দ্বিতীয় বিবরণে: ১৮: ১৫ - ১৮ পদে মোশির মত ভাববাদী কে?
প্রতিশ্রুত ভাববাদী হিসাবে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট
🎀🔮🔷️🎀🔮🎀🔷️🔮🎀🔮🔷️🎀
পবিত্র বাইবেল: দ্বিতীয় বিবরণে: ১৮: ১৫ - ১৮ পদে মোশির মত ভাববাদী কে?
🎀🔮🔷️🎀🔮🎀🔷️🔮🎀🔮🔷️🎀
পবিত্র বাইবেল: দ্বিতীয় বিবরণে: ১৮: ১৫ - ১৮ পদে মোশির মত ভাববাদী কে?
👉যীশু বলেন, “যদি আপনারা মোশিকে বিশ্বাস করতেন তবে আমাকেও বিশ্বাস করতেন । কারন মোশীতো আমারই বিষয়ে লিখেছেন ।”
(পবিত্র বাইবেলে : যোহন ৫: ৪৬) ।
🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍
(পবিত্র বাইবেলে : যোহন ৫: ৪৬) ।
🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍🌍
ভুমিকা :-- বাইবেলের বাণী সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করার সঠিক Exesesis , Exposition এবং Application প্রয়োজন।
Exesesis অর্থ কি = Michael Duduit বলেন , “ is an analysis of the text – studying its language, grammar, historical and cultural background” তা বাংলায় দাঁড়ায় , “ বাইবেলের টেক্সট ( Text ) বা পদের বা বাক্যের এর বিশ্লেষণ হচ্ছে- যার মধ্যে থাকবে ভাষার অধ্যয়ন, ব্যাকরণ, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক পটভূমি "
Exesesis অর্থ কি = Michael Duduit বলেন , “ is an analysis of the text – studying its language, grammar, historical and cultural background” তা বাংলায় দাঁড়ায় , “ বাইবেলের টেক্সট ( Text ) বা পদের বা বাক্যের এর বিশ্লেষণ হচ্ছে- যার মধ্যে থাকবে ভাষার অধ্যয়ন, ব্যাকরণ, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক পটভূমি "
Exposition অর্থ কি? Michael Duduit আবারও বলেন , “ biblical exposition is an opening or unfolding of the text to help the listeners understand both its meaning and its implications. অর্থ হচ্ছে , ‘ বাইবেলের সত্য প্রকাশ করা যাতে শ্রোতারা অর্থ ও এর প্রয়োগ উভয়ই বুঝতে পারে।' ( আরও জানতে Bibliography তে অনুসন্ধান করুন)
Application: কি ভাবে সেই শিক্ষা আমরা ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়ােগ করবো ।
কাজেই পবিত্র বাইবেল সত্য প্রকাশের জন্য সঠিক ভাবে উপর উপোরোক্ত আলোচিত নীতিমালা প্রয়োগ করা দরকার । অন্যথায় ভ্রান্তি ছাড়া আর কিছু আসবে না যার পরিণাম নরকবাস। ( আরও জানতে দয়া করে Bibliography তে অনুসন্ধান করুন)
🌋আজকের আলোচনা বিষয়বস্তু হচ্ছে পবিত্র বাইবেল থেকে দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৫ , ১৮ পদ ।
-----------------------------------------------------------
দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৫, ১৮ কি বলে ,
-----------------------------------------------------------
দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৫, ১৮ কি বলে ,
“তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্য হইতে, তোমার ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে, তোমার জন্য আমার সদৃশ এক ভাববাদী উৎপন্ন করিবেন, তাঁহারই কথায় তোমরা কর্ণপাত করিবে।”
“আমি উহাদের জন্য উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে তোমার সদৃশ এক ভাববাদী উৎপন্ন করিব, ও তাঁহার মুখে আমার বাক্য দিব; আর আমি তাঁহাকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিব, তাহা তিনি উহাদিগকে বলিবেন।”
এই পদগুলো ব্যাখ্যা করার পূর্বে জানা দরকার পবিত্র বাইবেলে ' ঈশ্বরের ভাববাদী' বলতে কি বুঝায় ?
---------------------------------------------------
👉👉👉বাইবেল অনুসারে ভাববাদী বা নবী কে? হিব্রু শব্দ ' נָבִיא 'নবী' থেকে ভাববাদী শব্দের উৎপত্তি । যার অর্থ যিনি ঈশ্বর কতৃক আহবান প্রাপ্ত । নবী অনেক সময় বক্তা, প্রচারক ও ঈশ্বরের বার্তা বাহক । পুরাতন নিয়মে নবী কে আবার হিব্রু শব্দ רֹאֶה ( রুয়ে) বা חֹזֶה ( হযে) ’যার অর্থ দর্শক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । তারা যা দেখতে পারত অন্যে তা দেখতে পারত না , বিশেষ করে স্বগীয ইচ্ছা বিষয়ক।( Dictionary of Jesus and the gospels- pg 636). পুরাতন নিয়মে অনেক সময় ভাববাদীরা ঈশ্বরের মুখোমুখি হয়ে সরাসরি বানী গ্রহণ করতেন ( যেমনঃ ভাববাদী মোশী - গননা পুস্তক ১২ : ৭ ) । এই বানী আবার আসত স্বপ্ন, দর্শন , বাহ্যিক রব, অন্তরের রব ইত্যাদি দ্বারা ( গননা ১২ : ৬ ; ১শমুযেল ৩: ৩--৯ ; ১রাজা ১৩:১৮--২২ ; যিশাইয ১:১ ; যিহিস্কেল ৩:১৪ ) । তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, ভাববাদীরা যে বাণী পেতেন তা ঈশ্বরের কিন্তু ভাববাদীদের নিজের কথা নয় । যেমন প্রেরিত পিতর বলেছেন , “ কারন ভাববাদী কখনও মানুষের ইচ্ছা ক্রমে উপনীত হয় নাই । কিন্তুু মনুষ্যরা পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন ,তাহাই বলিয়াছেন” ( ২ পিতর ১ :২১)
