"একজন কে লওয়া যাইবে, এবং অন্য জনকে ছাড়িয়া যাওয়া হইবে"
এলি যাজকের দুই পুত্র ছিল। যদিও তারা যাজকের সন্তান ছিলো, কিন্তু তারা সদাপ্রভুকে জানতো না। ঈশ্বরের বাক্য বলে তারা পাষণ্ড ছিল (1শমূয়েল 2:12)। এলি যাজক তাঁর দুই পুত্রের সমস্ত অপকর্ম/পাপের কথা শুনে তাদের চেতনা দেয়, কিন্তু তারা তাদের পিতার কথায় কোনো মনোযোগ দেয়নি। তাঁর দুই পুত্র যে কেবল পিতাকে তুচ্ছ করেছিল তা নয়, তারা সদাপ্রভুকেও তুচ্ছ জ্ঞান করেছিল। ফলে তারাও তুচ্ছীকৃত হয়েছিলো। একইদিনে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যায়।

এরপরে আমরা দেখি যে শমূয়েল ভাববাদী, যাঁর সহবর্তী সদাপ্রভু ছিলেন, যাঁর কথা সদাপ্রভু মাটিতে পড়তে দিতেন না, যাঁর কাছে সদাপ্রভুর বাক্য উপস্থিত হতো। কেননা সে সময় সদাপ্রভুর বাক্য দুর্লভ ছিল , দর্শন যখন তখন হতোনা। (১ শমূয়েল 3:1)
শমূয়েল ভাববাদীরও দুই পুত্র ছিল। তারাও তাদের পিতার ন্যায় সদাপ্রভুর পথে চলতো না। লেখা আছে তারা ধনলোভে বিপথে গেল, উৎকোচ লইতো, ও বিচার বিপরীত করিত (১ শমূয়েল 8:3)
ফল স্বরূপ কি হলো?

(1 শমূয়েল 8:4-5)
হায় রে!!! মানুষ ঈশ্বরের রাজত্ব ছেড়ে, মানুষের রাজত্ব চাইলো।
শমূয়েল তাদের বোঝানোর জন্য যথা সাধ্য চেষ্টা করলেন যে তারা কি ভুল করতে চলেছে। কিন্তু কোনো ফল হলোনা। শমূয়েল তাদের সমস্ত কিছু বিশদ ভাবে বোঝানোর পর বললেন:-

(1 শমূয়েল 8:18)
কিন্তু লোকেরা কি বললো :-

(1 শমূয়েল 8:19-20)
আপনি হয়তো মনে করবেন এইসব পুরাতন সময়ের ঘটনার কথা আবার মনে করিয়ে দিয়ে কি লাভ?
কারণ এই একুশ শতকের যুগেও আমরা ঐ একই আচরণ করে চলেছি।
ঈশ্বরের বাক্য কে আমরা তুচ্ছজ্ঞান করি।
ঈশ্বরের ইচ্ছা নয়, আমরা আমাদের ইচ্ছা কে জোর করে ঈশ্বরের ইচ্ছা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।
পবিত্র আত্মার চালনা কে আমরা প্রাধান্য না দিয়ে, আমরা আমাদের ইচ্ছাকে প্রথম স্থান দিই। যীশুকে জানার পর, গ্রহণ করার পরও আবার অনেকে আমরা আমাদের পুরাতন জীবনে ফিরে যাই। অনেকে আছে হয়তো খ্রীষ্ট পরিবারেই জন্ম, কিন্তু খ্রীষ্টে তাদের নতুন জন্ম হয়নি। নামধারী খ্রীষ্টান বলে হয়তো আজ আমাদের পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খ্রীষ্টের অনুসরণকারী হয়তো এখনো হতে পারিনি।
অনেকটা এলি বা শমূয়েল ভাববাদীর পরিবারের মতো।

