খ্রীষ্টের বিচার-আসন কী?
উত্তর: রোমীয় ১৪:১০-১২ পদ বলে, “বিচারের জন্য আমরা সবাই তো ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াব। প্রভু বলেন, আমি আমার নাম করে বলছি, আমার সামনে প্রত্যেকেই হাঁটু পাতবে এবং আমাকে ঈশ্বর বলে স্বীকার করবে। তাহলে দেখা যায়, আমাদের প্রত্যেককেই নিজের বিষয়ে ঈশ্বরের কাছে হিসাব দিতে হবে।” ২করিন্থীয় ৫:১০ পদ আমাদের এই কথা বলে, “খ্রীষ্টের বিচার-আসনের সামনে আমাদের সকলের সব কিছু প্রকাশ করা হবে, যেন আমরা প্রত্যেকে এই দেহে থাকতে যা কিছু করেছি, তা ভাল হোক বা মন্দ হোক, সেই হিসাবে তার পাওনা পাই।” এই প্রসঙ্গে এটি আমাদের কাছে সুস্পষ্ট যে, উপরোক্ত উভয় শাস্ত্রাংশেই অবিশ্বাসীদের নয় কিন্তু খ্রীষ্টিয়ানদের কথাই বুঝানো হচ্ছে। খ্রীষ্টের বিচার-আসনে যার মধ্যে খ্রীষ্টিয়ানরাও অন্তর্ভুক্ত আছে তাদেরও তাঁর কাছে নিজ নিজ জীবনের হিসাব দিতে হবে। খ্রীষ্টের এই বিচার-আসন পরিত্রাণ বা উদ্ধারকে কোনরূপ নিশ্চয়তা প্রদান করে না; কিন্তু এই বিষয়টি সংকল্পিত করা হয়েছে আমাদের পরিবর্তে তাঁর ত্যাগ-স্বীকার (১যোহন ২:২ পদ) এবং তাঁর উপর আমাদের বিশ্বাস (যোহন ৩:১৬ পদ) করার দ্বারা। যেহেতু আমাদের সকল পাপ ক্ষমা করা হয়েছে সেহেতু আমাদের আর কখনই ঐ সব পাপের জন্য দোষী করা হবে না (রোমীয় ৮:১ পদ)। আমরা অবশ্যই এই কারণে খ্রীষ্টের বিচার-আসনের দিকে দৃষ্টিপাত করব না যে, ঈশ্বর আমাদের পাপের বিচার করবেন, বরং আমরা সেদিকে দৃষ্টিপাত করব, কারণ তিনি আমাদের জীবনের জন্য আমাদের পুরস্কৃত করবেন। হ্যাঁ, বাইবেল ঠিক এভাবেই বলে যে, আমাদের অবশ্যই নিজেদের কাজের বিষয়ে ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এর অংশ হিসাবে আমরা যে সব পাপ কাজ করেছি নিশ্চিতভাবে সেগুলোর হিসাব দিতে হবে। যাহোক, এই বিষয়টি খ্রীষ্টের বিচার-আসনের জন্য আলোকপাত করার মত প্রাথমিক কোন বিষয় হতে পারে না।
Comments
Post a Comment