যিনি স্বর্গ থেকে এসেছেন তিনিই স্বর্গে নিবেন, আর কেউ না

ভূমিকা: পবিত্র বাইবেলের শিক্ষা অনুসারে আদম-হবাকে সৃষ্টির পরে এদন বাগানে রাখা হয়েছে যা ছিল পৃথিবীতেই কিন্তু স্বর্গে না (আদি ২:৮) । আমাদের মনে রাখতে হবে "স্বর্গ" দ্বারা ঈশ্বরের বসতির জায়গাকে বুঝায় যেখানে পবিত্রতা ও ধার্মিকতা অবস্থান করে (২ পিতর ৩:১৩)। যদি আমরা পবিত্র বাইবেলের প্রাথমিক ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দেই তাহলে দেখতে পাব , আমাদের আদি পিতা-মাতা আদম হবার পতনের পরেই তাদের এদন বাগান থেকে বের করে দেওয়া হয় ( আদি ৩:২৩)। এভাবে মানব জাতির পতন হয়ছে যা পরবর্তী প্রতিটি মানুষের কাছে ভয়ংকর ভাইরাসের মতই সংক্রমিত হয়। এ কথা কোন তত্ত্ব কথা না কিন্তু ঐতিহাসিক সত্যের উপর নির্ভরশীল যার ফল আমরা যুগ যুগ ধরে মানুষের চরিত্রে দেখছি। কিন্তু যারা এখনও পাপ ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে স্বীকার করে না তারা এখনও মানুষের স্বভাব বা প্রকৃতি সম্পর্কে অজ্ঞ। বস্তুত আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে , পৃথিবীর কোন মানুষের পক্ষে আর কোনদিনই সম্ভব হবে না মানুষকে স্বর্গ নিয়ে যাবার । কিন্তু কেউ যদি স্বর্গ থেকে আসে তিনিই পারবেন আর কেউ নয় । আসলে তিনি কে ? তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যিনি তাঁর বাণী প্রচারে বলেছিলেন ,
"কেননা ঈশ্বরীয় খাদ্য তাহাই, যাহা স্বর্গ হইতে নামিয়া আইসে, ও জগৎকে জীবন দান করে।"
(যোহন ৬:৩৩ ROVU)
এখন আমরা এখন দেখব স্বর্গের প্রভু যীশু ছাড়া জগতের কোন ব্যক্তির বা অন্য ভ্রান্ত ঈশ্বরের পক্ষে স্বর্গে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না :
প্রথমতঃ আমাদের স্বীকার করতে প্রতিটি মানুষই পাপী ও ঈশ্বরের প্রদত্ত আইন কানুন বা ব্যবস্থা অনুসারে জীবন চলতে ব্যর্থ হয়েছেন । যারা নিজেকে ধার্মিক হিসাবে দাবী করে তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে গর্হিত অপরাধ করে । আমরা মানব জাতির ইতিহাস থেকে দেখি, আদম থেকে শুরু যত মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছে প্রভু যীশু ছাড়া সবারই এক অবস্থা । একজন মানুষ পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক কিছুই দাবী করে গেছে। কিন্তু সে যাই দাবী করুক, তার একটাই টাইটেল : পাপী । কারণ পবিত্র বাইবেল তা নিশ্চিত করে এভাবে ,
