মুক্তিলাভ (দ্বিতীয় ভাগ) আমাকে কি তিঁনি মুক্তি দেবেন?
🤔 আমাকে কি তিঁনি মুক্তি দেবেন?
জাত-পাত, বর্ণ, ধর্ম, উঁচু, নিচু, ধনী, দরিদ্র এসব ভেদাভেদ কোনো কিছুই ঈশ্বরের কাছে কোনো মূল্যই রাখেনা। এই সকল মানুষ নিজেরাই বানিয়েছে নিজেদের স্বার্থের জন্য। শাস্ত্রে লেখা আছে, "যে কেহ আমার কাছে আসিবে, তাহাকে আমি কোনোমতে বাহিরে ফেলিয়া দিব না" -(যোহন 6:37)।
সুতরাং আপনি যদি পাপ নামক ভাইরাস থেকে মুক্তি চান, তাহলে আপনাকে তাঁর কাছে আসতেই হবে।
আপনাকে যদি কেউ একগ্লাস জল দেয়, আপনি না গ্রহণ করে পারেন না, ঠিক তেমনই মুক্তির প্রয়োজনে প্রভু যীশু খ্রীষ্টই একমাত্র মাধ্যম -- যাঁকে গ্রহণ না করলে মুক্তি কোনো দিনই আপনি পাবেন না। শাস্ত্রে লেখা আছে মুক্তি ঈশ্বর প্রদত্ত উপহার, ঈশ্বরের অনুগ্রহ। আপনাকে তা বিশ্বাসের সাথে অন্তর দিয়ে গ্রহন করতে হবে। ঠিক যেমন করে আপনি ট্রেন, বাস, উড়ো জাহাজ বা জল জাহাজে চড়েন সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে। ঠিক তেমনি করে বিশ্বাস আনুন প্রভু যীশু খ্রীষ্টে, সমর্পণ করুন নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে। মুক্তি আপনার আসবেই কারণ খ্রীষ্টই একমাত্র মুক্তিদাতা।
প্রভু যীশু কোনো বিশেষ ধর্ম প্রচার করে তা প্রতিষ্ঠিত করতে আসেননি। প্রভু যীশু জোর করে তাঁর শিক্ষা বা আদর্শ কে কারোর জীবনের উপর চাপিয়ে দিতে এই জগতে আসেন নি।
প্রভু যীশুর আগমনের উদ্দেশ্য হলো, মানুষ যেন পরিবর্তিত হয়।
মানুষ যেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কে জানতে পারে।
প্রেমময় মহান ঈশ্বরের পরিকল্পনা কি তা যেন জানতে পারে ও বুঝতে পারে।
মানুষ যেন ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হতে পারে।
মানুষ যেন সত্য জানতে পারে এবং পাপ, অহংকার ও কুসংস্কার থেকে বাঁচতে পারে।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ইচ্ছা এই যে, মানুষ যেন প্রভু যীশুর মাধ্যমে পাপের ক্ষমা পেয়ে ও অনন্ত নরক বাস থেকে উদ্ধার পেয়ে স্বর্গে যাবার সুযোগ পায়।
এই পৃথিবীর মানুষ আজ একথা বিশ্বাস করুক আর না করুক, বাইবেল এই কথাই জানায়।
করোনা মুক্ত হলে হয়তো এই জীবন টা রক্ষা করে নিলাম এই ভয়ানক মহামারী থেকে। কিন্তু এই সামান্য কিছু বছরের জীবনের পর মৃত্যু! যা আমরা কেউই ঠেকাতে পারবো না। তারপরে শুরু আমাদের অনন্ত জীবনের যাত্রা। আর যদি এই পাপের ভাইরাস আপনার জীবনে থাকে, অর্থাৎ বিনা মুক্তিলাভে যাত্রা শুরু করলে সেটা যে অনন্তকালীন নরক যাতনার মধ্যে প্রবেশ করবে। কারণ আপনি পাপের থেকে মুক্তি লাভের জন্য যা করণীয় তা উপেক্ষা করেছেন বা বিশ্বাস করেন নি।
