমতা অনুশীলনের বহিপ্রর্কাশ ঘটেছে । তিনি তাঁর মহান আদেশে বলেছিলেন, "স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।" [মথি ২৮:১৮]
প্রেরিত পৌলও একই ভাবে বলেন,
"যাহা তিনি খ্রীষ্টে সাধন করিয়াছেন; ফলতঃ তিনি তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়াছেন, এবং স্বর্গীয় স্থানে নিজ দক্ষিণ পার্শ্বে বসাইয়াছেন,
সমস্ত আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম ও প্রভুত্বের উপরে, এবং যত নাম কেবল ইহযুগে নয়, কিন্তু পরযুগেও উল্লেখ করা যায়, তৎসমুদয়ের উপরে পদান্বিত করিলেন।"
[ইফিষীয় ১:১৯-২০]
সমস্ত আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম ও প্রভুত্বের উপরে, এবং যত নাম কেবল ইহযুগে নয়, কিন্তু পরযুগেও উল্লেখ করা যায়, তৎসমুদয়ের উপরে পদান্বিত করিলেন।"
[ইফিষীয় ১:১৯-২০]
পঞ্চশত্তমীর পর্বের দিন প্রেরিত পিতর যীশুর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের সত্যতা প্রমাণ করার পরে তাঁর ঐতিহাসিক বক্তব্যে বলেছিলেন,
"অতএব ইস্রায়েলের সমস্ত কুল নিশ্চয় জ্ঞাত হউক যে, যাঁহাকে তোমরা ক্রুশে দিয়াছিলে, সেই যীশুকেই ঈশ্বর প্রভু ও খ্রীষ্ট উভয়ই করিয়াছেন।" [প্রেরিত ২:৩৬]।
অধিকন্তু, তিনি মন্ডলীর মস্তক যার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠিত (ইফিষীয় ১:২২)
প্রেরিত পিতর এ সম্পর্কে বলেছেন,
"তিনি স্বর্গে গমন করিয়া ঈশ্বরের দক্ষিণে আছেন; দূতগণ ও কর্তৃত্ব সকল ও পরাক্রমসমূহ তাঁহার বশীকৃত হইয়াছে।"
[১ পিতর ৩:২২]
প্রেরিত পিতর এ সম্পর্কে বলেছেন,
"তিনি স্বর্গে গমন করিয়া ঈশ্বরের দক্ষিণে আছেন; দূতগণ ও কর্তৃত্ব সকল ও পরাক্রমসমূহ তাঁহার বশীকৃত হইয়াছে।"
[১ পিতর ৩:২২]
তাছাড়া,তিনি তাঁর এই কর্তৃত্ব প্রয়োগ করছেন আমাদেরই জন্য যেন তিনি আমাদের পক্ষে পিতা ঈশ্বরের নিকট অনুরোধ করতে পারেন । ( ইব্রীয় ৭:২৫)
✝দ্বিতীয়ত :পবিত্র আত্মার আগমন : স্বর্গারোহনের অন্যতম কারণ পবিত্র আত্মার অবতরণ।যীশু শিষ্যদের পবিত্র আত্মার (Paraclitos-greek, সহায়, উকিল - ত্রিত্ব ঈশ্বরের তৃতীয় ব্যক্তি ) আগমণ সম্পর্কে বলেছেন,
"তথাপি আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে, সেই সহায় তোমাদের নিকটে আসিবেন না; কিন্তু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের নিকটে তাঁহাকে পাঠাইয়া দিব।"
(যোহন ১৪:১৭)
"তথাপি আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে, সেই সহায় তোমাদের নিকটে আসিবেন না; কিন্তু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের নিকটে তাঁহাকে পাঠাইয়া দিব।"
(যোহন ১৪:১৭)
ঈশ্বর যোয়েল ভাববাদীর মধ্য দিয়ে পবিত্র আত্মার আগমনের কথা বলেছিলেন (যোয়েল ২: ২৮-৩২)।
প্রভু যীশু পবিত্র আত্মার আগমন ও কাজ বিস্তারিত ভাবে শিষ্যদের শিক্ষা দিয়েছিলেন (যোহন ১৪-১৬ অধ্যায়)। যীশু বলেছিলেন যে , তিনি যাওয়ার পর পবিত্র আত্মাকে পাঠিয়ে দিবেন । তা আমরা আক্ষরিক ভাবে সেই বাণীর পূর্ণতা দেখতে পাই যীশুর স্বর্গে যাওয়ার দশদিন পরে পবিত্র আত্মা যিরুশালেমে শিষ্যদের উপরে আসেন । যীশুর স্বর্গারোহনের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে যেন প্রভু যীশুর মহান আদেশ সমস্ত পৃথিবীতে বাস্তবায়িত হয়।