🛑 ‘‘ধার্মিক কেহই নাই, একজনও নাই, বুঝে, এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, এমন কেহই নাই। সকলেই বিপথে গিয়াছে, তাহারা এক সঙ্গে অকর্মণ্য হইয়াছে; সৎকর্ম করে এমন কেহই নাই, একজনও নাই। "
আরও পরিষ্কার ভাবে প্রেরিত পৌল বুঝিয়েছেন,
🛑"কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে-"
(রোমীয় ৩:১০-১২ ROVU)
এই পাপ নিয়ে তো কেউ ঈশ্বরের সাক্ষাতে যেতে পারবে না যদি না ঈশ্বর তাদের পাপ পরিষ্কার না করেন ও ধৌত না করেন । পাপী মানুষের আশা তাই ছিল ক্ষীণ। কিন্তু ঈশ্বর দয়াধনে ধনবান বলেই পাপীকে ধ্বংসের দিকে ছেড়ে দেননি। তাই এই মহাসমস্যা সমাধানের জন্য তিনি তাঁর পুত্রকে স্বর্গ থেকে পাঠিয়েছেন ও পাপী মানুষের মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন । কি ভাবে তা সম্ভব হয়েছে আমরা পরের পয়েন্টে আলোচনা করব ।
দ্বিতীয়তঃ মানুষের মুক্তির জন্য নিষ্পাপ বলি প্রয়োজন । আদি পিতা-মাতা পাপে পতিত হওয়ার পরেই ঈশ্বর তাদের পাপ ঢাকার জন্য পশু বলিদান করে সেই চামড়া দিয়ে পোশাক পড়িয়ে দিয়েছিলেন যা ভবিষ্যত শেষ বলিদানকে ইংগিত করে (আদি৩:২০)। ঈশ্বর আরও প্রতিজ্ঞা করেছিলেন একজন নারীর ঘরে জন্ম গ্রহণ করবেন যিনি শয়তানের মস্তককে চুর্ণ করে দিবেন (আদি ৩:১৫)। পরবর্তীতে ঈশ্বরের বন্ধু অব্রাহামের ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তাঁর বংশের মধ্য দিয়ে সমস্ত পৃথিবীর মানুষ আশীর্বাদ করবেন (আদি ১২:১-৭ পদ) । সেই প্রতিজ্ঞাত বংশ হচ্ছেন খ্রীষ্ট (গালাতীয় ৩:১৬)। সেই বংশ উর্ধ থেকে আগত। তিনি সেই বংশ আবার নারীর দ্বারা পৃথিবীতে এসেছেন পুরুষের বীজ ছাড়া (মথি ১:২০, লূক ১: ৩০-৩৫) । তার প্রমাণ আমরা পবিত্র শাস্ত্রে এভাবে দেখি, স্বর্গ থেকে আগত প্রভু যীশুই সেই দাবী পূরণ করেছেন। একমাত্র প্রভু যীশুই নারীর দ্বারা পৃথিবীতে এসেছেন যেন তাঁর প্রজাদের মুক্তি দিয়ে ঈশ্বরের সন্তান করতে পারেন । প্রভুর বাণী এই কথা বলে নিশ্চিত করে ,
"কিন্তু কাল সম্পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন; তিনি স্ত্রীজাত, ব্যবস্থার অধীনে জাত হইলেন, যেন তিনি মূল্য দিয়া ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে মুক্ত করেন, যেন আমরা দত্তকপুত্রত্ব প্রাপ্ত হই।"
(গালাতীয় ৪:৪-৫ ROVU)
তৃতীয়ত: তিনি কেন স্ত্রীজাত হলেন ?