---------------------------------------------------
👉👉👉বাইবেল অনুসারে ভাববাদী বা নবী কে? হিব্রু শব্দ ' נָבִיא 'নবী' থেকে ভাববাদী শব্দের উৎপত্তি । যার অর্থ যিনি ঈশ্বর কতৃক আহবান প্রাপ্ত । নবী অনেক সময় বক্তা, প্রচারক ও ঈশ্বরের বার্তা বাহক । পুরাতন নিয়মে নবী কে আবার হিব্রু শব্দ רֹאֶה ( রুয়ে) বা חֹזֶה ( হযে) ’যার অর্থ দর্শক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । তারা যা দেখতে পারত অন্যে তা দেখতে পারত না , বিশেষ করে স্বগীয ইচ্ছা বিষয়ক।( Dictionary of Jesus and the gospels- pg 636). পুরাতন নিয়মে অনেক সময় ভাববাদীরা ঈশ্বরের মুখোমুখি হয়ে সরাসরি বানী গ্রহণ করতেন ( যেমনঃ ভাববাদী মোশী - গননা পুস্তক ১২ : ৭ ) । এই বানী আবার আসত স্বপ্ন, দর্শন , বাহ্যিক রব, অন্তরের রব ইত্যাদি দ্বারা ( গননা ১২ : ৬ ; ১শমুযেল ৩: ৩--৯ ; ১রাজা ১৩:১৮--২২ ; যিশাইয ১:১ ; যিহিস্কেল ৩:১৪ ) । তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, ভাববাদীরা যে বাণী পেতেন তা ঈশ্বরের কিন্তু ভাববাদীদের নিজের কথা নয় । যেমন প্রেরিত পিতর বলেছেন , “ কারন ভাববাদী কখনও মানুষের ইচ্ছা ক্রমে উপনীত হয় নাই । কিন্তুু মনুষ্যরা পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন ,তাহাই বলিয়াছেন” ( ২ পিতর ১ :২১)
দ্বিতীয় বিবরন পুস্তকের (১৮ : ১৫--১৮) পটভূমি পর্যালোচনা :
আমাদের দ্বিতীয় বিবরনের ১৮:১৫, ১৮ পদগুলি পরিস্কার করে বুঝার জন্য আমাদের দ্বিতীয় বিবরন ১ অধ্যায়ে যেতে হবে যেখানে মোশী ইসরাইলিদের কাছে ঈশ্বরের ব্যবস্থা দ্বিতীয়বার দিচ্ছিলেন ।
👉সেখানে এভাবে লেখা আছে “যর্দনের পূর্বপারস্থিত প্রান্তরে, সূফের সম্মুখস্থিত অরাবা তলভূমিতে, পারণ, তোফল, লাবন, হৎসেরোৎ ও দীষাহবের মধ্যস্থানে মোশি সমস্ত ইস্রায়েলকে এই সকল কথা কহিলেন।”
( দ্বিতীয় বিবরন ১:১)
( দ্বিতীয় বিবরন ১:১)
ঈশ্বর মোশীর মধ্যে দিয়ে প্রথম ব্যবস্থা দান করেন সীনয় পর্বত বা হোরেবে। মিসর থেকে বের হবার তৃতীয় মাসে তারা সীনয় পর্বতে অবস্থান করতে ছিলেন (যাত্রা ১৯ :১--২) পদ ।
সেখানে ভাবাবাদি মোশী তাদের পবিত্র হওয়া সহ অন্যান্য নিদর্শনা দিয়েছিলেন (যাত্রা ১৯: ১২--১৩) পদ । তখন তৃতীয় দিনে ভয়ংকর পরিস্থিতি ইসরাইল জাতি অভিজ্ঞতা অর্জন করে । " পরে তৃতীয় দিনে প্রভাত হইলে মেঘ গর্জন ও বিদ্যুত এবং পর্বতের ওপর নিভির (১৯ : ১৬--১৮) পদ । সেই জন্য মোশী মোযাবের তলভুমিতে যখন দ্বিতীয়বার ব্যবস্থা বা আইন দিচ্ছেন তখন তিনি এই ভাববানী বলেন । কেননা ইসরাইল জাতি মোশীকে বলেছিল ।
"কেননা হোরেবে সমাজের দিবসে তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিকটে এই প্রার্থনাই ত করিয়াছিলে, যথা, আমি যেন আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব পুনর্বার শুনিতে ও এই মহাগ্নি আর দেখিতে না পাই, পাছে আমি মারা পড়ি। "
(দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৬---১৭) পদ । তার পরিপ্রেক্ষিতে ঈশ্বর এই মহান ভাববাদীর আগমনের কথা ব্যক্ত করেছেন । কারন তারা তখন ভয় পেয়ে ছিল । তাই তাদের প্রাথনা ঈশ্বর শুনে ছিলেন । তাই ঈশ্বর দ্বিতীয় মোশীকে জগতে তাঁর পূর্ন সময়ে ঈশ্বরের অনন্তকালীন বাক্য মানুষ হয়ে জন্ম নিলেন মহা ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে নয় বরং দয়া ও সত্য দ্বারা, "কারণ ব্যবস্থা মোশি দ্বারা দত্ত হইয়াছিল, অনুগ্রহ ও সত্য যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা উপস্থিত হইয়াছে।( যোহন ১: ১৭, গালা ৪:৪ )
👉ব্যাখ্যা : এখন আমরা পদ গুলো বিভিন্ন দিক দিয়ে বিশ্লেষণ করব :
👉প্রথমত :-- একজন ভাববাদীর কথা বলা হচ্ছে বহু বচন বলা হয়নি । এর
কারন হলো তিনি হবেন চুড়ান্ত ভাববাদী । নতুন নিয়ম সেই এই ভাববাদীর পূর্ণতা প্রভু যীশুর মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে । (প্রেরিত ৩: ২২---২৩, ৭:৩৭ ) । (পরে আমারা আরও বিস্তারিত দেখব।)
কারন হলো তিনি হবেন চুড়ান্ত ভাববাদী । নতুন নিয়ম সেই এই ভাববাদীর পূর্ণতা প্রভু যীশুর মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে । (প্রেরিত ৩: ২২---২৩, ৭:৩৭ ) । (পরে আমারা আরও বিস্তারিত দেখব।)
👉দ্বিতীয়ত :-- তোমার ভাতৃগনের মধ্যে থেকে। এখানে ভাতৃগনের বা ভাই বলতে কি বুঝানো হয়েছে । ভাই সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে । ঈশ্বর আব্রাহাম , ইসহাক ও যাকবের সাথে চুক্তি বা নিয়ম করেছেন (আদি ১৫ : ১৮ -২১, ২৬: ৩ ) । এই চুক্তির আওতায় ইসাহাকের ভাই ইম্মায়েল নয় । যাকোবর ভাই এষৌও নয় । যদিও ইসরাইল আব্রাহামের ছেলে এবং এষৌ যাকোবর এক মার পেটের ভাই তার পরেও তারা এই পদ গুলির context পরে না । কারণ ঈশ্বর বলেন , “কেননা ইস্হাকেই তোমার বংশ আখ্যাত হইবে।” (আদি: ২১ :১২ )
