মানুষের কোন সাধ্য নেই যেখানে
"তাহাদের মধ্যে কেহই কোন মতে ভ্রাতাকে মুক্ত করিতে পারে না, কিম্বা তাহার প্রায়শ্চিত্তের জন্য ঈশ্বরকে কিছু দিতে পারে না,(কেননা তাহাদের প্রাণের মুক্তি দুর্মূল্য, এবং
চিরকালেও অসাধ্য;)
[গীত ৪৯:৭,৮]
🔴সূচনা : কোরহ সন্তানেরা পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় গীত ৪৯ লিখেছেন যারা লেবীয় বংশের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ঈশ্বর লেবীয়দের কোন ভূমির অধিকার দেন নাই। ( গনণা ১৮:২১-২৪, দ্বিতীয় বিবরণ ১৪:২৭-২৯) কিন্তু তাদের বাঁচার জন্য দান, দশমাংশ ও অগ্রিমাংসসহ অন্যান্য প্রাপ্তির ব্যবস্থা করেন । যেহেতু তাদের ভূমির অধিকার ছিল না তবুও গীত রচক দেখেছেন ধনীদের অত্যাচার, খারাপ মনোভাব ও বোকামী । সেই কারণে তিনি তাঁর লেখনীর মধ্য দিয়েই মহামূল্যবান প্রজ্ঞার বাক্য বিশেষ করে অনন্তকালীন মুক্তির প্রত্যাশা যা পুরাতন নিয়মে খুব কমই দেখা যায় ।
🔴আলোচিত বাক্যের পটভূমিকা :
আলোচিত গীতে(গীত
৪৯) লেখক ধনের উপর নির্ভরশীলতার অসারতা কথা ব্যক্ত করেন যা মূর্তি পূজার সমতুল্য। অনেক ধনী ব্যক্তিদের তিনি দেখেছেন যারা অর্থ ও সম্পতির উপর নির্ভর করে ও গর্ব করে (৬
পদ)। পবিত্র বাইবেলে বেশ কয়েক জন ঈশ্বর ভক্ত ধনীদের কথা বলেছে যেমন: অব্রাহাম ও রাজা দায়ুদ যারা কখনও তাঁদের ধনসম্পত্তি উপর নির্ভর করেনি বরং তারা সমস্ত বিষয়ে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেছেন।
গীত রচক আলোচিত পদে(গীত ৪৯:৭,৮ পদে ) পরিষ্কার করে বলেছেন যে, জাগতিক ধনের একটা সীমাবদ্ধতা আছে যা আত্মিক জগতে কাজ করে না। তার অর্থ হচ্ছে 'অর্থ দিয়ে যেতে পারি না ঈশ্বরের রাজ্যে ।' অর্থ দিয়ে বা কোন জাগতিক বিষয় দিয়ে আত্মাকে রক্ষা করা যাবে না , আত্মার মুক্তি হবে না কারণ তা ,
"কেননা তাহাদের প্রাণের মুক্তি দুর্মূল্য, এবং চিরকালেও অসাধ্য" (৮ পদ)
অর্থাৎ মানুষের কোন যোগ্যতাই নেই যে, কেউ কাউকে মুক্তি দিবে কারণ তা অনেক দামী ও মানুষের পক্ষে অসাধ্য । তা জাগতিক বিষয়ের অনেক উর্ধে।
তদুপরি মানুষ বিভিন্ন উপায়ে নিজ ধার্মিকতার কাজ দ্বারা বৃথাই চেষ্টা করে যা সত্য ঈশ্বর কতৃক প্রত্যাশিত পথ নয়।
গীত রচক আলোচিত পদে(গীত ৪৯:৭,৮ পদে ) পরিষ্কার করে বলেছেন যে, জাগতিক ধনের একটা সীমাবদ্ধতা আছে যা আত্মিক জগতে কাজ করে না। তার অর্থ হচ্ছে 'অর্থ দিয়ে যেতে পারি না ঈশ্বরের রাজ্যে ।' অর্থ দিয়ে বা কোন জাগতিক বিষয় দিয়ে আত্মাকে রক্ষা করা যাবে না , আত্মার মুক্তি হবে না কারণ তা ,
"কেননা তাহাদের প্রাণের মুক্তি দুর্মূল্য, এবং চিরকালেও অসাধ্য" (৮ পদ)
অর্থাৎ মানুষের কোন যোগ্যতাই নেই যে, কেউ কাউকে মুক্তি দিবে কারণ তা অনেক দামী ও মানুষের পক্ষে অসাধ্য । তা জাগতিক বিষয়ের অনেক উর্ধে।
তদুপরি মানুষ বিভিন্ন উপায়ে নিজ ধার্মিকতার কাজ দ্বারা বৃথাই চেষ্টা করে যা সত্য ঈশ্বর কতৃক প্রত্যাশিত পথ নয়।