প্রভু যীশু পবিত্র আত্মার আগমন ও কাজ বিস্তারিত ভাবে শিষ্যদের শিক্ষা দিয়েছিলেন (যোহন ১৪-১৬ অধ্যায়)। যীশু বলেছিলেন যে , তিনি যাওয়ার পর পবিত্র আত্মাকে পাঠিয়ে দিবেন । তা আমরা আক্ষরিক ভাবে সেই বাণীর পূর্ণতা দেখতে পাই যীশুর স্বর্গে যাওয়ার দশদিন পরে পবিত্র আত্মা যিরুশালেমে শিষ্যদের উপরে আসেন । যীশুর স্বর্গারোহনের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে যেন প্রভু যীশুর মহান আদেশ সমস্ত পৃথিবীতে বাস্তবায়িত হয়।
✝তৃতীয়ত: পবিত্র আত্মার বিভিন্ন দান : আশ্চর্য কাজ ও নতুন নিয়ম লেখার কাজ
খ্রীষ্টের স্বর্গারোহনের কারণে আদি মন্ডলীর শিষ্যরা পেয়েছিল আশ্চর্য দান যা প্রাথমিক মন্ডলী প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছে। আমাদের মনে রাখা উচিত , নতুন নিয়মের যেসব পুস্তক গুলো আমাদের হাতে আজকে আছে তা মন্ডলীর প্রারম্ভেই লেখা হয়নি।
খ্রীষ্টীয় মন্ডলীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রথম শতাব্দীর পঞ্চম শতাব্দী থেকে নবম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নতুন নিয়মের পুস্তক গুলো লেখা হয়েছে ( প্রায় ৪০ থেকে ৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে)।
খ্রীষ্টীয় মন্ডলীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রথম শতাব্দীর পঞ্চম শতাব্দী থেকে নবম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নতুন নিয়মের পুস্তক গুলো লেখা হয়েছে ( প্রায় ৪০ থেকে ৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে)।
সেই কারণে ঈশ্বর তাঁর মন্ডলী প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রথম শিষ্যদের দ্বারা বহুবিদ চিহ্ন কার্য, আশ্চর্য কাজ ও অদ্ভুত লক্ষণের মধ্য দিয়ে সুসমাচারের কাজ বিস্তার লাভ করান । আর বিশ্বাস যোগ্য ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এই সময়ের মধ্যে দিয়েই পবিত্র আত্মার দ্বারা নতুন নিয়মের পুস্তক গুলো প্রভু যীশুর শিষ্যদের দ্বারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে লেখার কাজ শুরু হয় ।
আজকে পবিত্র বাইবেলের সত্যিকার ছাত্র /ছাত্রীদের পবিত্র বাইবেলের সত্যতা , বিশ্বাসযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা সহজেই অনুমান করতে পারে যা স্বর্গের ও অনন্ত জীবনের পথ দেখায়। পবিত্র শাস্ত্র লেখার কাজ অবশ্যই পবিত্র আত্মার দান । অধিকন্তু,খ্রীষ্টের স্বর্গারোহন অনেক দান নিয়ে এসেছে যা পবিত্র শাস্ত্র সাক্ষ্য দেয় ,
"যিনি নেমেছিলেন ( খ্রীষ্ট) তিনিই সব কিছু পূর্ণ করবার জন্য আবার আকাশ থেকেও অনেক উপরে উঠেছেন।( স্বর্গারোহন করেছেন)"
(ইফিষীয় ৪:৮)
আজকে পবিত্র বাইবেলের সত্যিকার ছাত্র /ছাত্রীদের পবিত্র বাইবেলের সত্যতা , বিশ্বাসযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা সহজেই অনুমান করতে পারে যা স্বর্গের ও অনন্ত জীবনের পথ দেখায়। পবিত্র শাস্ত্র লেখার কাজ অবশ্যই পবিত্র আত্মার দান । অধিকন্তু,খ্রীষ্টের স্বর্গারোহন অনেক দান নিয়ে এসেছে যা পবিত্র শাস্ত্র সাক্ষ্য দেয় ,
