মুক্তিলাভ (প্রথম ভাগ)

✴️করোনা মুক্ত : এটাই এখন সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে প্রধান বিষয়। পৃথিবীর সমস্ত বিজ্ঞানী রাত দিন এই বিষয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ভয়ানক ভাইরাসের প্রতিষেধক বানাতে। আমরাও নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে কত সাবধানতার পথ অবলম্বন করছি। কত নিয়ম কানুন মেনে চলছি। বিভিন্ন চিকিৎসকদের বিভিন্ন পরামর্শ যা আমার সময় সময় পাচ্ছি এবং সকল কে শেয়ার করছি। লক্ষ্য একটাই করোনা থেকে বাঁচতে হবে। যা করণীয় আমরা তা যথাসাধ্য ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি, অন্যকেও উৎসাহ দিচ্ছি। যা কিছু নতুন update পাচ্ছি করোনা সংক্রান্ত তা আমরা সঙ্গে সঙ্গে সকলকে share করছি। নিজেও বাঁচুন এবং অপরকেও বাঁচান।
আজ আর একটি ভয়ানক ভাইরাসের সমন্ধে একটু আলোচনা করবো; কারণ, উদেশ্য ওই একটাই নিজেকে রক্ষা করুন ও অপরকেও রক্ষা করুন। সেই ভয়ঙ্কর ভাইরাস থেকে বাঁচার কেবলমাত্র একটিই পথ বা উপায় আছে। যদিও মানুষ বিভিন্ন উপায় যুগ যুগ ধরে বার করে আসছে সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে। কিন্তু সে সবই এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের কাছে কোনোই কাজের নয়। এবং দুঃখের বিষয় এই ভয়ানক মরণ ভাইরাসের ফলে প্রতি মুহূর্তে হাজার হাজার মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও মানবজাতি আজ সে বিষয়ে অন্ধের ন্যায় চলছে। কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।
এমন একটি দেশ, যেখানে কোনো ভাইরাসের আক্রমণ নেই, নেই কোনো রোগ, বিপত্তি, আপত্তি, দুঃখ, কষ্ট, যাতনা, পীড়া, ধনী ও দরিদ্র, নেই কোনো জাত-পাত, ধর্ম, বর্ণ, যেখানে নেই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নেই কোনো খঞ্জ, বিকলাঙ্গ, অন্ধ, বধির, বোকা, চালাক, চোর দস্যু, থানা পুলিশ, নেই কোনো হাসপাতাল। নেই কোনো অশ্রু
🙄😇🤔এই রকম কোনো দেশ আবার আছে নাকি?
আপনি কি দেখেছেন ?
আপনি কি করে জানলেন সেই দেশের কথা?

না, এই আশ্চর্য দেশ দেখার সৌভাগ্য আমার এখনও হয়নি। সেখানে যাবার প্রস্তুতির মধ্যে আছি। হ্যাঁ, একজন, যিনি সেখানে অনেক অনেক দিন ছিলেন, তিনি এসে এই আশ্চর্য দেশের বিষয়ে অনেক অনেক কিছু বলেছেন। তিনি আবার সেখানে ফিরে গেছেন, কারণ এই জগতের মানুষ যেন সেখানে যেতে পারে, তার জন্য তিনি তাদের সেই দেশের কথা বলতে এসেছিলেন। সেই দেশের পথ দেখিয়েছেন এবং উপায়ও বলে গেছেন। তবে তিনি যাবার আগে বলে গিয়েছেন যে, তিনি আবার আসবেন আমাদের নিতে।
হ্যাঁ, তিনি বলেন, সেই দেশের নাম স্বর্গ

কিন্তু একটা সমস্যা আছে। ভাইরাস!!!
ঐ যে বলছিলাম আর একটি মারাত্মক ভয়ঙ্কর ভাইরাসের কথা। সেই ভাইরাসের নাম হলো "পাপ"
এই ভাইরাস নিয়ে সেখানে যাওয়া যাবেনা। এই পৃথিবীর সমস্ত মানব সেই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত। মানবসমাজ আজ ছুটে চলেছে ধ্বংসের দিকে। শাস্ত্রে লেখা আছে, "ধার্মিক কেহই নাই, একজনও নাই।" (রোমীয় 3:10)