আদমের প্রজন্ম জন্ম দেয় আদম। তারা সবাই পাপজাত ও পাপের অধীন । সেই কারণে তারা আত্মিকভাবে অন্ধ । অন্ধ অন্ধকে পথ দেখাতে পারে না (মথি ১৫:১৪) । তাই এমন ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল যার মধ্যে ঈশ্বরের স্বভাব ও মানুষের স্বভাব উভয়েই থাকবে। এই প্রয়োজনীয় গুণাবলীর দাবীদার একমাত্র প্রভু যীশুর যিনি স্বর্গ থেকে কুমারীর মরিয়মের ঘরে আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে পবিত্র আত্মার শক্তিতে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছেন । আমাদের এখানে অবশ্যই জানতে হবে , প্রভু যীশুর অস্তিত্ব দুই হাজার বছর আগে থেকেই অস্তিত্বমান ঈশ্বরের অনন্তকালীন বাক্য হিসাবে এবং সেই বাক্য মানুষ হয়েছেন ।
(যোহন ১:১,১৪)। পবিত্র শাস্ত্র প্রভু যীশুর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার করে জ্ঞাত করে এভাবে ,
"ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকিতে তিনি ঈশ্বরের সহিত সমান থাকা ধরিয়া লইবার বিষয় জ্ঞান করিলেন না, কিন্তু আপনাকে শূন্য করিলেন, দাসের রূপ ধারণ করিলেন, মনুষ্যদের সাদৃশ্যে জন্মিলেন; এবং আকার প্রকারে মনুষ্যবৎ প্রত্যক্ষ হইয়া আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন। এই কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে অতিশয় উচ্চপদান্বিতও করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমুদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ; যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের ‘‘সমুদয় জানু পাতিত হয়, এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।"
(ফিলিপীয় ২:৬-১১ ROVU)
চতুর্থতঃ মানুষের মুক্তির জন্য কেন রক্ত প্রয়োজন : ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আইন কানুনে বা ব্যবস্থায় ভাববাদী মোশির মধ্য দিয়ে বলেছেন ,
"কেননা রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে, এবং তোমাদের প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করণার্থে আমি তাহা বেদির উপরে তোমাদিগকে দিয়াছি; কারণ প্রাণের গুণে রক্তই প্রায়শ্চিত্ত-সাধক।"
(লেবীয় পুস্তক ১৭:১১ ROVU)
অর্থাৎ রক্ত ছাড়া পাপের ক্ষমা হয় না। পবিত্র শাস্ত্র আবার তা নিশ্চিত করে ,
"আর ব্যবস্থানুসারে প্রায় সকলই রক্তে শুচিকৃত হয়, এবং রক্তসেচন ব্যতিরেকে পাপমোচন হয় না।"(ইব্রীয় ৯:২২ ROVU)
প্রভু যীশু পুরাতন নিয়মের পশু বলিদানের নিয়ম তাঁর জীবনের রক্তের বিনিময়ে নতুন নিয়ম স্হাপণ করেন । তিনি তাঁর শেষ রাত্রিকালীন শেষ ভোজে অর্থাৎ নিস্তার পর্ব পালন করার সময় তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন ,
"পরে তিনি পানপাত্র লইয়া ধন্যবাদপূর্বক তাঁহাদিগকে দিয়া কহিলেন, তোমরা সকলে ইহা হইতে পান কর; কারণ ইহা আমার রক্ত, নূতন নিয়মের রক্ত, যাহা অনেকের জন্য, পাপমোচনের নিমিত্ত, পাতিত হয়।"
(মথি ২৬:২৭-২৮ ROVU)