"যিনি নেমেছিলেন ( খ্রীষ্ট) তিনিই সব কিছু পূর্ণ করবার জন্য আবার আকাশ থেকেও অনেক উপরে উঠেছেন।( স্বর্গারোহন করেছেন)"
(ইফিষীয় ৪:৮)
✝চতুর্থত : খ্রীষ্টের স্বর্গারোহন খ্রীষ্টের মহাযাজকত্ত্বের প্রমাণ দান করে :
খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের অনেক আশীর্বাদ যে তারা একজন অনন্তকালীন মহাযাজক পেয়েছেন। তাইত প্রভুর বাক্য বলে ,
"ভাল, আমরা এক মহান মহাযাজককে পাইয়াছি, যিনি স্বর্গ সকল দিয়া গমন করিয়াছেন, তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র; অতএব আইস, আমরা ধর্ম প্রতিজ্ঞাকে দৃঢ়রূপে ধারণ করি।"
[ইব্রীয় ৪:১৪]
[ইব্রীয় ৪:১৪]
কেন মহাযাজক প্রয়োজন ?
স্বর্গে অহস্তকৃত মন্দির আছে। সেই মন্দিরের সেবার জন্য মহাযাজক অবশ্যই প্রয়োজন । পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতির জন্য সমাগম বা আবাস তাম্বু দিয়েছিলেন যেন মহাযাজকের মধ্য দিয়ে সেই পবিত্র স্হান সেবিত হন । তারজন্য ঈশ্বর ভাববাদী মোশিকে সমাগম তাম্বুর আদর্শ বা Blue Print দিয়েছিলেন যা ছিল অস্হায়ী কিন্তু স্হায়ী স্বর্গীয় মন্দির অপেক্ষা করতেছিল যার মহাযাজক হবেন খ্রীষ্ট প্রভু যীশু যেন তাঁর প্রজাদের সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করতে পারেন( ইব্রীয় ৮:৮-১৩)।
এই জন্য প্রভুর বাণী আমাদের সাক্ষ্য দেয়,
"এইজন্য যারা তাঁর মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের কাছে আসে তাদের তিনি সম্পূর্ণ ভাবে উদ্ধার করতে পারেন, কারণ তাদের পক্ষে অনুরোধ করবার জন্য তিনি সব সময় জীবিত আছেন।"
[ইব্রীয় ৭:২৫]
[ইব্রীয় ৭:২৫]
খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসীদের জন্য সবসময় যেন প্রকাশমান থাকতে পারেন ,
"কেননা খ্রীষ্ট হস্তকৃত পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন নাই- এ ত প্রকৃত বিষয়গুলির প্রতিরূপ মাত্র- কিন্তু স্বর্গেই প্রবেশ করিয়াছেন, যেন তিনি এখন আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রকাশমান হন।"
"কেননা খ্রীষ্ট হস্তকৃত পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন নাই- এ ত প্রকৃত বিষয়গুলির প্রতিরূপ মাত্র- কিন্তু স্বর্গেই প্রবেশ করিয়াছেন, যেন তিনি এখন আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রকাশমান হন।"
[ইব্রীয় ৯:২৪]
খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের পাপের পথ থেকে বাঁচানো মহাযাজকের কাজ কেননা তিনি Attorney General বা উকিল বা সহায় ।
"হে আমার বৎসেরা, তোমাদিগকে এই সকল লিখিতেছি, যেন তোমরা পাপ না কর। আর যদি কেহ পাপ করে, তবে পিতার কাছে আমাদের এক সহায় আছেন, তিনি ধার্মিক যীশু খ্রীষ্ট।"
প্রভু তাঁর আত্মার মধ্যে দিয়ে তাঁর প্রজাদের ধার্মিকতার পথে পরিচালিত করেন এবং এর মধ্যে কেউ যদি পতিত হলেও শাসনের মাধ্যমে ও তাঁর ভালবাসায় দাঁড়াতে সাহায্য করেন।