🐛করোনা থেকে বাঁচার জন্য আমরা খুব বেশি সতর্ক কারণ তা আমাদের জীবন মৃত্যুর সাথে জড়িত। আমার একটু অসাবধানতা আমাকে টেনে হিঁচড়ে মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যাবে। আমরা আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী জীবন নিয়ে খুব চিন্তিত। কিন্তু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমাদের অনন্তকালীন জীবন নিয়ে চিন্তিত। তাই তিঁনি পাপ থেকে মুক্তিলাভের উপায় যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করলেন, যেন এই মানবজাতি প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে মুক্তিলাভ বা পরিত্রাণ লাভ করে অনন্তকালীন জীবনে অর্থাৎ সেই দেশে যার নাম স্বর্গ সেখানে প্রবেশ করতে পারে। করোনা ভাইরাস যেমন মানুষ কে মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যায়, ঠিক তেমন এই পাপ ভাইরাস মানবজাতিকে অনন্তকালীন নরক যাতনার মধ্যে টেনে নিয়ে যায়।
আজ মানুষ তাদের ক্ষণস্থায়ী জীবন বাঁচানোর জন্য কত কি না করছে। বিশেষ করে এই ভয়ানক মহামারীর সময় কত সতর্কের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করছে। অথচ মানুষ আজ তার অনন্ত কালের জীবন নিয়ে একটুও চিন্তিত নয়, একটুও সতর্ক নয়। হয়তো অনেকের কাছে সেটা রূপকথার কোনো গল্প।
আমাদের শারীরিক মৃত্যু সব কিছুর শেষ নয়। এই শারীরিক মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে আমরা এই জগতের দরজা বন্ধ করে অনন্ত জীবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি।
রবার্ট গ্লিসনের খুব সুন্দর একটি ব্যাখ্যা :- " খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কাছে মৃত্যু কোনো বাধা নয়, ধ্বস নয়, বরং মৃত্যু হলো মুক্তি, দেহ থেকে নয়, কিন্তু পাপের সাম্রাজ্য থেকে।"
🙄আপনি কি চিন্তা করলেন? ভাবছেন এমন দেশ কি আর হয় নাকি। মৃত্যুর পর আবার জীবন তাও আবার অনন্তকালীন। স্বর্গ !!!!!!নরক!!!!!!!!এসব রূপকথার গল্প!
🕺আমি কিন্তু সেই দেশে যাবার জন্য ব্যাকুল। তাঁরই দেশের নাগরিক হবে বলে আমি স্থির করেছি। উদ্ধার কার্ড আমি বানিয়ে ফেলেছি। নিরূপিত কাল শেষ হবার পর বড্ড বেশি দেরি হয়ে যাবে যে! অনন্তকালের জন্য আমি মূর্খ হতে চাইনা।
🤔কি এখনও চিন্তা করছেন ?
যাত্রার জন্য প্রস্তুতি হতে বাধা কি? পরে বড় বেশি দেরি হয়ে যাবে, তখন যে আর কিছুই করার থাকবে না। সেটা মূর্খতা নয় কি???
খুব কঠিন কাজ তো কিছুই নয়। কেবলমাত্র সেই দেশের মালিক যীশু খ্রীষ্টের কাছে আপনার অন্তর খুলে দিন আর তাঁকে সাদর আহবান জানান। তাঁর কাছে মুক্তি ভিক্ষা করুন। তারপরে একদিন এই জীবন যাত্রা শেষ হলে, আপনিও সেই আশ্চর্য্য দেশে যাবেন, আর সেখানেই হবে আপনার চিরবসতি।
😇এখন বিশ্বাস না হলেও পরে এই অভিজ্ঞতা আপনার হবেই হবে। কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকবে না। তখন শেষ পরিণতি ভয়ঙ্কর ঐ অগ্নিময় হ্রদে অনন্ত কালের জন্য নরক যাতনা।
সিদ্ধান্ত আপনার হাতে!
পিতা ঈশ্বর তোমার এই বাক্যের মধ্যে দিয়ে তোমার এই সন্তানকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করো যেন তোমার প্রিয় পুত্র যীশু খ্রীষ্টকে মুক্তিদাতা রূপে গ্রহণ করে তুমি আমাদের জন্য যে স্থান প্রস্তুত করেছ সেই স্বর্গে প্রবেশাধিকার পায়। যীশু নামে এই প্রার্থনা চাইলাম।
আমেন।।
Comments
Post a Comment