ক্লেশের যাতনা ভোগ ছাড়া যীশুর শিষ্য হওয়া যায় না এই কথার অর্থ কি?
উত্তরঃ যীশু বলেছেন এই জগত তাকেই দ্বেষ করেছেন, কারণ যীশু এই জগতের যোগ্য ছিলেন না তিনি স্বর্গের যোগ্য, তাই তিনি আমাদের শতর্ক করেন।
“এই সমস্ত তোমাদিগকে বলিলাম, যেন তোমরা আমাতে শান্তিপ্রাপ্ত হও। ”
বর্তমানে যারা “খ্রীষ্টে” আছেন এটা তাদের প্রতি দেওয়া একটি প্রতিশ্রুতি। “আমাতে। ” তিনি হলেন আভ্যন্তরীন শান্তির উৎস। যীশু বলেছেন,
যোহন ১৪:২৭, ‘‘শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি, আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি; জগৎ যেরূপ দান করে, আমি সেরূপ দান করি না…।"
যখন একজন ব্যক্তি খ্রীষ্টকে জানেন, সেখানে একটি স্থায়ী আভ্যন্তরীন শান্তি সৃষ্টি হয়, যা পৃথিবীর অন্য কারও কাছে থাকে না।
সেই ব্যক্তি যিনি খ্রীষ্টের “মধ্যে” থাকেন, এবং যিনি প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে তার সমস্যা যীশু নামে ঈশ্বরের প্রতি সমর্পন করেন, তার কাছে এক অদ্ভূত ধরণের শান্তি থাকে, যাকে বাইবেল বলছে “সমস্ত চিন্তার অতীত, যে ঈশ্বরের শান্তি” (ফিলিপীয় ৪:৭) । এই জগত সেই শান্তি সাধারণভাবে বুঝতে পারে না যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা কেন গ্রেপ্তার হওয়া, অত্যাচারিত হওয়া, কারাবন্দী হওয়া, এবং শাস্তি পাওয়ার মত ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাবেন – যেমনটি নাকি আজ এখন বিশ্বের চতুর্দিকের বহু রাষ্ট্রেই হয়ে চলেছে। এই শান্তির অর্থ এই নয় যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের মধ্যে কোন আভ্যন্তরীন দ্বন্দ, ভাবাবেগ গত কোন সমস্যা, বা শারীরিক কোন অসুস্থতা নেই। বিশ্বে বহু সুসমাচার প্রচার সংক্রান্তেরা সাফল্য, উন্নতি, প্রশান্তি, সুখ, এবং স্ব-উন্নতি নিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছেন। তার বিশ্বাসের জন্য মাথা নিচের দিকে করে ঝুলিয়ে দেওয়া একজন চীনা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কাছে অথবা কিউবাতে বসবাসকারী একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কাছে, যিনি পাঁচ বছরের জন্য একাকী কারাবন্দী ছিলেন, অথবা যীশুতে বিশ্বাস করার জন্য মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়া ইরানের একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কাছে এই বিষয়গুলি হাস্যকর বলে মনে হবে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির এই সমস্ত তাড়নাগ্রস্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ যীশু কি বলতে চেয়েছিলেন সেটা বোঝার জন্য অনেক বেশী কাছে এসেছেন যখন যীশু বলেছিলেন, “এই সমস্ত তোমাদিগকে বলিলাম, যেন তোমরা আমাতে শান্তিপ্রাপ্ত হও” (যোহন ১৬:৩৩)| আমি মনে করি তারা বুঝে থাকবেন যে এই শান্তি একটি আভ্যন্তরীন শান্তভাবের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থার উল্লেখ করছে, যা এই জ্ঞানের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত যে, তাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে এবং ঈশ্বর তাদের সম্পর্কে যত্নশীল।
আমি এখন ২ করি ১১:২৪:২৮ পদগুলি পড়তে চলেছি। প্রেরিত পৌলের কি হয়েছিল সেটা আমি যেমন আপনাদের বলছি আপনারা শুনতে থাকুন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যিহূদীদের হইতে পাঁচ বার উনচল্লিশ আঘাত প্রাপ্ত হইয়াছি। তিন বার বেত্রাঘাত, এক বার প্রস্তরাঘাত, তিন বার নৌকাভঙ্গ সহ্য করিয়াছি, অগাধ জলে এক দিবারাত্র যাপন করিয়াছি; যাত্রায় অনেক বার, নদীসঙ্কটে, দস্যুসঙ্কটে, স্বজাতি-ঘটিত সঙ্কটে, পরজাতি-ঘটিত সঙ্কটে, নগরসঙ্কটে, মরুসঙ্কটে, সমুদ্রসঙ্কটে, ভাক্ত ভ্রাতৃগণের মধ্যে ঘটিত সঙ্কটে, পরিশ্রমে ও আয়াসে, অনেক বার নিদ্রার অভাবে, ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায়, অনেক বার অনাহারে, শীতে ও উলঙ্গতায়। আর সকল বিষয়ের কথা থাকুক, একটী বিষয় প্রতিদিন আমার উপরে চাপিয়া রহিয়াছে, -সমস্ত মন্ডলীর চিন্তা।"
এই ধরণের পরিস্থিতিতে পৌল কিভাবে শান্তি পাওয়ার কথা বলতে পারতেন? তবুও তিনি তা করেছিলেন। ফিলিপীয় ৪:৬-৭ পদে পৌল এর উত্তর দিয়েছেন।
‘‘কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ব্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর| তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে’’ (ফিলিপীয় ৪:৬-৭) |
পৌল অনেক ক্লেশ ও কষ্টভোগের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন তা সত্ত্বেও তিনি এখানে “সমস্ত চিন্তার অতীত ঈশ্বরের শান্তি”র সম্বন্ধে বলেছেন।
বিঃদ্রঃ বর্তমান আপনি যেখানে বাস করছেন হয় তো সেখানে ক্লেশ উপস্থিত, পালিয়ে যাবেন না, এই ক্লেশের মধ্য যীশুর সাক্ষ্য বহন করুন এই জন্যই আপনি বাচাইকৃত হয়েছেন।

Comments
Post a Comment