✝পঞ্চমত : খ্রীষ্টের স্বর্গারোহনের কারণে খ্রীষ্টের উপরে জাগতিক প্রভাব নেই। খ্রীষ্ট পৃথিবীতে থাকাকালীন সময়ে অনেক দুঃখ, কষ্ট, ব্যথা, বিরোধীতা , অবিশ্বাস, অবিশ্বস্তা ও ঘৃণার সম্মুখীন হয়েছিলেন । স্বর্গারোহনের পর এসকলের পরিবর্তে পেয়েছেন স্বর্গ দূতদের দ্বারা প্রশংসা ও পিতা ঈশ্বরের তৎক্ষনাৎ উপস্হিতি । পিতা ঈশ্বর তাঁকে দিয়েছেন সর্বোচ্চ নাম ,
"যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের ‘‘সমুদয় জানু পাতিত হয়,এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।"
[ফিলিপীয় ২:১০-১১]
"যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের ‘‘সমুদয় জানু পাতিত হয়,এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।"
[ফিলিপীয় ২:১০-১১]
স্বর্গ দূতগণ খ্রীষ্টের প্রতি প্রশংসা গান পুনরায় শুরু করেছেন কেননা তাঁদের প্রভুও স্বর্গ ফিরে এসেছেন । কতই এখন তফাৎ ! খ্রীষ্ট দেহ ধারনের পূর্বে বা জগতে আসার পূর্বে এত যন্ত্রণা কখনও সহ্য করেনি কিন্তু তিনি মৃত্যুকে জয় করে স্বর্গীয় মহিমায় আছেন।
✝ষষ্ঠত: স্বর্গারোহনের পরও খ্রীষ্ট ঈশ্বর-মানব হিসাবে অধিষ্ঠিত : কারণ তিনিই পিতা ঈশ্বরের ও মানুষের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থতাকারী ।
"কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন,"
(১ তীম:২:৫)।
তিনি ঈশ্বর মানব হিসাবে আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন যেন তাঁর পূর্ণতায় পূর্ণ হতে পারি।
(১ তীম:২:৫)।
তিনি ঈশ্বর মানব হিসাবে আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন যেন তাঁর পূর্ণতায় পূর্ণ হতে পারি।
✝সপ্তমতঃ ঈশ্বরের রাজ্যের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন: খ্রীষ্টের কোনদিন ইচ্ছা ছিল না রোমান সাম্রাজ্য থেকে রাজ্যে ছিনিয়ে জাগতিক ও রাজনৈতিক রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা । তাই তিনি বলেন ,
" আমার রাজ্য এ জগতের নয়; যদি আমার রাজ্য এ জগতের হইত, তবে আমার অনুচরেরা প্রাণপণ করিত, যেন আমি যিহূদীদের হস্তে সমর্পিত না হই; কিন্তু আমার রাজ্য ত এখানকার নয়।" (যোহন ১৮:৩৬)
যীশুর শিষ্যদের ঈশ্বরের রাজ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা ছিল এমনকি যীশুকে যখন স্বর্গে তোলা হচ্ছিল । (প্রেরিত ১:৫)
কিন্তু পরবর্তীতে তাদের চিন্তা চেতনার , জীবন পদ্ধতি ও মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে যার কারণে নিজের জীবন দানের জন্য কখনও পিছ পা হয়নি । তাদের কাছে জগত ছিল পশ্চাতে যীশুর ক্রুশ ছিল সম্মুখে ।
প্রকৃত যীশুর শিষ্যদের একই মনোভাব গড়ে উঠে।
✝অষ্টমতঃ খ্রীষ্ট স্বর্গারোহন করেছেন যেন অনুতাপ ও পাপের ক্ষমার দান প্রদান করতে পারেন । ঈশ্বরের মহা পরিকল্পনা হচ্ছে সমস্ত জাতির মধ্য থেকে ও সমস্ত যুগ থেকে তাঁর মনোনীত লোকদের একত্রিত করা । এ কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্বর্গের সিংহাসন হচ্ছে সঠিক জায়গা যেখানে তাঁর ক্রুশে কৃত পরিত্রাণ কার্য সম্পাদনকৃত হয়।
( Dr. Hodge , Systematic Theology,II , P.635).