🔴ঈশ্বর প্রদত্ত মুক্তির পথ :
মানুষের আত্মার মুক্তির জন্য স্বয়ং ঈশ্বরই ব্যবস্থা করেছেন যা হচ্ছে প্রায়শ্চিত্ত বলিদান । এই বলিদান শুরু হয়েছে এদন বাগানে (আদি ৩:২১)। বিশ্বাসের আদি পিতারা তার অনুশীলন করেছেন (আদি ২২:১৩-১৪)। ভাববাদী মোশির মধ্য দিয়ে ঈশ্বর বিভিন্ন বলিদানের নিয়ম দিয়েছেন (লেবীয় ১-৭ অধ্যায়)। প্রায়শ্চিত্ত বলিদান বদলীর কথা বলে অর্থাৎ মেষ বা ছাগবৎস পাপ হরণের দৃষ্টান্তের কথা বলে যা শেষ বলিদান খ্রীষ্টের বলিদানের কথি বলে । পুরাতন নিয়মের সমস্ত বলিদান খ্রীষ্টের বলিদানে সম্পন্ন হয় । যিশাইয় ভাববাদী খ্রীষ্টের জন্মের প্রায় ৮০০ বৎসর পূর্বে বলেছিলেন ,
"তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন, তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে, তখন
তিনি আপন বংশ দেখিবেন, দীর্ঘায়ু হইবেন, এবং তাঁহার হস্তে সদাপ্রভুর মনোরথ সিদ্ধ হইবে;তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন, এবং
তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন।"
(যিশাইয় ৫৩:১০,১১)।
খ্রীষ্ট নিজে তাঁর প্রায়শ্চিত্ত বলিদানের মধ্য দিয়ে সেই ভাববানীর পূর্ণতা দিয়েছেন ।
ইব্রীয় লেখক এই সম্পর্কে বলেন ,
➡️"
কিন্তু ইনি পাপার্থক একই যজ্ঞ চিরকালের জন্য উৎসর্গ করিয়া ঈশ্বরের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন," (ইব্রীয় ১০:১২)।
একমাত্র খ্রীষ্ট কেন ?
যেখানে সমস্ত মানুষ ও তাদের সামর্থ্য দিয়ে কিছু করতে পারে না সেখানে ঈশ্বর পারেন । গীত রচক পরে একই গানে বলেছেন ,
➡️"কিন্তু ঈশ্বর পাতালের হস্ত হইতে আমার প্রাণ মুক্ত করিবেন; কেননা তিনি আমাকে গ্রহণ করিবেন। "(গীত ৪৯:১৫)
প্রভু যীশুই যিনি ঈশ্বর-মানব যিনি তাঁর মিসন সম্পর্কে বলেছেন ,
➡️"কারণ বাস্তবিক মনুষ্যপুত্রও পরিচর্যা পাইতে আসেন নাই, কিন্তু পরিচর্যা করিতে এবং অনেকের পরিবর্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।"
[মার্ক ১০:৪৫]
খ্রীষ্টের সেই অধিকার , ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব আছে পাপী মানুষকে পাতালের অর্থাৎ নরকের হাত থেকে রক্ষা করার। তাঁর কাছেই আছে মৃত্যুর ও পাতালের চাবি আছে । খ্রীষ্ট নিজে এ সম্পর্কে বলেছেন,
🔴"আমি মরিয়াছিলাম, আর দেখ, আমি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত; আর
মৃত্যুর ও পাতালের চাবি আমার হস্তে আছে।"
[যোহন ১:১৮]।
🔴উপসংহার: বহুমূল্য স্বাস্থ্যকর ক্রুশীয় রক্তে খ্রীষ্ট আমাদের মুক্ত করেছেন যা দিতে সবাই অক্ষম ও অপারগ । খ্রীষ্টই তাঁর জীবনের বিনিময়ে সেই পাতাল থেকে মুক্ত করেছেন । সেই আশীর্বাদ যে কেউ বিশ্বাসে গ্রহণ করতে পারে এবং সেই পবিত্র আত্মাকে লাভ করতে পারে যা জীবন জলের উনুই হিসাবে আবির্ভূত হবে যা প্রবাহিত হবে অনন্তকাল পর্যন্ত ।
আমেন।।
আমেন।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Comments
Post a Comment