পাপী মানুষের স্বর্গীয় লাভ করতে হলে স্বর্গীয় ব্যক্তি প্রভু যীশুর পাতিত রক্তের নিয়মে বা চুক্তিতে আসতে হবে । তাঁর সাথে ব্যক্তিগত চুক্তি ছাড়া ঈশ্বরের বাটীতে প্রবেশ করা সম্ভব না । মানুষ হয়ত মিথ্যা স্বপ্ন দেখতে পারে , স্বর্গ লাভের কল্পনা করতে পারে ও মানুষকে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতের শিক্ষা দিতে পারে কিন্তু প্রভু যীশুর রক্তের নিয়ম ছাড়া কেউ স্বর্গে যেতে পারবে না। যারা তাঁর মধ্যে দিয়ে আসে তাদের পরিত্রাণ নিশ্চিত করার জন্য প্রভু যীশু সতত অনুরোধ করনার্থে জীবিত আছেন কেননা মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ায় মৃত্যু তাঁকে আর স্পর্শ করতে পারবে না। প্রভু যীশুর বর্তমান পরিচর্যা কাজ সম্পর্কে ঈশ্বরের বাক্য এই ভাবে জানায় কারণ তিনি স্বর্গের মন্দিরে ঈশ্বর-মানব হিসাবে স্বর্গীয় মহাযাজকত্ব পালনে সর্বোদাই রত ,
" এই জন্য, যাহারা তাঁহা দিয়া ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহাদিগকে তিনি সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ করিতে পারেন, কারণ তাহাদের নিমিত্ত অনুরোধ করণার্থে তিনি সতত জীবিত আছেন।"
(ইব্রীয় ৭:২৫ ROVU)
পঞ্চমতঃ ব্যবস্থা পালন করে ঈশ্বরের ধার্মিকতা অর্জন করা সম্ভব না : অনেকে দাবী করতে পারে তারা সৎ মানুষ , ভাল মানুষ বা নৈতিক মানুষ । সারাদিন ঈশ্বরের বাণী নিয়ে ধ্যান করেন । খুবই ভাল কথা । কিন্তু পবিত্র বাইবেল আমাদের পরিষ্কার করে ,
"যেহেতু ব্যবস্থার কার্য দ্বারা কোন প্রাণী তাঁহার সাক্ষাতে ধার্মিক গণিত হইবে না, কেননা ব্যবস্থা দ্বারা পাপের জ্ঞান জন্মে।"
(রোমীয় ৩:২০ ROVU)
অন্যত্র পবিত্র বাইবেল এই কথা বলে,
"আমরা জানি যে, বিধান পালন করে কোনো মানুষ নির্দোষ প্রতিপন্ন হয় না, কিন্তু হয় যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস দ্বারা। তাই আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের বিশ্বাস স্থাপন করেছি, যেন আমরা খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস দ্বারা নির্দোষ প্রতিপন্ন হতে পারি, বিধান পালনের দ্বারা নয়, কারণ বিধান পালনের দ্বারা কেউই নির্দোষ প্রতিপন্ন হবে না।"
(গালাতীয় ২:১৬ BCV)
কেন হয় না ? কারণ মানুষ যখন কোন একটা ব্যবস্থা পালন করতে ব্যর্থ হয় তখন সে অভিশপ্ত হয় । সেই কারণে সবাই অভিশপ্ত । কিন্তু প্রভু যীশু সেই অভিশাপ ক্রুশে জীবন দান করার মধ্য দিয়ে নিজে অভিশপ্ত হয়ে যারা তাঁর প্রায়শ্চিত্ত বলিদানকে বিশ্বাস করে তারা অভিশাপ মুক্ত হয়। পবিত্র বাইবেল নিশ্চিত এ সম্পর্কে নিশ্চিত করে ,
" যারা বিধান পালনের উপরে আস্থাশীল, তারা সকলে এক অভিশাপের অধীন, কারণ লিখিত আছে, “বিধান-গ্রন্থে লিখিত সমস্ত বিষয় যে সবসময় পালন না করে, সেই প্রত্যেক ব্যক্তি অভিশপ্ত।” স্পষ্টত, কোনো মানুষই বিধানের দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে নির্দোষ প্রতিপন্ন হয় না, কারণ, “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসের দ্বারাই জীবিত থাকবে।” বিধান বিশ্বাসভিত্তিক নয়; এর বিপরীতে, “যে মানুষ এই সমস্ত পালন করবে, সে এগুলির দ্বারা জীবিত থাকবে।” খ্রীষ্টই মূল্য দিয়ে বিধানের অভিশাপ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন, কারণ তিনি আমাদের জন্য অভিশাপস্বরূপ হলেন, যেহেতু এরকম লিখিত আছে, “যে ব্যক্তিকে গাছে টাঙানো হয়, সে অভিশাপগ্রস্ত।”
(গালাতীয় ৩:১০-১৩ BCV)
এই কাজ কোন ভাববাদী বা জগতের কোন স্বঘোষিত ধার্মিক মানুষ দ্বারা সম্ভব হতো না কিন্তু যিনি ঈশ্বর-মানব তিনিই যিনি স্বর্গ থেকে আগত তিনি সম্পন্ন করেছেন।
🔮🛑🌏কিভাবে আমরা স্বর্গ থেকে আগত ব্যক্তির সান্নিধ্য লাভ করব ?