কিন্তু পরবর্তীতে তাদের চিন্তা চেতনার , জীবন পদ্ধতি ও মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে যার কারণে নিজের জীবন দানের জন্য কখনও পিছ পা হয়নি । তাদের কাছে জগত ছিল পশ্চাতে যীশুর ক্রুশ ছিল সম্মুখে ।
প্রকৃত যীশুর শিষ্যদের একই মনোভাব গড়ে উঠে।
✝অষ্টমতঃ খ্রীষ্ট স্বর্গারোহন করেছেন যেন অনুতাপ ও পাপের ক্ষমার দান প্রদান করতে পারেন । ঈশ্বরের মহা পরিকল্পনা হচ্ছে সমস্ত জাতির মধ্য থেকে ও সমস্ত যুগ থেকে তাঁর মনোনীত লোকদের একত্রিত করা । এ কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্বর্গের সিংহাসন হচ্ছে সঠিক জায়গা যেখানে তাঁর ক্রুশে কৃত পরিত্রাণ কার্য সম্পাদনকৃত হয়।
( Dr. Hodge , Systematic Theology,II , P.635).
✝নবমতঃ খ্রীষ্টের স্বর্গারোহন বিশ্বাসীদের জন্য খ্রীষ্টের স্হান প্রস্তুত করার কথা নিশ্চয়তা দেয়।
প্রভু যীশু তাঁর মৃত্যু গ্রহণ করার পূর্বে শিষ্যদের বলেছেন,
"আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি,"
[যোহন ১৪:২,৩]
এটা পরম সত্য যে, এই পৃথিবী বিশ্বাসীদের স্হায়ী আবাস না । খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণ নিশ্চিত করে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের স্হায়ী ও অনন্তকালীন আবাস স্বর্গ- নতুন পৃথিবী ও নতুন আকাশ যেখানে সতত ধার্মিকতা বিরাজ করে,
প্রভু যীশু তাঁর মৃত্যু গ্রহণ করার পূর্বে শিষ্যদের বলেছেন,
"আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি,"
[যোহন ১৪:২,৩]
এটা পরম সত্য যে, এই পৃথিবী বিশ্বাসীদের স্হায়ী আবাস না । খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণ নিশ্চিত করে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের স্হায়ী ও অনন্তকালীন আবাস স্বর্গ- নতুন পৃথিবী ও নতুন আকাশ যেখানে সতত ধার্মিকতা বিরাজ করে,
"কিন্তু তাঁহার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্মিকতা বসতি করে।"
(২ পিতর ৩:১৩)
(২ পিতর ৩:১৩)
✝দশমতঃ খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণে খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের পথ উন্মোচিত হয়েছে :
প্রভু যীশু স্বর্গে যাবার পর শিষ্যরা যখন আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তখন দু'জন স্বর্গদূত বলেছিলেন,
"“গালীলের লোকেরা, এখানে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছ কেন? যাঁকে তোমাদের কাছ থেকে তুলে নেওয়া হল সেই যীশুকে যেভাবে তোমরা স্বর্গে যেতে দেখলে সেইভাবেই তিনি ফিরে আসবেন।”[প্রেরিত ১:১১]।
প্রভু যীশু স্বর্গে যাবার পর শিষ্যরা যখন আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তখন দু'জন স্বর্গদূত বলেছিলেন,
"“গালীলের লোকেরা, এখানে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছ কেন? যাঁকে তোমাদের কাছ থেকে তুলে নেওয়া হল সেই যীশুকে যেভাবে তোমরা স্বর্গে যেতে দেখলে সেইভাবেই তিনি ফিরে আসবেন।”[প্রেরিত ১:১১]।
তিনি আবার আসবেন বিচারক হিসাবে।