পরে ইস্হাকের পুত্র যাকবকে আরও নিশ্চিত করে ঈশ্বর বলেছিলেন , “ফলতঃ ঈশ্বর তাঁহাকে কহিলেন, তোমার নাম যাকোব; লোকে তোমাকে আর যাকোব বলিবে না, তোমার নাম ইস্রায়েল হইবে; আর তিনি তাঁহার নাম ইস্রায়েল রাখিলেন। ঈশ্বর তাঁহাকে আরও কহিলেন, আমিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও; তোমা হইতে এক জাতি, এমন কি, জাতিসমাজ উৎপন্ন হইবে, আর তোমার কটি হইতে রাজগণ উৎপন্ন হইবে। আর আমি অব্রাহামকে ও ইস্হাককে যে দেশ দান করিয়াছি সেই দেশ তোমাকে ও তোমার ভাবী বংশকে দিব।” (আদি:৩৫:১০-১২)।
পরে ইস্হাকের পুত্র যাকবকে আরও নিশ্চিত করে ঈশ্বর বলেছিলেন , “ফলতঃ ঈশ্বর তাঁহাকে কহিলেন, তোমার নাম যাকোব; লোকে তোমাকে আর যাকোব বলিবে না, তোমার নাম ইস্রায়েল হইবে; আর তিনি তাঁহার নাম ইস্রায়েল রাখিলেন। ঈশ্বর তাঁহাকে আরও কহিলেন, আমিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও; তোমা হইতে এক জাতি, এমন কি, জাতিসমাজ উৎপন্ন হইবে, আর তোমার কটি হইতে রাজগণ উৎপন্ন হইবে। আর আমি অব্রাহামকে ও ইস্হাককে যে দেশ দান করিয়াছি সেই দেশ তোমাকে ও তোমার ভাবী বংশকে দিব।” (আদি:৩৫:১০-১২)।
তাছাড়া , এখানে ভাই বলতে যাকোব অর্থাৎ ইস্রায়েলের বার ছেলে বা বংশ কে বুঝানো হয়েছে ।উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় লেবীয় যারা যাজকীয় বংশ ছিল তারা ভাই (দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ২) পদ । ইসরাইলের রাজা যিনি হবেন তিনি ভাই । “ তোমাদের ভ্রাতৃগনের মধ্যে হইতে আপনার উপর রাজা নিযুক্ত করিবে । যে তোমার ভ্রাতৃগন নয় এমন বিজাতীয ব্যক্তি কে আপনার উপর রাজা করিতে পারবে না । (দ্বিতীয় বিবরন ১৭ : ১৫: )
ভাইদের অর্থাৎ ইসরাইলের সাথে যেন কেও উদ্ধত না হয় (দ্বিতীয়বিবরন ১৭ : ২০) পদ ।
ইস্রায়েলেরা বিদেশীদের সাথে আলাদা (দ্বিতীয় বিবরন ১:১৫) ।
ইসরাইলেরা নিজেদের মধ্যে ভাই (দ্বিতীয় বিবরন ৩: ১৮) ।
তাই ইস্রায়েলকে যেন কেউ তুচ্ছ না করে । (দ্বিতীয় বিবরন ১১: ৭-১১) পদ ।
অন্যান্য ক্ষেত্রে, যখন ভাই হিসেবে দেখানো হয়েছে তখন তার সাথে ব্যাখ্যা করা হয়েছে । যেমন : এষৌ বা ইদোমকে (দ্বিতীয় বিবরন ২ ২:৪,৮ গননা পুস্তক ২০: ১৪) ।
ভাইদের অর্থাৎ ইসরাইলের সাথে যেন কেও উদ্ধত না হয় (দ্বিতীয়বিবরন ১৭ : ২০) পদ ।
ইস্রায়েলেরা বিদেশীদের সাথে আলাদা (দ্বিতীয় বিবরন ১:১৫) ।
ইসরাইলেরা নিজেদের মধ্যে ভাই (দ্বিতীয় বিবরন ৩: ১৮) ।
তাই ইস্রায়েলকে যেন কেউ তুচ্ছ না করে । (দ্বিতীয় বিবরন ১১: ৭-১১) পদ ।
অন্যান্য ক্ষেত্রে, যখন ভাই হিসেবে দেখানো হয়েছে তখন তার সাথে ব্যাখ্যা করা হয়েছে । যেমন : এষৌ বা ইদোমকে (দ্বিতীয় বিবরন ২ ২:৪,৮ গননা পুস্তক ২০: ১৪) ।
তাই ভাতৃগনের মধ্যে থেকে মানে, ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে মোশি ইংগিত করেছেন । অন্য ভাই ইম্মাইয়েল বা এষৌর মধ্য থেকে নয় ।
অধিকন্তু , আমরা যখন ২য় বিবরন ১৮:১৮ context দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাই ,
ইস্রায়েলেরা লেবীয়দের নিয়ে কথা বলা হয়েছে । বাক্যের "তাহারা" আপন ভ্রান্তদের মধ্যে অধিকার পাবে না ( দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ২) । ' তাহারা' বলতে লেবীয় গোষ্ঠীদের বোঝানো হয়েছে । যারা অন্য অন্য ইস্সাযেল গোষ্ঠীর সাথে সংযুক্ত । আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে আমরা (দ্বিতীয় বিবরন ১৭: ১৫ পদ ) থেকে বুঝতে পারি , ইস্রায়েলের ভাইদের মধ্যে থেকে বোঝাচ্ছে । পাঠকগণ পড়তে পারেন ( ২য় শমূ : ২: ২৬ , ২ রাজা ২৩: ৯ ; ২য বিচার ২০ : ১৩) । আমরা যদি ইস্রায়লে জাতির জীবনী দেখি, তাহলে দেখি রাজা শৌল থেকে শুরু করে রাজা সিদিকিয় পর্যন্ত সবাই ইস্রায়েলীয় ছিল ( ১শমুযেল ২শমুযেল ১ রাজা; ২ রাজা; ১বংশ; ২ বংশ ) ।
ইস্রায়েলেরা লেবীয়দের নিয়ে কথা বলা হয়েছে । বাক্যের "তাহারা" আপন ভ্রান্তদের মধ্যে অধিকার পাবে না ( দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ২) । ' তাহারা' বলতে লেবীয় গোষ্ঠীদের বোঝানো হয়েছে । যারা অন্য অন্য ইস্সাযেল গোষ্ঠীর সাথে সংযুক্ত । আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে আমরা (দ্বিতীয় বিবরন ১৭: ১৫ পদ ) থেকে বুঝতে পারি , ইস্রায়েলের ভাইদের মধ্যে থেকে বোঝাচ্ছে । পাঠকগণ পড়তে পারেন ( ২য় শমূ : ২: ২৬ , ২ রাজা ২৩: ৯ ; ২য বিচার ২০ : ১৩) । আমরা যদি ইস্রায়লে জাতির জীবনী দেখি, তাহলে দেখি রাজা শৌল থেকে শুরু করে রাজা সিদিকিয় পর্যন্ত সবাই ইস্রায়েলীয় ছিল ( ১শমুযেল ২শমুযেল ১ রাজা; ২ রাজা; ১বংশ; ২ বংশ ) ।
তাই যিনি সেই ভাববাদী হবেন অবশ্যই ইসরাইলের মধ্যে থেকে আসতে হবে কারণ যীশু নিজে বলেছেন , "যিহুদীদের মধ্যে থেকে পরিত্রাণ ( যোহন ৪: ২২) ।
👉তৃতীয়ত :-- আমার সদৃশ (১৫ পদ ) তোমার সদৃশ (১৮ পদ ) বলতে বুঝায়?
