মন ফিরাও ও সুসমাচারে বিশ্বাস করো
প্রভু যীশু প্রথম প্রচার কার্য শুরু করেছিলেন উক্ত বাক্য দিয়ে। “দিন সম্পূর্ণ হয়েছে, ঈশ্বরের রাজ্য কাছে এসে গেছে; তোমরা পাপ থেকে মন ফেরাও ও সুসমাচারে বিশ্বাস কর।” (মার্ক 1:15)
আজও পবিত্র আত্মা বলে চলেছে:- "সময় প্রায়ই শেষ হতে চলেছে, প্রভুর আগমন সন্নিকটে, তোমরা মন ফিরাও, ও সুসমাচারে বিশ্বাস করো"। তবুও আজ অনেকে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি মন ফেরাতে। হ্যাঁ, কিছুতেই মন পরিবর্তন করতে পারছিনা কারণ আমাদের মন আজ অন্য কোথাও লাগিয়ে রেখেছি। আমরা জানি যে শেষ সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা চলছি। বর্তমানে এই জগতে যা কিছু হচ্ছে তাও আমরা অবগত আছি। একের পর এক যে সকল ভয়ানক বিপর্যয় ঘটেই চলেছে তাও আমরা শুনছি ও দেখছি। এই 2020 সাল কেমন যাচ্ছে তা আমরা যে কেও এক নিঃশ্বাসে সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলে দিতে পারবো। আমরা কি কখনো একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেছি যে এই সমস্ত ঘটনার মধ্যে দিয়ে পিতা ঈশ্বর আমাদের কি বলতে বা বোঝাতে চাইছেন।
পবিত্র আত্মা বলে চলেছে :-
"সময় প্রায়ই শেষ হতে চলেছে, প্রভুর আগমন সন্নিকটে, তোমরা মন ফিরাও, ও সুসমাচারে বিশ্বাস করো"। তা সত্বেও আমরা আমাদের মন কে সুসমাচার থেকে সরিয়ে জগতের মধ্যে নিবেশ করে রেখেছি। আমরা কিছুতেই মন ফিরাতে পারছিনা তার একটাই কারণ আমাদের মন আজ সুসমাচারের মধ্যে নেই, আছে জগতের মাঝে। যার ফলে আমাদের বিশ্বাসের পরিমাপ সুসমাচারের থেকে বেশি জগতের কার্য কলাপের মধ্যে। আজ আমরা ব্যর্থ হচ্ছি আমাদের সামনে যে পাহাড় আছে - হতে পারে তা আপনার সমস্যার পাহাড়, হতে পারে এই জগতের চাওয়া পাওয়ার পাহাড়, আবার হতে পারে দুঃখ, কষ্ট, যাতনা, রোগ, অভাব এই সমস্ত কিছুর এক বিশাল পর্বত, এই সকল পাহাড় কে উপড়ে সমুদ্রে ফেলে দিতে পারছি না। আর না পারছি সরিয়ে দিতে। বরং তার নিচে চাপা পড়ে আছি বা যাচ্ছি। দিন প্রতিদিন তা আরও ভীষণ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।
তার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের দুর্বল প্রকৃতির বিশ্বাস সুসমাচারের প্রতি। আমরা হয়তো সুসমাচার শুনেছি, জেনেছি আবার গ্রহণও করেছি। কিন্তু বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তা পরিপক্ক হতে পারছে না।
তাহলে আমার এই বিশ্বাস কি আমাকে পরিত্রাণ করতে পারবে?
যাকোব তাঁর পত্রের দ্বারা জানাচ্ছেন:-
কোনো মানুষ যদি দাবি করে তার বিশ্বাস আছে, কিন্তু কোনো কর্ম না থাকে, তাহলে আমার ভাইবোনেরা, এতে কী লাভ হবে? এধরনের বিশ্বাস কি তাকে পরিত্রাণ দিতে পারে? তুমি তো বিশ্বাস করো যে, কেবলমাত্র এক ঈশ্বর আছেন। ভালো, এমনকি, ভূতেরাও তা বিশ্বাস করে ও ভয়ে কাঁপে। ওহে নির্বোধ মানুষ, কর্মবিহীন বিশ্বাস যে নিরর্থক, তুমি কি তার প্রমাণ চাও? তোমরা দেখতে পাচ্ছ, কোনো মানুষ কেবলমাত্র বিশ্বাসে নয়, কিন্তু তার কর্মের দ্বারাই নির্দোষ গণিত হয়। যেমন আত্মাবিহীন শরীর মৃত, তেমনই কর্মবিহীন বিশ্বাসও মৃত। (যাকোব 2:14, 19-20, 24, 26)
ইব্রীয় পত্রের লেখক 11 অধ্যায়ে কি বলেছেন দেখুনঃ-
"বিশ্বাস ব্যতীত তাঁকে খুশী করা অসম্ভব"।
প্রভু যীশুর মন্তব্য কি:-
"যখন মানবপুত্র আসবেন, তখন তিঁনি কি পৃথিবীতে বিশ্বাস পাবেন" (লুক18:18)।
পুরাতন নিয়মে বিশ্বাসের Hebrew শব্দ হলো "EMUWN" যার অর্থ হচ্ছে - বিশ্বাস বা বিশ্বাস রাখা।
নতুন নিয়মে বিশ্বাসের Greek শব্দ হলো "PISTIS" যার অর্থ হচ্ছে - বিশ্বাস বা নির্ভর করা।
আজ আমাদের বিশ্বাস কোথায়?
যদি সুসমাচারে হয় তাহলে আমাদের নির্ভরতা কোথায়?
কর্ম কোথায়?
সাধুপৌল বলেছেন, "বিশ্বাস আসে শোনার মাধ্যমে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্যের মাধ্যমে"। আমরা কি শুনছি তার উপর আমার বিশ্বাস গড়ে উঠবে। যতক্ষন না আমি আমার বিশ্বাস কে সুসমাচারের উপর দৃঢ় ভাবে পরিপক্ক করতে পারছি ততক্ষণ আমি কিছুতেই মন পরিবর্তন করতে পারবো না।
Comments
Post a Comment