আশা, আনন্দ বা গৌরবের মুকুট কি?
কারণ আমাদের আশা, বা আনন্দ, বা গৌরবের মুকুট কি?
★আমাদের প্রভু যীশুর সাক্ষাৎে তাঁর আগমন কালে তোমরাই কি নও?
★★বাস্তবিক তোমরাই আমাদের গৌরব ও আনন্দ।
(1 থিষলনীকীয় 2:19-20)
সাধুপৌলের আশা, আনন্দ ও গৌরবের মুকুট ছিল তাঁর খ্রীষ্টীয় পরিচর্যার মূল উদ্দেশ্য, যাদের কাছে তিঁনি খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করেছিলেন তাঁদের বিষয় চিন্তিত হওয়া শুধু তাইই নয় আমাদের প্রভু যীশুর সাক্ষাৎে তাঁর আগমন কালে তাদের সকলকে খ্রীষ্টের রাজ্যে মিলিত করা। তাইতো সাধু পৌল বলেছেন বাস্তবিক তোমরাই আমাদের আশা গৌরব ও আনন্দ।
আজ এই বিষয় থেকে আমরা একটু দূরে সরে গিয়েছি। আমাদের আশা, আনন্দ ও গৌরবের বিষয়, মূল বিষয় থেকে সরে গিয়েছে। যার ফলে বর্তমান মণ্ডলীতে প্রেমের বড়ো অভাব। একটা শূন্যতা ভাব, সুসমাচার প্রচারের দায়িত্ব থেকে নিজেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখা। ঐসব পাদ্রী পুরোহিত ও প্রচারকের কাজ বলে মনে করা। যাদের কাছে সুসমাচার প্রচারিত হচ্ছে তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া এবং তাদের আত্মিক বিষয়ে উৎসাহিত করা এসব প্রায়ই নেই বললেই চলে। প্রার্থনার সহভাগিতা আজ আমাদের মধ্যে নেই।
কিরূপে চলে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করা যায় সে বিষয়ে আজ আমাদের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। তাই আমাদের আশা, আনন্দ ও গৌরবের বিষয় আজ মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে জগতের আশা, আনন্দ ও গৌরবের মধ্যে আটকে গেছে। আমরা আমাদের খ্রীষ্টীয় জীবনধারা ও জাগতিক জীবনধারা কে একসাথে মিশিয়ে ফেলেছি। থিষলনীকীয় মন্ডলীর কাছে প্রথম পত্রে তিঁনি ঈশ্বরের যোগ্যরূপে চলার জন্য পত্র মারফৎ মণ্ডলীকে উৎসাহিত করেন।
আসুন আমরা সেই পত্রের কিছু কথার উপরে একটু মনোযোগ দেব যেন আমাদের আশা আনন্দ ও গৌরবের বিষয় সাধুপৌলের ন্যায় হয় এবং ঈশ্বরের রাজ্যের বৃদ্ধিতে উৎসাহিত হই।
সাধুপৌল থিষলনীকীয় মন্ডলীর কাছে দুটো চিঠি লিখেছিলেন যা প্রথম ও দ্বিতীয় থিষলনীকীয় নামে পরিচিত। মূলতঃ করিন্থীয় ও
থিষলনীকীয় মন্ডলীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ছিল। চিঠিগুলি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়। সাধুপৌলের সময় এই দুই মন্ডলীর লোকেরা সমস্যা সৃষ্টিকারী ছিল। যা আজও বিদ্যমান অনেক মণ্ডলীতে।
এই থিষলনীকীয় মন্ডলীর কাছে প্রথম পত্রে তিঁনি দ্বিতীয় অধ্যায়ের দুই থেকে চার পদে তিঁনি খুব পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করেছেন যে আমরা যে সুসমাচার কার্যের জন্য মনোনীত হয়েছি তা কিন্তু জীবন্ত সত্য ঈশ্বরের সেবা কাজ। সুতরাং আমাদের সেই কাজের মধ্যে যেন কোনো প্রকার ভ্রান্তি মূলক কি অশুচিতামূলক বা ছলযুক্ত কোনো কিছু না থাকে। এছাড়াও মানুষ কে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে যেন আমাদের কাজ না হয়।
পরবর্তী পদগুলির মধ্যে থেকে তিঁনি খুব দৃঢ় ভাবে আমাদের জানিয়েছেন যে আমরা যেন কখনোই কোনো লোভের বশবর্তী না হয়ে ঈশ্বরের কাজে লিপ্ত হই। মানুষ থেকে সন্মান পাওয়ার চেষ্টায় যেন না থাকি। কখনোই যেন কাউরের উপর নির্ভরশীল না হই এবং নত নম্র ভাবে ঈশ্বরের কাজ কে যোগ্যরূপে করি।
যখন আমরা এই বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগ সহকারে ঈশ্বরের কাজ করবো, তখন আমাদের প্রত্যাশা বা আনন্দ বা গৌরবের মুকুট হবে সেই বিশ্বাসীজন, যাদের কাছে আমরা সুসমাচার প্রচার করছি/করেছি।
তাদের জন্য পিতা ঈশ্বরের কাছে বিনীত প্রার্থনা নিবেদন করছি/করেছি।
তাদের আত্মিক বিষয়ে উৎসাহিত করছি/করেছি, যেন তারা এই জগতের মিথ্যার সাথে নাশ না হয়ে যায়। হ্যাঁ, আমাদের প্রভু যীশুর আগমনকালে তাঁর সেই অনন্তরাজ্যে সেই সকল বিশ্বাসীদের কে দেখতে পাওয়া। এটাই ছিল সাধুপৌলের একমাত্র গৌরব ও আনন্দ। তাইতো তিঁনি লিখেছেন:- "বাস্তবিক তোমরাই আমাদের গৌরব ও আনন্দ ভূমি।" (1থিষলনীকীয় 2:20)
প্রভুর আগমনকালে যদি আমাদের প্রিয়জনেরা, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজনেরা যদি তাঁর সেই অনন্তরাজ্যে স্থান না পায় তাহলে কি সত্যিই আমি আনন্দিত হবো?
নিজেকে কি দোষী বলে মনে হবে না?
আসুন আজ হতেই আমরা সাধু পৌলের ন্যায় একই মন্ত্রে চলি যেন ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর ক্রোধের হাত থেকে নিজেকে ও সকলকে একসাথে রক্ষা করতে পারি ও তাঁর অনন্ত আনন্দের সহভাগী হতে পারি। আমরাও যেন সাধুপৌলের ন্যায় প্রার্থনা করতে পারি:-
"আর যেমন আমরাও তোমাদের প্রতি উপচে পড়ি, তেমনি প্রভু তোমাদেরকে পরস্পরের ও সবার প্রতি প্রেমে বৃদ্ধি করুন ও উপচে পড়তে দিন; ঈশ্বর তোমাদের হৃদয় শক্তিশালী করবেন, যেন নিজের সকল পবিত্রগণ সহ আমাদের প্রভু যীশুর আগমন কালে তিনি আমাদের পিতা ঈশ্বরের সাক্ষাৎে তোমাদের পবিত্রতা ও অনিন্দনীয় করেন।"
(1 থিষলনীকীয় 3:12-13)
জয় যীশু
আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে Click করুন.
আপনার অনুদান পাঠানোর জন্য ক্লিক করুন নিচে দেওয়া Donate অপশানে ⇓

Comments
Post a Comment