🙄উপায় কি ? এর প্রতিষেধক কি নেই ?
না ! এর কোনো প্রতিষেধক কেউই বার করতে পারেনি। একমাত্র মহান ঈশ্বর এর প্রতিষেধক বানিয়েছেন। হ্যাঁ, এই পাপ থেকে মুক্তিলাভের বা পরিত্রাণের একটাই পথ আছে-প্রভু যীশু খ্রীষ্ট
খ্রীষ্টই একমাত্র মুক্তিদাতা, যিনি পুনরুত্থিত এবং জীবন্ত ঈশ্বর। কোনো ধর্ম, নৈতিক জীবন, সৎকাজ কোনো কিছুই মুক্তি বা পরিত্রাণ দিতে পারেনা এই পাপ থেকে। একমাত্র প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া। তিঁনিই পথ। পথপ্রদর্শক নন। একমাত্র তাঁর মাধ্যম ব্যতীত আর কোনো মুক্তির পথ নেই। খ্রীষ্টই একমাত্র পথ এবং মুক্তিদাতা।
আমি যে রোগে আক্রান্ত হবো, আমাকে বাঁচতে হলে সেই রোগেরই ওষুধ খেতে হবে। আমার সর্দি কাশি জ্বর হয়েছে আর আমি যদি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা শুরু করে দিই, তাহলে কি হবে ?
ঠিক তেমনই পাপ থেকে মুক্তিলাভের জন্য, পরিত্রাণের জন্য একটাই পথ। যত মত তত পথ নয়। পথ একটাই আর তা হলো প্রভু যীশু খ্রীষ্ট। প্রভু যীশু বলেছেন, "আমিই পথ, আমিই সত্য ও আমিই জীবন। আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে যাইতে পারেনা" (যোহন 14:6)

এই মরণ ভাইরাস অর্থাৎ পাপের পরিণতি কি?
তাও লেখা আছে:-
📖বিনাশের দিন পর্যন্ত দুর্জন রক্ষিত হয়, ক্রোধের দিন পর্যন্ত তাহারা উত্তীর্ণ হয়।
(ইয়োব 21:30)
আবার লেখা আছে:-
📖দুষ্টেরা পাতালে ফিরিয়া যাইবে, যে জাতিরা ঈশ্বরকে ভুলিয়া যায়, তাহারাও যাইবে।(গীত 9:17)
লেখা আছে :-
📖কারণ দেখ, সেই দিন আসিতেছে, তাহা হাপরের ন্যায় জ্বলিবে, এবং দর্পী ও দুষ্টাচারীরা সকলে খড়ের ন্যায় হইবে; আর সেই যে দিন আসিতেছে, তাহা তাহাদিগকে পোড়াইয়া দিবে, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন; সে দিন তাহাদের মূল কি শাখা কিছুই অবশিষ্ট রাখিবে না। (মালাখি 4:1)
অনেক অনেক কিছুই লেখা আছে। পরিশেষে আর একটি বাক্য লেখা আছে :-
📖আর জীবন-পুস্তকে যে কাহারও নাম লিখিত পাওয়া গেল না, সে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল।(প্রকাশিত বাক্য 20:15)

অর্থাৎ খ্রীষ্টকে যারা গ্রহণ করেনি, যাদের নাম জীবন পুস্তকে অলিখিত, তাদের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী, কারণ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে তারা সকলে পাপী।
আজ মানুষ সে কথা বুঝতে চায়না। নিজেদের যুক্তি তর্ক দ্বারা নিজেকে ঠিক মনে করে। আজ অনেকেই নিজের দেশে অভ্যস্ত পাপে ডুবে থাকা সঠিক বা শ্রেয়ঃ জ্ঞান মনে করে। সে দেশের কথা অর্থাৎ স্বর্গের কথা বললে, তারা হাসে, ঠাট্টা করে, বিশ্বাস করেনা। অনেকে আবার বিশ্বাস করলেও তা গ্রাহ্য করেনা।
"যে ব্যক্তি এই জীবনের জন্য সর্বস্ব লাভ করে, কিন্তু অনন্ত জীবনের জন্য যত্ন সহকারে প্রস্তুতি নেয়না, সে ক্ষনিকের জন্য বুদ্ধিমান হলেও অনন্ত কালের জন্য মূর্খ হয়ে থাকবে"। -(টিল্ল্যটসন)
আপনি কি অনন্তকালের জন্য মূর্খ হতে চান না মুক্তি পেতে চান?

আমেন।।
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
Liberation

Comments

Popular posts from this blog

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া

Popular Posts

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া