সদৃশ বা মত দ্বারা বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে । যখন আমরা কোন সাদৃশ্যতা খুঁজি তখন আমারা অনেক কিছুর মিল খুঁজি । ভাববাদী মোশীর সাথে একমাত্র প্রভু যীশুর সাথে মিলে । ( নিচে আমরা তা বিস্তারিত দেখব)। তাই পবিত্র বাইবেল পরিস্কার করে আরও বলে প্রভু যীশুই সেই মোশীর সদৃশ ভাববাদী । কেননা তিনি বলেছেন , “কারন যদি তোমারা মোশীকে বিশ্বাস করিতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করতে কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখেছেন” (যোহন ৫: ৪৬) । যীশুর প্রথম শিষ্যরা এর আগে স্বাক্ষী দিয়েছিলেন " “ মোশির ব্যবস্থায় ও ভাববাদীগন যাহার কথা লিখিয়াছেন । আমরা তাহার দেখা পাইয়াছি” ( যোহন ১: ৪৬) । যীশুর পুনরুথান ও স্বর্গারোহোন পরে যীশুর শিষ্য পিতর নিশ্চিত করে ছিলেন ( দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৮) । মোশীর সদৃশ ভাববানীর পূনর্তা যীশুর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ( প্রেরিত ৩: ১৯ --২৬) পদ । প্রথম সাক্ষ্যমর স্তিফানের মৃত্যুর পূর্বে এক উপদেশে দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৮ পদ উল্লেখ করে প্রমাণ করেছিলেন প্রভু যীশু সেই ভাববাদী যেখানে মোশীর ভাববানীর পূর্নতা পেয়েছে ।(প্রেরিত ৭: ৩৮---৫২) ।
অনেক যিহুদীরা স্বাক্ষ্য দিয়ে ছিল "ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী (যোহন ৭: ৪০)পদ ।
প্রভু যীশুর স্বাক্ষ্য অনুসারে সমস্ত পূরাতন নিয়মেই যীশুর বিষয়ে স্বাক্ষ্য দেয়, “ পরে তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের সঙ্গে থাকিতে থাকিতে আমি তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছিলাম, আমার সেই বাক্য এই, মোশির ব্যবস্থায় ও ভাববাদিগণের গ্রন্থে এবং গীতসংহিতায় আমার বিষয়ে যাহা যাহা লিখিত আছে, সেই সকল অবশ্য পূর্ণ হইবে।”
( লূক ২:৪৪) ।
( লূক ২:৪৪) ।
👉👉👉এখন ভাববাদী মোশি ও প্রভু যীশুর সাদৃশ্যের আলোচনা করব :
----------------------------------------------------
----------------------------------------------------
ভাববাদী মোশীর জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যিনি মোশীর মত ভাববাদী হবেন তাঁকে তিনটি নীতিমালার অন্তভুক্ত হতে হবে- ( দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৮-১৯, যাত্রা: ৩ )
(#ক) সেই ভাববাদী পিতা ঈশ্বরের মুখের বাণী বলবেন: যীশু বলেছেন তিনিই পিতা ঈশ্বরের বাক্য বলবেন । যা তিনি পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে সরাসরি শুনেন (যোহন ৭: ১৬--১৭ এবং যোহন ৮ :২৮) ।
(#খ) সেই ভাববাদী ঈশ্বরের সাথে মুখোমুখি কথা বলবেন: ঈশ্বরের সাথে সরাসরি কথা বলেন যেমন যীশু পিতা ঈশ্বরের সাথে সরাসরি কথা বলেন । (যোহন ১: ১৮ ; ১৭: ৫ ; মথি ১৭: ৫) ।
(গ) সেই ভাববাদী আশ্চর্য কাজ চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষন সাধন করবেন: অলৌকিক ও চিহ্ন কাজ করবেন মোশী যেমন সাধন করে ছিলেন । যীশু ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক আশ্চর্য কাজ বা চিহ্ন করে ছিলেন ( মথি, মার্ক, লূক ও যোহন সুসামাচার তার বিবরণ দেয় )
👉👉👉Dr. Joseph R. Nally, Jr. বাইবেল আমাদের ভাববাদী মোশী ও যীশুর মধ্যে যে মিল আছে তা দিয়েছেন তা সংক্ষেপে নিচে আলোচনা করা হয়েছে:-
(১) মোশি তাঁর জাতি ইসরাইলকে ফৌরনের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছিলেন ।তদ্রূপ যীশু ও তাঁর প্রজাদের মুক্তির জন্য কালভেরিতে জীবন দানের মধ্যে তা অর্জন করেছেন ।
(২) মোশি ফৌরনের রাজপ্রসাদ থেকে দাসের মত হয়েছিলেন যেন বন্দিদের মুক্তি দিতে পারেন । যীশুও তাই করলেন তিনি স্বর্গ ছেড়ে দাসের মতো হলেন (যাত্রা ২ তুলনীয় ফিলিপীয় ২: ৪-১১)।
(৩) মোশি নিজ জাতি দ্বারা অগ্রাহ্যকৃত হয়েছিলেন । তদ্রূপ যীশু নিজেও যিহুদীদের দ্বারা অগ্রাহ্যকৃত হয়েছেন ।
(৪) মোশি পরজাতীয়দের কাছে গেলেন এবং পরিবার পেলেন । তদ্রূপ যীশু খ্রীষ্ট নিজে ইসরাইল ত্যাগ করলেন যেন পরজাতীরা ঈশ্বরের পরিবারের সদস্য হতে পারে ।
(৫) মোশী ইসরাইল জাতির কাছে ৪০ বছর পরে পুনরায় গিয়েছিলন যেন তারা মুক্ত হতে পারে এবং প্রতি শ্রুত দেশে যেতে পারেন । তদ্রূপ যীশু ও আবার আসবেন তাঁর প্রজাদের স্বর্গে নেওয়ার জন্য ( ১ থি:৪: ১৩-১৭) ।
(৬) মোশির ইতিহাস ছিল যীশুর ইতিহাসের পূর্বছায়া ।
(৭) মোশি ইসরাইল জাতির সাথে ঈশ্বরের নিয়মের মধ্যস্থতা ছিলেন । যীশু খ্রীষ্ট তদ্রূপ নতুন নিয়মের মধ্যস্থতা কারী।
(৮) মোশী ছিলেন ঈশ্বরের বাটির বিশ্বাস্থ দাস এবং প্রভু যীশু পিতা ঈশ্বরের বাটির বিশ্বাস্থ পুত্র (ইব্রীয ৩: ৬) পদ ।
(৯) ঈশ্বরের অলৌকিক কাজের মধ্যে দিয়ে পাথর থেকে জল বের করে ছিলেন তদ্রূপ যীশু আত্মিক জীবন জল দান করেন (যোহন ৭ : ৩৭---৩৮) পদ ।
( ১০)মোশি সিনয় পর্বতে ইসরাইলের ব্যবস্থা দান করেন । তদ্রূপ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নতুন নিয়মের পূণতা সব জাতির জন্য দান করেন ( মথি ৫--৭অধ্যায়) ।
(১১) নিজ জীবন বিনিময়ে ইসরাইল জাতি কে রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন ( যাত্রা ৩২: ৩১--৩২) । যীশু নিজের ইচ্ছায় তাঁর প্রজাদের জন্য মৃত্যু বরন করে ছিলেন । পুনরুত্থিত হয়েছেন যেন মুক্তির মূল্য পরিশোধ করতে পারেন ( রোমীয ৪:২৫) ।
