যীশু কেন বলেছিলেন তাঁর দ্বিতীয় আগমনের কথা তিনি জানেন না?
শাস্ত্রীয় অংশ : মথি ২৪ : ৩৬, মার্ক ১৩ : ৩২
"কিন্তু সেই দিনের ও সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেহই জানে না, স্বর্গের দূতগণও জানেন না, পুত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন।"
মথি ২৪:৩৬
মথি ২৪:৩৬
"কিন্তু সেই দিনের বা সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেহই জানে না; স্বর্গস্থ দূতগণও জানেন না, পুত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন।"
মার্ক ১৩:৩২
মার্ক ১৩:৩২
💒ভূমিকা : নিন্ধকেরা নিন্দা করে বলেন, যীশু যদি ঈশ্বর হয় থাকেন তবে কেন তিনি নিজের ২য় আগমনের কথা জানেন না । তারা সাধারণত মথি ২৪ : ৩৬, মার্ক ১৩ : ৩২ পদের উল্লেখ করে থাকে ।তারা এরকম যারা জাগতিক জ্ঞান দিয়ে, কিছু ভ্রান্ত শিক্ষকদের পাঠ্য পুস্তক পড়ে বিভিন্ন ভাবে পবিত্র বাইবেলের বাণী বিরূপ অর্থ করে।
যেমন প্রেরিত পিতর বলেছেন ,
"আর যেমন তাঁহার ( সাধু পৌলের পত্র )সকল পত্রেও এই বিষয়ের প্রসঙ্গ করিয়া তিনি এই প্রকার কথা কহেন; তাহার মধ্যে কোন কোন কথা বুঝা কষ্টকর; অজ্ঞান ও চঞ্চল লোকেরা যেমন অন্য সমস্ত শাস্ত্রলিপি, তেমনি সেই কথাগুলিরও বিরূপ অর্থ করে, আপনাদেরই বিনাশার্থে করে।" (২ পিতর ৩:১৬)
তাই তাদের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী।
👉পটভূমি :---- যীশু ক্রশে মারা যাবার পূর্বে তিনি যিরুশালেমে উপস্থিত ছিলেন । শিষ্যরা যীশুর কাছ থেকে শেষ কালের বিভিন্ন চিন্হের কথা জানতে চেয়েছেন । তখন তিনি তাঁর উক্ত উক্তি করেন ।
👉👉সামগ্রিক আলোচনা :--- প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে যীশু ১০০% ঈশ্বর এবং ১০০% মানুষ । এই দুইয়ের মিলকে বলা হয়- Hypostatic Union - হাইপস্ট্যাটিক ইউনিয়ন । এর পূর্বে যীশুর দূই স্বভাব নিয়ে বিতর্ক ছিল যা 451 খ্রিস্টাব্দে Council of Chalcedon এ সমাপ্ত হয়।
যীশুর জন্মে তিনি নিজে কে শূন্য করেছেন, শিশু হয়েছেন । নিজে পুএ ঈশ্বর হয়েও নিজেকে সীমিত করেছেন । তাই সাধু লূক বলেছেন, "যীশু জ্ঞানে, বয়সে এবং ঈশ্বর ও মানুষের ভালবাসায় বেড়ে উঠতে লাগলেন।"
(লূক ২ : ৫২) ।
তিনি( যীশু) বলেছেন পিতা কতৃক তিনি প্রেরিত, তিনি নিজে থেকে কিছু করেন না ( যোহন ৫: ১৯) পদ
। তার সমস্ত প্রকাশ পিতা ঈশ্বর থেকে। ( প্রকাশিত বাক্য ১:১ )।
যীশু এখানে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন । যিনি পিতা ঈশ্বরের দাস হয়েও স্বীকৃতি হয়েছেন ( যিশা ৪২ : ১)
(লূক ২ : ৫২) ।
তিনি( যীশু) বলেছেন পিতা কতৃক তিনি প্রেরিত, তিনি নিজে থেকে কিছু করেন না ( যোহন ৫: ১৯) পদ
। তার সমস্ত প্রকাশ পিতা ঈশ্বর থেকে। ( প্রকাশিত বাক্য ১:১ )।
যীশু এখানে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন । যিনি পিতা ঈশ্বরের দাস হয়েও স্বীকৃতি হয়েছেন ( যিশা ৪২ : ১)
পূর্বেই বলেছি যীশু পূর্ণ ঈশ্বর ও মানুষ ।
