পশ্চাতাপ + যীশুর রক্ত = ধার্মিক (প্রথম ভাগ)
যেমন লিখিত আছে: “ধার্মিক কেউই নেই, একজনও নেই; বোঝে, এমন কেউই নেই, কেউই ঈশ্বরের অন্বেষণ করে না। সকলেই বিপথগামী হয়েছে, তারা একসঙ্গে অকর্মণ্য হয়ে পড়েছে, সৎকর্ম করে এমন কেউই নেই, একজনও নেই।” “তাদের কণ্ঠগুলি উন্মুক্ত কবরস্বরূপ; তাদের জিহ্বাসকল প্রতারণার অনুশীলন করে।” “তাদের ওষ্ঠাধরে থাকে কালসাপের বিষ।” “তাদের মুখগুলি অভিশাপে ও কটুকাটব্যে পূর্ণ।” “তাদের চরণ রক্তপাতের জন্য দ্রুত দৌড়ায়; বিনাশ ও দুর্গতি তাদের পথসকল চিহ্নিত করে, আর তারা জানে না শান্তির উপায়,” “তাদের চোখে ঈশ্বরভয় নেই।” (রোমীয় 3:10-18)
আজ অনেক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর (নামধারী বিশ্বাসী) অবস্থা এই প্রকার। যারফলে শয়তান তাদের মনের মধ্যে এই বাক্য কে সুদৃঢ় ভাবে গেঁথে দিয়েছে, "ধার্মিক কেউই নেই, একজনও নেই; বোঝে, এমন কেউই নেই, কেউই ঈশ্বরের অন্বেষণ করে না।"
ফলস্বরূপ কি হচ্ছে ?
তারা বিপথগামী হয়েছে। তারা একসঙ্গে অকর্মণ্য হয়ে পড়েছে।
সৎকর্মের মনোভাব তাদের মধ্যে নেই।
তাদের কণ্ঠগুলি উন্মুক্ত কবরস্বরূপ।
তাদের জিহ্বাসকল প্রতারণার অনুশীলন করে।
তাদের ওষ্ঠাধরে থাকে কালসাপের বিষ।
তাদের মুখগুলি অভিশাপে ও কটুকাটব্যে পূর্ণ।
তাদের চরণ রক্তপাতের জন্য দ্রুত দৌড়ায়; বিনাশ ও দুর্গতি তাদের পথসকল চিহ্নিত করে।
এবং এর কারণ বাইবেল বলছে যে:-
1. "আর তারা জানে না শান্তির উপায়,”
2.“তাদের চোখে ঈশ্বরভয় নেই।”
(রোমীয় 3: 17-18)
হোশেয় ভাববাদী তাঁর পুস্তকে লিখেছেন, "জ্ঞানের অভাব প্রযুক্ত আমার প্রজাগণ বিনষ্ট হইতেছে।" আজ অনেক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরও ঐ একই অবস্থা। যার ফলে শয়তান তাদের মনের ভিতরে উক্ত বাক্যকে ভালো করে গেঁথে দিয়েছে। শয়তান যখন প্রভু যীশুকে পরীক্ষা করেছিলেন, তখন আমরা লক্ষ্য করি যে প্রভু যীশু যখন শাস্ত্র থেকে শয়তান কে উত্তর দিচ্ছিলেন তখন শয়তানও শাস্ত্র থেকে বাক্যের মধ্যে ভাঁজ দিয়ে প্রভু কে প্রশ্ন করেছিল। আজও ঠিক ঐ একইভাবে শয়তান বিশ্বাসীদের বাক্যের মধ্যে ভাঁজ(Twist) দিয়ে প্রচুর বিশ্বাসীকে ভ্রান্ত করে রেখেছে। যেমন রোমীয় 3:10 লেখা আছে, "ধার্মিক কেহই নাই, একজনও নাই"। ঠিক তেমনি লেখা আছে , " এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্মিক গণনা করেন।" (রোমীয় 3:26)
আবার লেখা আছে, “ধন্য তারা, যাদের অধর্ম্ম গুলি ক্ষমা করা হয়েছে যাদের পাপ ঢাকা দেওয়া হয়েছে; ধন্য সেই মানুষটি যার পাপ প্রভু ক্ষমা করে দিয়েছেন।” (রোমীয় 4:7-8)
1. শান্তির পথ ::-
প্রকৃত শান্তি কোথায় পাবো?
যে শান্তির জন্য আজ বিশ্বের মানুষ ছোটাছুটি করছে, আমরা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি যে প্রকৃত শান্তির পথ তিঁনি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন। প্রভু যীশু বলেছেন, "যেন তোমরা আমাতে শান্তি প্রাপ্ত হও"। (যোহন 16:33)


শান্তি শব্দটি 420 বার ব্যবহৃত হয়েছে সম্পূর্ণ বাইবেলে। অথচ আমরা শান্তির জন্য কি না করি। প্রভু যীশু তাঁর পুনরুত্থিত হওয়ার পর তাঁর শিষ্যদেরকে (যারা সেসময় খুব ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল) দর্শন দেওয়ার সময় প্রথমেই যে শব্দটি বলেছিলেন, তা হলো "তোমাদের শান্তি হোক"। তিঁনি তাঁর পুনরুত্থানের আগে কিন্তু এই প্রকার কথা বলেন নি। হ্যাঁ, তিঁনি ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পূর্বে তাঁর শিষ্যদের কে; সে বিষয়ে যখন ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, তখন তারা কিছুতেই তা বুঝতে পারছিলোনা। শিমোন পিতর যীশুকে বললেন, "প্রভু আপনি কোথায় যাচ্ছেন?"