(১২) মোশির অনুসারীরা তার উপর রাগ করে ছিলেন । যখন অন্য লোকেরা চিহ্ন কায্য দেখে ছিল । যীশুর শিষ্যদের তদ্রূপ ( গননা ১১: ২৬--২৯) পদ , মার্ক ৯: ৩৮--৪০) ।
(১৩) মোশির মৃত্যুর পরে একজন স্বর্গদূত মোশীর দেহ পাহারা দিয়ে ছিলেন তদ্রূপ যীশুর মৃত্যুর পরে তাঁর কবরে কমপক্ষে দুই জন স্বর্গ দূত পাহারা রত ছিল ।
(১৪) মোশির কাছে ঈশ্বরের পবিত্র নাম অর্থাৎ নিয়মের নাম প্রকাশ করে ছিলেন ( যাত্রা ৩: ১৩--১৫) পদ । তদ্রূপ যীশুর ক্ষেত্রে বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছে (ফিলিপীয় ২: ৫--১১) পদ ।
(১৫) মোশীর বাক্যে কাযকারী ছিলেন (প্রেরিত ৭: ২২) পদ । তদ্রূপ যীশু আরও বেশি কার্যকর ছিলেন ( মথি ৭: ২৮---২৯; এবং ৮: ৩--১৩) পদ ।
(১৫) মোশীর বাক্যে কাযকারী ছিলেন (প্রেরিত ৭: ২২) পদ । তদ্রূপ যীশু আরও বেশি কার্যকর ছিলেন ( মথি ৭: ২৮---২৯; এবং ৮: ৩--১৩) পদ ।
(১৬) মোশি বার জন গুপ্তচর পাঠিয়ে ছিলেন গোপনে কনান দেশে পরিভ্রমণ করাব জন্য । অন্য দিকে প্রভু যীশু বার জন শিষ্য কে একই দেশে পাঠিয়ে ছিলেন ।। খোলাখুলি ভাবে যেন তারা অনুতাপের বানি প্রচার করতে পারে ও মন্দ আত্মা দূর করতে পারেন ( মার্ক ৬: ৬--১৩) পদ ।
(১৭) পবিত্র সমাগম তাম্বুর যেখানে ঈশ্বর মিলিত হতেন কাজে মোশী জরিত ছিলন (যাত্রা ২৫--৪০) তদ্রূপ যীশু ও স্বগ দূতের অহস্ত কৃত সমাজ তাম্বুর সাথে জড়িত ।
(১৮) মোশি ছিলেন নম্র (গননা ১২ :৩) যীশু ছিলেনও তাই ( মথি ১১: ২৮--৩০)।
(১৯) মোশি হারুনের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ দিয়ে ছিলেন (গননা ৬: ২২--২৭) যীশু পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে আশীর্বাদ দান করেন (মথি ৫: ১--১২) তিনি নিদর্শনা দিয়েছিলেন যেন তার অনুসারী রা অন্যদের আশীর্বাদ করেন ( লূক ৬: ৭--১১) ।
(২০) মোশির বিরোধী ফৌরনের হৃদয় কঠিন ছিল (যাত্রা ৭: ৩) যীশুর বিরোধীদের বিশেষ করে যিহুদীদের হৃদয় কঠিন ছিল । কারন তিনি বিশ্রাম বারের দিনে সুস্থ করে ছিলেন ( লূক ৬: ৭--১১) ।
(২১) মোশির ব্যবস্থা অবাধ্য হলে কঠিন শাস্তি এমন কি মৃত্যু দন্ড ছিল । যীশুর রক্তের নিয়মের ব্যবস্থা অগ্রাহ্য যে করবে তাদেরও চরম শাস্তি রয়েছে (ইব্রীয ১০: ২৮---৩১) পদ ।
(২২) ৭০ জন প্রবীণদের সাথে মোশি কথা বলেছিলেন (যাত্রা ২৪: ১) যীশুও ৭০ জন প্রাচীনের সাথে কথা বলে ছিলেন মহাসভায় ( লূক ২২: ৭০--৭১) পদ ।
(২৩) মোশি নিস্তার পর্বের মেষ বলির মধ্যে দিয়ে মুক্তির মূল্যের ব্যবস্থা করেছেন (যাত্রা ২৪: ১--৮) পদ ।যীশু তার রক্তের দ্বারা নতুন নিয়মের মুদ্রাংকা করেন ( ইব্রীয় ৯ : ১৮--২৮)।
(২৪) মোশি নিয়ম সিন্ধুকের দরজা পর্দা দ্বারা বন্ধ করেন । কিন্তুু খ্রীষ্ট যীশু তাঁর মৃত্যু দ্বারা মন্দিরের পর্দা ছিড়ে দিয়ে ছিলেন যেন সবাই প্রবেশ করতে পারে ( মথি ২৭ ও মাক ১৫) ।
(২৫) সমগৌত্রিও দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে ছিলেন (যাত্রা ১৭: ৪), যীশুও তদ্রূপ ( যোহন ৮: ৫৮) ।
(২৬) শিশু থাকতে মোশি যেমন অদ্ভুত অভিজ্ঞতা যেমনঃ তাকে নলখাগড়া দিয়ে বানিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল । যীশুর জম্ম ও অদ্ভুত পশুর যাব পাত্রে থাকতে হয়েছিল ।
(২৭) মোশি পালিত হয়েছিল রাজকন্যা দ্বারা (যাত্রা ২ )।যীশুর মা রাজা দাযূদের বংশের কন্যা ছিল (লূক ৩) ।
(২৮) মোশি ফরৌনের বাড়ীতে বড় হয়েছিলেন যেখানে তিনি দত্তক হিসাবে নীত হন তদ্রুপ যীশু যোসেব নামে পালক পিতার ঘরে বড় হয়েছিলেন ( যাত্রা : ২ তুলনীয় মথি-১:১৮ ও ২৫ এবং প্রেরিত ৭:২০-২১) পদ।
(২৯) মন্দতার শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ছিলেন ( -৫-১২)যীশু তদ্রূপ মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন মথি ৪:১-১০)
(৩০) সবচেয়ে বড় পদ ছেড়ে দিলেন যেন তাঁর লোকদের সাথে কষ্ট করতে পারেন ( যাত্রা ২-১২ ; ইব্রীয় ১১:২৩-২৭)। যীশুও স্বর্গের র্সবোচ্চ পদ ছেড়ে দিয়ে পৃথিবীতে এলেন যেন তার লোকদের জন্য দুঃখ ভোগ করতে পারেন ও দেনার মুল্য পরিশোধ করতে পারেন। (ফিলি ২: ৫-৮) ।
(৩১) ঈশ্বরের মুখের কথা বলেছেন ( দ্বি:বি:১৮:১৯) যীশু পিতা ঈশ্বরের কতৃত্বের অধীনে কথা বলেছেন( যোহন ৮:৪২-ও ১৭:৪-৫)।
(৩২) হাজার হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন ( যাত্রা ১৬) যীশুও তদ্রুপ ( যদি ১৪ ও ১৫)।
(৩৩). আইনের যুগের আরম্ভ করেন (যাত্রা ১:১৭) যীশু অনুগ্রহ সত্য যোগের সূচনা করেন ( যোহন ১ :১৭) পদ ।
(৩৪) মোশি স্মরনীয় উৎসব করেন = নিস্তার পর্ব ( যাত্রা-১২)যীশু স্মরনীয় ভোজ বা প্রভুর ভোজ স্হাপন করেন ( লূক-২২:১৯-২০) ।
(৩৫) মোশি ঈশ্বর কর্তৃক আজ্ঞা কৃত কাজ সমাপ্ত করেন। ( যাত্রা ৩) যীশুও তাঁর মিসন সমাপ্ত করেছিলেন ( যোহন ১৭:৪৩৭'১৯:৩০) ।
(৩৬). মোশির মৃত দেহের কবরের অবস্থান কেউ জানে না (দ্বিতীয় বিবরন ৩৪) । যীশুর কবর শূন্য কারন তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন ও স্বর্গে আরোহন করেছেন ( মার্ক -১৬:১৯ এবং লুক ২৪:৫০-৫৩)
(৩৭). মোশির মৃত্যু পরে আবার প্রকাশিত হয়েছিল ( মথি ১৭: ৩ ) । যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ৫০০ জনের বেশি লোকের কাছে দেখা দিয়েছিলেন । ( মথি ২৮ ; মাক ১৬ ; লূক ২৪ ; যোহন ২০ ও ৩১ ) ।