প্রথমতঃ প্রভু যীশুর শিক্ষা পাপী মানুষকে তাঁর কাছে নিয়ে আসে।
প্রভু যীশু তাঁর শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন ,
"আত্মাই জীবনদায়ক, মাংস কিছু উপকারী নয়; আমি তোমাদিগকে যে সকল কথা কহিয়াছি, তাহা আত্মা ও জীবন;"
(যোহন ৬:৬৩ ROVU)
প্রভু যীশুর সরাসরি শিক্ষা নতুন নিয়মে রয়েছে যা মানুষকে প্রভু যীশুর প্রকৃতি , কাজ ও আপনার প্রতি তাঁর ভালবাসা ব্যক্ত করে।
পুরাতন নিয়ম নতুন নিয়মের ভিত্তি। প্রভু যীশুর নতুন নিয়ম পাঠ করার জন্য পুরাতন নিয়ম আরও পরিষ্কার করবে । যেমন : ঈশ্বরের নিয়ম, ব্যবস্থা ও বলিদানের প্রয়োজনীয়াসহ অনেক নৈতিক শিক্ষা রয়েছে যা বড়ই উপকারী যেমনঃ প্রেরিত পৌল বলেছেন যা উভয় নিয়মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য । তিনি বলেছেন ,
"ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী, যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।"
(২ তীমথিয় ৩:১৬-১৭ ROVU)
কারণ হচ্ছে ঈশ্বরের শাস্ত্র না জানলে ঈশ্বরের পরাক্রম জানা সম্ভব না । প্রভু যীশু ভ্রান্ত দল সদ্দূকীদের বলেছিলেন,
"ইহাই কি তোমাদের ভ্রান্তির কারণ নয় যে, তোমরা না জান শাস্ত্র, না জান ঈশ্বরের পরাক্রম?"
(মার্ক ১২:২৪ ROVU)
প্রভু যীশু নিজে স্বর্গ থেকে এসে পাপী মানুষের জন্য স্বর্গীয় বচন দিয়েছেন যা মানুষকে ঈশ্বরের সম্পর্কে ও তাঁর পরাক্রম সম্পর্কে জ্ঞাত করে। কারণ তিনি সেই স্বর্গীয় খাবার বা শিক্ষার উৎস যা মানুষের আত্মিক খাদ্য দান করে এবং মানুষকে অনন্ত জীবন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে । প্রভু যীশু বলেছেন ,
"আমিই সেই জীবন্ত খাদ্য, যাহা স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছে। কেহ যদি এই খাদ্য খায়, তবে সে অনন্তকাল জীবিত থাকিবে, আর আমি যে খাদ্য দিব, সে আমার মাংস, জগতের জীবনের জন্য।"
(যোহন ৬:৫১ ROVU)
আমাদের বুঝতে হবে যে জগতের রুটি যেমন জাগতিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখে তদ্রূপ প্রভু যীশু তাঁর জীবন ক্রুশে জীবন দানের মধ্য দিয়ে আত্মিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখে ও অনন্তজীবন দান করেন । তিনি তাঁর দেহকে কালভেরীর ক্রুশে দান করেছেন যেন আমাদের পাপের বলির মেষ শাবক হতে পারেন । গম থেকে রুটি বানানোর প্রক্রিয়া অনেক কঠিন। প্রভু যীশু তাঁর দেহকে এমনিভাবে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে দিয়েছেন যেন আমরা তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রদত্ত পরিত্রাণের বিশ্বাস, ধার্মিকতা, পবিত্রতা, আত্মিক খাবার ও অনন্তজীবন পাই।
সেইজন্য খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের খাদ্য হচ্ছে প্রভু যীশুর মৃত্যু ও পুনরুত্থান । আর এটাই বিশ্বাসীদের আশীর্বাদের খাদ্য ( Spurgeon)।