থোমাও বলেছিলো, "প্রভু আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা আমরা জানিনা, পথ কিসে জানিব"। প্রভু যীশু তাঁর অনুপস্থিতে পবিত্র আত্মা আসবেন এবং কিভাবে চালনা করবেন সে বিষয়ে তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। তাঁর শিষ্যরা তখন খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে ছিল। কি হবে তারা কিছুই বুঝতে পারছিলনা। তখন প্রভু যীশু তাদের বলেছিলেন, "শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি, আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি; জগৎ যেরূপ দান করে, আমি সেরূপ দান করি না। তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক, ভীতও না হউক।" (যোহন। 14:27)
দুঃখের বিষয় যে শান্তি প্রভু যীশু আমাদের জন্য সর্বদা দিতে প্রস্তুত, আজ আমরা তা নিতে প্রস্তুত নই। যার ফলে তাঁর শান্তির পথ থেকে আজ অনেকে দূরে সরে গেছে/যাচ্ছে। জগতের মধ্যে শান্তি খুঁজছে। সেখানেও তারা হয়তো শান্তি পাচ্ছে কেননা জগতের শাসনকর্তা দিয়াবল। সেও নানান ধরণের শান্তির উপায় করে রেখেছে জগতের মধ্যে যা ক্ষণস্থায়ী। যখনই আমরা সেই জগতের শান্তির মধ্যে প্রবেশ করছি, তখনই শয়তান আমাদের অন্তরে প্রবেশ করে আমাদের ভিতরে বাক্যের কিছুর অংশের মধ্যে খুব চাতুরীর সাথে ভাঁজ দিয়ে আমাদের অন্তরে তা দৃঢ় করে আমাদের ভ্রান্ত পথে চালাচ্ছে। শয়তান আমাদের সব সময় মনে করিয়ে দেয় যে , "তুই একজন পাপী," পুরাতন সকল পাপের কথা সে মনে করিয়ে আপনাকে দুর্বল করে দেবে। শয়তান আপনাকে বলবে, "তুই একজন মহা পাপী, তোর পাপের ক্ষমা নেই। তোর প্রার্থনা ঈশ্বর শুনবেন না। "ঈশ্বরের বাক্য বলে "এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্মিক গণনা করেন।" (রোমীয় 3:26)
আবার লেখা আছে, “ধন্য তারা, যাদের অধর্ম্ম গুলি ক্ষমা করা হয়েছে যাদের পাপ ঢাকা দেওয়া হয়েছে; ধন্য সেই মানুষটি যার পাপ প্রভু ক্ষমা করে দিয়েছেন।”
(রোমীয় 4:7-8)
আসলে আমরা ভুলে যাই যে যেদিন থেকে আমি প্রভু যীশুকে গ্রহণ করেছি, তাঁর রক্তের দ্বারা সুচীকৃত হয়ে ধার্মিক গণিত হয়েছি; সেদিন থেকে আমি কে?
ঈশ্বরের বাক্য কি বলে এই বিষয় যে আপনি কে?
দেখুনঃ-
কিন্তু তোমরা মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজক শ্রেণী, পবিত্র জাতি, ঈশ্বরের নিজস্ব প্রজা। তিনিই তোমাদের অন্ধকার থেকে তাঁর বিস্ময়কর জ্যোতির মাঝে আহ্বান করে এনেছেন যেন তোমরা তাঁর গুণগান করতে পার। এককালে তোমাদের কোন পরিচয় ছিল না কিন্তু এখন তোমরা ঈশ্বরের প্রজা হয়েছ, এক সময়ে তাঁর দয়ার কথা তোমরা জানতে না কিন্তু এখন তাঁর দয়ার অধিকারী হয়েছ। (পিতরের প্রথম পত্র 2:9-10)

একটু চিন্তা করে দেখুন।ভাবতে পারছেন আপনি কে!!!!!!
আজ এই বিষয়টি আমরা কিছুতেই বুঝে উঠতে চাইনা। কারণ আমরা বাক্য অধ্যায়নে মনোযোগ দিইনা। বাক্যের নিগূঢ়ত্বত বুঝতে চাইনা। কেননা আমাদের চাওয়া পাওয়ার বিষয় আজ জগতের বিষয় বস্তু। যার ফলে শয়তান খুব সহজেই আমাদের ভ্রান্ত করে দেয়। সে বার বার মনে করিয়ে দেয় আপনি একজন পাপী। যার ফলে কিছু বিশ্বাসী আজ শান্তির পথ থেকে দূরে সরে গিয়ে জগতের শান্তির মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে। যা ধীরে ধীরে অনন্ত নরকের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সময় থাকতেই আমরা নিজেদের কে একবার যেন দেখে নিই আমি কি এখনও নিজেকে পাপীর মধ্যে গণনা করে রেখেছি?
যীশুর রক্ত কি আমাকে এখনও পর্যন্ত ধৌত করতে পারেনি?
আমি যীশুর রক্তের অবমাননা করছি না তো?
Comments
Post a Comment