(৩৮) নিজ পরিবার সদস্য দ্বারা অগ্রাহ্য হয়েছিলেন মোশি (গননা ১২) এবং যীশু তদ্রূপ ( যোহন ৭ :৫) ।
(৩৯) জাগতিক দাসত্ব থেকে মুক্ত করে মোশি ব্যবস্থা দিয়েছিলেন । যীশু ও তদ্রূপ তার প্রজাদের মুক্তকরে ভালবাসার ব্যবস্থা দিয়েছেন যেন পাপের দাসত্ব ও শয়তান থেকে মুক্ত করতে পারেন ।
(৪০) মোশি এমন পরিস্থিতিতে জম্ম নিয়ে ছিলেন যখন ফরৌন কর্তৃক ইসরাইল জাতি অত্যাচারিত হচ্ছিল । কিন্তুু যীশু এমন সময় জম্ম নিলেন তখন রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে পৌওলিকতার অত্যাচার বিদ্যমান ছিল ।
(৪১) মোশির জম্ম স্থান মিসরের লোকেরা ফৌরনকে ঈশ্বর হিসাবে আরাধনা করত । যীশু যখন জম্ম নিলেন রোম সম্রাটকে ঈশ্বর হিসাবে আরাধনা পেতেন ।
(৪২) এ রকম দেশে বড় হলেন ফৌরনের মনে করেছিলেন ইসরাইল জাতি বিদ্রোহ করবে তাই পুরুষ শিশুদের হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন । যীশু জন্মের সময় হেরোদ শিশুদের হত্যা করার আজ্ঞা জারি করেছিলেন
(মথি ২ )।
(মথি ২ )।
(৪৩) জন্মের পর মোশি ক্ষুদ্র সময় জম্মস্থানে ছিল পরে নীল নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় । পরে ফৌরনের কন্যা কাছে নিরাপদে থাকেন । তদ্রূপ নিরাপত্তার জন্য যীশুকে বৈৎলেহেম ছেড়ে মা ও পালক পিতার সাথে মিশরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় । (যাত্রা ২: ১- ১০ ; প্রেরিত ৭: ২০; মথি ২:১৩-১৫ )।
(৪৪) মোশি ফৌরনের রাজ পরিবারের দওক পুত্রের অধিকার পান । যীশু যোসেফের রাজকীয় বংশের আশ্রয়ে দওক পুত্র পান ( মথি ১: ১৮-২৫ ) ।
(৪৫) মোশি রাজা হিসেবে স্বীকৃতি হতে চাননি (ইব্রীয় ১১: ২৬--২৯) । যীশুও ইসরায়েলীয়দে রাজা হতে চাননি (মথি ৪ :৮--১১) পদ ।
(৪৬) মোশি মিসরে ছিলেন, তেমনি যীশু শিশু সময়ে মিসরে ছিলেন (মথি ২ : ১৩--২১) পদ ।
(৪৭) ) মোশি মিশর থেকে বেরিয়ে এসে ছিলেন জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করার জন্য এবং ব্যবস্থাদাতা ও নেতা হওয়ার জন্য । যীশু মিসর থেকে প্যালেষ্টাইনে আসতে হয়েছিল যেন ব্যবস্থা দাতা ও নেতা হতে পারেন।
(৪৮) ৪০ বছর মোশি মরুভুমিতে পরীক্ষিত হয়েছিলেন । যীশু নিজে ৪০ দিন মরুভুমিতে পরিক্ষিত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৪০ মাস তিনি পরিচর্যা কাজ , আশ্চর্য কাজ ও শিক্ষা দান করেন ।
(৪৯) মোশি ৪০ দিন উপাবাস করেন (যাত্রা ৩৪ :২৮) এবং যীশুও ৪০ দিন উপবাস থাকেন (মথি ৪: ২ ) ।
(৫০) মোশি মেষ পালক ছিলেন কিন্তু যীশু নিজেও জীবনের মেষ পালক ছিলেন (যোহন ১০ : ১১--১৮) ।
(৫১) মোশির ক্ষমতা সাক্ষ্য ছিল ঈশ্বরের মেঘ ও ঈশ্বরের রব (গননা পুস্তক ১১ : ২৪--২৫) । যীশু কতৃক সাক্ষ্য ছিল ঈশ্বরের মেঘ ও তাঁর রব ( মথি ১৭ : ২৪--২৫) পদ ।
👉👉👉এ ভাবে আরও উদাহারণ দেয়া যায় । উপড়ে তা দেয়া হল যেন পাঠকগন চিন্তা করতে পারেন ।
⛪⛪⛪এখন আমরা দেখব, প্রভু যীশুকে কেন ভাববাদী হতে হয়েছিল ?
---------------------------------------------------------
---------------------------------------------------------
প্রথমে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যিনি ঈশ্বর পুত্র মসীহ পাপী মানুষের মুক্তির জন্যে স্বর্গ ছেড়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। একমাত্র মুক্তিদাতা মসীহ হিসেবে যীশু খ্রীষ্টকে পাপী মানুষকে পরিত্রাণের জন্য তাঁর তিনটি বিশেষ কাজের পদ আছে :
💢ভাববাদী,
💢যাজক ও
💢রাজা ।
💢ভাববাদী,
💢যাজক ও
💢রাজা ।
আজকের এই লেখায় ভাববাদী বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকব ।
নতুন নিয়মে যারা যীশুকে ভাববাদী হিসাবে সাক্ষী দিয়েছিলেন তাদের একটি তালিকা দেওয়া হল :
🎀( ১ ) পাঁচ হাজার লোককে খাবারের পরে সাধারণ জনতা সাক্ষ্য দিয়েছিল । যীশু সেই প্রতিজ্ঞাত ভাববাদী যিনি মোশীর সদৃশ প্রতিজ্ঞাত ভাববাদী যিনি মোশীর সদৃশ ঈশ্বরকে মুখোমুখি দেখেন (যোহন ৬: ১৪) পদ । যোহন ৭: ৪০; ৫২ ; তারা বলেছিল, " উনি সত্যি সেই ভাববাদী যিনি আসিতেছেন ।"
🎀(২) শমরীয় নারী নিশ্চিত হয়েছিলেন যীশু ভাববাদী (যোহন ৪: ১৯) পদ ।
🎀(৩) যীশুর আশ্চর্য কাজের সাক্ষীরা ( মথি ১৪ : ১--৫ ; মাক ৬: ১৪---১৫ ; মথি ১৬: ১৩---১৪ ; লূক ৯ : ১৮ --১৯ ।)
🎀(৪) সাধারন জনতা ভাববাদী হিসেবে যীশু কে উল্লেখ করছিল । তিনি যখন যিরুশালেমে প্রবেশ করেন (মথি ২১ : ১০--১১ ) ।
(🎀৫) খ্রীষ্টের মৃত্যুর পরে দুজন শিষ্য বলেছিলেন যীশু কে যিনি ঈশ্বরের ও সকল লোকের সাক্ষাতে কার্যে ও বাক্যে পরাক্রমী ভাববাদী ছিলেন ।
🎀(৬) প্রেরিত পিতর ও সাক্ষময স্তিফান প্রেরিত ৩ : ২০--২৩ ; দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৫--১৮ পদ । তারা দুজনেই মোশী কর্তৃক ভাববাদী পুনরায় যীশুর মধ্যে দিয়ে সুসম্পন্ন হয়েছে । তা তারা ঘোষণা দিয়েছিল ।
🎀(৭) যীশু ঈশ্বরের আশীর্বাদের কথা ঘোষণা করার পরে লোকে বলে ছিল । তিনি সত্যিই সেই ভাববাদী । যোহন ৭: ৩৭--৪০ পদ ।
🎀(৮) তিনি ভাববাদী হিসেবে বিচার ও ধিক্কারের বাণী দিয়েছিলেন ( প্রেরিত ৩: ২৩; মথি ১১: ২০--২৪ )
🎀(৯) যীশু অতি প্রাকৃতিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন । ( যোহন ২: ২৪---২৫ , মথি ৯ : ৪ ; মাক ২: ৮)