এখানে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রভু যীশু স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে এলেন ও মানুষের মুক্তির কাজ সম্পন্ন করে পুনরুত্থান করে তিনি পুনরায় পূর্বের অবস্থানে চলে গেলেন । এখন তিনি পিতা ঈশ্বরের দক্ষিণ পাশে বিশ্বাসীদের পূর্ণতার জন্য নিবেদনের কাজ করছেন। প্রভুর বাক্য এ কথা বলে ,
"খ্রীষ্ট যীশু ত মরিলেন বরং উত্থাপিতও হইলেন; আর তিনিই ঈশ্বরের দক্ষিণে আছেন, আবার আমাদের পক্ষে অনুরোধ করিতেছেন।"
(রোমীয় 8:৩৪ ROVU)
তাছাড়া তাঁর পুনরুত্থান আমাদের আরও শিক্ষা দেয় তাঁর প্রিয় জীবন দানের মধ্য দিয়ে তিনি যেসকল দাবী করেছেন ও তাঁর মৃত্যু বা প্রায়শ্চিত্ব বলিদান যে পিতা ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে তার প্রমাণ দিয়েছেন পুনরুত্থানের মধ্য দিয়ে । শুধু তাই নয়, খ্রীষ্টের পুনরুত্থান আমাদের ধার্মিকতা ও পুনরুত্থানের নিশ্চয়তা দেয় (রোমীয় ৪:২৫)। কেননা প্রভু যীশুই মানুষকে পুনরুত্থান দিবেন :
প্রভু যীশু বলেছেন এ প্রসঙ্গে,
"আর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা এই, তিনি যাদের আমাকে দিয়েছেন, আমি যেন তাদের একজনকেও না হারাই, কিন্তু শেষের দিনে আমি যেন তাদের মৃত্যু থেকে উত্থাপিত করি।"
(যোহন ৬:৩৯ BCV)
তিনি আরও বলেছেন ,
"কারণ আমার পিতার ইচ্ছা এই, যে কেহ পুত্রকে দর্শন করে ও তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন পায়; আর আমিই তাঁহাকে শেষ দিনে উঠাইব।"
(যোহন ৬:৪০ ROVU)
"পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি আকর্ষণ না করিলে কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না, আর আমি তাহাকে শেষ দিনে উঠাইব।"
(যোহন ৬:৪৪ ROVU)
দ্বিতীয়তঃ প্রভু যীশুর শিক্ষা তাঁকে ব্যক্তিগত মুক্তিদাতা ও প্রভু হিসাবে করতে হবে । প্রভু যীশু নামের অর্থ ত্রাণকর্তা বা মুক্তিদাতা (মথি ১:২১) । তাঁর নামের সাথে তাঁর কাজ জড়িত। তিনি তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন ,
"কারণ বাস্তবিক মনুষ্যপুত্রও পরিচর্যা পাইতে আসেন নাই, কিন্তু পরিচর্যা করিতে এবং অনেকের পরিবর্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।"
(মার্ক ১০:৪৫ ROVU)
অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ পাপের বন্দিত্ব আছে । যা থেকে মুক্তির জন্যে মুক্তির মূল্য প্রয়োজন। কেননা ,
"কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন।
(রোমীয় ৬:২৩ ROVU)
তৃতীয়ত: বিশ্বাস করার আহবান :
একজন জেলার প্রশ্ন করেছিলেন , যে প্রশ্নটি সবার হওয়া উচিতঃ
"তারপর তিনি তাঁদের বাইরে এনে জিজ্ঞাসা করলেন, “মহাশয়েরা, পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমাকে কী করতে হবে?”