(যোহন ১:১ , ২০: ২৮ , কলসীয় ২ : ৯) ।
(যোহন ১:১ , ২০: ২৮ , কলসীয় ২ : ৯) ।
মানুষের পাপের জন্য তিনি যখন যিরুশালেমে ক্রশে জীবন দান করার জন্য অপেক্ষায রত তিনি তার মানবিক স্বভাবের সাথে সীমিত করে রেখে ছিলেন । মানুষ হিসেবে যীশু হাঁটা চলা করেছেন, খেয়েছেন, ক্লান্ত হয়েছেন ও ঘুমিয়েছেন ।
পক্ষান্তরে, ঈশ্বর হিসাবে মানুষ তাকে আরাধনা করেছেন । তাঁর নামে মানুষ প্রার্থনা করেন ( ১৩ : ৯ ; ১করি ১ : ২) , তিনি সর্বজান্তা তা দেখিয়েছেন।
যেমন: "কারণ তিনি সকলকে জানিতেন, এবং কেহ যে মনুষ্যের বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়, ইহাতে তাহার প্রয়োজন ছিল না; কেননা মনুষ্যের অন্তরে কি আছে, তাহা তিনি নিজে জানিতেন। " (যোহন ২:২৫)
জগতে থাকা কালিন সময়ে খ্রীষ্ট যীশু নিজের শক্তিতে নয় কিন্তুু পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচর্যা কাজ , অলৌকিক কাজ ও চিহ্ন কাজ করেছেন ।
👉👉👉কারন কি ?
কারন তিনি নিজেকে দূতগনের চেয়েও কিছু সময়ের জন্য নিজেকে ছোট করেছিলেন (ইব্রীয় ২ : ৯ )
👉👉👉কারন কি ?
কারন তিনি নিজেকে দূতগনের চেয়েও কিছু সময়ের জন্য নিজেকে ছোট করেছিলেন (ইব্রীয় ২ : ৯ )
তিনি নিজে ঈশ্বর হয়েও নিজেকে শূন্য করে ছিলেন (ফিলিপীয ২ : ৭) পদ ।
মানুষ হিসেবে তা সবই করলেন মোশীর ব্যবস্থা পূর্নতা দান করার জন্য (গালা ৪ : ৪ -৫) ।
মানুষ হিসেবে তা সবই করলেন মোশীর ব্যবস্থা পূর্নতা দান করার জন্য (গালা ৪ : ৪ -৫) ।
এ গুলো করার উদ্দেশ্যে কি ? নিজেকে মানুষ হিসেবে প্রমাণ করা । কারণ অনেক ভ্রান্ত শিক্ষা ছিলো যারা যীশুর মানবিক স্বভাব বিশ্বাস করত না। যেমন : Docetism
অধিকন্তু , তিনি স্বইচ্ছায় নিজেকে তাঁর স্বর্গীয় স্বভাবের গুণাবলী সীমিত করে রেখেছিলেন।যেমন : Dr John Macarthur বলেছেন, He voluntarily restricted the use of certain divine attibutes ( Phil 2: 6-8)."
তার মানে তিনি যতটুকু প্রকাশিত করার কথা ততটুকুই প্রকাশ করেছেন । কিন্তুু বাস্তব সত্য হচ্ছে তাঁর পূণরুত্থানে তিনি তাঁর মহিমা পূর্ণ ঈশ্বরের গুণাবলীতে দৃশ্যমান (মথি ২৮ : ১৮) । প্রকৃত পক্ষে তিনি সবই জানেন ।
🎷🎷🎷উপসংহার: উপরোক্ত আলোচনায় এই প্রতীয়মান হয় যে , প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের পুত্র ঈশ্বরের উক্ত বাক্যের মধ্যে দিয়ে তাঁর মানবিক সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন । যা তাঁর ঈশ্বরত্বকে কোন দিক থেকে খাঁটো করে না। তিনি মানুষ হয়ে এসে জীবন দিয়ে মানুষের কষ্ট অনুধাবন করেছেন , ক্রশে জীবন দান করেছেন , কবর প্রাপ্ত হয়েছেন, পুনরুত্থান করেছেন যেন তাঁরই প্রদত্ত ক্ষমা পেয়ে পাপী মানুষ অনন্ত জীবন পায় । প্রভু যীশু এক প্রেমের এক মহিমা দেখিয়েছেন যেন সন্দেহ না করে প্রভুর বাক্যের আমার স্থির থাকি।
আমেন ।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Comments
Post a Comment