🎀(১০) যীশু শক্তি শালী আশ্চর্য কাজ ; চিহ্ন কার্য সম্পন্ন করেন ( লূক ৭: ১২--১৭) যোহন ৯: ১৭ ) ।
👉👉👉** ভাববাদী হিসেবে যীশুর নিজের আত্মা স্বীকৃতি :
----------------------------------------------------
----------------------------------------------------
পুত্র ঈশ্বর হইয়েও যীশু নিজেকে ভাববাদী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে সরে পড়েনি:
🔮(১) তিনি অগ্রাহ্য কৃত ভাববাদী :(লূক ১৩: ৩১---৩৫ ; মথি ১৩ : ৫৭ ; মাক ৬ : ৪ ; লূক ৪ : ২৪--২৭ ; যোহন ৫ : ৪৬ ) ।
🔮(২) ভাববাদী হিসেবে পবিত্র আত্মা দ্বারা অভিষিক্ত ( যোহন ৩ : ৩৪ ; লূক ৪ : ১৬--২১ ; যিশাইয ৬১ : ১--২) ।
🔮(৩) তিনি ভাববাদী হিসেবে ক্ষমতার সাথে কথা বলেছেন । মার্ক ১ : ৩৪ , ৩: ২৮ ; যোহন ৭ : ১৬ , ১৪: ১০ ) ।
অন্যান্য ভাববাদীদের তুলনায় যীশু মহান ( মথি ১২ : ৪১ ; লূক ১১: ৩২ ; যোহন ১: ১৫ ) ।
যীশু খ্রীষ্ট মোশীহ ও ঈশ্বরের পুত্র (মথি ১৬ : ১৩--১৭) । উচ্চ পদান্বিত যীশু হচ্ছেন সমস্ত ভাববাদীর উৎস ও ভিত্তি । ( প্রকাশিত বাক্যে ১৯: ১০) পদ ।
অন্যান্য ভাববাদীদের তুলনায় যীশু মহান ( মথি ১২ : ৪১ ; লূক ১১: ৩২ ; যোহন ১: ১৫ ) ।
যীশু খ্রীষ্ট মোশীহ ও ঈশ্বরের পুত্র (মথি ১৬ : ১৩--১৭) । উচ্চ পদান্বিত যীশু হচ্ছেন সমস্ত ভাববাদীর উৎস ও ভিত্তি । ( প্রকাশিত বাক্যে ১৯: ১০) পদ ।
*** ভাববাদী হিসেবে যীশু কি কার্য্য সম্পন্ন করেছেন ?
-----------------------------------------------------------
🛡প্রথমত :--- যতটুকু জানা প্রয়োজন তা ঈশ্বর কে সম্পন্ন রূপে জ্ঞাত করেছেন। ভাববাদী ঈশ্বরের ইচ্ছার আইন ও ব্যবস্থা, দিক নির্দেশনা, শাসন বানী সহ অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞাত করা।
-----------------------------------------------------------
🛡প্রথমত :--- যতটুকু জানা প্রয়োজন তা ঈশ্বর কে সম্পন্ন রূপে জ্ঞাত করেছেন। ভাববাদী ঈশ্বরের ইচ্ছার আইন ও ব্যবস্থা, দিক নির্দেশনা, শাসন বানী সহ অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞাত করা।
যীশুই সেই পূর্ণতা দিয়েছেন । যার মধ্য দিয়ে পাপী মানুষ ঈশ্বরের কাছে পৌছানোর সুন্দর সুযোগ পেয়েছে যা মোশীর সময়ে সম্ভব ছিল না । তিনি জগতের সেই আলো যারা তার আলোতে আলোকিত হয় সে অন্ধকারে চলবে না ( যোহন ৮ :১২ ) ।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, শমরীয় নারি বলেছিলেন , "আমি জানি মসীহ আসিতেছেন , যাকে খ্রীষ্ট বলে । তিনি যখন আসিবেন তখন আমাদিগকে সকলেই জ্ঞাত করিবেন । ( তখন যীশু বলেন ) তোমার সহিত কথা কহিতেছি যে আমি আমিই তিনি ( যোহন ৪: ২৫--২৬) ।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, শমরীয় নারি বলেছিলেন , "আমি জানি মসীহ আসিতেছেন , যাকে খ্রীষ্ট বলে । তিনি যখন আসিবেন তখন আমাদিগকে সকলেই জ্ঞাত করিবেন । ( তখন যীশু বলেন ) তোমার সহিত কথা কহিতেছি যে আমি আমিই তিনি ( যোহন ৪: ২৫--২৬) ।
🛡দ্বিতীয়ত : ঈশ্বর যীশুর মধ্যে দিয়ে শেষ বানী দিয়েছেন । যীশু স্বয়ং নিজেই ঈশ্বরের অনন্ত কালীন বানী ( যোহন ১ : ১) পদ । তিনি শেষ কালে পতিত মানব জাতির জন্য শেষ বানী নিয়ে এসেছেন । তা হিব্রু লেখক বলেছেন, " ঈশ্বর পূব কালের বহু ভাগে ও বহু রূপে ভাববাদী পিতৃলোক দিগকে কথা বলিয়া এই শেষ কালে পুত্রই আমাদিগকে বলিয়াছেন ( ইব্রীয ১ : ১--২) । যীশু তাঁর সম্পর্কে বলেছেন," আমি আলফা এবং ওমেগা, প্রথম ও শেষ , আমি আদি ও অন্ত ( প্রকাশিত বাক্যে ২২ : ১২) । কারণ তাঁর মধ্যে দিয়ে শেষ বানী লিপিবদ্ধ হয়েছে । তাই প্রেরিত যোহন সাবধান বানী দিয়েছিলেন, "
যে লোক এই বইয়ের সমস্ত কথা, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য শোনে আমি তার কাছে এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, কেউ যদি এর সংগে কিছু যোগ করে তবে ঈশ্বরও এই বইয়ে লেখা সমস্ত আঘাত তার জীবনে যোগ করবেন। 19আর এই বইয়ের সমস্ত কথা, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য থেকে যদি কেউ কিছু বাদ দেয় তবে ঈশ্বরও এই বইয়ে লেখা জীবন-গাছ ও পবিত্র শহরের অধিকার তার জীবন থেকে বাদ দেবেন। (প্রকাশিত বাক্যে ২২: ১৮--১৯) ।
যে লোক এই বইয়ের সমস্ত কথা, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য শোনে আমি তার কাছে এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, কেউ যদি এর সংগে কিছু যোগ করে তবে ঈশ্বরও এই বইয়ে লেখা সমস্ত আঘাত তার জীবনে যোগ করবেন। 19আর এই বইয়ের সমস্ত কথা, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য থেকে যদি কেউ কিছু বাদ দেয় তবে ঈশ্বরও এই বইয়ে লেখা জীবন-গাছ ও পবিত্র শহরের অধিকার তার জীবন থেকে বাদ দেবেন। (প্রকাশিত বাক্যে ২২: ১৮--১৯) ।
ভাববাদী মোশীর ভাববাণী ছিল ভবিষ্যতে দিকে কিন্তু যীশু নিজেই সেই শেষ বানীর আসার পূর্ণতা দিয়েছেন । তার বাহিরে আর কোন বানীর নিশ্চিযতা দেয় না । তিনি যখন বলছেন ," আলফা ও ওমেগা" তার মানে ভাববাদীর পুর্নতার পূর্ণতা দিয়েছেন ।
🔮তৃতীয়ত :-- তিনি শুধুই শেষ বানীই নিয়ে আসেননি তিনি পরিত্রাণের কার্য্য সুসম্পন্ন করেছেন । ক্রশে ষষ্ঠ বাণীতে যীশু বলেছিলেন , "সমাপ্ত হইল "
🌋🌋🌋কি কি সমাপ্ত করেছেন?