তার আগমন হবে অত্যন্ত রাজকীয়, সৌন্দর্যমন্ডিত ও দৃশ্যনীয়। তিনি আসবেন মেঘরথে তাঁর পুনরুত্থীত দেহ নিয়ে । তাঁর সাথে থাকবে প্রধান স্বর্গদূত ও স্বর্গ বাহিনী এবং তিনি তাঁর মহিমার সিংহাসনে বসবেন (মথি ২৫:৩১)। সমস্ত চোখ তাঁকে দেখতে পাবে (প্রকা: ১:৭)।
তার আগমন হবে অত্যন্ত রাজকীয়, সৌন্দর্যমন্ডিত ও দৃশ্যনীয়। তিনি আসবেন মেঘরথে তাঁর পুনরুত্থীত দেহ নিয়ে । তাঁর সাথে থাকবে প্রধান স্বর্গদূত ও স্বর্গ বাহিনী এবং তিনি তাঁর মহিমার সিংহাসনে বসবেন (মথি ২৫:৩১)। সমস্ত চোখ তাঁকে দেখতে পাবে (প্রকা: ১:৭)।
তখন তিনি তাঁর অনুসারীদের তাঁর সাথে নিয়ে অনন্ত আবাসে নিয়ে যাবেন (১ থিষলী: ৪:১৩-১৮)।
✝আমাদের খ্রীষ্টীয় জীবনে স্বর্গারোহনের গুরুত্ব:
Professor Wayne Grudem তাঁর Theology বইয়ে কয়েকটি বিশেষ আশীর্বাদের কথা উল্লেখ করেছেন:
✝প্রথমত: খ্রীষ্টের সাথে আমরাও স্বর্গারোহণ করব । যেহেতু আমরা খ্রীষ্টের সাথে এক হয়েছি সেহেতু আমরা সেই আশীর্বাদের অংশীদার হব
(১ থিষলী ৪:১৭)
দ্বিতীয়ত : খ্রীষ্টের সাথে হবে বিশ্বাসীদের অনন্তকালীন বাসস্থান:
যীশু তাঁর শিষ্যদের প্রতিজ্ঞা করে বলেছিলেন,
"আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি,"
(যোহন ১৪:২,৩)
খ্রীষ্ট তাঁর অনুসারীদের প্রতিজ্ঞা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে স্বর্গারোহন করেছেন যেন আমরা চিরদিন তাঁর সাথে থাকতে পারি ।
যীশু তাঁর শিষ্যদের প্রতিজ্ঞা করে বলেছিলেন,
"আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি,"
(যোহন ১৪:২,৩)
খ্রীষ্ট তাঁর অনুসারীদের প্রতিজ্ঞা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে স্বর্গারোহন করেছেন যেন আমরা চিরদিন তাঁর সাথে থাকতে পারি ।
✝তৃতীয়ত: খ্রীষ্টের স্বর্গারোহনের সাথে আমাদের এক হওয়ার কারণে আমরাও তাঁর সাথে তাঁর দেওয়া কর্তৃত্বের সহভাগিতার করার সুযোগ পেয়েছি(আংশিক ) । পরবতীর্তে আমরা পূর্ণ রূপে খ্রীষ্টের সাথে রাজত্ব করার সুযোগ পাব।
এ সম্পর্কে খ্রীষ্ট আমাদের নিজে বলেছেন,
"আর যে জয় করে, ও শেষ পর্যন্ত আমার আদিষ্ট কার্য সকল পালন করে, তাহাকে আমি আপনি পিতা হইতে যেরূপ পাইয়াছি, তদ্রূপ ‘‘জাতিগণের উপরে কর্তৃত্ব দিব;
তাহাতে সে লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে এমনি শাসন করিবে যে, কুম্ভকারের মৃৎপাত্রের ন্যায় চুরমার হইয়া যাইবে”।
(প্রকাশিত বাক্য ২:২৬-২৭)
তাহাতে সে লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে এমনি শাসন করিবে যে, কুম্ভকারের মৃৎপাত্রের ন্যায় চুরমার হইয়া যাইবে”।
(প্রকাশিত বাক্য ২:২৬-২৭)
প্রয়োগ:
✝ প্রথমত: খ্রীষ্টের স্বর্গারোহন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের প্রভুর মহান আদেশ বাস্তবায়নের তাগিত দেয় । সুসমাচার ও সাক্ষ্যদান প্রকৃত বিশ্বাসীদের অন্যতম চিহ্ন । আপনি নিজেকে খ্রীষ্টান দাবী করবেন অথচ প্রভুর মহান আদেশ পালন করবেন না, তা হয় না।
