বাইবেলে ভুল, পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা অথবা অসংগতি আছে কি?

উত্তর: আমরা যদি ভুল খুঁজে বের করার মানসিকতা বাদ দিয়ে গুরুত্ব সহকারে বাইবেল পড়ি, তাহলে আমরা দেখতে পাব যে, বাইবেল হচ্ছে সুসংগত, সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজে বোঝার মত বই। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে কোন কোন শাস্ত্র অংশ বোঝা কঠিন। আবার কোন কোন শাস্ত্র পদ পরস্পরবিরোধী মনে হতেই পারে। এই প্রসংগে আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রায় ১৫০০ বছর ধরে কমপক্ষে ৪০ জন লেখক বাইবেল লিখেছিলেন। প্রত্যেক লেখক তাদের সময়ের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে, ভিন্ন ভিন্ন কায়দায়, বিভিন্ন পাঠকের জন্য, বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে লিখেছিলেন। সেক্ষেত্রে আমরা ছোটখাট পাথর্ক্য আশা করতে পারি। তবুও ছোটখাট পার্থক্য কিন্তু কোন পরস্পরবিরোধী বলা যায় না। যদি কোন পদের মধ্যে কিছুটা অমিল দেখা যায়, তা গ্রহণ করতে কষ্ট হলে ভুল বলাতো যেতেই পারে। কখনও বা সাথে সাথে উত্তর পাওয়া না গেলেও কিন্তু তার মানে এই নয় যে, উত্তর পাওয়া যাবে না। অনেকেই আবার ইতিহাস বা ভুগোলের আংগিকে বাইবেলের ভুল ধরে এবং বলে পরবর্তী প্রত্নতাত্বিক আবিষ্কারে নিশ্চয়ই বাইবলের খাটিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে।

আমরা অনেক সময় প্রশ্নের মুখোমুখী হই, যেমন- ‘আচ্ছা বলুনতো, এই পদগুলো কিভাবে পরস্পরবিরোধী হয়েছে!’ অথবা, ‘এই দেখুন, বাইবেলের এখানে ভুল রয়েছে!’ নিসন্দেহে এরকম কোন কোন বিষয়ের উত্তর দেওয়া কষ্টকর। তবু যাহোক, প্রতিটি বাইবেলের অসংগতি এবং ভুলের যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে, যা আপাতদৃষ্টিতে সত্য বলেই মনে হবে। এমন কিছু বই আছে এবং ওয়েবসাইট আছে যেখানে ‘বাইবেলের ভুলগুলো’ তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ লোক এইসব স্থান থেকে তাদের বাইবেল বিরোধী অস্ত্র খুঁজে পায়; তারা তাদের অনুমেয় ভুল নিজেরা খুঁজে বের করে না। আবার, এমন অনেক বই ও ওয়েবসাইট আছে যেখানে এইসব ভুলকে খন্ডনও করা হয়েছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ যেসব লোক বাইবেলকে আক্রমণ করে, আসলে তারা উত্তর পেতে আগ্রহী নয়। অনেক ‘বাইবেল আক্রমণকারী’ আবার উত্তর জেনেও মন্দভাবে বার বার আক্রমণ চালিয়ে যায়।

তাহলে, যখন কেউ বাইবেলের ভুল নিয়ে আমাদের কাছে আসে, তখন আমরা কি করতে পারি? ১) আমরা প্রার্থনা সহকারে শাস্ত্র অংশটি পড়তে পারি এবং দেখতে পারি যদি কোন সহজ সমাধান পাওয়া যায়। ২) বেশ কিছু বাইবেল টীকা, ‘বাইবেল নির্ভুলতত্ত্ব বই’ বা বাইবেল গবেষণামূলক ওয়েবসাইট থেকে গবেষণা করা যেতে পারে। ৩) আমাদের পালক/নেতাদের কাছ থেকে সমাধান খুঁজে নিতে পারি। ৪) যদি ১, ২ ও ৩ ধাপগুলো থেকে কোন সুস্পষ্ট উত্তর পাওয়া না যায়, তাহলে আমরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে পারি, কারণ তাঁর বাক্য অভ্রান্ত সত্য এবং সবকিছুর সমাধান সহজে বোঝা সম্ভব নয় (২ তীমথিয় ২:১৫, ৩:১৬-১৭ পদ দ্রষ্টব্য)
আমেন।।

আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
আপনার অনুদান পাঠানোর জন্য ক্লিক করুন নিচে দেওয়া Donate অপশানে 

Comments

Popular posts from this blog

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া

Popular Posts

একজন ভাল মা অথবা বাবা হওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কিভাবে আমি নিশ্চিত জানতে পারি, মরে গেলে পর আমি স্বর্গে যাব?

প্রশ্ন: মৃত্যুর পর আপনি কোথায় যাবেন?

আমি কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি?

করোনা ভাইরাসের জন্য শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতি

প্রশ্ন: যীশু খ্রীষ্ট কে?

পর্ণোছবি (অশ্লীল ছবি) সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? পর্ণোছবি দেখা কী পাপ?

প্রশ্ন: বাইবেল কি সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য?

মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে?

খ্রীষ্টীয় পরিত্রাণের উদ্দেশ্য: প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির মত হওয়া