🔘 (ক)ভাববানীর পূর্ণতা দিয়েছেন । যীশু সম্পর্কে যত ভাববাণী আছে তা যীশুতে সমপন্ন হয়েছে (দ্বিতীয় বিবরন ১৮ :১৫--১৮ ; গীত ২২: যিশাইয় ৫৩: )।
🔘(খ) যিহুদী সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠনিকতা সমাপ্ত সহ অন্যান্য নিয়ম কানুন যা শুধু ছায়ামাত্র তার পূর্ণতা দিয়ে সমাপ্ত করেছেন । যেমন: পুরাতন নিয়মের বলিদান প্রথা ।
🔘(গ) পিতা ঈশ্বর কতৃক প্রদত্ত কাজ যীশু শেষ করেছেন ।
যোহন ৪ : ৩ পদ বলে, যোহন ১৭: ৪ সমাপ্ত করেছেন ।
যোহন ৪ : ৩ পদ বলে, যোহন ১৭: ৪ সমাপ্ত করেছেন ।
🔘(ঘ) উওম জীবনের সফল ভাবে সমাপ্তি করেছেন ।
🔘(ঙ) মানুষের মুক্তির জন্য যা প্রয়োজন তা সমাপ্ত করেছেন।
পরিত্রাণ সুসম্পন্ন পবিত্র জীবন ঈশ্বরের সাথে সমাপ্তির জন্য যা প্রয়োজন তা খ্রীষ্ট যীশু সমাপ্ত করেছেন । এর সাথে আর কোন বিষয় যোগ করার নেই । তার দুঃখ ভোগ, মৃত্যু ও পূণরুত্থানের মুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে । ( From Lance R. Hilton : it is finished sermon )
🔶️তিনি আমাদের বিশ্বাসের আদিকতা ও সিদ্ধিকর্তা (ইব্রীয় ১২: ২) ।তিনিই ব্যবস্থার পরিণাম (মথি ৫:১৭) পদ ।
🏔🏔🏔উপসংহার :-- দ্বিতীয়বিবরন ১৮ : ১৮ পদ । মোশীর সাদৃশ্য ভাববাদী একজনই তিনি হলেন প্রভু যীশু খ্রীষ্ট । পুরাতন নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রথম মোশী দ্বারা । নতুন নিয়ম যা পিতা ঈশ্বরের শেষ ইচ্ছা আইন নিয়ম চুক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় মোশী যীশু দ্বারা । আমরা বিভিন্ন দিক দিয়ে পরীক্ষা পর্যালোচনা ও প্রমাণ সহ বিশ্লেষণ করছি যে, মোশীর সাদৃশ্য ব্যক্তি এক জনই আছেন তিনি খ্রীষ্ট যীশু তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার মধ্যে দিয়ে ভাববানীর পূণতা ১০০% হয়েছে । পাপী মানুষের পুর্নাঙ্গ ক্ষমা , অনন্ত জীবন নিশ্চয়তা সহ আগত ক্রোধ থেকে রক্ষা, ঈশ্বরের সাথে বসবাস সহ জাগতিক ও অাধ্যাত্বিক জীবনের নীতিমালা স্বর্গীয় নাগরিক হিসেবে পবিত্র জীবনের নিদর্শনা সহ সমস্ত পবিত্র বিষয়ে আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে । তিনি শুধু ঈশ্বরের ইচ্ছা শুধু প্রকাশিত করেন নি , তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি তাঁ র শিষ্যদের সাথে সব সময়ই থাকবেন এমনকি যুগের শেষ পর্যন্ত (মথি ২৮ : ১৯--২০) পদ । তিনি আরও বলেছেন তিনি আবার আসবেন তাঁর প্রজাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য।
এখন আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু তিনি যখন আসবেন তখন সমস্ত কিছু প্রকাশ করবেন ( ১করিঃ ১৩: ১২) পদ ।
এখন মানুষের আর হতাশা বা সত্য না জানার কষ্ট নেই । কেননা যীশু আমাদের বর্তমান মন্দ যুগ থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করেছেন যেমন প্রেরিত পৌল বলেছেন, " আমাদের ঈশ্বর ও পিতার ইচ্ছামত খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলেন, যেন তিনি এখনকার এই মন্দ জগতের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারেন। " (গালা ১: ৪) ।
গীত রচক কষ্ট করে বলেছিলেন , 🔷️🔶️🔸️" আমাদের জন্য কোন আশ্চর্য কাজ করা হচ্ছে এমন তো আর আমরা দেখি না; কোন নবীও আর নেই; এরকম যে আর কতদিন চলবে তা আমাদের কেউ জানে না। (গীত ৭৪ : ৯) ।
কিন্তু এখন আমাদের কাছে মহান ভাববাদী যীশু আছেন । যিনি সমস্ত চিহ্ন আশ্চর্য কাজসহ পরিত্রাণের বাণী দিয়েছিলেন ।
যেমন :-- Without doubt Moses was the greatest of the prophets , but in Christ we have the have the Lord of the prophets; in Christ we do not have a mere man, but God himself." ( Core Christianity )
তাই দ্বিতীয় মোশী যীশু খ্রীষ্ট যিনি আমাদের পরিত্রাণের জন্যে জীবনের বানী ঘোষণা করেছেন তিনি আমাদের সাথে সাথে আছেন এবং থাকবেন ( ইব্রীয় ১৩: ৮ --৯) পদ । তাই আজকে আপনার কি প্রয়ােজন ? ক্ষমা, পরিত্রান, অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা , আরাধনা, প্রার্থনা, জীবন ব্যবস্হা সহ সবই প্রভু যীশুতে আছে । তাই আসুন তাঁকেই অনুসরণ করি ।। আমেন ।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
কিন্তু এখন আমাদের কাছে মহান ভাববাদী যীশু আছেন । যিনি সমস্ত চিহ্ন আশ্চর্য কাজসহ পরিত্রাণের বাণী দিয়েছিলেন ।
যেমন :-- Without doubt Moses was the greatest of the prophets , but in Christ we have the have the Lord of the prophets; in Christ we do not have a mere man, but God himself." ( Core Christianity )
তাই দ্বিতীয় মোশী যীশু খ্রীষ্ট যিনি আমাদের পরিত্রাণের জন্যে জীবনের বানী ঘোষণা করেছেন তিনি আমাদের সাথে সাথে আছেন এবং থাকবেন ( ইব্রীয় ১৩: ৮ --৯) পদ । তাই আজকে আপনার কি প্রয়ােজন ? ক্ষমা, পরিত্রান, অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা , আরাধনা, প্রার্থনা, জীবন ব্যবস্হা সহ সবই প্রভু যীশুতে আছে । তাই আসুন তাঁকেই অনুসরণ করি ।। আমেন ।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Comments
Post a Comment