প্রভু যীশুর দাসেরা উত্তর দিয়েছিলেন :
🛑“আপনি প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করুন, তাহলে আপনি ও আপনার পরিজন পরিত্রাণ পাবেন।”
(প্রেরিত ১৬:৩০-৩১ BCV)
প্রভুর বাণী আমাদের নিশ্চিত করে কি বিশ্বাস করতে হবে ,
'যদি তুমি “যীশুই প্রভু,” বলে মুখে স্বীকার করো ও হৃদয়ে বিশ্বাস করো যে, ঈশ্বর তাঁকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তাহলে তুমি পরিত্রাণ পাবে। কারণ হৃদয়েই তুমি বিশ্বাস করো ও ধার্মিক প্রতিপন্ন হও এবং তোমার মুখে তা স্বীকার করো ও পরিত্রাণ পাও। শাস্ত্র যেমন বলে, “যে কেউ তাঁর উপরে বিশ্বাস করে, সে কখনও লজ্জিত হবে না।” কারণ ইহুদি ও অইহুদির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই; সেই একই প্রভু সকলের প্রভু এবং যতজন তাঁকে ডাকে, তাদের সকলকে তিনি পর্যাপ্তরূপে আশীর্বাদ করেন। কারণ, “যে কেউ প্রভুর নামে ডাকে, সে পরিত্রাণ পাবে।”
(রোমীয় ১০:৯-১৩ BCV)
এই সুসমাচারের কি বিষয়ে নির্ভর করছে ? প্রভু যীশুর মৃত্যু ও পুনরুত্থান দ্বারা নির্ভর করছে । পবিত্র বাইবেল এই কথা বলে ,
"কারণ আমি যা প্রাপ্ত হয়েছি, তা গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রথমেই তোমাদের কাছে তা সমর্পণ করেছি যে, শাস্ত্র অনুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন, তিনি সমাধিপ্রাপ্ত হয়েছেন ও শাস্ত্র অনুসারেই তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হয়েছেন "
(১ করিন্থীয় ১৫ :৩-৪ BCV)
"কেউ যদি যীশুকে ঈশ্বরের পুত্ররূপে স্বীকার করে, তাহলে ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন এবং সে-ও ঈশ্বরের মধ্যে থাকে।"
(১ যোহন ৪:১৫ BCV)
কারণ কি ?
“কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করলেন যে, তিনি তাঁর একজাত পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।"
(যোহন ৩:১৬ BCV)
আপনি যদি বিশ্বাস না করেন সেই স্বর্গ থেকে আগত প্রভু যীশুকে কি হবে ?
"পুত্রকে যে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন লাভ করেছে; কিন্তু পুত্রকে যে অমান্য করে, সে জীবন দেখতে পাবে না, কারণ ঈশ্বরের ত্রুোধ তার উপর বিরাজ করে।”
(যোহন ৩:৩৬ BCV)
⚠️🚫সেইজন্য আপনার সামনে দুটি পথ খোলা আছে হয় ঈশ্বর পুত্র প্রভু যীশুকে বিশ্বাস করে পরিত্রাণ পাওয়ার অথবা তাঁকে অগ্রাহ্য করে নরকে সারা জীবন পুড়ে পুড়ে নিজের পাপের বেতন শোধ করা।
প্রয়োগঃ
একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী প্রভু যীশুর জন্যই স্বর্গপুরীর প্রজা।
"কারণ আমরা স্বর্গপুরীর প্রজা; আর তথা হইতে আমরা ত্রাণকর্তার, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, আগমন প্রতীক্ষা করিতেছি; তিনি আমাদের দীনতার দেহকে রূপান্তর করিয়া নিজ প্রতাপের দেহের সমরূপ করিবেন, যেন কার্যসাধক শক্তিতে তিনি সকলই আপনার বশীভূত করিতে পারেন, তাহারই গুণে করিবেন।"
(ফিলিপীয় ৩:২০-২১ ROVU)
সে কারণে পবিত্র জীবনের আজ্ঞা দেয়:
যেহেতু খ্রীষ্টের সাথে পুনরুত্থীত হবার প্রত্যাশায় আমাদের জীবন ঈশ্বরের কাছে খ্রীষ্ট গুপ্ত আছে।