✝দ্বিতীয়ত: পবিত্র জীবন যাপনের জন্য আজ্ঞা দেয়। একজন স্বর্গের নাগরিক হিসাবে প্রতিদিনই মন্দতার সাথে যুদ্ধ করা উচিত। আমরা যে পৃথিবীতে বসবাস করছি সব জায়গায় মন্দতার ছড়াছড়ি । কিন্তু খ্রীষ্ট আমাদের পবিত্র হওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন, তাঁর রক্তে ধৌত করেছেন , তাঁর পবিত্র বাক্যে ও আত্মায় নতুন জন্ম দান করেছেন যেন ধার্মিকতার পথে চলি।
✝তৃতীয়ত: যারা পাপে পড়ে আছে তাদের যেন সাহায্য করি :
পতন এ প্রজন্মে অবশ্যম্ভাবী । তাই বলে কি তাকে উঠাতে সাহায্য করব না , তা হয় না ।
প্রভুর বাক্য এভাবে আমাদের শিক্ষা দেয়,
"ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।"
"ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।"
[গালাতীয় ৬:১]
"আর কতক লোকের প্রতি, যাহারা সন্দিহান, তাহাদের প্রতি দয়া কর;"
[যিহূদা ২২]
[যিহূদা ২২]
✝চতুর্থত: সাহায্যের হাত যেন সবসময়েই প্রসারিত থাকে । গরীর - দুঃখী , অবহেলিত, দুর্দশাগ্রস্ত, দলিতের পাশে যেন থাকি।
"এই জন্য আইস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের প্রতি, বিশেষতঃ যাহারা বিশ্বাস-বাটীর পরিজন, তাহাদের প্রতি সৎকর্ম করি।"
(গালাতীয় ৬:১০)
"এই জন্য আইস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের প্রতি, বিশেষতঃ যাহারা বিশ্বাস-বাটীর পরিজন, তাহাদের প্রতি সৎকর্ম করি।"
(গালাতীয় ৬:১০)
✝পঞ্চমত : স্বর্গীয় মনভাব বাকী জীবন কাটানোর জন্য সচেষ্ট হওয়া: সাধু পৌল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ,
"অতএব তোমরা যখন খ্রীষ্টের সহিত উত্থাপিত হইয়াছ, তখন সেই ঊর্ধ্বস্থানের বিষয় চেষ্টা কর, যেখানে খ্রীষ্ট আছেন, ঈশ্বরের দক্ষিণে বসিয়া আছেন।" (কলসীয় ৩:১০)।
খ্রীষ্টের শিক্ষা আমাদের ঈশ্বরের রাজ্যের ও ধার্মিকতার বিষয়ে সচেষ্ট হতে বলেছেন । (মথি ৬:৩৩)
খ্রীষ্টের শিক্ষা আমাদের ঈশ্বরের রাজ্যের ও ধার্মিকতার বিষয়ে সচেষ্ট হতে বলেছেন । (মথি ৬:৩৩)
✝উপসংহার: প্রভু যীশু স্বর্গ ছেড়ে পৃথিবীতে এসেছিলাম, মানুষ হয়ে নিজেকে শূন্য করেছেন, ক্রুশে মৃত্যু মৃত্যুবরণ করেছেন ও পুনরুত্থান করেছেন যেন তিনি আমাদের পাপের ক্ষমা ও পরিত্রাণ দিতে পারেন। এ সকল বিষয়ের পরিপূর্ণতা খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণে। তিনি যেখান থেকে এসেছিলেন তাঁর মিসন পূর্ণ করে আবাল পুনরায় নিজ আবাসে ফিরে গেলেন যেন তাঁর সাথে তাঁর প্রজারা একই জায়গায় থাকে। অতএব খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণ খ্রীষ্টের কাজের পরিপূর্ণতার প্রকাশ যেন খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসীরা তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রভুতে আনন্দ করতে করতে সেই ক্ষণের অপেক্ষায় থাকি আর তাহলেই খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণের শিক্ষা সার্থক হবে ।
ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককে স্বর্গীয় পবিত্র জীবন যাপন করার শক্তি ও সামর্থ্য দান করুন ।।
আমেন।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Comments
Post a Comment