প্রভু যীশু বলেছেন:- "তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না"(মথি6:19) কিন্তু এই পৃথিবীতে যতদিন আমরা বেঁচে থাকি, ততদিন ধন সঞ্চয়ের কাজে ব্যস্ত থাকি। এই লক্ষেই আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় কিংবা এই লক্ষ্য পূরণের মধ্যেই আমাদের মৃত্যু হয়।
প্রভু যীশু বলেছেন:- "সেই কারণে, ‘আমরা কী খাব?’ বা ‘আমরা কী পান করব?’ বা ‘আমরা কী পরব?’ এসব নিয়ে তোমরা দুশ্চিন্তা কোরো না। কারণ পরজাতীয়রাই এই সমস্ত বিষয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকে, অথচ তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা জানেন যে এগুলো তোমাদের প্রয়োজন।"
(মথি 6:31-32) তবুও আমরা এই চিন্তা ভাবনাতেই সমস্ত জীবন কাটিয়ে দিই।
তাহলে পরজাতীয়দের সাথে আমার কি পার্থক্য?

"লোকেরা শমূয়েলের কথা শুনতেই চায়নি। তারা বলল, “আরে ধুর! আমরা একজন রাজা চাই। তবেই তো আমরা অন্য সব জাতির মতো হতে পারব,"
প্রভু যীশু বলেছেন:- "তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করতে পারোনা" (মথি6:24) তবুও আমরা তাই করে চলেছি যার ফলে আমরা ধনের প্রতি আসক্ত বা অনুরক্ত বেশী।
প্রভু যীশু বলেছেন:- "আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর।(মথি। 10:28) কিন্তু আজ আমাদের মধ্যে উল্টোটাই হচ্ছে। ঈশ্বর ভয় আজ আমাদের থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। অনুগ্রহের যুগে আমরা বাস করছি, তাই আমরা আমাদের পাপের শাস্তি সঙ্গে সঙ্গে পাচ্ছিনা। ফলে আমাদের মধ্যে থেকে আজ ঈশ্বর ভয় প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু যারা শরীর বধ করতে পারে, তাদের আমরা ভীষণ ভাবে ভয় পাই। যার ফলে আজ ঈশ্বরের রাজ্যের বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে চলছে।
"কারণ যদি মাংসের বশে জীবন যাপন কর, তবে তোমরা নিশ্চয় মরিবে, কিন্তু যদি আত্মাতে দেহের ক্রিয়া সকল মৃত্যুসাৎ কর, তবে জীবিত থাকিবে।" (রোমীয়। 8:13)
হ্যাঁ, আজ আমাদের বেশিরভাগই পরলোক গমন করছে মাংসের বশে জীবন যাপন করে। আর আমরা তাদের মৃত্যুর পরে তাদের নামের আগে স্বর্গীয় লিখতে ভুলিনা। যদিও ঈশ্বরের বাক্য বলছে, "তবে তোমরা নিশ্চয় মরিবে" অর্থাৎ অনন্ত নরকে যা দ্বিতীয় মৃত্যু বলা হয়েছে।


সত্যিই কি আমাদের পুরাতন বিষয় গুলি অতীত হয়েছে?
আমরা কি নতুন সৃষ্টি হতে পেরেছি, না কি সেই পুরাতন বিষয় গুলো নিয়েই চলছি?

(মথি। 28:19)
শিষ্য তো দূরের কথা, আমরা সমুদয় জাতির মধ্যে মিলে মিশে তাদের ন্যায় হয়ে পড়েছি।
মনে পড়েছে পুরাতন সময়ের ঘটনার কথা।
"
মনে আছে লোকেরা কি বলেছিল শমূয়েলকে।

"লোকেরা শমূয়েলের কথা শুনতেই চায়নি। তারা বলল, “আরে ধুর! আমরা একজন রাজা চাই। তবেই তো আমরা অন্য সব জাতির মতো হতে পারব," হ্যাঁ, আমাদের রাজা হয়তো এই জগতের অধিপতি দিয়াবল। তাই আমরা অন্য সব জাতির ন্যায় হয়ে উঠেছি অর্থাৎ দিয়াবলের প্রজা। প্রভু আসছেন তাঁর মণ্ডলীকে সংগ্রহ করার জন্য মধ্য আকাশে। মনে পড়ে প্রভু যীশু বলেছিলেন, "একজন কে লওয়া যাইবে, এবং অন্য জনকে ছাড়িয়া যাওয়া হইবে" (মথি 24:41)

পুরাতন নিয়ম::-

নতুন নিয়ম ::-

(মথি। 7:21)
Comments
Post a Comment