"কেননা তোমরা মরিয়াছ, এবং তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সহিত ঈশ্বরে গুপ্ত রহিয়াছে। আমাদের জীবনস্বরূপ খ্রীষ্ট যখন প্রকাশিত হইবেন, তখন তোমরাও তাঁহার সহিত সপ্রতাপে প্রকাশিত হইবে।"
কলসীয় 3:3‭-‬4 ROVU
সেই কারণে পবিত্র জীবন যাপনের জন্য খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের আজ্ঞা দেয় । প্রেরিত পৌল আমাদের এভাবে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের নির্দেশনা দিয়েছেন,
"অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমনঅশুচিতামোহকুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা। এই সকলের কারণ অবাধ্যতার সন্তানগণের প্রতি ঈশ্বরের ক্রোধ উপস্থিত হয়। পূর্বে যখন তোমরা এই সকলে জীবন ধারণ করিতে, তখন তোমরাও এই সকলে চলিতে। কিন্তু এখন তোমরাও এই সকল ত্যাগ কর- ক্রোধরাগহিংসানিন্দা ও তোমাদের মুখনির্গত কুৎসিত আলাপ। একজন অন্য জনের কাছে মিথ্যা কথা কহিও না; কেননা তোমরা পুরাতন মনুষ্যকে তাহার ক্রিয়াসুদ্ধ বস্ত্রবৎ ত্যাগ করিয়াছ, এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান করিয়াছ, যে আপন সৃষ্টিকর্তার প্রতিমূর্তি অনুসারে তত্ত্বজ্ঞানের নিমিত্ত নূতনীকৃত হইতেছে। অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে #করুণার চিত্ত, #মধুর ভাব, #নম্রতা, #মৃদুতা, #সহিষ্ণুতা পরিধান কর। পরস্পর #সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর #ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর। আর এই সকলের উপরে প্রেম পরিধান কর; তাহাই সিদ্ধির যোগবন্ধন। আর খ্রীষ্টের শান্তি তোমাদের হৃদয়ে কর্তৃত্ব করুক; তোমরা ত তাহারই নিমিত্ত এক দেহে আহূত হইয়াছ; আর কৃতজ্ঞ হও। খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর। আর বাক্যে কি কার্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।"
(কলসীয় 3:5‭-‬10‭, ‬12‭-‬17 ROVU)
🛑🔮🌏উপসংহার: স্বর্গে যেতে চান তাহলে স্বর্গ থেকে আগত একমাত্র ব্যক্তি ঈশ্বর-মানব প্রভু যীশুর কাছে আসতে হবে কারণ তিনিই দূরের হলেও মানুষের নিকটবর্তী হয়েছেন যেন আপনি তাঁর সাথে অনন্তকালীনভাবে নতুন আকাশ ও পৃথিবীতে থাকতে পারেন। আর তা সম্ভব হয়ছে তাঁর পবিত্র রক্ত দ্বারা । অধিকন্তু ঈশ্বরের সাথে মানুষের যে বিচ্ছিন্নতা হয়েছে তা পাপের কারণে। কিন্তু ঈশ্বর মানব প্রভু যীশু একমাত্র মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন । পিতা ঈশ্বরের সাথে তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মধ্য দিয়ে সম্মিলন করিয়ে দিলেন যেন আমরা চিরদিন তাঁরই হতে পারি। (২ করি:৫:১৭, ইফিষীয় ২:১৩, ২ পিতর ৩:১৩)। ঈশ্বর আমাদের প্রতিজনকে স্বর্গ থেকে আগত প্রভু যীশুকে ব্যক্তিগত ত্রাণকর্তা ও প্রভু হিসাবে গ্রহণ করার বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা দান করুণ । 
আমেন।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
He-who-comes-from-heaven-will-take-it-to-heaven-and-no-one-else-will

Comments

Popular posts from this blog

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া

Popular Posts

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া